আমার তোলা কিছু আলোকচিত্র। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
আজ বিকেলে আবার বন্ধুর সাথে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। গত কয়েকদিন আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে বাড়িতেই ছিলাম। তাই চিন্তা করলাম আজ একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি। সেইসাথে বাসার জন্য একটি জিনিস কিনতে হবে। সেটাও ফেরার সময় কিনে নিয়ে আসব। এই চিন্তা করে বন্ধুর সাথে বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করলাম। একটি কাজে দুপুরের দিকে আমি কোর্টে গিয়েছিলাম। সেখানকার কাজ শেষ করে আমি আমার বন্ধুকে ফোন দিলাম আজকে বিকালে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। আমার বন্ধু রাজি হয়ে গেল। তারপর যথারীতি নির্ধারিত সময়ে আমরা এক জায়গায় দেখা করলাম। অতঃপর তার পক্ষীরাজে চেপে আমরা হাজিগঞ্জ নামক একটি জায়গার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। হাজিগঞ্জ একটি নদীর পাড়ের এলাকা। এখানে নদীর পাড়ে একটি বড় বাজার রয়েছে। এই বাজারটি আমাদের জেলায় বেশ নামকরা। যদিও এখন বাজারটির আর সেই রমরমা অবস্থা নেই। আজকে বন্ধুর সাথে ঘুরতে যাওয়ার পর কিছু ছবি তুলেছি। সেই ছবিগুলো আপনার সাথে ভাগ করে নেবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
লোকেশন-লিংক
নদীর পারে যখন পৌঁছলাম। তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি সূর্য কিছুটা মেঘে ঢাকা পড়েছে। যার ফলে আকাশে বিভিন্ন রকম রং এর সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থার আকাশ দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। দেখেই আমি চট করে একটি ছবি তুলে নিলাম।
লোকেশন-লিংক
নদীর ঘাটে দেখি কয়েকটা ছোট ডিঙ্গি নৌকা ভেড়ানো। নদীর ঢেউয়ের সাথে মৃদু দুলছিলো। দৃশ্যটা দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। তাই চিন্তা করলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এই চিন্তা করে দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করলাম।
লোকেশন--লিংক
এটি ফরিদপুর জজ কোর্ট। এই ভবনটি ব্রিটিশদের সময় তৈরি। আজকে আমরা ব্রিটিশদের দখলমুক্ত হলেও তাদের সময়ের বেশ কিছু স্থাপনা এখনো সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাদের এই স্থাপনাগুলো খুবই টেকসই। এই গুলো দেখলে পুরোনো দিনের অনুভূতি মনের ভিতর তৈরি হয়।
লোকেশন--লিংক
এই ভাস্কর্যটির নাম আমার জানা নেই। তবে যখনই এই ভাস্কর্যটি দেখি তখন খুবই ভালো লাগে। মনে হয় এই ভাস্কর্যটি অপরাজেয় মানসিকতার কোন মানুষের। ভাস্কর্যটি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য করে তৈরি করা। এই ধরনের ভাস্কর্য দেখে মনের ভেতর অন্যরকম এক অনুভুতির সৃষ্টি হয়।
লোকেশন--লিংক
এই ফুলটির নাম রঙ্গন। জজ কোর্ট চত্বরে একটি ছোট্ট ফুলের বাগান আছে। সেই বাগানে বেশ কয়েক রকমের ফুল দেখা যায়। এই ফুল গুলোর ভিতরে এই ফুলটি একটি। এই ফুল দেখতে খুবই চমৎকার লাগে।
লোকেশন--লিংক
তালশাঁস এবং ডাব বিক্রি রত এক বিক্রেতা এবং ক্রেতা। এখন তালশাঁসের সময় প্রায় শেষের দিকে। শহরে এখন তালশাঁস খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু এখানে দেখে আমি কিছুটা অবাক হলাম।
লোকেশন-লিংক
যাত্রী বহনকারী একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। আমাদের এলাকায় চরাঞ্চলে যাত্রী এবং মালামাল পরিবহনের কাজে সবচাইতে বেশি ব্যবহৃত হয় ট্রলার। এইগুলি আমাদের নদীমাতৃক দেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ট্রলারে যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহনের খরচ অনেক কম। সেজন্য চরের দরিদ্র মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে এই ট্রলার গুলি।
লোকেশন--লিংক
একজন খেজুর বিক্রেতা। আমাদের শহরে গত দু'বছর ধরে রাস্তার পাশে খেজুর বিক্রেতাদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আগে খেজুর শুধু ফল বাজারে দোকানগুলিতে পাওয়া যেতো। কিন্তু খেজুরের দাম কমে যাওয়ায় হকাররা এখন অনেকেই খেজুর বিক্রি করতে শুরু করেছে। খেজুর অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল এবং খেতেও সুস্বাদু। আগে ভালো খেজুরের দাম অনেক বেশি থাকার কারণে সাধারণ মানুষ খুব একটা কিনতে পারতো না। কিন্তু এখন দাম কমে যাওয়ার কারণে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ খেজুর খাওয়া শুরু করেছে।
লোকেশন--লিংক
শীতকালীন পোশাক বিক্রিরত একজন হকার। বছরের এই সময়টাতে হকারদের ব্যবসার ধরন পরিবর্তন হয়ে যায়। সবাই শীতকালীন পোশাক বিক্রিতে ব্যস্ত থাকে। কারণ এই সময়েশীতকালীন পোশাকের চাহিদা থাকে সবচাইতে বেশি।
লোকেশন--লিংক
এই গাছটি শহরের প্রাচীন গাছগুলোর ভিতরে একটি। এই কাজটি একটি আলোচিত গাছ। যখন এই রাস্তাটা সংস্কার এবং সম্প্রসারণ করা শুরু হয়। তখন ঠিকাদার চেয়েছিল এই গাছটিও কেটে ফেলতে। রাস্তার আশেপাশের অনেক গাছ কেটে ফেলেছিল। তখন শহরের বৃক্ষপ্রেমীরা এটি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিল। যদিও সেই আন্দোলন খুব একটা সফল হয়নি। কারন রাস্তার পাশের পুরনো গাছগুলি প্রায় সবই কেটে ফেলেছিল। শুধু এই একটি গাছ কাটতে পারেনি রাস্তার মধ্যে থাকা সত্ত্বেও। গাছ কাটতে গেলে বৃক্ষপ্রেমীরা তাদের সর্বশক্তি দিয়ে বাধা দিয়েছিল। তাই এখনও গাছটি সগৌরবে রাস্তার ভেতরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এই গাছটি শহরের বৃক্ষপ্রেমীদের বিজয় চিহ্ন হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোনো লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
ভাইয়া,,ছবি গুলা অনেক সুন্দর হয়েছে। বিশেষ
করে আকাশের ছবিটি। আকাশের অনেক সুন্দর রঙ।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ভাইয়া আশা করি ভালো আছেন ? আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির খুব দুর্দান্ত হয়েছে ।ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেছেন। আপনার লেখাগুলো খুব চমৎকার ছিল এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভালো থাকবেন
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ভাই ছবিগুলো সত্যিই অসাধারণ হয়েছে। আপনার প্রতিটি আলোকচিত্র চোখ ধাঁধানো হয়েছে। আপনি অসাধারণ ফটোগ্রাফি করে থাকেন । আপনার ফটোগ্রাফির প্রশংসা করতেই হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
বন্ধুর পখিরাজে করে ঘুরলেন।হা হা হা।পাখিরাজ বলতে তো বাইক তাই না।ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে ভাই।গোধূলি মেঘ,ফরিদপুর জর্জকোর্ট,রঞ্জনা ফুল সব কিছুর ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ছবিগুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ভাইয়া আপনার প্রতিটি ছবি অনেক বেশি ভালো লাগলো , বিশেষ করে জর্জ কোটের ছবি গুলো অনেক বেশি ভালো লাগলো। দেখে মনে হচ্ছে কোনো আগের রাজাদের প্রাসাদ ছিল এটা। অনেক সুন্দর ভাবে তৈরী করেছে এই প্রাসাদটি। আমার কাছে অনেক আকর্ষণীয় লেগেছে।
ভাইয়া অসাধারন সুন্দর ফটোগ্রাফির পোস্ট করেছেন আপনি। আপনার পোষ্টের প্রতিটি ফটোগ্রাফি অতি চমৎকার এবং আকর্ষণীয় হয়েছে। আমার কাছে তালের শাঁস এবং ডাব বিক্রেতার ফটোগ্রাফি টি দেখতে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভাইয়া আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।