শীতের বিকালে বন্ধুর সাথে কিছুটা সময় কাটানো।
গতকাল ফেরদৌসের সাথে কথা হয়েছিল আজ বিকেলে আমরা ঘুরতে বের হব। কিন্তু কোথায় যাবো সে ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল না। আমি ফরিদপুর এসেছি বেশ কয়েকদিন হয়ে গেলো। কিন্তু আমি যখন ফরিদপুর আসি তখন ফেরদৌস ছিল ঢাকায়। ফেরদৌস ফরিদপুর এসেছে দুই তিন দিন হল। যেহেতু আমি ফেরদৌসের সাথে সবসময় ঘোরাফেরা করি। তাই আমি ফরিদপুর আসার পর ঘরেই বসে ছিলাম বলতে গেলে। ফেরদৌসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তাই ফেরদৌস আসার পরই আমাদের ঘোরাফেরা শুরু হয়ে গেলো।
পূর্বপরিকল্পনা মত যথাসময়ে যে জায়গাটাতে আমাদের থাকার কথা ছিল সেখানে উপস্থিত হলাম। আমি পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরেই দেখি ফেরদৌস তার মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে এসে পৌঁছল। তারপর দুজন মিলে আলোচনা করে ঠিক করলাম আমরা নর্থ চ্যানেল নামে একটি জায়গায় যাব। সেখানে একটি জায়গা আছে। সেই জায়গাটা আমাদের খুবই পছন্দের জায়গা। কিছুদিন আগেও একবার সেখানে গিয়েছিলাম। তখন অবশ্য নদীতে অনেক পানি ছিলো। সেই জায়গাটাতে গিয়ে আমার বেশ ভালো লেগেছিলো। জায়গাটি আমি আগে থেকে চিনতাম না। ফেরদৌস আমাকে জায়গাটা চিনিয়েছে।
জায়গাটা শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরে। গ্রামের ভেতর দিয়ে জায়গাটাতে যেতে হয়। গ্রামের ভিতর দিয়ে যেতে হলেও এখন সেখানকার রাস্তাঘাটের অবস্থা বেশ ভালো। আমাদের এই অঞ্চলের রাস্তাঘাটের অবস্থা অনেক ভালো বলতে হবে। কারণ প্রত্যন্ত গ্রামেও এখন পাকা রাস্তা হয়ে গিয়েছে। কাঁচা রাস্তা এখন দেখা যায় না বললেই চলে। যাই হোক দুই বন্ধু আমাদের কাঙ্খিত জায়গার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা আলাপ আলোচনা করছিলাম।
গল্প করতে করতে এক সময় আযান শুনতে পেলাম। তখন আমি ফেরদৌসকে বললাম একটি মসজিদ দেখলে সেখানে দাঁড়াতে। তখন আমাকে সে জানালো সামনেই একটি বাজার রয়েছে। সেখানে একটি মসজিদ আছে। সেখানে আমি নামাজ পড়তে পারবো। ফেরদৌসের কথা মতো অল্প কিছুক্ষণ পরে আমরা সেই বাজারে পৌঁছলাম। আমি ফেরদৌসকে দাঁড় করিয়ে রেখে নামাজ পড়তে গেলাম। নামাজ পড়ে ফিরে এসে দুজনে আবার সে জায়গার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
সেখানে পৌঁছে আমি কিছুটা অবাক হলাম। কারণ এর আগে যখন সেখানে গিয়েছি তখন সেখানে প্রচুর পানি ছিল। কিন্তু এখন পানি কমে গিয়ে এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে দেখে মনে হয়েছিল কোন মরা খালের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। অথচ যখন এসেছিলাম তখন এটাকে বেশ প্রশস্ত একটা নদী মনে হচ্ছিল। নদীতে পানি না থাকলেও জায়গাটি আমার কাছে বেশ ভালো লাগছিল। আমরা সেখানে পৌঁছানোর পর দেখতে পেলাম ওপার থেকে একটি নৌকায় করে মাল বোঝাই করে লোকজন নিয়ে আসছে। মালের সাথে অবশ্য নৌকাতে লোকজনও ছিল। আবার বেশ কিছু মাছ ধরার নৌকাও সেখানে দেখতে পেলাম। যদিও সবগুলো নৌকা ঘাটে বাঁধা ছিল।
নদীর এমন অবস্থা দেখে আমরা ঠিক করলাম কিছুদিন পর আবার সেখানে যাবো। গিয়ে নদী পার হয়ে ওপারের চরে ঘুরতে যাব। একজনের কাছ থেকে শুনতে পেলাম নদীর ওপারের জায়গাটা নাকি চমৎকার। একদম সত্যিকারের অজ পাড়াগাঁ বলতে যা বোঝায় ঠিক তাই। সেখানে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। গ্রামটির বর্ণনা শুনে আমাদের দুজনের সেখানে ঘুরতে যাওয়ার আগ্রহ বেড়ে গেলো। দুজনে মিলে পরিকল্পনা করলাম আর অল্প কিছুদিন পরে যখন নদীর পানি আরো শুকিয়ে যাবে। তখন আমরা ওপারে যাবো। সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা সেখানে আড্ডা দিলাম। তারপর দিনের আলো যখন প্রায় শেষ হয়ে এসেছে তখন আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | নর্থ চ্যানেল |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
যাক দুই বন্ধু মিলে ভালো সময় কাটিয়েছেন। বিকেলবেলা নদীর পাড়ে ঘুরতে ভালোই লাগে। এখন যেহেতু শীতকাল পড়ে গেছে তাই পানিও কমে গেছে। নথ চ্যানেল জায়গাটি সুন্দর। উপভোগ করার মতো পরিবেশ।
বছরের এই সময়ে নদীর পানি একদম কমে যায়। অবশ্য এই সময়েও নদীর আলাদা সৌন্দর্য থাকে।
ব্লগটি পড়ে বেশ ভাল লাগলো। বন্ধু ফেরদৌসকে নিয়ে গল্প করতে করতে, আজান দিল বাজারের মসজিদে নামাজ পড়ে আবার সুন্দর সময় কাটালেন জেনে ভাল লাগলো। শীতকাল তাই নদীর পানি শুকিয়ে গেছে। পানি আরো কিছু কমলে দু বন্ধু ওপারে যাবেন,তখন আরো কিছু ব্লগ পাওয়া যাবে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
পানি কমলে দুজন ওপাড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শুনেছি ওপাড়টা খুব সুন্দর।
অনেক সুন্দর জায়গা ফটোগ্রাফি করেছেন, দেখে খুবই ভালো লাগলো। এর আগে আপনি এসেছিলেন তখন দেখলেন এখানে অনেক পানি ছিল। আর এখন একদম শুকনা। লোকজন চলাফেরা করছে, সত্যি অনেক ভালো লাগলো আমার, ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে।
যায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর।
ভাইয়া বন্ধুর সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত বেশ ভালো হয়। আপনি আপনার বন্ধুর সাথে গ্রামে কাটানো অনেক সুন্দর একটি পোস্ট দিয়েছেন। যেখানে পড়ন্ত বিকেলে গ্রামের কৃষকদের প্রকৃত চিত্র চলে এসেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে বন্ধু মানে আড্ডা। বন্ধুর সাথে থাকলে কখন যে সময় কেটে যায় তা বোঝাই যায় না। দুই বন্ধু মিলে বিকেলে নদীর ধারে খুব ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন।আপনি বেড়ানোর মধ্যেও যে নামাজের কথা ভুলেনি এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। নদীর পানি শুকিয়ে কারণ এখন শীতকাল এই সময়কে টানের সময় বলা হয়। তাই সব জায়গার পানি কমে যায়। দুই বান্ধু অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন। বন্ধুর সাথে আড্ডা দিলে কখন যে সময় চলে যায় সেটা বোঝা যায় না।
আসলে এখন বিলের সবকিছুর পানি একেবারে শুকিয়ে গিয়েছে। এজন্য হয়তোবা খালটাকে মরা মরা লাগছে। যেহেতু নদীর পানিও কমে এসেছে, তাহলে পরবর্তীতে ওই পারে গিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন। এখন গ্রামেও কাঁচা রাস্তা একদমই দেখা যায় না। সবগুলো রাস্তা এখন পাকা রাস্তা হয়ে গেছে। ফটোগ্রাফি গুলো ভালোই লেগেছে। অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটিয়েছেন।
ঠিকই বলেছেন। এখন গ্রামে কাঁচা রাস্তা প্রায় দেখা যায় না বললেই চলে।
এর আগেও আপনার পোস্টে ফিরদৌস দাদার কথা শুনেছি। অপেক্ষায় থাকব আপনারা নদীর ওপারে গিয়ে সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে পাঠাবেন।এই ধরণের শহরতলিতে এমন কিছু প্রকৃতির গুপ্তধন আছে যা হঠাৎ করে বেড়িয়ে পড়লেই আবিষ্কার করা যায়। ভালো লাগলো অভিজ্ঞতা পড়ে।
একদম ঠিক বলেছেন। আর সেই গুপ্ত ধন খুঁজতে হলে অচেনা যায়গায় যেতে হবে।