অপরূপ প্রকৃতি ও নীল আকাশের ছবি।
গতকালকে বাইরে বের হয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত হয়েছিলাম। এখন সাধারণত বাইরে গেলেই ছবি তোলা হয়। তবে অনেক সময় আছে ছবি তোলার তেমন কোনো ভালো বিষয় পাওয়া যায় না। কিন্তু গতকালকে প্রকৃতির এই মোহনীয় রূপ দেখে আমি ক্রমাগত ছবি তুলেই যাচ্ছিলাম। যতই ছবি তুলছিলাম মনে হচ্ছিল আরো কিছু ছবি তুলি। প্রকৃতির এই অনিন্দ্য সুন্দর রূপ ক্যামেরা বন্দি করে রাখি। সৌন্দর্য কে স্মৃতির মনিকোঠায় বন্দী করে রাখা বা কোন জায়গায় ধরে রাখা মানুষের চিরাগত স্বভাব। আমিও তার থেকে ব্যতিক্রম নই। আর যখন প্রকৃতি এমন চমৎকার রূপে সেজে ওঠে তখন সে আহ্বান উপেক্ষা করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। আমার মত প্রকৃতি প্রেমির পক্ষে তো মোটেই সম্ভব নয়। আজ আর কোন কথা বলবো না। আপনাদের সাথে গতকালকের তোলা কিছু ছবি ভাগ করে নেবো।
আমার বিভিন্ন পোস্টে আমি উল্লেখ করেছি গোধূলি লগ্নের ছবি তুলতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কিন্তু গতকালকের সূর্যের এই রক্তিম আভায় পশ্চিম আকাশ রাঙিয়ে ওঠা আমার জীবনের দেখা সেরা দৃশ্য গুলির একটি। হঠাৎ করে পশ্চিম দিকে তাকিয়ে আকাশের এই অবস্থা দেখে আর নিজেকে সামলে রাখতে পারিনি। অনেকগুলো ছবি তুলেছি। সেখান থেকে শুধু একটি ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
দীর্ঘদিন পর পালতোলা নৌকা দেখতে পেলাম। একসময় পদ্মা নদীতে এমন নৌকা প্রচুর দেখা যেতো। কিন্তু আজ ইঞ্জিন চালিত নৌকা চালু হওয়ার পর পালতোলা নৌকা প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। দীর্ঘদিন পর একটি পালতোলা নৌকা দেখে বেশ ভালই লাগলো।
উপরের ছবি তিনটিতে নীল আকাশে বিভিন্ন রকমের মেঘের খেলা দেখা যাচ্ছে। কখনো সাদা তুলোর মতো মেঘ নীল আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে। আবার কখনো বা কালো মেঘ। নীল আকাশের বুকে সাদা মেঘের খেলা দেখতে কার না ভালো লাগে? কালকের আকাশটা আসলেই অসাধারণ ছিলো।
এই ছবিটা পদ্মার একটি চর থেকে তোলা হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে পদ্মার চর নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সবুজ মাঠে পানি উঠেছে। আমাদের কাছে দেখতে ভালো লাগলেও চরের মানুষজন এই দৃশ্য দেখে মোটেই স্বস্তিতে নেই। কারণ পানি যদি আরো বাড়ে তাহলে তাদের বাড়িঘর প্লাবিত হতে পারে। এই চিন্তায় তাদের দিন কাটছে।
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে নিঃসঙ্গ এক মাঝি তার নৌকায় দাঁড়িয়ে আছে। মাঝি কার অপেক্ষায় বা কিসের অপেক্ষায় সেটা আমরা জানি না। পিছনেই দেখা যাচ্ছে কানায় কানায় পূর্ণ পদ্মা নদী। এইসব মাঝিদের জীবন ও জীবিকার একমাত্র উৎস এই পূর্ণ যৌবনা পদ্মা নদী।
উপরের ছবি দিতে দেখা যাচ্ছে কলা গাছ। একটি ছবিতে কলা গাছে কলার মোচা ধরে আছে। আর দ্বিতীয় ছবিতে দেখা যাচ্ছে এক কাদি কলা ঝুলে আছে।খেয়াল করে দেখলাম চরের রাস্তাঘাটের পাশ দিয়ে প্রচুর কলা গাছ লাগানো। এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের কলা কিনে খাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ বাড়ির আশপাশ থেকেই তারা তাদের প্রয়োজনীয় কলা সংগ্রহ করতে পারে। এমন টাটকা সতেজ খাবারের উৎস একমাত্র এই ধরনের এলাকাতেই সম্ভব।
এই ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে একটি মালবাহী কার্গ জাহাজ গোধূলি বেলায় তার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে চলছে। এই ধরনের দৃশ্য দেখে আমার কিছুটা মন খারাপ লাগে। কেন জানিনা কিন্তু গোধূলি বেলার এই সময়টাতে আমার মনটা কিছুটা উদাস হয়ে যায়। এটা সবার হয় কিনা সেটা আমার জানা নেই।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | পদ্মার চর |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
ভাইয়া গোধূলি লগ্নের ফটোগ্রাফি করতে আমারও খুব ভালো লাগে। আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে জাস্ট মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ছিল মনমুগ্ধকর। এছাড়াও আপনি খুবই সুন্দর ভাবে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির বর্ণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছিলেন।বিশেষ করে নদীর মাঝে একটি পালতোলা নৌকার ফটোগ্রাফি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। পরিশেষে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া আমাদের মাঝে এত সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি এত সুন্দরভাবে বর্ণনা করে উপস্থাপন করার জন্য।
এরকম নীল আকাশের ছবি দেখলে আমার মনটা ভালো হয়ে যায়। এমন অপরূপ দৃশ্য দেখলে সবারই নজর কাড়বে। এমন নৌকায় করে যদি কোথাও ভ্রমণ করতে যেতে পারতাম তাহলে প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে পারতাম। আমার বাংলাদেশেই আছে এত সুন্দর প্রকৃতি যা মানুষকে শুধু মুগ্ধই করে।
নীল আকাশ এবং প্রাকৃতিক কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কি বলবো বুঝতে পারছি না। এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। নীল আকাশের ছবিগুলো। কলা এবং কলার মোচার ছবিগুলো। বেশ সুন্দর হয়েছে । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
মেঘের ছবি, আকাশের ছবি, নদীতে ভাসমান নৌকা, সবুজ মাঠ প্রকৃতির অনেক গুলো উপকরণ আছে আজ আপনার ফটোগ্রাফিতে । দেখে ভীষণ ভাল লাগলো ।
প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরে বেড়ানো আমার নিজের ও খুব পছন্দের একটি কাজ । ধন্যবাদ ভাইয়া এতসুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ।
আকাশ এর ছবি তুলার সময় আমিও আপনার মতন খালি তুলতেই থাকি তুলতেই থাকি। প্রথম গোধূলি বেলার ছবিটা দেখে প্রাণ জুড়িয়ে গেলো ভাই। সুন্দর ছবি তুলেছেন সব গুলো।
গতকালের আকাশ ছিল একদম শরতের আকাশের মত।সূর্যাস্ত এর আলাদা একটি সৌন্দর্য আছে।মজার ব্যপার হল গতকাল আমিও অনেকগুলো সূর্যাস্তের ছবি তুলেছি
ভাইয়া আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। আপনি গোধূলি সন্ধ্যার ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগে। এটা আমি জানি। তবে আজকের ফটোগ্রাফিটা সত্যিই অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। যেমন সূর্য অস্ত যাওয়ার ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এটি প্রশংসা না করে পারা যাচ্ছে না। নীল আকাশের অপরূপ সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। সত্যিই খুবই ভালো লাগলো আজকে ফটোগ্রাফি।
সত্যিই অপরূপ প্রকৃতি ও চমৎকার নীল আকাশের ছবিখুব দেখার মত ফটোগুলো ছিল। আসলে এ ধরনের দৃশ্যাবলী ক্যামেরাবন্ধী করে রাখতে মন চায়। প্রথম ছবিটি খুব চমৎকার লাগছে আমার নিকট যেন কক্সবাজারের অস্তগামী সূর্য দেখছি।
বরাবরই আপনার ফটোগ্রাফি অনেক অনেক ভালো লাগে আমার কাছে আজও তার ব্যতিক্রম নয় অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আকাশের বিভিন্ন রূপের। আপনার মত আমারও গোধূলি লগ্ন এর ফটোগ্রাফি করা এবং এই সময়টা নদীর পাড়ে বসে কাটাতে খুবই ভালো লাগে
আমিও আপনার মতোই ভাই। সুন্দর কোনো প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখলে একের পর এক অনবরত ছবি তুলতেই থাকি। প্রথম ছবিটি তো অনবদ্য ছিল। নদীর উপর হালকা মেঘ ঐ দৃশ্যটা অসাধারণ লাগছিল। এবং সত্যি কথা ইঞ্জিন চালিত নৌকা আসার পরে পাল তোলা নৌকা তো বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যাইহোক দারুণ একটি পোস্ট ছিল ভাই সবমিলিয়ে অসাধারণ।।