নার্সারিতে আজকের বিকালে কিছুটা সময় কাটানো।
আজকে বন্ধু রাফসানের সাথে দেখা করার জন্য গিয়েছিলাম ওদের এলাকায়। কিন্তু যাওয়ার পথে হঠাৎ করে চোখ পরল একটি নার্সারির দিকে। এই এলাকায় আমি প্রায়ই আসি। কিন্তু কখনো এই নার্সারিতে আসা হয়নি। তাই নার্সারি দেখার সাথে সাথে মনে হল একবার সেখান থেকে ঘুরে যায়। এই ধরনের নার্সারিতে ঘুরতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। নার্সারিটির অবস্থান আমার বন্ধুর শোরুম থেকে কিছুটা দূরে। তাই আমি অটো রিক্সা থেকে সেখানেই নেমে গেলাম। নেমে নার্সারিতে ঢুকে তেমন কোন লোক দেখতে পেলাম না। শুধু একটি ছেলেকে দেখছিলাম যে নার্সারির ভেতর ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছিল। তবে সে নার্সারির মালিক নাকি ক্রেতা সেটা বুঝতে পারলাম না।
যাইহোক লোকজন না থাকায় ভালোই হয়েছে। আমি ধীরে সুস্থে ঘুরেফিরে নার্সারিটি দেখতে লাগলাম। নার্সারিতে প্রবেশ করার সাথেই দেখতে পেলাম সারিবদ্ধভাবে বিভিন্ন রকমের ফুলের গাছ ফলের গাছ রয়েছে। ঢোকার সাথেই হাতের বামে প্রথমে দেখতে পেলাম ফুলের গাছ। প্রথমে সেই ফুলগুলোর ছবি তুললাম। ফুলের গাছ সম্বন্ধে আমার ধারণা বেশ কম। ফুল গাছ দেখতে ভালো লাগলেও আমি সেগুলোর নাম খুব একটা জানিনা। তবে এই নাম না জানা সত্ত্বেও ফুল দেখতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। আমি ঘুরে ফিরে বিভিন্ন ফুলের সাড়ির কাছে যাচ্ছিলাম।
তবে খেয়াল করে দেখতে পেলাম সেখানে ফুল গাছ ছাড়াও কিছু ফল গাছও রয়েছে। তবে নার্সারিতে ঘুরেফিরে একটি জিনিস বুঝতে পারলাম যে এখানে যত্নের কিছুটা অভাব রয়েছে। অবশ্য এই নার্সারিতে লোকবল একেবারেই কম। কারণ আমি ঘোরাফেরা করার সময় একজন লোক ছাড়া অন্য কাউকে নার্সারিতে দেখিনি। এই সাইজের একটা নার্সারির যত্ন নেয়ার জন্য অন্তত দুজন বা একজন লোক থাকা দরকার ছিলো। যত্নের অভাবে নার্সারি শেষের দিকটা কিছুটা জংলা হয়ে রয়েছে। যাই হোক আমি আমার মত ঘুরে ফিরে নার্সারিটি দেখতে লাগলাম।
একটু সামনে আগানোর পরে দেখতে পেলাম সেখানে মালটা গাছের চারা রয়েছে। আমার অনেক আগে থেকেই ইচ্ছা রয়েছে ছাদে দু একটা ফলের গাছ লাগানোর। অবশ্য ছাদে এর আগে পেয়ারা গাছ লাগানো হয়েছিল। কিন্তু সেগুলিতে ফল আসেনি। তবে ঠিক করেছি আবার কিছু ফলের গাছ লাগাবো। ছাদে ফলের গাছ হলে সেখান থেকে কেমিক্যাল মুক্ত ফলের একটা ব্যবস্থা হয়। এভাবেই নার্সারির ভেতর ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ করে এক ধরনের ফুলের দিকে নজর গেল। ফুলগুলি দেখতে খুবই চমৎকার লাগছিল। আমি সাথে সাথেই সেই ফুলগুলোর কাছে গিয়ে ছবি তুলে নিলাম।
তাছাড়া নার্সারিতে ঘোরাফেরার সময় আরো বেশি কিছু ছবি তুলেছি। তবে খেয়াল করে দেখলাম এই নার্সারিতে ফুলের গাছ সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি। কিছু ফলের গাছ আছে তবে সেগুলি খুবই কম। নার্সারির মালিকপক্ষের কাউকে পেলে ফল এবং ফুলের গাছের দাম জিজ্ঞেস করা যেত। কিন্তু তেমন কাউকে না দেখতে পেয়ে সেটা আর করা হলো না। প্রতিবছর আমি আমার পরিবার নিয়ে আমাদের শহরের সবচাইতে বড় যে সরকারি নার্সারি রয়েছে সেখানে ঘুরতে যায়।
আমার স্ত্রী আবার ফুল গাছ খুবই পছন্দ করে। সে নার্সারিতে গেলেই কয়েক রকমের গাছ না নিয়ে ফেরেনা। যদিও এবার আর সেই নার্সারিতে যাওয়া হয়নি সময়ের অভাবে। তবে মনে মনে পরিকল্পনা করে রেখেছি বর্ষা মৌসুম আসলে তখন সেই নার্সারিতে যাব। কারণ তখন সেখান থেকে ভালো মানের ফলের চারা কেনা যাবে। যাই হোক এই সমস্ত চিন্তা ভাবনা করতে করতে নার্সারিতে ঘোরাফেরা শেষ হল। নার্সারি থেকে বের হয়ে আমি সোজা আমার বন্ধুর শোরুমের দিকে রওনা দিলাম। কারণ সেখানে তার সাথে আজকে আমার জরুরি কিছু কথা আছে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | গজারিয়া |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
নার্সারীতে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আশাকরি ভাইয়া।এমন গাছের বিশেষ করে ফুলের সমারোহে থাকলে ভাল না থেকে পারা যায়। বন্ধু রাফসান ভাইয়ার সাথে দেখা করতে যাওয়ার পথে নেমে গিয়ে ভালোই সময় কাটিয়েছেন। খুব ভাল লাগলো পরিবেশ। লোক জন একদম নেই। এখানে কিছু ফলের গাছ ও ছিল।আপনার অনুভূতি পড়ে খুব ভাল লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার বন্ধুর সাথে দেখা করতে গিয়ে আগে নার্সারি তে গেলেন সেখানে ফুলের সাথে ফল গাছও দেখতে পেলেন।নার্সারি তে লোকজন না থাকায় বেশ ধীরে সুস্থে ঘুরে দেখতে পেরেছিলেন। ভাবী ফুল পছন্দ করেন গেলেই অনেক রকমের ফুল গাছ নিয়ে আসেন তিনি।এবার বর্ষা মৌসুমে নার্সারি তে যাবেন।ধন্যবাদ ভাইয়া নার্সারিতে গিয়ে সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনার বন্ধু রাফসানের সাথে দেখা করতে গিয়ে আপনি এই নার্সারির মধ্যে প্রবেশ করলেন এবং বেশ কিছু ছবিও তুলেছেন। আসলে নার্সারিতে ঘুরতে খুবই ভালো লাগে বিভিন্ন গাছের সাথে পরিচয় হয়। অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফুলের ছবি তুলেছেন যা দেখে প্রাণটা জুড়িয়ে গেল। যত্নের অভাবে নার্সারির কিছুটা অংশ জঙ্গলে ধরে গেছে ।আসলে গাছ-গাছালি যেখানে থাকে সেখানে যত্নের খুবই প্রয়োজন হয় নইলে সৌন্দর্য বিলীন হয়ে যায়।
নার্সারিতে গিয়ে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া। দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। কিছুদিন আগে আমিও একটা নার্সারিতে গিয়েছিলাম,আর সেখানেও একই অবস্থা। মানে শুধুমাত্র একজন লোক ছিল সেই নার্সারিতেও। অযত্নে এবং অবহেলায় অনেক গাছ প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। অনেক নার্সারির মালিক আছে যারা ভাবে যে, দুইজন লোক রাখলে তাদের বেতন দিতে হবে। কিন্তু তারা এটা ভাবে না যে, দিনশেষে গাছগুলো নষ্ট হয়ে তাদের ই লস হচ্ছে। আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে, যারা সামনে দিয়ে পিপড়া গেলে সেটা চোখে পড়ে,কিন্তু পিছন দিক দিয়ে হাতি গেলেও চোখে পড়ে না। যাইহোক নার্সারিতে ঘুরাঘুরি করে, আপনার বন্ধুর শোরুমে গেলেন জরুরী কথা আছে সেজন্য। সবমিলিয়ে পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া ঘুরাঘুরি করলেই লাভ। আজকে আপনার বন্ধু রাফসান ভাইয়ার শোরুমের দিকে গেলেন আর রাস্তায় নাসার্রিটা পেয়ে গেলেন। সেই সাথে অনেক গুলো ফটো ক্যামেরা বন্দি করে ফেললেন। নার্সারীটা মোটামুটি অনেক বড়ই দেখতে পেলাম। মালটা গাছের চারা গুলো দেখে আমারও ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।