খেতে গিয়ে হোলো মেজাজ খারাপ।
রেস্টুরেন্টটা সম্ভবত পাকিস্তানি রেস্টুরেন্ট। আমি একসময় প্রচুর ফুড ব্লগিং দেখতাম। সেই ফুড ব্লগিং দেখে পাকিস্তানি খাবারের প্রতি এক ধরনের দুর্বলতা তৈরি হয়েছিলো। তাই চিন্তা করলাম যেহেতু পাকিস্তানি রেস্টুরেন্ট দেখা যাচ্ছে। তাই এখান থেকে কোন একটা খাবার খেয়ে নেই। তবে ফুড ব্লগিং দেখার কারণে খাবার সম্বন্ধে আমার মোটামুটি একটা ধারণা হয়েছিলো। আমার কাছে মনে হয়েছিলো পাকিস্তানি সব খাবার আমরা খেতে পারবো না। কারণ ওরা খাবারে আমাদের মতো এতো মসলা ব্যবহার করে না। যাইহোক খুব বেশি চিন্তাভাবনা না করে আমি রাস্তার পাশের সেই পাকিস্তানি রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করলাম। সেখানে অর্ডার করতে গিয়ে দেখতে পেলাম বাংলাদেশি একটা ছেলেও সেখানে কাজ করছে। পরে তার সাথে কথাবার্তা বলে আমি কাবাব আর নান রুটি অর্ডার করলাম। কাবাবগুলো যেভাবে তৈরি করে রাখা ছিলো দেখে মনে হয়েছিলো খেতে হবে দারুন। তাই অর্ডার করে অধীর আগ্রহে কাবাব এর জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
এর ভিতরে আমি বাংলাদেশী সেই ছেলেটাকে ডাক দিয়ে বললাম কাবাবটা একটু ভালোমতো আগুনে পোড়াতে বোলো। ওরা তো আবার কিছুটা কাঁচা কাঁচা খায়। আমি সেটা খেতে পারবো না। ছেলেটা আমার কথা শুনে মুচকি হেসে বলল ঠিক আছে আমি এখনই বলে দিচ্ছি। এই কথা বলার কিছুক্ষণের ভেতরেই আমার টেবিলে খাবার চলে এলো। আমি দেখতে পেলাম বড় নান রুটির সাথে কাবাবের সাথে কিছুটা রাইসও দেয়া হয়েছে। ছেলেটা বললো রাইসটা তার পক্ষ থেকে কমপ্লিমেন্টারি। বিষয়টা আমাকে বেশ অবাক করলো। অচেনা অজানা একটা ছেলে শুধুমাত্র একই দেশের মানুষ হওয়ার কারণে এই বিশেষ যত্ন নেয়াতে খুব ভালো লাগলো। কিন্তু সেই ভালোলাগা বেশিক্ষণ থাকলো না। কাবাবটা যখন ছিড়ে মুখে দিয়েছি তখনই সমস্ত আগ্রহ নষ্ট হয়ে গেলো। কারণ কাবাবটা দেখে যতটা সুস্বাদু মনে হয়েছিলো খেতে গিয়ে দেখি তার কিছুই না। এর থেকে আমাদের দেশের কাবাবের স্বাদ অনেক ভালো।
দুই রকমের কাবাব অর্ডার করেছিলাম। দুটোর কোনোটাই আমার কাছে ভালো লাগেনি। তারপরও যেহেতু বেশ কিছু টাকা খরচ হয়েছিলো। তাই কোন রকমে কিছুটা কাবাব খেয়েছিলাম। কাবাবের সাথে যে সস আর সারাদ দিয়েছিলো সেগুলোও আমার কাছে মোটেই ভালো লাগেনি। আমাদের দেশের সস গুলো খেতে অনেক মজা লাগে। বিশেষ করে যেই সস গুলো রেস্টুরেন্টে তৈরি করা হয়। যাই হোক আমি কোন রকমে কিছুটা খেয়ে হাত ধুয়ে বিল মিটিয়ে হোটেলের দিকে ফিরতে লাগলাম। আর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম আর কখনো পাকিস্তানি রেস্টুরেন্টে খেতে আসবো না। কারণ যারা কাবাব ভালোমতো তৈরি করতে পারেনা তাদের কোন খাবারই আর আমাদের কাছে ভালো লাগার সুযোগ নেই। সেদিনের মতো আমার খাওয়ার অভিযান অতৃপ্তিতে শেষ হোলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | মক্কা, সৌদি আরব |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
কাবাব গুলো দেখতে তো ভালই লাগছে তবে স্বাদ এত খারাপ কেন বুঝতে পারলাম না। তাছাড়া পাকিস্তানিদের খাবার রান্না করার মধ্যে বেশ নাম ডাক রয়েছে। হয়তো সৌদিয়ানরা এভাবেই খেতে পছন্দ করে,তাই এভাবেই তৈরি করা হয়েছে। যাই হোক আপনার কাবাব খাওয়ার অভিজ্ঞতা শুনে কিছুটা হতাশ হলাম। তবে বাংলাদেশী ছেলেটির ব্যবহার ও সম্মান দেখে খুশি হলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
কাবাব গুলো দেখে আমারও লোভ লেগে গেলো ভাইয়া। তবে আমাদের গ্রামের যারা প্রবাসি আছেন তাদের কাছ থেকে শুনেছি একদম সাদা খাই নাকি। তবে তারা কোন মসলা ইউজ করেনা সৌদি খাবার যারা খাই। তারা খেতে খেতে এক সময় অভ্যস্ত হয়ে যায়। আমি মনে করি সব মানুষের কাছে দেশের মানুষের আলাদা একটা দরদ থাকে ভাইয়া। যাক খাবার খেয়ে তো আপনার বারোটা বেজে গেলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ব্লগ টি আমাদের সাথে শেয়ার করায়।
ভাইয়া,আপনি খেতে পছন্দ করেন তা আমরা জানি।তবে পাকিস্তানী হোটেলের খাবার এতোটা খারাপ টেস্ট হবে এটা অজনা ছিল।সত্যি কথ বলতে আমাদের দেশের মতো এতো টেস্টি খাবার কোন দেশেই আসলে পাওয়া যাবে না।কাবাব গুলো দেখতে সুস্বাদু মনে হলেও আসলে তেমন সুস্বাদু ছিল না।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে আসলে খারাপ ই লাগলো।
পাকিস্তানি রেস্টুরেন্টে আমিও বেশ কয়েকবার খেয়েছিলাম,কিন্তু পাকিস্তানি রেস্টুরেন্টের খাবারের চেয়ে ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টের খাবারগুলো আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। যাইহোক পাকিস্তানি রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে তো দেখছি একেবারে বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনার। কিছু কিছু খাবার দেখতে লোভনীয় লাগলেও, খেতে একেবারেই বাজে লাগে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা, খাবার দেখে অনেক সময় সুস্বাদু মনে হলেও তা খেতে সব সময় সুস্বাদু হয় না। আপনার এই খাওয়ার অভিজ্ঞতা শুনে বেশ খারাপ লাগলো। কোন কিছুই দেখছি আপনি পাকিস্তানি রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভালো পাননি। দুই প্রকার কাবাব থেকে শুরু করে সালাদ, সস সবকিছুই বাজে ছিল যা দেখছি। আর এরকম রেস্টুরেন্টে পুনরায় না যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করে বেশ ভালোই করেছেন দাদা ।
আসলে অনেক সময় অন্যদেশের খাবারের সাথে আমরা অভ্যস্ত না তাই খেতে আমাদের ভালো লাগে না তবে তাদের দেশে দেখা তাদের জন্য সেরা খাবার।আমার একবার এমন হয়েছিলো।যাই হোক মাঝে মাঝে মেজাজ খারাপ হওয়া ভালো অভিজ্ঞতা বাড়ে😂😂
নান রুটি আর কাবাবের প্লেটটা দারুণ ছিল। আরবে গিয়ে কাবাব খাবেন না এ কেমন করে হয়। দারুণ পদ পছন্দ করেছিলেন৷ আর পাকিস্তানিরা কাবাব সাধারণত ভালো বানায়। তবে আপনার অভিজ্ঞতা খারাপ হওয়ায় খারাপ লাগছে। আশা করি আপনার হজ যাত্রা সুন্দর ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হচ্ছে। সাবধানে থাকুন। আরো ভালো ভালো পদ খেয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন। আমরা পড়ব। ধন্যবাদ