৩০০ ফিটে একদিন।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


কয়েকদিন হল ঢাকায় এসেছি। ঢাকায় এসেছি বিশেষ একটি কাজে। সেই কাজ নিয়েই গত কয়েকদিন ধরে ব্যস্ত রয়েছি। যার ফলে কোথাও তেমন একটা ঘুরতে যাওয়া হয়নি। কয়েকদিন ব্যস্ততার পর আজ আপু বলল চল সবাই মিলে কোন জায়গা থেকে ঘুরে আসি। চিন্তাভাবনা করছিলাম যে কোথায় যাওয়া যায়? শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হলো সন্ধ্যার পরে ৩০০ ফিটের দিকে যাবো ঘুরতে।

IMG_20220826_205547.jpg

সেখানে ঘোরাফেরা করে তারপর খাওয়া দাওয়া সেরে বাসায় ফিরে আসব। যদিও প্রথমে আমাদের বের হওয়ার কথা ছিল বিকালের দিকে। কিন্তু আপুর একটি কাজ থাকায় তার বাসায় ফিরতে দেরি হয়ে যায়। যার ফলে আমরা সবাই সন্ধ্যার পরে তৈরি হয়ে ৩০০ ফিটের দিকে রওনা দিই। দীর্ঘদিন হলো ওই দিকটাতে যাওয়া হয় না। কারণ ৩০০ ফিটের দিকে নির্মাণ কাজ চলার কারণে রাস্তাঘাটের অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। তবে এবার শুনতে পেয়েছিলাম যে রাস্তাঘাটের অবস্থা এখন ভালো হয়েছে। যদিও মাথায় চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল যে রাস্তার অবস্থা কি আসলেই ভালো হয়েছে কিনা। কারণ এর আগেরবার আমি আমার বন্ধুবান্ধব নিয়ে ৩০০ ফিটে গিয়েছিলাম। গিয়ে বিরাট বিপদে পড়েছিলাম। সেখানকার রাস্তাঘাটের অবস্থা ছিল ভয়াবহ খারাপ। যার ফলে আমাদেরকে পরে ফিরে আসতে হয়েছিল।

IMG_20220826_220454.jpg

কিন্তু এবার গিয়ে দেখলাম রাস্তাঘাটের অবস্থা সত্যি সত্যি অনেক উন্নত হয়েছে। সুপ্রশস্ত সুন্দর রাস্তা হয়ে গেছে সেখানে। তবে দীর্ঘদিন ওই দিকে না যাওয়ার কারণে আমরা প্রথমে ৩০০ ফিটের এলাকাটা চিনতে পারিনি। আমরা সেই এলাকা পার হয়ে আরো ছয়-সাত কিলোমিটার সামনে চলে গিয়েছিলাম। পরে গুগল ম্যাপের সাহায্যে আমরা আবার ৩০০ ফিটের দিকে ফিরে আসতে পেরেছিলাম। যদিও শুধু গুগল ম্যাপের সাহায্যে বলা ভুল হবে। স্থানীয় বেশি কিছু লোকজনের কাছ থেকে শুনে আমাদের সেখানে যেতে হয়েছিল।

IMG_20220826_210511.jpg

IMG_20220826_210519.jpg

যেহেতু আমাদের বাসা থেকে বের হতে বেশ দেরি হয়েছিল। তাই ৩০০ ফিটে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সবার ক্ষুদা লেগে গিয়েছিল। আমরা প্রথমে সেখানে নেমে চিন্তা করছিলাম কি খাওয়া যায়? পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো চাপরি ( এক ধরনের দেশীয় রুটি) আর হাঁসের মাংস খাওয়া হবে। যাই হোক সেখানে আমরা একটি রেস্টুরেন্টে বসে পড়লাম। রেস্টুরেন্ট বলতে আহামরি কিছু না। রাস্তার পাশে কোনরকম ঘিরে রাখা একটি জায়গায় বেশ কিছু চেয়ার টেবিল পেতে রাখা হয়েছে। আর তারই সামনে মাটির চুলায় রান্না হচ্ছে।

IMG_20220826_212934.jpg

IMG_20220826_212848.jpg

যদিও এই ধরনের খাবার খাওয়ার আমার খুব একটা অভিজ্ঞতা ছিল না। তাই কিছুটা চিন্তিত ছিলাম যে খেতে কেমন হবে। হাঁসের মাংসটা ছিলো খুবই সুস্বাদু। তেমনি রুটি জাতীয় ঐ খাবারটা খেতে অত্যন্ত মজাদার ছিলো।প্রথমে পরিকল্পনা ছিল হালকা কিছু খাব। কিন্তু খাবারটি এতই মজাদার ছিল যে খেতে খেতে সবাই পেট ভরে খেলাম। হাঁসের মাংস রুটি খাওয়া শেষ হলে আমরা চায়ের অর্ডার দিলাম। পাশেই একটি চায়ের দোকানে বিভিন্ন রকমের চা বিক্রি হচ্ছিলো। মালাই চা থেকে শুরু করে তান্দুরি চা সবই ছিল। আমরা মালাই চা এবং তান্দুরি চা দুই রকমের চায়ের অর্ডার করলাম।

IMG_20220826_214711.jpg

আমি নিয়েছিলাম তান্দুরি চা। আমার কাছে অবশ্য খেতে তেমন আহামরি কিছু মনে হয়নি। বলা যেতে পারে খুবই সাধারণ ছিলো চা টা। কিন্তু যারা মালাই চা খেয়েছে তারা সেটার অনেক প্রশংসা করল। কিন্তু মালাই চায়ের ভেতরে দুধের সর দেয়ার কারণে আমি সেটা খাইনি। যাইহোক খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে আমরা বেশ কিছুক্ষণ সেখানে ঘোরাফেরা করলাম। আজকে বেশ গরম পড়েছিল। তাই ঘোরাফেরার একপর্যায়ে আমরা আইসক্রিম খেলাম। গরমের ভেতর আইসক্রিম খেতে বেশ মজা লাগে। আইসক্রিম খাওয়া শেষ হলে আমরা আরো কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে তারপর বাসার দিকে রওনা দিলাম।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থান৩০০ ফিট

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

 2 years ago 

ভাইয়া আপনার ৩০০ ফিটের ভ্রমণ কাহিনী গুলো আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম। ভাইয়া হাঁসের মাংসের সাথে রুটি জাতীয় যে জিনিসটা খেয়েছিলেন ওইটার নাম জানার ইচ্ছেটা থেকেই গেল। পাশাপাশি তান্দুরি চায়ের নাম আপনার পোস্টটি পড়ে আমি প্রথম জানতে পারলাম তবে আমি মালাই চা খেতে খুবই পছন্দ করি।

 2 years ago 

রুটির মত ওই খাবারটির নাম তারা বলছিল চাপড়ি। আর দুধের সর থাকার জন্য মালাই চা আমি পছন্দ করি না।

 2 years ago 

আহ ভাই। খুব কাছে এসেছিলেন আমাদের। আমি খিলক্ষেত থাকি। প্রায়ই ৩০০ ফিট নীলা মার্কেট যাওয়া হয়। সেখানের হাসের মাংস দিয়ে চাপটি খেতে দারুণ লাগে। এই মটকা চা ও মজাই লাগে।

 2 years ago 

আগে জানলে তো আপনার সাথে দেখা করে আসতাম।

 2 years ago 

আপনিতো ঘুরতে যাওয়ার লোক ঘুরতে খুবই পছন্দ করেন। সেই মানুষ ব্যস্ততার কারণে ঘুরতে পারছেন না ঢাকায় এসেও শুনে খারাপ লাগল। আর এই যেখানে ঘুরতে গেছেন জায়গাটা খুবই সুন্দর আসলেই দেখে বোঝা যাচ্ছে। আর আপনি যে হাঁসের মাংস দিয়ে চাপটি খেয়েছেন খেতে খুবই মজার বোঝাই যাচ্ছে কেন হাঁসের মাংস দিয়ে এসব খাবার খেতে আমার ভালো লাগে।

 2 years ago 

খাবারটা খেতে খুবই চমৎকার ছিল। সময়টা বেশ উপভোগ করেছি।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59446.26
ETH 2613.63
USDT 1.00
SBD 2.41