মাহফিলের বয়ান শোনা ও মেলায় ঘুরাফেরা করা।
প্রতিবছর বাংলাদেশের শীতকালে প্রচুর ওয়াজ মাহফিল হয়। শীতকালে ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করার মূল কারণ হচ্ছে। যাতে কোন রকম প্রাকৃতিক সমস্যার কারণে বা ঝড় বৃষ্টির কারণে ওয়াজ মাহফিলের কোন সমস্যা না হয় সেজন্য। বেশিরভাগ ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয় বিভিন্ন রকম মাদ্রাসা থেকে। আবার বিভিন্ন এলাকার লোকজন স্থানীয়ভাবে অনেক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে থাকে। প্রতিবছরই আমার দু একটা ওয়াজ মাহফিলে যাওয়া হয়। তবে এ বছর এখন পর্যন্ত কোন ওয়াজ মাহফিলে যাওয়া হয়নি।
গত কয়েকদিন আগে মসজিদ থেকে জানতে পেরেছিলাম আজ শুক্রবার সন্ধ্যার সময় আমাদের শহরের সবচাইতে বড় মাদ্রাসার প্রাঙ্গনে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দেশের নামকরা কয়েকজন বক্তা আসবেন। এই খবরটি শোনার সাথেই মনস্থির করলাম এই ওয়াজ মাহফিলে যেতে হবে। পূর্ব পরিকল্পনা মতো আজ মাগরিবের নামাজ পড়ে রওনা দিলাম মাহফিল প্রাঙ্গণের উদ্দেশ্যে। তবে আমি যে বক্তার ওয়াজ শুনতে গিয়েছিলাম। শুনতে পেলাম তিনি বয়ান করবেন এশার নামাজের পরে। তাই আমি চিন্তা করলাম একটু আশেপাশে থেকে ঘুরে দেখি।
এই ধরনের বড় কোন ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন হলে তার পাশে মেলার মতো বসে। আমার কাছে এই আয়োজনগুলো বেশ ভালই লাগে। আমি চেষ্টা করি সেই মেলাতে ঘুরেফিরে কিছুটা সময় কাটাতে। কারণ একটানা অনেকক্ষণ বয়ান শোনার ধৈর্য আমার নেই। তাই আমি কিছুক্ষণ বয়ান শুনি আবার কিছুক্ষণ ঘুরে ফিরে বেড়াই সাথে খাওয়া-দাওয়াও চলতে থাকে। আজকে আমি মাহফিলে পৌঁছে প্রথমে দেখতে পেলাম একজন স্থানীয় বক্তা কথা বলছেন। তাই আমি চিন্তা করলাম এবারের মেলার আয়োজনটা কেমন হয়েছে সেটা দেখে আসি।
তবে এবার আয়োজন দেখে আমি কিছুটা হতাশ হয়েছি। কারণ প্রতিবার এখানে প্রচুর দোকানপাট বসে। যদিও আশেপাশে খুব একটা জায়গা ফাঁকা নেই। সবাই বিভিন্ন গলিতে তাদের পসরা সাজিয়ে বসেছে। তবে এবার আয়োজনে বেশ খানিকটা ঘাটতি দেখতে পেলাম। হয়তো এটি মাত্র একদিনের জন্য আয়োজন করা হয় বলেই অনেকে এখানে তাদের পণ্য সামগ্রী নিয়ে আসার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। তবে এই সমস্ত মেলায় বেশিরভাগ এমন ধরনের জিনিসপত্র ওঠে যেগুলো সাধারণত মুসল্লিদের কাজে লাগে। সেখানে গিয়ে লোকজনের ভিড় দেখে একটা জিনিস বুঝতে পারলাম। যে যত লোকজন বসে বয়ান শুনছে তার থেকে বেশি লোক এই মেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবশ্য তাদের ভেতর আমিও একজন। হা হা হা।
ঘুরেফিরে দেখতে দেখতে একটি দোকানে দেখতে পেলাম চপ বিক্রি করছে। সেই দোকানের সামনে প্রচুর ভিড়। চপ গুলো দেখে মনে হল খেতে বেশ ভালো হবে। যদিও ইদানিং শারীরিক সমস্যার কারণে খাওয়া-দাওয়া কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছি। তারপরেও এমন মুখরোচক খাবার দেখে না খেয়ে থাকতে পারলাম না। তাই সেই দোকানে দাঁড়িয়ে দুটো চিকেন চপ খেয়ে নিলাম। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে তারপর মাহফিল প্রাঙ্গনে গিয়ে বসলাম। তার কিছুক্ষণ পরে এশার আজান দিলে এশার নামাজ পড়ার পর মূল বক্তার বয়ান শুরু হল। রাত প্রায় সাড়ে দশটা পর্যন্ত তার বয়ান শুনে তারপর বাড়ি ফিরে এলাম। যতটুকু সময় সেখানে কাটিয়েছি তাতে নতুন অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। ফেরার সময় আমার মনে হচ্ছিলো আমার এখানে আসার মূল উদ্দেশ্যটা সফল হয়েছে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | পশ্চিম খাবাসপুর |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
জি ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন আপনি প্রতি বছর শীতকালেই বেশিরভাগ ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়ে থাকে,কারণ শীতকালে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা থাকেনা।গতকাল মাহফিলে গিয়ে ওয়াজ শুনে এবং ঘুরাঘুরি করে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া।আসলেই এসব মুখরোচক খাবার দেখলে না খেয়ে পারায় যায় না।যাক আপনি ওয়াজে গিয়ে নতুন কিছু শিখতে পেরেছেন এবং আপনার ওয়াজে যাওয়ার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ব্লগটি শেয়ার করার জন্য।
না গিয়ে মনে হয় ভুলই করলাম। বয়ান ও শোনা হত সেই সঙ্গে তোমার সাথে চিকেন চপ ও খাওয়া হতো হাহাহা। সত্যি বলতে কি বহু বছর ভালো কোন বক্তার বয়ান শোনা হয়না।
মাহফিলে বয়ান শুনে ও মেলায় ঘোরাঘুরি করে আপনি বেশ সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন। আমাদের এখানেও প্রতিবছর মাহফিল হয়ে থাকে আমিও যায় তবে এবার এখানে এখনো কোনো মাহফিলে দেখা পেলাম না। যাই হোক হয়তো কিছুদিনের মধ্যে হবে। একটা বিষয় জেনে ভালো লাগলো যে মাহফিলে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্যটা আপনার পূরণ হয়েছে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
যাক, মাহফিলে আসার উদ্দেশ্যটা যদি সফল হয়ে থাকে তাহলে আমি মনে করি আপনার মাহফিলে যাওয়া স্বার্থক হয়েছে ভাইয়া। মাঝে মাঝে ইসলামিক মাহফিলগুলাতে গেলে ভালোই লাগে। কিছু কথা হৃদয়ে গেঁথে যায়! হতে পারে একজন বক্তার মাধ্যমে কেউ হেদায়েত হয়েছে। তবে মাহফিলে মেলার মতো বসে এটা আমার কাছেও ভালো লাগে।
মাঝে মাঝে ধর্মীয় এসব আয়োজনে অংশগ্রহণ করে ধর্মীয় কথাবার্তা শুনলে নিজেদের মধ্যে একটা ভালো লাগা কাজ করে। মাহফিল গিয়ে নতুন কিছু জানতে পেরেছেন, শিখতে পেরেছেন এটা খুব ভালো ব্যাপার। যে সময়টাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কোন সম্ভাবনা থাকে না সেই সময়টাতেই এমন মাহফিল আয়োজন করা উত্তম কাজ ।আমাদের এইখানের বিভিন্ন জায়গার ওয়াজ মাহফিল গুলোও আমি শীতকালে হতে দেখেছি । ওয়াজ মাহফিল গিয়ে ও মেলায় ঘোরাঘুরি করে করে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন যেনে বেশ ভালো লাগলো দাদা। মুখরোচক খাবার দেখে নিজেকে কন্ট্রোল করা অনেকটা কঠিন কাজ এটা ঠিক বলেছো। তারপরও শরীরের কথা চিন্তা করে মাঝে মাঝে একটু কন্ট্রোল করে নিতে পারলে ভালো হয়।