সুস্বাদু বাইম মাছ ভুনা। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
আমি খেতে খুব পছন্দ করি। আবার যা খাই তার রেসিপি শেয়ার করতে ও আমার ভালো লাগে। মাছে ভাতে বাঙালি। সেই সূত্রে আমিও বিভিন্ন রকমের মাছ খাই।তবে আমি সব ধরনের মাছ খাই না। মাছ খাওয়ার ক্ষেত্রে আমি কিছুটা বেছে খাই। আমি যে মাছগুলি খাই তার ভিতরে একটি মাছ হচ্ছে বাইম মাছ। এই মাছটি আমার খুবই পছন্দের। বিশেষ করে বড় আকারের বাইম মাছ গুলি। যদিও বড় আকারের বাইম মাছের দাম আমাদের দেশে অনেক। তার পরেও মাঝে মাঝে এই মাছটি কেনা হয়। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে বাইম মাছ ভুনার রেসিপি শেয়ার করব ।তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি।
বাইম মাছ ভুনা
রান্নার উপকরণ সমূহ
বাইম মাছ | ৩০০ গ্রাম |
---|---|
পেঁয়াজ বাটা | ২ টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ১ চা চামচ |
রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
পেঁয়াজ কাটা | ১/২ কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৪টি |
শুকনো মরিচ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
হলুদ গুড়া | ১ চা চামচ |
জিরা গুড়া | ১ চা চামচ |
ধনিয়া গুড়া | ১ চা চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
রান্নার প্রনালী
১ম ধাপ
প্রথমে একটি কড়াই নিই। তারপর তাতে তেল দিয়ে তেল একটু গরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করি। তারপর তাতে কেটে রাখা পেয়াজ মরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিই।
২য় ধাপ
এখন সমস্ত বাটা এবং গুঁড়া মসলা কড়াই এর ভিতর দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করি।
৩য় ধাপ
এখন মসলা গুলি কিছুক্ষণ কষিয়ে নিই।
৪র্থ ধাপ
এখন কেটে রাখা বাইম মাছ গুলি কড়াই এর ভিতর দিয়ে নেড়েচেড়ে ভালোমতো মসলা মিশিয়ে নিই।
৫ম ধাপ
এখন কড়াই এর ভিতর কিছুটা পানি দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করি।
৬ষ্ঠ ধাপ
এখন আরও কিছুটা পানি যোগ করে তারপর কড়াইয়ের ভেতর ধনিয়াপাতা ছড়িয়ে দিই।
৭ম ধাপ
এখন আরো দশ মিনিট রান্না করি। ঝোলটা কিছুটা শুকিয়ে এলে চুলা বন্ধ করে দিই। হয়ে গেল আমাদের সুস্বাদু বাইম মাছ ভুনা।
আশাকরি রান্নাটি আপনাদের ভাল লেগেছে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত | যন্ত্র স্যামসাং এ৪০ |
---|
Support @amarbanglablog by delegating STEEM POWER.
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
বাইম মাছ কথাটি শুনলেই জিভে জল এসে যায়। বাইম মাছ আমার সবচেয়ে পছন্দের একটি মাছ। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে বাইম মাছ ভুনা রেসিপিটি তৈরি করেছেন। আপনার বাইম মাছ ভুনার রং দেখেই স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে এটি খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার বাইম মাছ ভুনার দক্ষতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
ওহ আপনি যে কি রেসিপি শেয়ার করলেন, আমার গালে জল চলে আসলো। এই মাছ যে কি সুস্বাদু লাগে, মশলা দিয়ে ঠিকঠাক রান্না হলে পুরো মাংসের মতো। আমি খুব পছন্দ করি বাইম মাছ, বাইম মাছ ভুনা করে রান্না করলে সব থেকে বেশি ভালো লাগে ।
আমারো দাদা ভুনাই পছন্দ। ঝোল করলে এই মাছ খেতে খুব একটা ভালো লাগে না। ধন্যবাদ দাদা আপনার মন্তব্যের জন্য।
সুস্বাদু বাইম মাছ ভুনা রেসিপি আমার ভিশন পছন্দের। আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না। দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আর উপস্থাপনা ও অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া
বাইম মাছ রেসিপি বাহ 😋😋। খুব সুন্দর হয়েছে আপনার রেসিপি টা। এবং উপস্থাপনা টা অসাধারণ ছিল।
বাইম মাছ বড়শীতে ধরা খুবই কষ্টসাধ্য। কিন্তু আমি একবার বড়শীতে ধরেছিলাম বড় সাইজের এক বাইম মাছ। ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য।।
বাইম মাছ আমার অত্যান্ত পছন্দের মাছ।ছোট বেলায় নানার বাসার পাশে বিল ছিল সেখানে পানি শুকালে আমি মাছ ধরতে যেতাম এবং অনেক বাইম পেতাম।আপনার রেসিপিটা অনেক সুন্দর ছিলো অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনার বাইম মাছ ভুনা খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। মনে হচ্ছে রেসিপিটি খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। ধাপে ধাপে আপনি সুন্দর করে রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন। সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ওহ ভাই অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমার খুব পছন্দের রেসিপি ভাই। তবে অনেকদিন ধরে খাওয়া হয়নি। তাই আপনার রেসিপিটি দেখে লোভ সামলাতে পারতেছি না। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ও মজার হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাই। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনার রেসিপি দেখে তো এক্কেবারে মুখে পানি চলে আসলো।দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে রান্নাটি খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। তবে এই মাছটি আমি কোনোদিন খাইনি।হয়তো এদিকটায় পাওয়া যায় না এই মাছ।
আপনাকে ধন্যবাদ আপু।