দীর্ঘদিন পর বন্ধুর সাথে আড্ডা দেয়া (প্রথম পর্ব)।
ঢাকায় এসেছি প্রায় দেড় মাস হয়ে গেলো। এর ভেতরে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আমার দেখা হয়নি। অনেকবারই ওদের সাথে কথা হয়েছে। কিন্তু সময়ের অভাবে দেখা করতে পারিনি। গত দুদিন ধরে আমার কাজের চাপ কিছুটা কমে এসেছে। তাই এক বন্ধুর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলাম দেখা করার জন্য। কিন্তু কোথায় দেখা করব সেটা ঠিক করতে পারছিলাম না। পরে চিন্তা করলাম আমার অনেক দিনের ইচ্ছা আগারগাঁয়ে সামরিক জাদুঘর আছে। সেটা ঘুরে দেখার।
আমার ওই বন্ধু আবার আগারগাঁয় থাকে। যার ফলে আমি ওকে বললাম তাহলে আমি আগারগাঁওয়ে আসছি। ওর সাথে দুদিন আগে এই কথা হয়েছিলো আমার। কিন্তু আজ যখন আমি দুপুরে বাসা থেকে বের হয়েছি। তখন চিন্তা করে দেখলাম আমার আগারগাঁও পৌঁছাতে অনেক সময় লাগবে। তাই ওকে ফোন করে বললাম যদি তোর সমস্যা না হয় তাহলে বসুন্ধরা সিটিতে চলে আয়। আমরা দুজন সেখানেই আড্ডা দেবো। ও সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলো।
আমি বাসা থেকে বের হয়েছিলাম একটি ব্যক্তিগত কাজে। সেই কাজটি শেষ করে আমি ওর সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তবে ওর যেহেতু আসতে অনেকটা সময় লাগবে। তাই আমি চিন্তা করলাম এই সময়টা আমি আজিজ সুপার মার্কেটে কাটাবো। দীর্ঘদিন হলো আজিজে যাওয়া হয় না। একটা সময় ছিল যখন আমি ঢাকা আসলে একবার হলেও আজিজ মার্কেট থেকে ঘুরে আসতাম। কিন্তু বেশ কিছুদিন হলো আর সেখানে যাওয়া হয়নি। তাই আজকে সময় পেতেই চলে গেলাম আজিজ মার্কেটে।
টি-শার্ট কেনার জন্য আমার কাছে আজিজ মার্কেট সবচাইতে ভালো লাগে। তাই যখনই আমি আজিজ মার্কেটে যাই তখনই চেষ্টা করি টি শার্ট কিনতে। আজকেও যখন আজিজ মার্কেটে গিয়েছি তখন কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে আমি দুটি টি শার্ট কিনে ফেললাম। টি-শার্ট কেনার পরে অন্যান্য কাপড়চোপড়ের দোকানে ঘুরে ফিরে দেখছিলাম। আজিজ মার্কেটে মোটামুটি রিজনেবল দামে দেশীয় বিভিন্ন রকম কাপড় চোপড় পাওয়া যায়। যেগুলো যথেষ্ট রুচি সম্মত। এই আজিজ মার্কেট একটি সময় ছিল সাংস্কৃতিক কর্মীদের আড্ডা স্থল। বর্তমানে বাংলাদেশের টেলিভিশন জগতের অনেকেই আছেন যাদের মূল আড্ডা ছিল এই আজিজ মার্কেটে।
একটি সময় আজিজ মার্কেটে প্রচুর বইয়ের দোকান ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে সেই বইয়ের দোকানগুলি বন্ধ হয়ে গিয়ে সেখানে কাপড়চোপড়ের দোকান গড়ে উঠেছে। আজিজ মার্কেটের দোকানগুলোতে এক সময় বিভিন্ন দুর্লভ বই পাওয়া যেতো। কিন্তু সেগুলো এখন শুধুই সোনালী অতীত। যেখানে এক সময় দেশের স্বনামধন্য সব শিল্পীরা আড্ডা দিত। আজ সেই জায়গাটা পরিণত হয়েছে পুরোপুরি বাণিজ্যিক ভবনে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক সমস্ত সংস্কৃতি মনাদের আড্ডাস্থল ছিলো এই আজিজ মার্কেট। কারণ এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একেবারে কাছে অবস্থিত। আমি বিভিন্ন দোকান ঘুরেফিরে দেখছিলাম আর কিছু কাপড়-চোপড়ের দাম জিজ্ঞেস করছিলাম।
এভাবে ঘুরে ফিরে দেখতে দেখতে আসরের আজান দিয়ে দিলো। আজান শুনে চিন্তা করলাম এখান থেকে আগে নামাজ পড়ে নেই। তারপর বসুন্ধরা সিটির উদ্দেশ্যে যাওয়া যাবে। যখন আমি কেবল অজু করতে শুরু করেছি। তখন হঠাৎ করে আমার বন্ধুর ফোন পেলাম। ও জানালো ও ইতিমধ্যে বসুন্ধরা সিটি মার্কেটে এসে পৌঁছেছে। আমি ওকে জানালাম আমি তো নামাজ পড়তে দাঁড়াচ্ছি। তাহলে এক কাজ করি আমি বসুন্ধরা সিটিতে এসে নামাজ পড়ি। ও বলল তার কোন প্রয়োজন নেই। তুই ধীরেসুস্থ্যে নামাজ পড়ে তারপর বসুন্ধরা সিটিতে আয়। আমি এখানে তোর জন্য অপেক্ষা করছি। তারপর আমি নামাজ পড়ে বসুন্ধরা সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। (চলবে)
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | আজিজ মার্কেট |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আজিজ মার্কেট সম্পর্কে আমার খুব একটা ধারণা নেই। কারণ সেখানে আমার কখনো যাওয়া হয়নি। তবে আজকে আপনার লেখা পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম ভাইয়া। আসলে সময় যেমন চলে যাচ্ছে তেমনি সবকিছুর মাঝে পরিবর্তন আসছে। আপনি সেখান থেকে পছন্দের টি-শার্ট কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো।
বাংলাদেশের শিল্পসাহিত্য অঙ্গনে এই মার্কেটটির একটি আলাদা অবদান আছে।
আজিজ মার্কেটে আগে অনেক বইয়ের দোকান ছিল আস্তে আস্তে বইয়ের দোকানগুলো উঠিয়ে কাপড়ের দোকান হয়েছে। যাই হোক এখানকার টি-শার্টগুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে এবং দেখতে দেখতে আসলে আজান দিলো তাই আপনি ওজু দিয়ে বসে আছে নামাজ পড়বেন। এমন সময় আপনার বন্ধু ফোন দিয়ে বলল সে বসুন্ধরাতে আছে। তাই আমি তাড়াহুড়া করেছিলেন কিন্তু আপনার বন্ধু বলল যে তাড়াহুড়ার দরকার নেই। নামাজ পড়তে যেতে সে আপনার জন্য অপেক্ষায় করবে। আজকের গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো পরবর্তী গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।
এটিকে গল্প না বলে ভ্রমণ অভিজ্ঞতা বলতে পারেন।
দীর্ঘদিন পর বন্ধুর সাথে আড্ডা দেওয়ার মুহূর্তটা সত্যিই অনেক আনন্দের হবে। কারণ বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার মুহূর্তগুলো অসাধারণ হয়। আপনি আজিজ মার্কেট থেকে একটি গেঞ্জি কিনলেন এবং আপনার বন্ধুর জন্য বসুন্ধরাতে দেখা করার প্ল্যান করলেন। আসলে আপনি আসরের নামাজ পড়েই বন্ধুর সাথে দেখা করতে বসুন্ধরা যাবেন। আশা করছি বসুন্ধরা গিয়ে বন্ধুর সাথে আনন্দময় মুহূর্ত আমাদের সাথে পরবর্তী পর্বে শেয়ার করবেন।
প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটানোটা আসলেই আনন্দের।
আজিজ মার্কেটে মাঝে মধ্যে যাওয়া হতো। কারণ মার্কেট এ ইজি শোরুমে আমার এক বন্ধু জব করতো সেখানে গিয়ে আমি সবসময় টি শার্ট কিনতাম। বন্ধু থাকাতে ডিসকাউন্ট পেতাম এই জন্য ভালো লাগতো। বন্ধু সাথে দেখা হতো আবার টি শার্ট কেনা হতো। আমার কাছে ইজির টি শার্ট গুলো অনেক ভালো লাগে। আশা করছি নামাজ শেষে বসুন্ধরা সিটিতে ভালো আড্ডা দিয়েছেন। পরবর্তী পোস্টের মাধ্যমে সেটা জানতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
ইজির টি-শার্ট গুলি এক সময় আমারও খুব পছন্দের ছিলো। রিজনেবল প্রাইসে সবচাইতে ভালো টি শার্ট ছিল ইজির টিশার্ট।