ভোজন রসিক ভাগ্নের খাওয়া-দাওয়া।১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
এর আগের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে আমার ভাগ্নেকে নিয়ে ঘোরাফেরার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছিলাম। আজ সেই ঘোরাফেরার ভিতর একটি ভোজন পর্ব ছিলো। সেই ব্যাপারটা আমাদের কাছে বর্ণনা করব। আপনাদেরকে আমি আগেই বলেছি আমার ভাগ্নে খুবি ভোজন রসিক। সে খেতে খুবই পছন্দ শেষ করে। আজকালকার বাচ্চারা যে ধরনের খাবার পছন্দ করে যেমন পিৎজা,বার্গার সেও ওই ধরনের খাবার পছন্দ করে। সে বিরিয়ানি ও খুব পছন্দ করে।
স্থান- লিংক
সেদিন ঘুরতে বের হয়ে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম আজকে কি খেতে চাও। সে প্রথমে বললো পিৎজা। তারপর বলল একটা কিছু হলেই হয়। তো আমি তাকে বিভিন্ন অপশন দিচ্ছিলাম। সে সবকিছুতেই হ্যাঁ হ্যাঁ বলছিলো। তারপর আমরা যখন ওয়াটার বাসে ঘুরতে ঘুরতে গুলশান পৌছলাম। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কাচ্চি বিরিয়ানি খাবে? সে তখন বলল হ্যাঁ খাওয়া যায়। আমি তাকে বললাম গুলশানে একটি কাচ্চি বিরিয়ানির দোকান আছে। ফখরুদ্দিনের কাচ্চি বিরিয়ানি। এটি ঢাকার এক সময়কার সবচাইতে বিখ্যাত কাচ্চিবিরিয়ানি ছিলো। সেখান থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়াবো। সে খুবই খুশি হলো।
স্থান- লিংক
আমরা যেখানে ওয়াটার বাস থেকে নামলাম সেখান থেকে ফখরুদ্দিনের কাচ্চি বিরিয়ানির দোকানে যেতে মাত্র ৫ মিনিট সময় লাগে। হেঁটেই যাওয়া যায়। তো আমরা ওয়াটার বাস থেকে নেমে অল্প সময়ে সেই কাচ্চি বিরিয়ানীর দোকানের পৌঁছলাম। আমার শরীরটা খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না। প্রেসারটা একটু বেশি ছিল। সেজন্য আমি আর বিরিয়ানি খেলাম না। শুধু আমার ভাগ্নের জন্য মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি অর্ডার করলাম। আর আমি নিলাম চিকেন বটি কাবাব আর লুচি। সাথে কোল্ডড্রিংকস তো আছেই।
স্থান- লিংক
অর্ডার করার কিছুক্ষনের ভিতরেই টেবিলে খাবার পরিবেশন করলো। আমার ভাগ্নে খুব তৃপ্তি সহকারে খেতে লাগলো। আমার দেখে খুবই ভালো লাগছিল। তার কিছুক্ষণ পর আমার অর্ডার করা খাবার চলে আসলো। সত্যি বলতে চিকেন বটি কাবাবটা আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগেনি। বুঝতে পারলাম তাদের খাবারের মান আর আগের মত নেই। তারপরও পুরনো রেস্টুরেন্ট হওয়ার কারণে এদের একটা কাস্টমার গ্রুপ তৈরি হয়ে গিয়েছে। যারা কারণে-অকারণে এখানে খেতে আসে। কিছুক্ষনের ভিতর আমাদের খাওয়া শেষ হয়ে গেলো। কাবাব আমি বেশি খেতে পারিনি। প্রায় অর্ধেকটা আমার ভাগ্নেকে দিয়ে দিয়েছিলাম। সে বেশ মজা করেই খেলো।
স্থান-লিংক
সেখানে খাওয়া শেষ হলে আমরা আবার ওয়াটার বাসে করে আমাদের বাসার দিকে চলে আসলাম। আসার পথে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম আর কিছু খাবে কিনা? সে তখন বলল একটু পেস্ট্রি হলে ভালো হতো। আমি বললাম ঠিক আছে চলো বাসার কাছে গিয়ে সেখান থেকে তোমাকে পেস্ট্রি খাওয়াবো। আমাদের হাতে সময় ছিল কম। কারণ সাতটার আগে ভাগ্নেকে নিয়ে বাসায় ফিরতে হবে। সাতটার সময় তার শিক্ষক আসবে তাকে পড়াতে। সেজন্য আমরা দ্রুত বাসার দিকে যাচ্ছিলাম।
স্থান-লিংক
এর ভেতর তাকে নিয়ে আজওয়া নামে একটি ফাস্ট ফুড শপ এ ঢুকলাম। তাকে পেস্ট্রি কেক খাওয়ানোর জন্য। কিন্তু সেখানে গিয়ে সে স্লাইস পিৎজা দেখে পিৎজা খেতে চাইলো। তখন তাকে আমি এক স্লাইস পিৎজা কিনে দিলাম। তারপর তাকে বললাম তাড়াতাড়ি খেতে। আমাদের হাতে আর বেশি সময় নেই। ফাস্টফুড শপটা বাসার কাছেই ছিল। যার ফলে ভাগ্নের পিৎজা খাওয়া শেষ হলে আমরা বাসার দিকে হেঁটে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে ছোট্ট একটা জুস বার দেখতে পেলাম। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম আর কিছু খাবে কিনা? সে বলল চকলেট মিল্কশেক খাবে। তখন আমি তার জন্য একটি মিল্কশেক অর্ডার করলাম। সেটা খেতে খেতে আমরা বাড়ির দিকে রওনা হলাম।
স্থান-লিংক
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আশা করছি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে।
পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
ফখরুদ্দিনের কাচ্চি বিরিয়ানির দোকান সম্পর্কে বর্ণনা ও খাওয়া দাওয়া দেখে জীবে জল আসছে ভাই। মামা-ভাগ্নে মজা করে খেলেন।কাছে থাকলে আমিও যেতাম ফখরুদ্দিনের কাচ্চি বিরিয়ানির দোকানে।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আপনার প্রতিটি মুহূর্ত অসাধারণ কেটেছে। ভালো থাকবেন ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
রেস্টুরেন্টের ফখরুদ্দিন নাম দেখে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতির কথা মনে পড়ে গেল। এবং এটা এখন অনেক পুরাতন দোকানের ক্ষেএেই দেখা যায় একবার নাম হয়ে গেলে তাদের খাবারের মানের পরিবর্তন হয়ে যায়। যা খুবই দুঃখজনক।
ঠিক বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাগ্নে কি নিয়ে আপনি সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে তো মুখে জল চলে আসলো।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
বাহ! ভালই জমপেশ ছিলো মামা-ভাগনের দিনটা। কত ভদ্র ভাগনে, মামা যা যা অফার করেছে কোনটাই না করে নাই, যদি মামা মনে কষ্ট পায় সেজন্য বোধহয়, হি হি হি হি।
তবে এক সময় না এখনো খফরুদ্দিনের খাবার আমার কাছে ভালো লাগে। তবে আপনার পছন্দও খারাপ ছিলো না। ধন্যবাদ
ভাগ্নে আমার আসলেই ভোজন রসিক। ফখরুদ্দিনের কাচ্চি আমার খুবই প্রিয়। ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাহ,আপনার ভাগ্নে তো দারুণ ভোজনরসিক ।কেনো জানি না, আমার খাওয়ার ইচ্ছেবোধ থাকলেও বেশি কিছু খেতে পারি না।ফলে সবাই আমার না খাওয়ার জন্য বকে।কিন্তু মন খেতে চাইলে ও মুখে রুচিবোধ থাকে না একটুখানি খাওয়ার পর।আপনার ভাগ্নের খাওয়ার কথা শুনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন ভাইয়া। ওয়াটার বাসে আমার চড়া হয়নি। তবে মনে হয় এটিতে নৌকার মতো এডভেঞ্চার পাওয়া যায়না। বিরিয়ানি আমার অনেক ভালো লাগে। পিৎজা তো মেয়েদের জনপ্রিয় খাবার। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর একটিদিন আমাদের সাথে শেয়ার করা জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
বাচ্চাগুলো এমন ই হয়। তারা যে কি খাবে তারা নিজেরাই জানিনা। তারা নিজেই কনফিউজড থাকে যে কি খাবে। আমার কাছে এটা খুব কিউট লাগে যখন তারা এইসব ভাবা ভাবি করে এইটা ওইটা আন্সার দেয়। ভাগিনার সাথে বেশ কাটিয়েছেন বুঝাই যাচ্ছে। তখন আপনার শরীর মনে হচ্ছে এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি ভাইয়া। 😢
আসলেই ঠিক বলেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
খাওয়া দাওয়া কার না ভালো লাগে!
তার মধ্যে কেউ যদি হয় ভোজনরসিক আর এভাবে কোথাও যদি খাবারের এতো সুন্দর উপস্থাপনা থাকে, তাহলে তো লোভ সামলে রাখা কষ্টকর ব্যাপার।
যাই হোক মামা ভাগ্নের জন্য অনেক দোয়া রইল
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ফকরুদ্দিন তো সেই ফেমাস ঢাকাতে। খাওয়া হয়েছিল একবার সম্ভবত। আপনার ভাগ্নের সুবাদে আপনিও একবার উপভোগ করে নিতে পারলেন।
ফখরুদ্দিনের মাটন কাচ্চি আমার খুবই প্রিয়।কিন্তু প্রেসারের সমস্যা থাকায় এবার আর আমি খাইনি। ধন্যবাদ আপনাকে।