চমৎকার সাদের জিরা পানির রেসিপি। ১০% সাইফক্স।
সমস্যা হচ্ছে যখন থেকে জানতে পেরেছি যে কোমল পানীয় পান করলে আমাদের শরীরের নানা রকম সমস্যা হয়। তখন থেকে কোমলপানীয়ের উপর নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু এই গরমের সময় ঠান্ডা যেকোনো কিছু পেলে অনেক ভালো লাগে। সেটা হতে পারে কোন শরবত বা কোন সফট ড্রিংকস বা জুস। কিছুদিন আগে একটি সংবাদমাধ্যমের সংবাদ দেখে কোল্ড্রিংসের প্রতি ভয়টা আরো বেড়েছে। তাই চিন্তা করছিলাম যে কোল্ড্রিংসের প্রতি নির্ভরতা কমিয়ে অন্য ধরনের পানীয় পান করতে হবে।
এই জিরা পানি তৈরি করা যেমন সহজ। খেতে তেমনি মজাদার। এই জিরা পানি আমাদের হজমে সহায়তা করে। তাছাড়া এর ভেতরে প্রচুর পরিমাণে লেবুর রস থাকায় এটা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। কারন আমরা সবাই জানি লেবুর রসে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি।
জিরা পানি
উপকরন সমুহ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
লেবু | ১ টি |
চিনি | ২ টেবিল চামচ |
ভাজা জিরাগুঁড়া | ১/৪ টেবিল চামচ |
বিট লবন | পরিমাণ মতো |
ঠান্ডা পানি | ২০০ মিলি |
বরফ | ইচ্ছামতো |
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে লেবুর রস একটি কাপের ভেতরে নিয়ে নেই।
তারপর সেই কাপের ভিতর চিনি দিই।
তারপর কাপের ভেতরে ভাজা জিরার গুড়া যোগ করি।
এখন কাপের ভেতরে বিট লবণ যোগ করি।
এখন কাপ এর সমস্ত মিশ্রণ একটি বড় বাটিতে ঢালী। কারণ এখন এই মিশ্রণের সাথে ২০০ মিলি পানি যোগ করতে হবে।
এখন বাটির ভেতরে ফ্রিজের থেকে বের করা ঠান্ডা ২০০ মিলি পানি যোগ করে ভালোমতো নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নেই। যদি আপনারা আরো বেশি পরিমাণে জিরা পানি বানাতে চান তাহলে সমান অনুপাতে প্রত্যেকটা উপকরণ বাড়াতে হবে। এখন একটি গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করি। এই জিরা পানি অত্যন্ত সুস্বাদু একটি পানীয়।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে।
সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সত্যিই অনেক মূল্যবান কথা আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। তবে একটি বিষয় কি আমি কখনো এমন জিরা পানি খাই নাই। তবে আপনার এই পোস্ট দেখে নতুন একটি বিষয় শিখতে পারলাম। আশাকরি খুব অল্প সময়ের মধ্যে এমন একটি রেসিপি তৈরি করে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবো এবং নিজেও খাওয়ার চেষ্টা করব।
মজার ব্যাপার হচ্ছে এই জিরা পানি তৈরি করতে যে সমস্ত উপকরণ লাগে। তা আপনার আমার হাতের কাছেই সব সময় থাকে।
একদম অল্প কথায় যদি বলি তাহলে ভেজালমুক্ত দুর্দান্ত একটা রেসিপি ছিল এটা এই গরমের জন্য। খাবার হজমের যেমন সাহায্য করবে শরীরটাকেও ঠাণ্ডা রাখবে বেশ। জিরে ভিজিয়ে শরবত এরকম মাঝে মধ্যে আমার বাড়িতে মা করেন। ভালো লাগলো খুব।
আমার কাছেও এই সরবতটি খুব মজা লাগে খেতে। শুধু যে খেতে ভালো তা নয় হজমের জন্য ও সহায়ক। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
জিরা পানির রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। এই গরমে তৃষ্ণা মেটাতে জিরা পানি খেতে ভালোই লাগে। সারাদিনের রোজার পর যদি জিরা পানি খাওয়া হয় তাহলে খেতে ভালোই লাগে। অনেক সুন্দর করে আপনি এই রেসিপি তৈরির প্রসেস উপস্থাপন করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
আসলেই সারাদিন রোজা থাকার পর এই ধরনের একটি শরবত হলে আর কিছুই লাগে না। মনে হয় শরীরের ভেতরটা একদম ঠান্ডা হয়ে গেলো।
আমার খুব পছন্দের একটা ড্রিংক। খাবার বেশি খাওয়া হয়ে গেলে এটি দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। আর আমার কাছে বেশ লাগলো আপনার রেসিপি টি ভাইয়া।
আমি আগে বাজারের বোতলজাত জিরা পানি কিনে খেতাম। কিন্তু ওটার থেকে বাসায় এভাবে তৈরি করলে সেটা খেতেও ভালো লাগে আবার শরীরের জন্য ও ভালো।
সবচেয়ে ভালো লাগলো আপনি ভিন্নধর্মী একটি জিরা পানি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সবাই দেখলাম জুসের আর শরবত নিয়ে ব্যস্ত। তবে আপনার জিরা পানির রেসিপি টি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপের বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এরকম সুন্দর একটি জিরা পানি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমিও চিন্তা করছিলাম ভিন্নধর্মী কিছু উপস্থাপন করার কথা। সে জন্যই এই রেসিপিটি দিলাম।
জিরাপানি এটি খুবই স্বাস্থ্যসম্মত একটি পানিও । প্রতিটি ধাপ আপনি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল...
একটি যেমন স্বাস্থ্যসম্মত তেমনি খেতেও অত্যন্ত সুস্বাদু। ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা শুনে আমি একটু ভীত হয়ে গেলাম। কারণ আমি বেশ ভালো পরিমাণ সফট ডিংঙ্কস খাই।
ঠিক বলেছেন ভাই সারাদিন রোজা রাখার পর শরবত যেন বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। এর আগে জিরা পানি বলে একটি ডিংঙ্কস খেয়েছিলাম। কিন্তু জীরা পানির শরবত কখনো খাইনি। শরবত টা ইউনিক ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ভাই।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে অল্প বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে এই কোলড্রিংস। অতএব সাবধান।
কোমল পানীয় এমনিতেই খাই না, তার মধ্যে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে আগে থেকেই মোটামুটি ধারণা ছিল। তবে আপনার জিরা পানি শরবত দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। শরীরের জন্য খুবই উপকারী এত সুন্দর একটা প্রাণীও আমাদেরকে দেখিয়েছেন যা মানুষের রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ও বটে। আমাদের সাথে এত সুন্দর ইউনিক একটা কোমল পানীয় শেয়ার করার জন্য, আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
আমাদের আসলে সকলেরই উচিত বাজারের বোতলজাত কোমল পানীয় পরিহার করে। বাড়িতেই এই ধরনের শরবত বা জুস তৈরি করে খাওয়া।
আমিও ভাই যখন থেকে জানতে পেরেছি তখন থেকে বাইরের কোমল পানীয় খাওয়া অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছি। আর এটা ঠিক সারাদিন রোজা থেকে এক গ্লাস ঠাণ্ডা শরবত অনেকটাই তৃপ্তিদায়ক হয়। আর জিরার শরবত কখনো খাই নি,তবে জিরার শরীর এর জন্যে বেশ উপকারী এটা জানি,আপনার উপস্থাপনা টি শিখে ফেললাম, কোন সুযোগ হলে এভাবে অবশ্যই একদিন ট্রাই করে দেখতে চাই আমি😁
একবার ট্রাই করে দেখুন। খারাপ লাগবে না।
জিরাপানি আমি এর আগে কখনো খাইনি ভাইয়া। আপনার কাছ থেকে রেসিপিটি শিখে নিলাম। খুব ইউনিক একটা রেসিপি ছিল। এটা খেতে কেমন তাও জানিনা। কিন্তু আপনার জিরা পানি দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতে খুব সুস্বাদু। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া নতুন এই রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জিরা পানি এমনিতেই বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। কোন কোম্পানির এটা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। তবে আমার মতে বাজারের বোতলজাত জিরা পানি খাওয়ার থেকে বাড়ীতে তৈরি করে খাওয়া অনেক ভালো।