বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার গল্প (দশম পর্ব)।
সেই টিকিটের ভেতরে ছয়টা রাইড একবার করে ব্যবহার করার অনুমতি ছিলো। আর দুটো জায়গায় ছিলো আনলিমিটেড এক্সেস। তবে ভেতরে ঢোকার পরে দেখতে পেলাম সেখানে প্রতি পদে পদে আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে। কারণ পার্কে মজা করতে গেলে আপনাকে কাপড় চেঞ্জ করতে হবে। আর আপনি সাথে করে যে জিনিসপত্র নিয়ে গিয়েছেন সেগুলো রাখার জন্য একটা জায়গা দরকার। সেখানে দেখলাম তারা লকার ভাড়া দিচ্ছে। তো আমাদের সাথে যেহেতু খুব একটা বেশি জিনিসপত্র ছিলো না তাই আমরা একটা লকার ভাড়া নিলাম। ভাড়া নিয়ে সেখানে কাপড়চোপড় পাল্টে লকারের ভেতর নিজেদের জিনিসপত্র সব রেখে দিলাম। লকারে জিনিসপত্র রাখা হলে আমরা গেলাম রাইডগুলো এনজয় করতে।
তবে সেখানে কয়েকটা রাইড ছিল যেগুলো এনজয় করতে হলে আপনাকে যথেষ্ট সাহসী হতে হবে। কারণ বেশিরভাগ রাইডি ৫ তলা সমান উঁচু থেকে আপনাকে পাইপের ভেতর দিয়ে নামতে হবে। আমার আবার উচ্চতা ভীতি আছে। এই জন্য আমি প্রথমে সেখানে যেতে সাহস পাচ্ছিলাম না। আবার সবাই কে দেখে রাইডগুলোতে চড়তেও ইচ্ছা করছিলো আমি ভয় পেলেও বন্ধু ফেরদৌস আর রাসেল প্রথমে যখন একটা রাইডে ব্যবহার করলো। ওদের মজা করা দেখে আমি আর বন্ধু রাফসান উপরে গেলাম একটা রাইডে ওঠার জন্য। আসলে এগুলোকে রাইড বলা যায় কিনা সেটা নিয়ে আমার কিছুটা সন্দেহ রয়েছে। কারণ আপনারা ছবিতে দেখলে হয়তো বিষয়টা বুঝতে পারবেন।
সেখানে একটি ছয় তলা বিল্ডিং ছিলো। সেই বিল্ডিং থেকে বেশ কয়েকটি পাইপ নিচের দিকে নেমে এসেছে। সেই এক একটা পাইপ এক এক রকম রাইড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনোটা দিয়ে আপনি সরাসরি নিচের দিকে নেমে যাবেন। আবার কোনোটা দিয়ে আপনি একটু ঘুরিয়ে পেচিয়ে নিচের দিকে নামবেন। যারা সাহসী তাদের জন্য এটা ছিল চরম মজার একটা বিষয়। তবে আমি আর রাফসান প্রথমে একটা রাইডে ওঠার পরে আমি ঠিক করলাম আর কোন রাইডে উঠবো না। কারণ উপর থেকে যখন নিচের দিকে নামি তখন আমার প্রচন্ড ভয় লেগেছিলো। তবে সবাইকে মজা করতে দেখে আমি রাফসানকে নিয়ে আবার উপরে গেলাম আরো একটা রাইডে চড়ার জন্য। তবে এখানে একটা সমস্যা ফেস করছিলাম আমরা। সেটা হচ্ছে এই বিল্ডিং এর পাঁচতলা বা ছয় তলায় আমাদেরকে প্রতিবার উঠতে হচ্ছিল তাও আবার সাথে বড় আকারের টিউব নিয়ে। আমরা নিজেদের ভেতর আলোচনা করছিলাম যে এই বিল্ডিং এ অবশ্যই লিফট থাকা উচিত ছিলো। কারণ ছয়টা রাইড এর জন্য আমাদেরকে যদি ছয়বার ছয় তলা বিল্ডিং এ উঠতে হয়। তাহলে এটা অত্যন্ত ক্লান্তিকর একটা বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। যদিও আমি দ্বিতীয় রাইডে ওঠার পরে আর কোন রাইডে ওঠার সাহস হয়নি আমার। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | কক্স বাজার |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাই এই রাইডে উঠলে তো ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে একেবারে বারোটা বাজিয়ে দিবে 😂। ভাগ্য ভালো যে এই বছর ফেব্রুয়ারিতে এই পার্কে ঢুকিনি। আমার ওয়াইফকে নিয়ে ঢুকলে তো অবস্থা খারাপ হয়ে যেতো। কলেজ লাইফে ফ্যান্টাসি কিংডমে এমন রাইডে উঠেছিলাম। যদিও সেটা ঘুরানো পেঁচানো ছিলো না। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।