পরিবার নিয়ে বাইরে খাওয়া-দাওয়ার অভিজ্ঞতা।
আমরা মাঝে মাঝে বাইরে খাওয়া দাওয়া করি। তার এই অবস্থা দেখে মনে করলাম একদিন দুপুরে বাইরে থেকে খেয়ে আসি। তাহলে একটা দিন অন্তত সে রান্নাবান্না ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকবে। এই কথা চিন্তা হতেই কথাটা তাকে জানালাম। সে তো শুনে খুবই খুশি হোলো। তারপর খোঁজখবর নিয়ে বাসার কাছে একটি রেস্টুরেন্ট ঠিক করলাম খেতে যাওয়ার জন্য। তার সাথে বসে পরিকল্পনা করলাম দুপুরে জোহরের নামাজ পড়ে তারপর আমরা সেখানে রওনা দেবো। তবে সেই রেস্টুরেন্টটা কিছুটা ছোট এই জন্য আমি চিন্তা করলাম যাওয়ার আগে একবার ফোন দিয়ে যাওয়া উচিত। তাই আমি নামাজ পড়ে এসে সেই রেস্টুরেন্টে ফোন দিলে তারা জানালো রেস্টুরেন্টে অনেক ভিড়। আমাদেরকে আধা ঘন্টা পরে যাওয়ার পরামর্শ দিলো।
আমি মনে মনে নিজেকে ধন্যবাদ দিলাম। কারণ রেস্টুরেন্টে যোগাযোগ করে না গেলে আমাদেরকে আধা ঘন্টা সময় বসে থাকতে হতো। যাই হোক ঠিক আধা ঘন্টা পরে আমরা বাসা থেকে রওনা দিলাম রেস্টুরেন্ট এর উদ্দেশ্যে। রেস্টুরেন্টটির অবস্থান আমাদের বাসা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে। যার ফলে রিক্সা করে যেতে সেখানে খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। আমরা গিয়ে একটি টেবিল ফাঁকা পেয়ে সেখানে বসে পড়লাম। কি খাবো সেটা আগে থেকেই ঠিক করে গিয়েছিলাম। যার ফলে টেবিলে বসেই খাবারের অর্ডার করলাম। অর্ডার নিয়ে তারা জানালো খাবার পরিবেশন করতে ২০-২৫ মিনিট সময় লাগবে। যদিও পেটে তখন প্রচন্ড ক্ষুধা। তার পরেও চাইনিজ রেস্টুরেন্টে গেলে কিছুটা সময় হাতে নিয়ে যেতে হয়। সে কারণে আর কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম।
ঠিক ২০-২৫ মিনিট পরেই তারা খাবার পরিবেশন করলো। খাবার সামনে পেয়ে বুঝতে পারলাম খাবারটি খেতে বেশ ভালই হবে। মুখে দিয়েও বেশ ভালো লাগলো। আমরা তিনজন ধীরেসুস্থে খাবার খেতে লাগলাম। খাওয়া শেষ হলে আমরা তিনজন মিলে কিছুক্ষণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করতে লাগলাম। তারপর বিল পরিশোধ করে বাসায় ফিরে এলাম। মাঝে মাঝে এভাবে পরিবার নিয়ে বাইরে খাওয়া দাওয়া করলে পরিবারের সবাই বেশ ভালো মেজাজে থাকে। খাওয়া-দাওয়া হয় সাথে বাইরে কিছুটা সময়ও কাটানো হয়। এ কারণে আমি চেষ্টা করি সময় সুযোগ পেলেই পরিবার নিয়ে একটু বাইরে খাওয়া দাওয়া করতে বা ঘোরাফেরা করতে। সংসারে সুখ শান্তি বজায় রাখার জন্য এটা অত্যন্ত জরুরী।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
ভাই।
সবারই উচিত পরিবার নিয়ে মাঝেমধ্যে বাহিরে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করা। তাহলে বাসায় রান্নার ঝামেলাও হয় না, আবার মনমানসিকতাও ভালো থাকে। ফোন করে রেস্টুরেন্টে যাওয়ায় খুব ভালো হয়েছে। এই বুদ্ধিটা আসলেই চমৎকার ছিলো। খাবারের ফটোগ্রাফি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে ভাই। যাইহোক খাওয়া দাওয়া করে পুরোটা সময় বেশ ভালোই উপভোগ করেছেন। এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।