শীতের সকালে হাতিরঝিলের চমৎকার পরিবেশে হাঁটাহাঁটি করা।
গতকাল আমি আবার ঢাকায় ফিরেছি। ঢাকায় এসেছি জরুরি একটি কাজ নিয়ে। আজ সকালে সেই কাজের জন্য আমাকে গুলশান পুলিশ প্লাজায় যেতে হয়েছিলো। যাওয়ার সময় আমি হাতিরঝিলে গিয়ে সেখান থেকে ওয়াটার বাসে করে পুলিশ প্লাজায় গিয়েছিলাম। কারণ ওয়াটার বাসে করে পুলিশ প্লাজায় যেতে খুবই অল্প সময় লাগে। সকালে আমি যখন হাতিরঝিল পৌছে টিকিট কেটে ওয়াটার বাসে উঠে বসলাম। তার অল্প কিছুক্ষণ পরেই ওয়াটার বাসটি ছেড়ে দিল। ছাড়ার পরে আমার পুলিশ প্লাজায় পৌঁছতে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট মত লেগেছিল।
যাই হোক পুলিশ প্লাজায় পৌঁছে আমার কাজটি শেষ করে যখন আমি পুলিশ প্লাজা থেকে বের হলাম। তখন চিন্তা করছিলাম এখন কোথায় যাব। কারণ আজ আমার আর তেমন কোন কাজ নেই কমিউনিটির কাজ ছাড়া। তাছাড়া আপনারা যারা আমার পোস্ট পড়েন। তারা জানেন আমি প্রতিদিন সকালে উঠে এখন হাটাহাটি করি। তবে আজ সকালে আর হাটাহাটি করা হয়নি। তাই চিন্তা করছিলাম এখন যদি আমি পুলিশ প্লাজা থেকে হেঁটে বনশ্রী যাই। তাহলে আমার সকালে হাটার কাজটা হয়ে যাবে। তবে সাথে এটাও চিন্তা করছিলাম যে এতখানি পথ হেঁটে যেতে পারব কিনা।
তবে যেহেতু আমার হাঁটাহাঁটি করার বেশ ভালোই অভ্যাস রয়েছে। তাই মনে সাহস সঞ্চয় করে হেঁটেই বনশ্রী দিকে রওনা দিলাম। উদ্দেশ্য ছিল সকালে হাটাটা এখন পুষিয়ে নেয়া। আমি যখন পুলিশ প্লাজা থেকে বনশ্রীর উদ্দেশ্যে রওনা দিই তখন প্রায় এগারোটা মত বাজে। এখন ঢাকা শহরে পুরোপুরি শীত না পড়লেও হালকা শীতের আমেজ টের পাওয়া যাচ্ছিল। গরমের দিন হলে এই বেলা ১১ টার সময় এতটা পথ হাঁটার সাহস করতাম না। কিন্তু শীতের দিনের সবচাইতে বড় একটা সুবিধা হচ্ছে শীতের দিনে আপনি যতই হাঁটাহাঁটি করেন খুব বেশি ক্লান্ত হবেন না। তাছাড়া শীতের দিনে হাঁটতে বেশ মজাই লাগে।
আমিও যখন হাঁটতে শুরু করলাম তখন আমার কাছেও বেশ ভালো লাগছিলো। আমি হাঁটছিলাম আর যখনই যে দৃশ্যটা চোখে ভালো লাগছিল সেটার ছবি তুলছিলাম। যদিও হাটাহাটি করার নিয়ম হচ্ছে আপনাকে না থেমে দ্রুত হাটতে হবে। এদিক থেকে চিন্তা করলে আমার সকালের হাঁটাহাঁটি টা শরীরের জন্য খুব একটা ভালো হয়নি। কারন আমি মাঝে মাঝে ছবি তোলার জন্য থেমেছি।
আপনারা জানেন হাতিরঝিল জায়গাটি আমার কাছে খুবই পছন্দের একটি জায়গা। আর সকালের চমৎকার আবহাওয়ায় জায়গাটি আরো সুন্দর লাগছিল। যা দেখছিলাম সেটাই ভালো লাগছিলো। এজন্য আমি অনেকগুলো ছবি তুলেছি সেখানকার। এভাবে করে যখন আমি হাঁটতে হাঁটতে বনশ্রী পৌঁছালাম ততক্ষণে প্রায় পৌনে বারোটা বেজে গিয়েছে। সকালের ব্যায়াম করার ঘাটতিটা পুষিয়ে নিতে পারায় বেশ ভালো লাগছিলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | হাতিরঝিল |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া আপনি তো দেখি আমার ভাবনা জায়গাটা নিয়ে পোস্ট করে ফেললেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ ভাবছিলাম। যেহেতু হাতিরঝিলের উপর দিয়ে অফিসে যাই তাই হাতিরঝিলের কিছু ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যাক, ঢাকা শহরের
মধ্যে হাতিরঝিল একটি যথা উপযুক্ত জায়গা। যেখানে প্রাতভ্রমন করা যায়। আর সকালের হাতিরঝিল যেন বাংলার অপর প্রকৃতি। সুন্দর ছিল আপনার ফটোগ্রাফি।
নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ভাইয়া আপনি প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি করেন জেনে ভালো লাগলো। আর হ্যাঁ শীতকালে হাঁটা এবং গরম কালে হাঁটার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। গরমের সময় এই এগারোটার সময় যদি আপনি হাঁটতেন তাহলে আপনার অবস্থা পুরো খারাপ হয়ে যেত। কিন্তু যেহেতু হালকা হালকা শীতের আমেজ পাচ্ছিলেন তার জন্য তেমন কোন প্রবলেম হয়নি হয়তো। আর হ্যাঁ হাঁটাহাঁটি সাথে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
হাতির ঝিল যায়গাটা আসলেই বেশ সুন্দর। আগে নিয়মিত যাওয়া হতো আমার। তবে এখন আর ঐদিক যাওয়া হয়না। তবে রয়ে গেছে অনেক স্মৃতি। আমাদের র্যাগ ডে আমরা হাতির ঝিলেই করেছিলাম। ওয়াটার বাসে উঠিনি। তবে সেখানে যে ছোট ছোট প্যাডেল বোট পাওয়া যায় ভাড়ায় সেগুলোয় উঠেছিলাম একবার।
ভাইয়া সকালে হাঁটাহাঁটি করা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।আপনি ১১ টায় হেঁটে গেলেন, গরম হলে সত্যি ই পারতেন না। হালকা ঠান্ডা তাই খারাপ লাগেনি।সাথে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ও আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এজন্য অনেক ধন্যবাদ। আমার হাতিরঝিল এখনও যাওয়া হয়নি। প্রকৃতি আমার খুব ভাল লাগে। একদিন ঘুরে আসব দেখি। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক বেশি ভাল থাকবেন আশাকরি। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সত্যিই শীতের দিনে যত খুশি হাঁটা যায়। কোন কষ্ট নেই।ঘাম হয় না, রোদের তেজ থাকে না। দারুন মনোরম লাগে। আর আপনি যে জায়গাগুলোতে গেছেন সেগুলোতে অতটা ভিড় নেই। এই কারণে হাঁটার সময় আরো ভালো লাগছে নিরিবিলি পরিবেশ। আর চিত্রকর তো দুর্দান্ত ছবি এঁকেছেন দেখছি।
আবার ঢাকা!!! তোমাকে ফরিদপুর কে আসতে বলে বুঝিনা। ফ্যামিলি নিয়ে ঢাকা স্থায়ী হয়ে যাও না কেন। হাতির ঝিল হাটাহাটির জন্য খুব ভালো একটা জায়গা। আমি একবার প্রায় অর্ধেক ঝিল পায়ে হেটে চক্কর দিয়েছিলাম।