ঢাকা ভ্রমনে ভোজন বিলাস পর্ব-৩। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
ঢাকায় এসেছি কয়েকদিন হয়ে গেলো। ঢাকা এসে প্রতিবার আমি কয়েকটা জায়গায় যাই। জায়গাগুলি হচ্ছে এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক। একা বা বন্ধুদের সঙ্গে এই জায়গাগুলিতে আমি ঘুরতে যাই। কিন্তু এবার এসে এখনও তেমন কোথাও যেতে পারিনি। কোন বন্ধুর সঙ্গে ও দেখা করতে পারিনি। আমার বোনের অসুস্থতার কারণে।
কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারও আমি ঢাকার বিভিন্ন মজাদার খাবারের স্বাদ গ্রহণ করে চলেছি। কাল রাতে ঘুমাতে অনেক দেরি হয়েছিলো। অনেকদিন পর মাকে কাছে পেয়ে অনেক গল্প করেছি। তার কাছ থেকে বিভিন্ন গল্প শুনেছি। রাতে দেরি করে শোয়ার কারণে আজ ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়েছে।
স্থান- লিংক
আজ সারাদিন বাসায় কাটিয়েছি। সন্ধ্যার পর চিন্তা করলাম একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি। আমি তৈরি হচ্ছিলাম বাইরে যাওয়ার জন্য। এর ভীতর আমার স্ত্রী আমাকে বললো সেও আমার সঙ্গে বাইরে যাবে। সারাদিন ঘরে বসে থেকে সেও খানিকটা বিরক্ত হয়েছে। তার মূল উদ্দেশ্য ছিল বোরখা দেখতে যাওয়া। যদি পছন্দ হয় তাহলে সেখান থেকে সে একটি বোরখা কিনতে চেয়েছিলো।
স্থান- লিংক
আমাদের সাথে রওনা হলো আমার মেয়ে এবং ভাগ্নে। তাদের যাওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে বাইরে থেকে কিছু খাওয়া। তো আমরা বের হয়ে প্রথমে সেই বোরখার দোকানে গেলাম। গিয়ে কিছুক্ষণ বোরখা দেখল আমার স্ত্রী। তেমন পছন্দ না হওয়ায় কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে চলে আসলাম।
স্থান- লিংক
তারপর তাদেরকে আমি নিয়ে গেলাম একটি রেস্টুরেন্টে খাওয়ার জন্য। মূল উদ্দেশ্য ছিলো কাবাব খাওয়া। কিন্তু গিয়ে দেখি যে রেস্টুরেন্টে খেতে এসেছি সেখানে এসি নেই। এই গরমের ভেতরে এসি ছাড়া কোন রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া খুবই কষ্টকর ব্যাপার। তাই আমি তাদেরকে বললাম তোমরা বাসায় চলে যাও। আমি খাবার নিয়ে আসছি।
স্থান- লিংক
আমি সেই রেস্টুরেন্ট থেকে চিকেন চাপ আর নান রুটি কিনলাম। আর পাশের একটা দোকান থেকে ২ লিটারের স্প্রাইট নিলাম। কারণ এই জাতীয় খাবারের পরে কোমলপানীয় না খেলে ভালো লাগে না। যদিও আমরা সবাই জানি কোমল পানীয় শরীরের জন্য খুবই খারাপ। তার পরেও খেতে খেতে আমাদের এমন হয়ে গিয়েছে যে এটা না খেয়ে আমরা থাকতে পারিনা।
স্থান- লিংক
কাবাব আর নান রুটির দাম পরলো ৬০০ টাকার একটু বেশি। আর ২ লিটারের স্প্রাইট এর দাম ১১০ টাকা। খাবার কিনে নিয়ে আমি কিছুক্ষণ পর বাসায় ফিরে আসলাম। তারপর সে খাবারটি বাসার সবাই মিলে ভাগ করে খেলাম। পরিবারের সবাই মিলে একসাথে খাওয়ার মজাই আলাদা। চিকেন চাপ খুবই মজা হয়েছিলো। সবাই বেশ পছন্দ করেছিলো। খাবারের পরিমাণ এত বেশি ছিল হয়েছিল যে রাতে আর কেউই ভাত খেতে পারেনি।
স্থান- লিংক
এই ছিল আমার আজকের খাওয়া-দাওয়া। আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeu7bMtmK6H5wsD2CFwpuo284mVAKuMo8rpv8AWFAX5pV/IMG_20210731_195547.png)
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
কাবাব সাথে নান রুটি আর স্প্রাইট দারুন ভাই। আমার খুব পছন্দের একটি খাবারের সেট। যদিও আমি সাথে ফান্টা বা কোকাকোলা খাই। এবং পরিবারের সাথে সন্ধ্যা টা ঢাকা শহরে বেশ ভালোই কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য।।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আসলেই ভাই আপনি অনেক ইনজয় করেছেন নিজের ফ্যামিলির সাথে সময় দিয়েছেন রাতে চলাফেরা করছেন। আসলে একটা কথা রেস্টুরেন্টে এসি না থাকলে গরমে খাওয়া যায় না। খুব ভালো কথা বলছেন এবং কাবাব নান রুটি এবং চিকেন চপ খেতে অত্যন্ত ভালোই লাগে। আপনার ফ্যামিলির জন্য নিয়ে গেছেন বাড়িতে খুবই ভালো লাগলো একসাথে অনেক আনন্দ করেছেন আর আপনার আম্মু আসছে আম্মুর সাথে অনেক কথা বলেছেন খুবই ভাল লাগল এক কথায় অসাধারন ছিল দিনগুলো
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আপনার খাওয়া দাওয়া দেখেই ভালো লাগে।
ভালো লাগে বলতে আমার অনেক বেশি খেতে ইচ্ছে করছে।
কাবাবের সাথে নান রুটি খেতে অনেক বেশি মজা লাগে।
কাবাব আমারও খুব পছন্দের।
আপনি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।আপনার বোনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি ঈশ্বরের কাছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ব্যয়বহুল খাবার।কাবাব ও রুটির দাম ৬০০ টাকা।যাইহোক অনেক ভালো একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঢাকা শহরের কোনো জায়গায় আমি বাদ রাখিনি। সব জায়গায় গিয়েছি ও ঘুরেছি। অনেক রেস্টুরেন্টের অনেক মজাদার খাবারের স্বাদ গ্রহণ করেছি। আপনিও আপনার পরিবারের সাথে খুব সুন্দর কিছু মুহুর্থ কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।