দীর্ঘদিন পর গ্রামীন পরিবেশে বুক ভরে নিঃশ্বাস নেয়া। ১০% সাইফক্স।
দীর্ঘদিন ঘরে বন্দী থাকার পর ইদানিং বাইরে আবার ঘোরাফেরা শুরু করেছি। আমার মত ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য এত দীর্ঘ সময় ঘরে থাকাটা খুবই কষ্টকর ছিলো। যদিও এখনও আমি পুরোপুরি সুস্থ হইনি। তারপরেও এই অবস্থাতেও আর ঘরে বসে থাকতে ইচ্ছা করছে না। পায়ে কিছুটা সমস্যা থাকা অবস্থাতেও আমি এই জন্য ঠিক করেছি এখন থেকে যতটুকু পারি ঘোরাফেরা শুরু করবো।
কারণ বাইরে ঘোরাফেরা করলে শরীরের সাথে মনটাও ভালো থাকে। তাছাড়া আমার বন্ধু বারবার তাড়া দিচ্ছিল যে আমি কবে সুস্থ হবো আর দুজন আগের মত একসাথে ঘুরাফেরা করতে পারবো। সেজন্যই আমি গতকাল আমার বন্ধুকে ফোন দিয়েছিলাম ঘুরতে যাওয়ার জন্য। সে আমাকে জানালো তার একটি ব্যক্তিগত কাজ আছে। যদি সেই কাজ থেকে সময় বের করতে পারে তাহলে দুজনে ঘুরতে যাবো। পরিকল্পনা ফাইনাল হয়ে গেলো।
আজ আমি দুপুরের কিছুক্ষণ পরে আমার বন্ধুকে ফোন দিলাম ঘুরতে যাওয়ার জন্য। সে বলল ঠিক আছে চলে আসো। আমি যথারীতি সময়মতো উপস্থিত হলাম। তারপর শুরু হল আমাদের ভ্রমণ পর্ব। প্রথমে আমি আমার বন্ধুকে বলেছিলাম চলো আমরা পদ্মার পাড় থেকে ঘুরে আসি। দীর্ঘদিন আমার প্রিয় জায়গাতে যাওয়া হয়না। ও আমাকে জানালো পদ্মার পাড়ে এই সময়ে প্রচন্ড রোদ আর ধুলাবালিতে ঢাকা। সেখানে গিয়ে আমাদের ভালো লাগবে না। তাই আমরা আর সে দিকে যাইনি।
আমরা একটি প্রায় অচেনা গ্রামের দিকে রওনা দিলাম। এই গ্রামে আমাদের আগে আসার তেমন একটা অভিজ্ঞতা নেই। হয়তো অনেকদিন আগে দু-একবার আসা হয়েছে। কিন্তু সেখানকার রাস্তাঘাট সম্বন্ধে আমাদের খুব একটা ভাল ধারণা নেই। সেই গ্রামীণ নিরিবিলি রাস্তা দিয়ে বন্ধূর মোটরসাইকেলে করে আমরা যাচ্ছিলাম। রাস্তার দু'পাশে আদিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ সবুজ ফসলে ছেয়ে আছে। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। শহরের কোলাহল থেকে এই কোলাহলমুক্ত গ্রামীণ পরিবেশ আর বিশুদ্ধ বাতাস মনটাকে মুহূর্তেই চাঙ্গা করে দেয়।
দুই বন্ধু মোটরসাইকেলে করে ঘুরছিলাম আর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করছিলাম। আর ঘোরার ফাঁকে ফাঁকে আমি কিছু ছবিও তুলেছিলাম। সবুজ ফসলের মাঠ আমার কাছে সবসময় ভালো লাগে। যদিও আমাদের আজ বের হতে কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছিলো। সেই জন্য আমরা খুব বেশীক্ষণ ঘুরতে পারিনি। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে আমরা ফিরতি পথ ধরলাম। এর ভিতরে আমাদের ইচ্ছা ছিল গ্রামের কোন বাজারে থেমে সেখান থেকে হালকা কিছু খেয়ে নেবো। কিন্তু মন মত তেমন কিছু না পেয়ে আমরা ঠিক করলাম শহরে পৌঁছে কিছু খাবো। কারণ ঘোরাফেরার সাথে খাওয়া দাওয়া না হলে ভ্রমণটা পূর্ণতা পায় না।
প্রথমে আমরা ঠিক করেছিলাম কাবাব খেতে যাবো। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পথে হঠাৎ করে একটি ছোট্ট হোটেল দেখতে পেলাম। এই হোটেলটি আমাদের খুব পছন্দের একটি জায়গা। যদিও হোটেলটি খুবই সাধারণ। কিন্তু এখানে বিকালের দিকে লুচি আলুর দম পাওয়া যায়। যেটা আমাদের শহরে অন্য কোনো রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায় না। এখানকার লুচি আর আলুর দম খুবই বিখ্যাত। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছেলেমেয়েরা আসে এখানে খেতে।
এখানকার লুচির সাইজ একেবারে ছোট ছোট কিন্তু খেতে খুবই মজা। সাথে আছে আমার অত্যন্ত পছন্দের আলুর দম আর মিষ্টি। দুই বন্ধু মিলে আলুর দম আর বেশ কিছু লুচি সাবাড় করলাম। সাথে ছিল নরম তুলতুলে মিষ্টি। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি গেলাম নামাজ পড়তে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক, লিংক |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আসলে ভাইয়া দীর্ঘদিন পর গ্রামে পরিবেশের অপরূপ সৌন্দর্যময় প্রকৃতির মধ্যে ভ্রমণ করতে পেরে সবারই ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন। বিশেষ করে আপনার বন্ধুকে সাথে নিয়ে পদ্মার পাড়ে ভ্রমণের সুন্দর পরামর্শের নিয়েছিলেন, কিন্তু পদ্মাপারে এখন রোদ ও ধুলাবালি থাকার কারণে একটি অচেনা গ্রামের সুন্দর প্রকৃতি ও পরিবেশের মধ্যে ভ্রমাণ করলেন। সত্যিই গ্রামের এই সুন্দর পরিবেশ আমার খুবই ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
এই ধরনের পরিবেশ আমার সবসময়ই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই বাহিরে ঘোরাফেরা করলে আমাদের শরীর এবং মন দুটোই অনেক বেশী ভাল থাকেন। আর আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো ভাই যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। দুই বন্ধু মিলে খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন তা এর ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পেরেছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার এই সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার চমৎকার মন্ত্যবের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে আপনার অসুস্থতার কথা শুনে প্রথমে অনেক খারাপ লেগেছিল। তবে ভালো লাগতেছে যে এখন আপনি সুস্থ হয়েছেন। এর আগে একটা পোস্টে দেখেছিলাম যে আপনি ঘুরতে বেরিয়েছেন। এবারও এক বন্ধুর সাথে ঘুরতে বেরিয়েছেন অচেনা এক গ্রামে। সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। আসলে বাহিরের প্রকৃতির মায়া ভোলা অসম্ভব। যারা আমরা প্রকৃতিপ্রেমী তারা আসলে ঘরের ভিতরে বন্দী থাকতে পারিনা। বন্ধুর সাথে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই রকম সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
এভাবে ঘোরাঘুরি করা আমার অনেক পুরনো অভ্যাস। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন। জাস্ট দারুন লাগলো, এমন পরিবেশ পছন্দ করে না এমন মানুষ অনেক কমই আছে। যাক অনেক দিন ঘর থেকে বের হলেন। শুনে ভালো লাগলো যে শরির টা এখন সুস্থ। ধন্যবাদ ভাইয়া
গ্রামের দৃশ্য গুলো এতো সুন্দর যে দেখলেই ছবি তুলতে ইচ্ছা করে। ধন্যবাদ আপু।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া। আপনি তো আজকে বন্ধুর সাথে গ্রামীন পরিবেশে বুক ভরে নিঃশ্বাস নেয়ার মহূর্তের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
কোলাহল মুক্ত গ্রামিন পরিবেশ আমার কাছে আগাগোড়াই ভালো লাগে। বিশেষ করে আদিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ । ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন আপনি। এরকম একটু শান্তির নিশ্বাস নেওয়ার জন্যই আমি কিন্তু গ্রামের বাসায় চলে এসেছি, একদম ঈদ করে তবে ঢাকায় ফিরব।
তাহলে তো বলতে হয় আপনার ঈদ শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু বন্ধুদের সাথে আড্ডা আর মজা করা।
তা একদিক থেকে বলতে পারেন ভাই, কিছু দিন একটু গ্রামের পরিবেশে থাকি, মন টা শান্ত করি।
গ্রামীন পরিবেশে ঘুরতে আমারো ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে এই সময়ে রাস্তাঘাটের প্রচন্ড ধুলাবালি থেকে গ্রামীণ সবুজ প্রকৃতির মাঝে ধুলাবালি মুক্ত পরিষ্কার বাতাসে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। কিছুদিন পর অবশ্য এই পরিবেশ আর থাকবে না। তাই যতটা সম্ভব এখনই ঘুরে নেয়া উচিত।
তৈরি থেকো আগামী কিছুদিন এভাবেই ঘুরে বেড়াবো । তোমার সাথে ঘোরার মজাই আলাদা।