ঐতিহ্যবাহী জসিম পল্লী মেলা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা (প্রথম পর্ব)। ১০% সাই-ফক্স।
একটা সময় ফরিদপুরের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহি মেলার নাম ছিলো জসীম পল্লী মেলা। কবি জসিম উদ্দিনের স্মরণে এই মেলাটি অনুষ্ঠিত হতো। তার বাড়ির সামনের মাঠে মেলার স্থান ছিলো। কিন্তু বিগত বেশ কয়েক বছর যাবত এই মেলাটি বন্ধ ছিলো। বন্ধ হওয়ার কারণ ছিল স্থানীয় মন্ত্রীর সাথে কবি পরিবারের লোকজনের বিবাদ।
মেলাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ফরিদপুরের লোকজন প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলো। কারণ এই মেলাটি ছিল শহরের লোকজনের বিনোদনের একটি জায়গা। প্রতিবছর শহরের মানুষজন অপেক্ষা করতো কখন শুরু হবে মেলাটি। সাধারণত ডিসেম্বর জানুয়ারি মাসে মেলাটি অনুষ্ঠিত হতো। শীতের সময় ঘোরাফেরা করার সুবিধা। সেজন্যই মেলাটি ওই সময় অনুষ্ঠিত হতো। শুধু আমাদের শহরের মানুষই না। আশেপাশে জেলা থেকেও অনেক মানুষ আসতো এই মেলাতে। তারা একসাথে পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি এবং মেলা দুটোই ঘুরে দেখতে পারতো।
কয়েকবছর পরে আবার মেলাটি শুরু হওয়ার খবরে সারা শহরের মানুষের ভেতর এক ধরনের আনন্দের ঢেউ বয়ে যাচ্ছিলো। যদিও এবার তড়িঘড়ি করে শুরু করার কারণে এই বর্ষা মৌসুম এই মেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগে একটা সময় মেলা শুরু হলে প্রায়ই মেলায় যেতাম। কিন্তু এখন বয়স আর ব্যস্ততার কারণে আর এত ঘনঘন যাওয়া হয়ে ওঠে না। এবছর এখন পর্যন্ত দুদিন মেলায় গিয়েছি।
একদিন গিয়েছি বন্ধু ফেরদৌসের সঙ্গে। পরবর্তীতে গিয়েছি পরিবার নিয়ে। মেলায় ঘোরার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে আজ ভাগ করে নেবো। এই মেলার সাথে বাংলাদেশের অন্য মেলাগুলোর কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। এখানে যে শুধু মেলা অনুষ্ঠিত হয় তা নয়। যে স্থানে মেলা অনুষ্ঠিত হয় সেই মাঠে একটি মঞ্চ আছে। মেলা চলাকালীন সময় প্রতিদিন বিকালে সেই মঞ্চে বিভিন্ন স্থানীয় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী গুলো নাটক, কবিতা আবৃত্তি, গান পরিবেশন করে থাকে। সেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করার জন্যও অনেক লোক মেলায় যায়। আমি আর আমার বন্ধু দুজন মেলায় পৌঁছানোর পর প্রথমেই চলে গিয়েছিলাম সেই মঞ্চের কাছে। গিয়ে দেখি স্থানীয় এক শিল্পী চমৎকার গান করছে। সেই গানে দর্শকদের একাংশ মাতোয়ারা হয়ে আছে।
আমরা বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে সেই গানটি উপভোগ করলাম। যদিও গায়ক কে চিনতে পারলাম না। কিন্তু গানটি সে খুবই চমৎকার গেয়েছিলো। তবে একটি কথা বলে রাখা ভালো। এই মঞ্চে সাধারণত লোকসংস্কৃতির বিষয়গুলো প্রাধান্য পায়। আমরা খেয়াল করে দেখলাম প্রচুর লোক স্টেজের সামনে বসে সেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করছে। আমরা কিছুক্ষণ সেখানে কাটিয়ে পড়ে মেলায় ঘুরতে শুরু করলাম।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @ rupok |
স্থান | অম্বিকাপুর |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
অনেক হলো ফরিদপুর যাওয়ার কথা ভাবছি কিন্তু এখন পর্যন্ত যাওয়া হলো না। পরের মাসে চেষ্টা করবো আবার। এই মেলার কথা আমিও শুনেছিলাম ভাই। তাই খুব ইচ্ছে ছিল যাওয়ার। কিন্তু সুযোগ হয়ে উঠছেনা। তবে আজ আপনার মাধ্যমে দেখে খুব ভালো লাগলো। কিছু টা হলেও আক্ষেপ মিটলো। মেলা টা কতদিন ধরে চলে ভাই?
মেলাটা সাধারণত এক মাস ধরে চলে। কিন্তু এবার ১৫ দিন ছিলো।
দারুন কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন ভাই আর আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। খুবই ভালো লাগছে আপনার পোস্টটি। আসলে পরিবার নিয়ে কোথাও গেলে সেখানে ঘুরতে কিন্তু খুব ভালো লাগে। আপনিও খুব ভালো সময় পার করেছেন বোঝা যাচ্ছে আর এসব মেলায় গেলে আসলে ভালই লাগে।
ঠিকই বলেছেন এই ধরনের মেলায় যেতে ভালোই লাগে।
ঐতিহ্যবাহী জসিম পল্লী মেলা কিছু দিন বন্ধ থাকার পরের আবার চালু হয়েছে বলে সবার মনে একটি আনন্দের উল্লাস্য বইছে , সেই সাথে আপনিও কিছু সময় সেখানে কাটিয়েছেন এবং সুন্দর সব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করছে্ন । বেশ ভালো ছিল সব মিলিয়ে মেলাটি । তবে অপেক্ষায় রইলাম এই মেলার আরো বেশ কিছু রিভিউ দেখার জন্য । শুভকামনা
দীর্ঘদিন পর মেলাটি শুরু হওয়ায় শহরের লোকজন আসলেই অনেক খুশি হয়েছে।
জসীম পল্লী মেলা অনেকগুলো পোস্ট পড়েছি, আর সেইসাথে জসিম মেলা পল্লী মেলা সম্পর্কে জানতে পারলাম। আমাদেরকে খুব সুন্দর করে আপনি আপনার মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করেছেন। তবে লোকসংস্কৃতির অনুষ্ঠানে গিয়ে দাঁড়িয়ে যে গানটি উপভোগ করেছেন আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে খুবই আনন্দ অনুভব করছি। লোকসংস্কৃতির গান কিংবা কবিতা কিংবা নাটক উপভোগ করতে হলে মন দিয়ে শুনতে হবে, আপনারা তো আবার ঘুরতে বেরিয়ে গেছেন। যাই হোক আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
মেলার এই সাংস্কৃতিক অংশটা মেলাটিকে অন্যমেলা থেকে আলাদা করেছে।
ঐতিহ্যবাহী জসিম পল্লী মেলা ভ্রমণের দৃশ্যপট দেখে অনেক ভালো লাগলো। এই ধরনের মেলায় গিয়ে সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে সবাই পছন্দ করে। ভাই আজকে আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করলেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে ।এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে মেলায় কাটানো সময়টা খুব উপভোগ করেছি। মেলাটি ১ তারিখে শেষ হয়ে গিয়েছে। আবার এক বছরের অপেক্ষা।