হাক্কা ঢাকায় খাওয়ার অভিজ্ঞতা।
আজ সকাল বেলা উঠেই আমাকে কাজে যেতে হয়েছিল শান্তিনগরে। প্রতিদিন আমার সাথে আমার আম্মাও যায় সেখানে। তবে আজ আম্মার শরীর কিছুটা অসুস্থ থাকায় আমাকে একাই যেতে হয়েছিল। সেখানে আমাদের নির্মাণ কাজ চলছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত সেখানে কোনো না কোনো কারণে আমাদের প্রয়োজন হয়। তাই প্রতিদিনই সেখানে যেতে হয় কাজ জন্য দেখাশোনার জন্য। অন্যান্য দিনের মতো আজও সকালে বাসা থেকে বের হয়ে মোটামুটি অল্প সময়ের ভেতরে সেখানে পৌছালাম। পরে সেখানে পৌঁছে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে থাকতে একসময় দুপুর হয়ে গেলো।
সকালে বাসা থেকে নাস্তা করে বের হয়েছি এর ভেতরে আর কিছু খাওয়া হয়নি। যার ফলে পেটের ক্ষুধাটা টের পাচ্ছিলাম। এর ভেতরে দেখি আযান দিয়ে দিয়েছে। তাই চিন্তা করলাম নামাজ পড়ে তারপর খেতে হবে। কিন্তু কি খাব বা কোথায় খেতে যাবো সেটা নিয়ে চিন্তা করছিলাম। আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি খাবার হচ্ছে মতিঝিলের ঘরোয়ার মাটন খিচুড়ি। প্রথমে পরিকল্পনা করেছিলাম আজ মতিঝিলে যাবো ঘরোয়ার খিচুড়ি খেতে। কিন্তু আজ বেশ গরম পড়েছিলো। তাছাড়া শরীরটাও খুব একটা ভালো লাগছিল না। ঠান্ডা গরম লেগে যাওয়ার ফলে গলার ভেতর খারাপ লাগছিলো। তাই চিন্তা করলাম আজ আর দূরে কোথাও না গিয়ে এখান থেকে কিছু খেয়ে নেই।
কি খাওয়া যায় সেটা খোঁজার জন্য আমি ফুড পান্ডা অ্যাপস ওপেন করলাম। এপ্স ওপেন করে যখন ঘাটাঘাটি করছিলাম তখন হঠাৎ করে দেখতে পেলাম হাক্কা ঢাকা নামের একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে শান্তিনগরের খুব কাছেই। এই রেস্টুরেন্ট থেকে আমার অনেক আগে থেকেই খাওয়ার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু আশেপাশের রেস্টুরেন্টটি না থাকায় আর খাওয়া হয়নি। আজ যখন দেখলাম বেলিরোডে হাক্কা ঢাকার একটি আউটলেট রয়েছে। তাই চিন্তা করলাম সেখান থেকেই দুপুরের খাওয়াটা সেরে নেই। যেই চিন্তা সেই কাজ। নামাজ শেষ করেই সরাসরি চলে গেলাম হাক্কা ঢাকাতে।
শান্তিনগর বাজার থেকে সেখানে পৌঁছাতে আমার মাত্র ৫-৬ মিনিট সময় লাগলো। সেখানে পৌঁছে আমি মেনু দেখছিলাম কি খাওয়া যায়। মেনু দেখা শেষ হলে আমি একটি সেট মেনু অর্ডার করলাম। শুনেছিলাম সেখানকার খাবার নাকি খুব সুস্বাদু। যখন আমি খাবারটা খেতে শুরু করলাম তখন খেয়াল করে দেখলাম খাবারটা গরম রয়েছে। ওই রেস্টুরেন্টের খাবারের প্যাকেটটা আমার কাছে পছন্দ হয়েছে। কারণ তারা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করেছে। এই ধরনের প্যাকেটে সাধারণত খাবার বেশ অনেকটা সময় গরম থাকে। যখন খাবার খাওয়া শুরু করলাম তখন দেখলাম যেটা আগে শুনেছি সেটা ভুল শুনিনি। এদের খাবারের স্বাদ যথেষ্ট ভালো।
তবে আমার সেই সেট মেন্যুতে মাত্র তিনটা আইটেম ছিলো। যার একটি আইটেম আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগেনি। বাকি দুটো আইটেম বেশ মজার ছিলো। এই ধরনের খাবারের সাথে আমি সবসময় কোল্ড ড্রিংকস নিয়ে থাকি। তবে বেশ কিছুদিন হলো আমি কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়া কমানোর চেষ্টা করছি। তাই আজকে আমি নিয়েছিলাম মিন্ট লেমোনেড। এবার ঢাকা আসার পর থেকে আমি প্রচুর এই ড্রিঙ্কসটা খেয়েছি। আমার কাছে এই ড্রিঙ্কসটা খুবই ভালো লাগে। যাইহোক গরম গরম খাবার আমি অল্প কিছুক্ষণই শেষ করে ফেললাম। তবে আমি রেস্টুরেন্টে না খেয়ে পার্সেল নিয়েছিলাম একটু সমস্যার কারণে। হাক্কা ঢাকার কিছু ব্যাপার আমার কাছে খারাপ লাগলেও তাদের খাবারের স্বাদটা আমার কাছে বেশ পছন্দ হয়েছে। মনে মনে পরিকল্পনা করলাম এরপরে আরো একদিন ওদের রেস্টুরেন্ট থেকে খেতে হবে। কারণ ওদের রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন রকম প্ল্যাটার রয়েছে। সেই প্লাটার গুলিতে প্রচুর আইটেম থাকে। সমস্যা হচ্ছে সেগুলোর কোনটাই একজনের খাওয়ার জন্য না। সবই ন্যূনতম দুজনের জন্য। যদিও এই ব্যাপারটি আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগেনি। কারণ যদি প্ল্যাটারগুলো একজনের জন্য থাকতো তাহলে আমি বা আমার মত আরো অনেকেই সেগুলো টেস্ট করতে পারতো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | বেইলী রোড |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া প্রথমে দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনার আম্মাকে তাড়াতাড়ি সুস্থতা দান করেন। তারপরে আসা যাক আপনার খাবার টেস্টের পছন্দের দিকে। এদিক দিয়ে আপনি অনেক এগিয়ে আছেন। আর বেলিরোড তো আমার বাসার কাছেই। যদিও এ পর্যন্ত আমার হাতটা ডাকায় খাওয়া হয়নি। তবুও বেলিরোড এর প্রতিটি রেস্টুরেন্টের খাবারের টেস্টি আলাদা।
প্রথমেই আপনার আম্মার সুস্থতা কামনা করছি। 🙏 পছন্দের মাটন খিচুড়ি খাওয়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু শরীর খারাপের জন্য বাদ দিতে হলো এটা আপনি ভালো করেছেন ভাইয়া,গরমের দিনে দুপুর বেলা খিচুড়ি না খাওয়াই ভালো তার উপরে আমি নির্মাণ কাজের ওখানে আছেন,নিশ্চয়ই আপনাকে বেশ দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে। কাছাকাছি হাক্কা ঢাকা রেস্টুরেন্টে পেয়ে আপনার জন্য বেশ উপকারই হয়েছে। খাবার গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু ছিল,পরিবেশনা টাও বেশ ভালো ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার আম্মু যেহুতু আপনার সাথে যায় তাই আপনার আম্মুকে নিয়ে গেলেই দুজনের খাবার একসাথে খেতে পারবেন।
এই ছবিটা দেখার পর ভেবেছিলাম এগুলা খাবার🤭। আর অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল সম্পর্কে ধারনা নেই । তবে খাবার গুলো আসলেই লোভনীয় ছিলো ভাইয়া। যাইহোক আপনার আম্মুর সুস্থতা কামনা করছি।
হাক্কা ঢাকা রেস্টুরেন্টের নামটি কিন্তু একেবারেই ভিন্ন। ভাইয়া আপনি কিছুটা অসুস্থ এবং আপনার আম্মু অসুস্থ জেনে খারাপ লাগলো। আপনাদের দুজনের সুস্থতা কামনা করছি। তবে রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো গরম গরম পরিবেশন করা হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। হয়তো প্রত্যেকটি আইটেম আপনার কাছে ভালো লাগেনি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি রেস্টুরেন্টের সব আইটেম ভালো লাগেনা। হয়তো আপনার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কিন্তু প্ল্যাটারগুলো যদি একজনের জন্য থাকতো তাহলে আরো ভালো হতো। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের নিয়মের মাঝে পরিবর্তন আনা উচিত।
প্রথমে আপনি এবং আপনার আম্মার সুস্থতা কামনা করছি। আসলে সুস্থতা খুব বড় একটি নিয়ামত। অসুস্থ হলে বুঝা যায় সুস্থত থাকার মূল্য। যাইহোক আপনার আম্মার জন্য প্রার্থনা রইলো। সে যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে এবং আপনারা যে রেস্টুরেন্টে খেয়েছিলাম নামটা দারুন লেগেছে। হাক্কা ঢাকা রেস্টুরেন্টে অসাধারণ। তবে রেস্টুরেন্টের খাবারের সবগুলোই ভালো হবে সেটা বলা যাবে না যা।ইহোক আপনার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তবে মুহূর্তটা ভালই উপভোগ করেছেন।
প্রথমেই আন্টির সুস্থতা কামনা করছি। ঘরোয়ার মাটন খিচুড়ি সাথে ডিম আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার, হীরাঝিলের খিচুড়িও খুব মজার । বেইলি রোডে ভাল ভাল কিছু রেস্টুরেন্ট আছে যাদের খাবার খুবই মজা। আমি মাঝে মাঝে বেইলি রোডের বি এফ সি তে যাই। আপনি চাইলে ট্রাই করে দেখতে পারেন, ওদের চিকেন বেস্ট। ঢাকা হাক্কার নাম আমিও শুনেছি কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি। আপনার ছবি দেখে মনে হচ্ছে খাবারগুলো লোভনীয়। কার্বনেটেড বেভারেজ এভয়েড করতে চাইলে মিনট লেমোনেড খুব ভালো একটি অপশন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
নামটা দেখেই দারুন মজা পেয়েছি । "হাক্কা" । খুব সম্ভতঃ চাইনিজ ফুড ।ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো । সন্ধ্যা হলেই আমাদের গাঁয়ে শিয়াল ডাকতো - "হুক্কা হুয়া, হুক্কা হুয়া " । দাদু বলতো "এই তো সাঁঝের বেলায় এখন শিয়ালদের হুঁকা টানার সময় । তাই ডাকছে হুক্কা হুয়া, হুক্কা হুয়া ।"
বেশ ইমোশনাল হয়ে পড়লুম । অনেকদিন পরে বেশ হাসি পেলো ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গিয়ে । আবার দাদুর কথা মনে পড়ে, পুরোনো স্মৃতি স্মরণ করে মনটা জানি কেমন করে উঠলো ।
দাদা আমার অবস্থা খুবই সঙ্গীন। একেতো আপনার কমেন্ট তারপর আবার বিশাল অংকের আপভোট। এর থেকে চমৎকার শুরু আর হতে পারত না আজকের দিনটা। আর রেস্টুরেন্টের নামের ব্যাপারে আপনি একদম ঠিক ধরেছেন। এটা একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে আপনার কমেন্ট এবং হাংরিগ্রিফিনের আপভোট দুটোর জন্যই।
Very good post
আমি প্রথমে ভেবেছিলাম হুক্কা খাওয়া এটা। আমাদের গ্রামের চাচারা দেখতাম শীতের বেলায় খেতো। এরকম রেস্টুরেন্ট এর নাম! হাক্কা ঢাকা রেস্টুরেন্ট এর খাবারের মান ভালো দেখেই বুঝা যাচ্ছে। তবে প্ল্যাটার একজনের হলে আরও ভালো হতো।