পরিবারের সাথে হিম উৎসবে কিছুটা সময় কাটানো।
বর্তমানে আমাদের শহরে বিভিন্ন রকমের মেলা শুরু হয়েছে। ব্যাপারটা আগে তেমন একটা খেয়াল করিনি। তবে কিছুদিন আগে আপনাদের সাথে খিচুড়ি উৎসবের কথা শেয়ার করেছিলাম। দিন কয়েক আগে হঠাৎ ফেসবুকে একটি পোস্ট থেকে জানতে পারলাম সেই একই স্থানে হিম উৎসব নামে একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। যেহেতু বিকালের দিকে আমি কোন কাজ করি না। তাই চিন্তা করলাম একদিন বিকেলে গিয়ে সেখান থেকে ঘুরে আসি। তবে পরিবারের লোকজন এটা শোনার পর তারাও সাথে যাওয়ার বায়না ধরল।
আমি একা গেলে হয়তো অল্প সময়ে সেখান থেকে ঘুরে আসতে পারতাম। তবে যেহেতু পরিবারের লোকজন সাথে যাবে। তাই চিন্তা করলাম মাগরিবের নামাজ পড়ে তারপর বাসা থেকে বের হই। তাতে হাতে বেশ কিছু সময় পাওয়া যাবে মেলা ঘুরেফিরে দেখার জন্য। যদিও মেলা যেখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেই জায়গাটা একেবারে ছোট। সেখানে ঘুরেফিরে দেখতে খুব বেশি সময় লাগার কথা না। যাইহোক সন্ধার পরে আমরা মেলার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাসা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে মেলার অবস্থান। যার ফলে রিক্সা করে আমরা অল্প সময় সেখানে পৌঁছে গেলাম।
গিয়ে দেখি সেখানে প্রচুর মানুষের আনাগোনা। এই মেলাটার কথা আমি এর আগে কখনো শুনিনি। তবে মেলায় গিয়ে দেখলাম সেখানে স্থানীয় একটি ছেলে স্টেজে গান গাচ্ছে এবং সে স্টেজ ঘিরে বেশ ভালো ভিড়। গানটি শেষ হলে অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা বিভিন্ন রকম কথা বলতে শুরু করল। তার কথা থেকে জানতে পারলাম এটি দ্বিতীয়বারের মতো ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এই মেলার মূল উদ্যোক্তা ফরিদপুরের একটি অনলাইন সংগঠন। আমি ইদানিং খেয়াল করে দেখেছি শহরের ছেলে মেয়েদের সাথে বাইরের কিছু ছেলে মেয়েরা মিলে বিভিন্ন রকম অনলাইন সংগঠন তৈরি করেছে। তারাই এরকম বিচিত্র ধরনের মেলার আয়োজন শহরে করে চলেছে। ব্যাপারটা আমার কাছে ভালই লাগলো।
কারণ আমাদের শহরের মানুষের বিনোদনের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। ভালো কোনো পার্ক নেই ভালো একটা সিনেমা হল নেই। দু একটা পার্ক যাও আছে সেগুলো শহর থেকে বেশ অনেকটা দূরে। যাই হোক মেলায় পৌঁছে দু একটা গান শোনার পর আমরা ঘুরেফিরে মেলাটা দেখতে লাগলাম। খেয়াল করে দেখলাম স্টল গুলোর বেশিরভাগই দখল করে আছে বিভিন্ন অনলাইন উদ্যোক্তারা। এই বিষয়টা নিয়ে আমি এর আগেও আপনাদের কাছে বলেছি। ব্যাপারটা আমার কাছে যথেষ্ট পজিটিভ মনে হয়েছে। যেখানে আমাদের দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ ফেসবুকে প্রতিদিন অকারণের সময় নষ্ট করে। সেখানে এই মানুষগুলো সেই ফেসবুক ব্যবহার করে ব্যবসা দাঁড় করিয়ে ফেলেছে এটা যথেষ্ট আশা জাগানিয়া।
তবে স্টেজে যে মেয়েটা উপস্থাপনা করছিল তার কথা থেকে জানতে পারলাম পরদিন ঢাকা থেকে কোন একটা ব্যান্ড আসবে মেলায় পারফর্ম করার জন্য। তখনই মনে মনে পরিকল্পনা করেছিলাম পরদিন গান শুনতে যাব। যাইহোক আমরা ঘুরে ফিরে মেলার বিভিন্ন স্টল দেখতে লাগলাম। তবে প্রচন্ড ভিড় থাকার কারণে তেমন কোনো ছবি তুলতে পারিনি। কিছুক্ষণ ঘোরাফেরার পর চিন্তা করলাম একটু খাওয়া দাওয়া করা যাক। মেলা যদিও কোন রেস্টুরেন্ট নেই। তবে খাবারদাবারের কয়েকটি স্টল চলছিল। আমরা তেমনি একটু স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে হালকা কিছু খেয়ে নিলাম। তবে এর ভিতরে আমার কন্যা বাড়ি ফেরার গো ধরলো। সে জানালো তার নাকি আর মেলায় থাকতে ভালো লাগছে না। বুঝতে পারলাম মেলায় আর বেশিক্ষণ থাকা যাবে না। তাই খাওয়া-দাওয়া শেষ করে দ্রুত বাড়ির দিকে ফিরতে লাগলাম। যদিও পরদিন যাওয়ার পরিকল্পনা ছিলো। কিন্তু সে পরিকল্পনা আর বাস্তবায়ন হয়নি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঝিলটুলি |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
অনলাইন উদ্যোক্তাদের দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। আসলে তারা নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানোর জন্য আক্রান্ত পরিশ্রম করে। এভাবে মেলার আয়োজন করে তারা স্টল নিয়েছে এবং নিজের ব্যবসাকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে এই উদ্যোগটি আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার শহরের কাছাকাছি যেহেতু এই দারুন মেলার আয়োজন করা হয়েছে আশা করছি আবারো কোন একদিন সময় করে যাবেন। যেহেতু পরিবার নিয়ে গিয়েছিলেন তাই হয়তো বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। আর আমাদের মামনির যেহেতু ভালো লাগছিল না তাইতো তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে আসতে হয়েছে।
পরিবার নিয়ে হিম উৎসবে কিছুটা সময় কাটানোর মুহূর্তের কথা গুলো দারুন লাগলো ৷ আর শীতের মাঝে এসব অনুষ্ঠান উপভোগ করতে বেশ ভালোই লাগে ৷ যা হোক অনলাইন উদ্যোক্তাদের দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগে ৷ এখন সময় দিন বদলে গেছে ৷ তাই সবাইকে বদলাতে হবে ৷ ভালো লাগলো ভাই ধন্যবাদ আপনার পুরো পরিবারের জন্য শুভকামনা ৷
হিম উৎসবে পরিবারের সাথে বেশ ভাল সময় কাটিয়েছেন। অনলাইন উদ্যোক্তাদের দেখলে বেশ ভালোই লাগে। কেউ আসলে বসে নেই।তাদের প্রচেষ্টাকে ধন্যবাদ জানাই।অনেক ভিড় থাকাতে তেমন ছবি তুলতে পারেননি।রেস্টুরেন্ট না থাকলেও কয়েকটি স্টল ছিল খাবাবের। আপনারা কিছু খেয়ে নিলেন। পরেরদিন ব্যান্ড দল আসবে তাই ঠিক করেছিলেন পরের দিন আবার যাবেন। মেয়ের কারনে আর বেশি সময় থাকতে পারলেন না। সবকিছু মিলে বেশ ভালোই লাগলো ব্লগটি পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে হিম উৎসবে কাটানো মুহূর্তগুলো পড়ে বেশ ভালই লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝতে পারলাম মেলাটাতে বেশ ভালোই ভীড় হয়েছিল। আর হ্যাঁ অনলাইন উদ্যোক্তাদের এই প্রচেষ্টা দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে হিম উৎসবে কাটানো মুহূর্ত নিয়ে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।