ঢাকায় আমার ফুড ট্যুর (শেষ পর্ব)।
আমি চিকেন চাপ, বটি কাবাব আর পরোটা অর্ডার করলাম। আর সাথে ড্রিংস হিসাবে নিলাম মাউন্টেন ডিউ। আমি এখন এই ধরনের ড্রিঙ্কস খাওয়া অনেকটা কমিয়ে দিয়েছি। যাইহোক অর্ডার দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বসে ছিলাম। তারপরও দেখি খাবার আসার কোন নাম গন্ধ নেই। আসলে রেস্টুরেন্টটাতে এতো বেশি ভিড় ছিলো যে তাদের খাবার পরিবেশন করতে বেশ অনেকটা সময় লাগছিলো। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পর প্রথমে আমার সামনে চলে এলো বটি কাবাব এবং পরোটা। আর সাথে বিসমিল্লাহ কাবাব হাউজের বিখ্যাত সালাদ। খাবার পরিবেশন করতেই আমি আগ্রহ নিয়ে খাওয়া শুরু করলাম। বরাবরের মতো এবারও খাবারের ছবি তুলতে আমি ভুলে গিয়েছিলাম।
খাবারটা আমার কাছে এতো বেশি মজা লাগছিলো যে অল্প সময়েই সেটা শেষ করে ফেললাম। এদিকে খাওয়া শেষ করে বসে আছি কিন্তু তখন পর্যন্ত চিকেন চাপের কোনো খবর নেই। এর ভেতরে ওয়েটার এসে আমাকে জানালো আর একটু অপেক্ষা করতে হবে। গরম গরম চিকেন চাপ ভাজা হচ্ছে। তার কিছুক্ষণ পরই আমার টেবিলে চলে এলো একেবারে আগুন গরম একটা চিকেন চাপ। চিকেন চাপটার সাইজ ছিলো বেশ বড়ো। আর চাপটা ভাজা হলেও ভেতরে বেশ সফট ছিলো মাংসটা। খেতেও দারুন সাদ ছিলো। তবে অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণে আমি খেতে পারছিলাম না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর আবার আমি চিকেন চাপ খেতে শুরু করলাম। যদিও বটি কাবাব খেয়ে আমার পেট বেশ খানিকটা ভরে গিয়েছিলো। কারণ বটি কাবাবের সাথে আমি দুটো পরোটাও খেয়েছিলাম।
তবে মনে হচ্ছিলো চিকেন চাপটা আগে খেলে বেশি ভালো হোতো। যাই হোক আমি ধীরে সুস্থে সময় নিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম। বিসমিল্লাহ কাবাব হাউজে অবশ্য আরো নানা ধরনের কাবাব ছিলো। তবে আমি এই দুটো আইটেম খাওয়ার জন্যই সেখানে গিয়েছিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ হতেই আমি বিল মিটিয়ে সামনের দিকে আগাতে লাগলাম। কারণ আমি যতবারই পুরান ঢাকায় গিয়েছি ততোবারই বিউটির লাস্যি থেকে লেবুর শরবত বা লাচ্ছি না খেয়ে ফিরি নাই। বিসমিল্লাহ কাবাব হাউস থেকে বের হয়ে কিছুদূর হাঁটলেই বিউটির লাস্যির দোকান। সেখানে গিয়ে আমি একটা লেবুর শরবত খেয়ে তারপর বাসার দিকে রওনা দিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
মজার মজার সব খাবার সামনে চলে এলে অনেক সময় ছবি তুলতে আমরা ভুলে যাই। আর খাবার গুলো বেশ ভালো ছিল জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। ফেরার সময় বিউটির লাস্যি দোকানে গিয়ে লেবুর শরবত খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
সেখানকার কাবাব গুলো আসলেই দারুন ছিলো খেতে আপু। কখনো পুরাতন ঢাকায় গেলে বিসমিল্লাহ কাবাব থেকে কাবাব খেয়ে দেখবেন। আশা করি ভালো লাগবে।
আসলে নাজিরা বাজারের দিকে বেশ কিছু নামকরা খাবার পাওয়া যায়। যাইহোক পরবর্তীতে লালবাগ কেল্লা বা আহসান মঞ্জিলের দিকে ঘুরতে গেলে, অবশ্যই বিসমিল্লাহ কাবাব ঘরে গিয়ে কাবাব খাবো ইনশাআল্লাহ। বটি কাবাব আমার ভীষণ পছন্দ। বিসমিল্লাহ কাবাব ঘরে গিয়ে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নাজিরা বাজারে যে কি পরিমান রেস্টুরেন্ট রয়েছে সেটা না গেলে বিশ্বাস করা মুশকিল। পুরো এলাকা জুড়ে রয়েছে নানা রকম বিরিয়ানি আর কাবাব এর দোকান। আর ওই এলাকার লোকজনও দারুণ ভোজন রসিক। চিন্তা করে দেখুন তারা সকালের নাস্তা তেও বিরিয়ানি খায়। কিরকম ভোজন রসিক হলে মানুষ সকালে বিরিয়ানি খেতে পারে সেটা চিন্তা করতে পারেন?
হ্যাঁ ভাই পুরান ঢাকার মানুষজন ভীষণ ভোজন রসিক। আমি যতটুকু দেখেছি, তাদের মধ্যে আলাদা একটা ভাব রয়েছে। আমার ফুফাতো বোনের হাসবেন্ড পুরান ঢাকার স্থানীয়। তারা যে কি পরিমাণে বিরিয়ানি খায়,সেটা দেখলে অবাক হয়ে যাই। বিরিয়ানি এতো খাওয়ার পরেও,তাদের অভক্তি আসে না। আর আমি তো এক প্লেট বিরিয়ানি খেলেই অভক্তি চলে আসে। তাছাড়া তারা চা দিয়ে বাখরখানি খেতেও খুব পছন্দ করে।