প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট ভ্রমণ (তৃতীয় পর্ব)। ১০% সাই-ফক্স।
শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহির মাজার ভ্রমণ শেষে আমরা রওনা দিলাম শাহ পরানের মাজার এর উদ্দেশ্যে। তবে এই মাজারে একটি জিনিস আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর লেগেছে। সেটা হচ্ছে ভিক্ষুকদের প্রচুর আনাগোনা। যদিও এই ধরণের স্থানে এ ব্যাপারটা মোটামুটি স্বাভাবিক বলা চলে।
শাহজালালের মাজার থেকে বের হওয়ার পর দেখি রাস্তার দু'পাশ দিয়ে বেশকিছু দোকান। যারা মূলত এই মাজারকেন্দ্রিক ব্যবসা করে থাকে। তাদের দোকানের মূল পন্য হচ্ছে গোলাপজল আগরবাতি তসবি হাতে বাধার মোটা সুতা আর নানা রকমের মিষ্টি জাতীয় খাবার। এ দোকানগুলিতে বিভিন্ন রঙের মিষ্টিজাতীয় খাবার দেখে আমার ইচ্ছা হচ্ছিল একবার কাছে গিয়ে দেখে আসি। কিন্তু সেটা সম্ভব হলো না।
কারণ আমাদের রেস্টহাউজ থেকে বের হতে দেরী হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে শাহজালালের মাজার ঘুরে দেখতে দেখতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেল। এই কারনে আমাদের হাতে সময় ছিল খুবই কম। সেজন্য আমরা সোজা গাড়িতে উঠে শাহপরানের মাজার এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এই মাজার দুটির মাঝে দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। মাজার দুটি কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।
এখানে এসে শাহপরান সম্বন্ধে একটা নতুন তথ্য জানতে পারলাম। শাহপরান হচ্ছে শাহজালালের ভাগ্নে। এই অঞ্চলে উনারা ধর্মীয় কাজের পাশাপাশি নানা রকম সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। শাহ পরানের মাজারে আমরা যখন গিয়ে পৌঁছলাম তখন দিনের আলো প্রায় শেষের পথে। যার ফলে আমরা সেখানে খুব একটা বেশি সময় কাটাতে পারিনি।
আমরা অল্প সময়ে মাজারটি ঘুরে ফিরে দেখলাম। তারপর আমরা মাজার থেকে বাইরে এসে মাজারের আশেপাশে দোকান গুলি ঘুরে ফিরে দেখতে লাগলাম। এই দোকানগুলিতে আমরা বেশ কিছু মজার জিনিস দেখতে পেলাম। সবচাইতে যে জিনিষগুলি আমাদের পছন্দ তা হলো সেই রংবেরঙের মিষ্টি গুলি।
আমরা সে দোকানগুলিতে ঘুরেফিরে কিছু মিষ্টি জাতীয় খাবার কিনলাম। সাথে আরও টুকিটাকি অন্য জিনিস কেনা হয়েছে। যদিও এগুলি শুধুই নিজেদের আগ্রহ মেটানোর জন্য কেনা। অন্য কোনো উদ্দেশ্যে নয়। এই দোকান গুলির মিষ্টিজাতীয় খাবার দেখে আমাদের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমরা বিভিন্ন মেলায় গেলে এই জাতীয় জিনিস দেখতে পেতাম।
তখন এই জিনিসের প্রতি লোভ কাজ করতো। এখন আর সেই ধরনের আকর্ষণ কাজ করে না। তারপরও সেই পুরনো স্মৃতি মনে পড়ার জন্য কিছু মিষ্টি জাতীয় খাবার আমরা কিনলাম। তারপর আমরা ফিরতি পথ ধরলাম। কারণ এতক্ষণে পুরোপুরি সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। দিনের আলো ফুরিয়ে রাত নেমে এসেছে। এখন ঘরে ফেরার সময়।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে এই ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব নিয়ে।
সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
| ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নভা 2i |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @rupok |
| স্থান | লিংক |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট আমিও ভ্রমণ করেছি। সত্যিই দেখার মতো একটি জায়গা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আমার মনে হয় আপনিও খুব উপভোগ করছেন সিলেট ভ্রমণ। আপনার সিলেট ভ্রমনের চতুর্থ পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম আর সেই সাথে আপনার সিলেট ভ্রমণ সফল হোক এই কামনা করি। ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সিলেট আসলেই সুন্দর একটা জায়গা। অনেকগুলো স্পট আছে ঘুরে দেখার মতো।
সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অভাব নেই। অনেক জায়গায় রয়েছে যেটা ঘুরে ঘুরে দেখে শেষ করা যায় না। আমি 2009 সালে একবার গিয়েছিলাম, আর এখনও পর্যন্ত যাওয়া হয় নি। তবে ইনশাল্লাহ সামনে যাওয়া হবে আশা রাখি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা থাকবে সবসময়।
আমিও এর আগে একবার গিয়েছিলাম। তবে এখন নতুন বেশ কয়েকটা জায়গা আছে যেগুলো খুবই সুন্দর।
তাহলে তো যেতেই হবে নতুন জায়গায় গুলো আবার ভ্রমণ করার জন্য।
সিলেট সত্যিই এক অপার সৌন্দর্যের জায়গা।
আমি শাহজালালের মাজারে গিয়েছিলাম, সত্যিই দারুন জায়গা। মন কেমন যেন একটা পবিত্রতায় ভরে যায়।
সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আসলেই অতুলনীয়। কিন্তু শাহজালালের মাজারের সার্বিক অবস্থা দেখে আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে নি।