বৃক্ষ মেলায় কিছুক্ষণ (দ্বিতীয় পর্ব)।
গতকালকে আপনাদের সাথে বৃক্ষ মেলায় যাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলাম। তবে গত কালকের পোস্টে খুব বেশি ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারিনি। আজ আপনাদের সাথে বৃক্ষমেলায় তোলা আমার ছবিগুলো শেয়ার করবো। গতকালকে পোস্টে আমি বলেছিলাম এবারের মেলায় বনসাই ওঠেনি। তবে আমি ভুল ভেবেছিলাম। বাসায় ফেরার পর জানতে পারলাম এবারের মেলায় বনসাই উঠেছে। হয়তো আমার নজর এড়িয়ে গিয়েছে।
মেলায় ঘটে যাওয়া একটি মজার ঘটনা শুনতে পেলাম। জানতে পারলাম এবারের মেলায় অত্যন্ত দামি কিছু বনসাই উঠেছিলো। সেগুলো কোন কোনটার দাম চাচ্ছিল এক লক্ষ আশি হাজার টাকা, ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, দেড় লাখ টাকা এমন। আমাদের শহরের এই বৃক্ষমেলায় প্রতিবারই বনসাই বিক্রি হয়। তবে সেগুলোর কোনটার দাম ২০-২৫ হাজার টাকার উপরে আগে দেখিনি। কিন্তু এবারের মেলায় বনসাইয়ের দাম এত চাওয়ায় বেশ কিছু ক্রেতা দোকানদারের সাথে নাকি খুব চিৎকার চেঁচামেচি করেছে। সেইসব ক্রেতাদের সাথে মেলায় আগত অন্য দর্শনার্থীরা যোগ দেয়ার ফলে। যে দোকানদার বনসাই এনেছিল তিনি সেগুলো তার দোকান থেকে সরিয়ে ফেলেন।
কিন্তু এটা আমি জানতাম না যে বনসাই দোকান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আমি শুনেছিলাম এবারের মেলায় অত্যন্ত মূল্যবান কিছু বনসাই এসেছে বিক্রির জন্য। তাই আমি সেগুলো দেখার জন্য আজকে আবার বৃক্ষ মেলায় গিয়েছিলাম। কিন্তু বৃক্ষ মেলায় গিয়ে আর সেগুলো দেখতে পাইনি। তখন জানতে পারলাম যে দোকানদার বনসাইগুলো এনেছিল তিনি ঝামেলা দেখে বনসাই গুলো দোকান থেকে সরিয়ে ফেলেছেন। তবে এবার বৃক্ষ মেলায় একটি জিনিস খেয়াল করে দেখলাম। বিভিন্ন রকমের গাছ উঠেছে মেলায়। যেগুলোর দাম আসলেই অনেক চড়া। অনেক দেশি প্রজাতির গাছ দেখলাম যেগুলোর গায়ে কয়েক হাজার টাকার দামের ট্যাগ লাগিয়ে রাখা হয়েছে। আগে মেলায় দেখা যেত শুধু বিদেশি ফলমূলের গাছের দাম বেশি হতো। কিন্তু এখন দেখি দেশিও অনেক গাছের গায়ে উচ্চমূল্য লেখা।
মেলায় গিয়ে আমার দেখা হয়েছিল এক পরিচিত লোকের সাথে। তিনি মেলায় এসেছেন ভিয়েতনাম জাতের নারিকেল গাছের চারা কিনতে। তিনি আমাকে অনুরোধ করলেন তার সাথে থাকতে দরদাম করতে সাহায্য করার জন্য। আমিও আনন্দে রাজি হয়ে গেলাম। একটি দোকানে চারটি ভিয়েতনামি জাতের নারকেল গাছের চারা দেখতে পেলাম। সেগুলোর প্রত্যেকটির গায়ে তিন হাজার টাকা দাম লেখা রয়েছে। আমরা দোকানদারের সাথে দরদাম করলাম। তখন দোকানদার জানালো আপনাদেরকে সর্বোচ্চ ২০ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট দেয়া যাবে। এর থেকে কমে গাছ বিক্রি করা সম্ভব না। আমরা তখন তাকে বললাম ঠিক আছে আমরা আরো কিছু স্টল দেখি। কিন্তু পাশের স্টলে একই জাতের চারা দেখতে পেলাম। সেগুলোর দাম ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত দেখে আমরা অবাক হয়ে গেলাম। সেই স্টলে দরদাম ঠিক হওয়ার পর আমি চলে এসেছিলাম।
আমি জানিনা সেই লোক গাছগুলো শেষ পর্যন্ত নিয়েছে কিনা। পরবর্তীতে কখনো দেখা হলে তার কাছ থেকে জেনে নেবো। মেলায় দেখতে পেলাম বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর গাছ এসেছে। যেগুলোর বেশিরভাগের নামই আমি জানিনা। তারপরও আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আমি তার ভিতরে বেশ কিছু গাছের ছবি তুলেছি। নিচে সেই ছবিগুলো দিয়ে দিলাম আপনাদের সুবিধার্থে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | রাজেন্দ্র কলেজ মাঠ |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া বর্ষা ঋতুতেই বৃক্ষ মেলা প্রতিবছর আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে বসে থাকে। আপনার পোস্টে বৃক্ষ মেলার বিভিন্ন বৃক্ষের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। তবে বিভিন্ন বৃক্ষের মূল্য দেখছি অত্যন্ত বেশি।
আমার মনে হয় বাংলাদেশের বেশিরভাগ জেলা শহরেই বর্ষাকালে বৃক্ষ মেলা হয়। এটা সম্ভবত জেলা প্রশাসন থেকে আয়োজন করা হয়।
যে জেরকম পারে সেরকম ভাবে গাছে দাম চাচ্ছে,একই জিনিস অথচ দোকান ভেদে দামের পার্থক্য বিশাল।
আর বনসাই টা কি ভাই?এইটা তো ঠিক বুঝলাম না আর এর আগে কখনো শুনিও নি😐
বনসাই হচ্ছে গাছকে ছোট করে রাখার এক ধরনের আর্ট। ধরুন আপনার ড্রয়িং রুমে ছোট্ট একটি টবে একটি বটগাছ থাকবে। বিভিন্ন গাছের বনসাই হয়।
ওহহ আচ্ছা,এবার বুঝলাম😮
বৃক্ষ মেল ায় আপনার শেয়ার করার বিভিন্ন ফটোগ্রাফ গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ।আসলে অনেক জাতের প্রদর্শনী হয়েছে এ বৃক্ষ মেলায়। বনসাই এর এত দাম তা আমার আগে জানা ছিল না।
বনসাই আসলেই বেশ দামী গাছ। তবে এবার যে দাম শুনেছি তা রীতিমতো অবাক করার মতো।
আমাদের এদিকেও বিরাট বড় করে বৃক্ষ মেলা হচ্ছে। তবে সময় করে যাওয়া হচ্ছে না। ভাই আপনার বৃক্ষ মেলা ভ্রমণ দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর সুন্দর বৃক্ষ এবং বেশ দামি বৃক্ষ পাওয়া যাচ্ছে। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। এই চমৎকার ফটোগ্রাফির সাথে খুব সুন্দর করে পোস্টটি লিখেছেন। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এবং অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া সব কিছুই বুঝলাম কিন্তু বনসাইটা কি আমি সেটাই বুঝলাম না। এবং কি দোকানদার ব্যক্তি শরীয়ে নিয়েছে ঝামেলার কারণে। আপনি দেখতে পাননি। তবে বৃক্ষমেলার বৃক্ষের দাম দেখে আমার চোখ কপালে উঠে গেল। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ছিল অসাধারণ। আমাদের মাঝে আপনার অনুমতি গুলোর সাথে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
আপনাদের এলাকায় কখনো বৃক্ষ মেলা হলে সেখানে বনসাই দেখতে পাবেন। একটু খুঁজে নিতে হবে শুধু।
গাছ লাগাতে আমার খুব ভালো লাগে এটা আমার এক ধরনের শখের মধ্যে পড়ে। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত এখন পযর্ন্ত কোন বৃক্ষ মেলায় যাওয়া হয়নি। বনসাই এর দাম এত আগে কখনো শুনি নি শুনে খুব অবাক হলাম। ভাইয়া আপনার ছবি দেখে বেশকিছু নতুন গাছের সাথে পরিচিত হলাম যেমন সাদা জাম আমি কখনো দেখিনি এই গাছের নাম আমি আজকে শুনলাম। আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
সাদা জাম আমিও আগে কখনো দেখিনি। এবারই প্রথম দেখলাম।
আমি ঢাকার বনসাই গুলো দেখেছিলাম,অনেক দাম।কিনতে তো পারবো না,তাই সেলফি তোলে এসেছি😉।ছবিগুলো বেশ সুন্দর। ভালো ছিলো। ধন্যবাদ
বনসাই আসলেই অনেক দামি হয়। তবে মফস্বল শহর বলে এক লক্ষ ৭০-৮০ হাজার টাকা দাম শুনে কিছু অতি উৎসাহিক ক্রেতা হৈচৈ লাগিয়ে দিয়েছিলো।
আমাদের সিরাজগঞ্জে বৃক্ষ মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। আসলে বৃক্ষমেলার কারণে আমদের গাছ লাগানোর উৎসাহ বেড়ে যাচ্ছে। এটা সত্যি আমাদের পরিবেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যোগ। এই আয়োজনে কারণে আমরা সকলেই বৃক্ষ মেলা থেকে গাছ কিনতে উৎসাহ পাচ্ছি। আর বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে তাহলে আমাদের পরিবেশটা ভালো হবে। আজকে আপনার বৃক্ষমেলার ফটোগ্রাফি গুলা দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।
ঠিকই বলেছেন বৃক্ষমেলার কারণে অনেকেই উৎসাহে গাছ কিনছে। এমন অনেক মানুষ আছে যারা সাধারণত গাছ লাগায় না। কিন্তু বৃক্ষ মেলায় গেলে তারাও দু'চারটে গাছ নিয়ে বাড়ি ফিরছে।
বৃক্ষ মেলা ভ্রমণ করে আপনার অনুভূতি সহ খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বৃক্ষের খুবই ভালো লাগলো দেখে অবাক হলাম আপনার একটা কথা শুনে এক দেড় লাখ একটা বনসায়ের দাম 💸🤔🤔
এতটা দাম শুনে আমিও অবাক হয়েছি।