বিক্ষিপ্ত মনের এলোমেলো চিন্তাভাবনা।
যখনই আমাদের জীবনে কোন আঘাত আসে। তখন স্বাভাবিক জীবন যাপনের ছন্দপতন ঘটে। তখন আমরা জীবনটাকে একটু ভিন্ন ভাবে দেখার চেষ্টা করি। জীবনের যে বিষয়গুলো নিয়ে কখনোই আমরা খুব একটা চিন্তাভাবনা করতে চাই না। তখন সে চিন্তাগুলো মাথায় আসে। তখন জীবনের অর্থ খোঁজার চেষ্টা চালাই। এটা সবার ক্ষেত্রে হয় কিনা সেটা আমি বলতে পারবোনা। তবে আমার ক্ষেত্রে প্রায়ই হয়। তবে পরিস্থিতি আবার যখন স্বাভাবিক হয়ে আসে। তখন আমরা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাই। তখন আর কোন গভীর বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে ইচ্ছা করে না। তখন আমরা আমাদের জীবনের বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যস্ত হয়ে পড়ি।
এভাবেই মানুষের জীবন চলতে থাকে। এভাবেই চলতে চলতে একসময় মানুষের জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। ভয়াবহ একটি সময় পার করছি। যার ফলে বিভিন্ন রকম চিন্তা ভাবনা মাথার ভেতরে এসে ভিড় করছে। চাইলেও সেগুলো এড়িয়ে থাকতে পারছি না। বিশেষ করে যখন একাকী সময় কাটায় তখন এই সমস্যাটা বেশি হয়। এই যে মানুষের দুই রকম সত্তা নিয়ে জীবন যাপন। এটা এক অবাক করা বিষয়। একই মানুষের ভেতর দুইটি সত্তা। যখন সে বিপদে পড়ছে তখন তার একটি সত্তা বেশি সক্রিয় হয়ে উঠছে। আবার যখন বিপদ কেটে যাচ্ছে তখন তার অন্য একটি সত্তা জেগে উঠছে।
এই দ্বৈত সত্তা নিয়ে চলতে চলতে আমি রীতিমতো হাঁপিয়ে উঠেছি। কখনো মনে হয় আমার একটি সত্তা যা বলছে সেটি সঠিক। আবার কখনো মনে হয় অন্য আরেকটি সত্তা যা বলছে সেটাই ভালো। খেয়াল করে দেখবেন অনেক সময় মানুষের ব্যাপারে আমরা যে চিন্তা-ভাবনা করি। একটা সময় গিয়ে দেখা যায় তিনি আসলে তেমনটা নন। একটি উদাহরণ দিয়ে বলি। ধরুন আপনি একজন মানুষকে খুব খারাপ জানেন। কিন্তু ভালোমতো খোঁজখবর নিলে দেখতে পারবেন সেই মানুষটি এমন একটা কাজ করছে। যে কাজটি আপনার কাছে খুবই ভালো লাগবে।
তেমনি আবার আপনি ধরেন কোন একটি মানুষকে খুবই পছন্দ করেন। তাকে অত্যন্ত ভালো মানুষ হিসেবে জানেন। ভালোমতো খোঁজখবর নিলে দেখতে পাবেন সেই মানুষের ভেতরে এক অন্ধকার জগতের বসবাস। এই যে প্রতিটি মানুষের দ্বৈত সত্তা নিয়ে বেঁচে থাকা। এ এক অদ্ভুত খেলা। এই খেলার নিয়ন্ত্রক কে সেটা আমি জানিনা। হয়তো মানুষের অবচেতন মন এই খেলাটার নিয়ন্ত্রণ করে। আবার কখনো মনে হয় হয়তো অন্য কেউ মানুষের এই দ্বৈত সত্তা নিয়ন্ত্রণ করে। মানুষের জীবনের উপর তার কখনোই পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকেনা। তার জীবনের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই সৃষ্টিকর্তা নির্ধারিত।
অবশ্য যার সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে না তারা হয়তো আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করবেন। তবে আমি যেটা বিশ্বাস করি সেটাই বললাম। দ্বৈত সত্তার দোলা চালে থাকা এই জীবনটা কোন পথে এগিয়ে নিয়ে যাব। সেটা নিয়েই চিন্তা ভাবনা করছি। কিন্তু কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারছি না। তবে এটা বুঝতে পারছি যদি একবার সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি। তাহলে হয়তো জীবনের একটা অর্থ দাঁড়াবে। নইলে এভাবে সন্দেহের দোলা চালে জীবনটা একসময় শেষ হয়ে যাবে। জীবনটাকে কোন একটি নির্দিষ্ট পথে এগিয়ে নিতে পারব না। কিন্তু জীবনে কোন কিছু অর্জন করতে হলে। নির্দিষ্ট একটি পথ নির্ধারণ করা জরুরি। কিন্তু নিজের মনের ভেতরে দ্বৈত সত্তার কারণে সেই পথটা নির্ধারণ করতে পারছি না।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাই আপনি অতি সুন্দর গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক তুলে ধরেছেন ৷ এটা সত্যি যে আমাদের জীবনে যখনি কোনো কোনো ঘটনা আঘাত দেয় ৷ঠিক তখনি স্বাভাবিক জীবনটা নষ্ট হয়ে যায় ৷ আর তখন জীবনটা অনেক তিক্ত ঠিক এমনটা মনে হয় ৷ আসলে জীবন মানেই এরকম ৷
খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন,বেশ বুঝতে পারছি।।তবে ভাইয়া আপনি একা নন আমরাও। একজন মানুষের ভেতর দুই সত্তা বাস করে। এই নিয়ে একদিন আবার ফিরে যেতে হবে সৃষ্টিকর্তার কাছে।এই দৈত সত্তার কারনে সত্যি মনকে স্থির করা কঠিন।আল্লাহ আপনার মনটাকে স্থির করে সবকিছু সুন্দর করে করার তৌফিক দান করুন এটাই কামনা করি।
ভাইয়া আজ আপনার যে গল্পটি পড়লাম তা সম্পূর্ণই বাস্তবিক একটি গল্প। আমরা আসরে কিসের মধ্যে যে আছি। তা বুঝতে অনেক কষ্ট হয়। নিজেকে কোথায় নিয়ে দাড়ঁ করাবো তাও ভাবী মাঝে মাঝে। কার ভিতর যে কি আছে সেটা যেমন বুঝাটা মুশকিল। তেমনি কাকে আপন করবো সেটাও বুঝা মুশকিল। তবে সবকিছুরই শেষ আছে। ধৈর্য্য ধরেন ভাই। সব ঠিক হয়ে যাবে।