বাইতুল মোকাররমের হকার মার্কেটে ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা।
বেশ কয়েকদিন বাড়িতে থাকার পর আজ আবার ঢাকায় এসেছি। সকালে রওনা দিয়ে মাত্র দু ঘন্টার ভিতরে ঢাকা পৌঁছে গিয়েছি। পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে আমাদের এদিক থেকে বেশ উপকার হয়েছে। আগে যেখানে কয়েকঘন্টা সময় লাগতো ঢাকা আসতে। সেখানে এখন মাত্র দু ঘন্টায় পৌঁছতে পারি। যার ফলে অনেকেই এখন দিনে এসে কাজ শেষ করে আবার দিনেই বাড়িতে ফিরে যায়। আগে যখন বাড়ি থেকে ঢাকায় আসতাম। তখন ঢাকা পৌঁছানোর পর দীর্ঘ জার্নির ফলে অনেকটা ক্লান্ত থাকতাম। কিন্তু এখন অল্প সময় লাগার কারণে সেই ক্লান্তিটা আর অনুভব করি না।
তাই আজকে ঢাকায় পৌঁছে চিন্তা করলাম কাছেই বাইতুল মোকাররম মসজিদ ছিলো। মসজিদের এক পাশে হকারদের জন্য নির্ধারিত একটি জায়গা আছে। সেখানে প্রচুর হকার বিভিন্ন রকম পণ্য সামগ্রী নিয়ে বসে থাকে। এই জায়গাটা আমার ঘুরে ফিরে দেখতে বেশ ভালই লাগে। কারণ এখানে এমন সব জিনিসপত্র পাওয়া যায় যা সচরাচর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। প্রথমে বাস থেকে গুলিস্তান নামলাম। তারপর সেখান থেকে হেঁটে বাইতুল মোকাররম মসজিদের কাছে পৌঁছলাম মাত্র কয়েক মিনিটে। তারপর হকারদের সেই জায়গাটি ঘুরেফিরে দেখতে লাগলাম। সাথে বেশ কিছু ছবিও তুললাম।
সেখানে পৌঁছে দেখতে পেলাম শীতের জামা কাপড় আর কম্বলের দোকানগুলোতে বেশ ভালো বেচাকেনা শুরু হয়েছে। যদিও শীত এখন তেমন একটা পড়েনি। তবে মানুষ আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে। বাইতুল মোকাররমের এই এলাকায় বেশ কয়েকটি কম্বলের দোকান আছে। অবশ্য এই দোকানগুলি সিজন ভেদে তাদের ব্যবসা পরিবর্তন করে। এখন শীতের সময় হওয়ায় তারা সবাই কম্বল বিক্রি করতে শুরু করেছে। আর রাস্তার অপর পাশে দেখলাম সেখানে বাচ্চাদের জামা কাপড় জুতা থেকে শুরু করে অনেক রকম নিত্যব্যবহার্য পন্য সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে।
এই সমস্ত এলাকায় যে ধরনের পণ্য সামগ্রী পাওয়া যায়। সেগুলো দোকানের তুলনায় বেশ কম দামে কিনতে পাওয়া যায়। তবে সেগুলোর মান নিয়ে কিছুটা সন্দেহ থেকেই যায়। অবশ্য এ সমস্ত জায়গায় যে জিনিসপত্র পাওয়া যায় সেগুলোই আমরা অনেক সময় দোকান থেকে বেশি দামে কিনে থাকি। ঘুরেফিরে আমি হকারদের বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী দেখছিলাম।যেহেতু আজ তেমন একটা হাতে কাজ নেই। তাই হাতে অনেকটা সময় ছিল। সেজন্যই বাসায় ফেরার খুব একটা তাড়া ছিল না। সে কারণেই ঘুরেফিরে বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র দেখতে লাগলাম।
আমি অবশ্য এর আগে বিভিন্ন সময়ে এখান থেকে কিছু জিনিসপত্র কিনেছি। সেগুলো অবশ্য ভালই পেয়েছি। এখান থেকে আমি যে সমস্ত জিনিস কিনেছিলাম তার ভিতরে আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি জিনিস হল কমান্ডো নাইফ। এক ধরনের বিশেষ ছুরি। ছুরিটা দেখতে অত্যন্ত চমৎকার। তা তাছাড়া বেশ ধারালো। আমি মাঝে মাঝে ছুরিটা বিভিন্ন জিনিস কাটার জন্য ব্যবহার করি। ছুরিটা কিনে আমি বেশ সন্তুষ্ট হয়েছি সেটার মান দেখে। এছাড়াও আরো নানারকম টুকিটাকি জিনিস এখান থেকে কিনেছি।
এই জায়গাটা এমন এখানে আপনি আসলে কিছু না কিছু আপনাকে কিনতেই হবে। কিছু না কিনে আপনি এখান থেকে ফিরতে পারবেন না। এমন অনেক ছোট ছোট সৌখিন জিনিস এখানে পাওয়া যায় যেগুলো দেখলেই কিনতে ইচ্ছা করে। আবার দামও মার্কেটের ভিতরে দোকানগুলি থেকে তুলনামূলক কম। সেজন্য ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে মানুষ আসে এই ধরনের জিনিসপত্র কিনতে। আমি সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে তারপর বাসার দিকে রওনা দিলাম।
আজকের মত এখানে শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | বাইতুল মোকাররম |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া ঠিক বলেছেন পদ্মা সেতু হওয়াতে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষদের অনেক সুবিধা হয়েছে। আমরাও এখন খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে ঢাকায় আসতে পারি। এখন আর আগের মতো ঘন্টার পর ঘন্টা ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হয়না। আপনি এবার বাড়ি থেকে তাড়াতাড়ি এসে বাইতুল মোকাররমের হকার মার্কেটে ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আমিও সেখানে অনেক বার গিয়েছি। এই কথাটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া সেখানের জিনিসগুলো খুব ভালো। আমি ওখান থেকে অনেক সময় অনেক কিছু কিনেছি সবগুলোই ভালো ছিল। এই জায়গায় ছোট খাট অনেক জিনিস পাওয়া যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন। সেখানে ছোটখাটো এমন অনেক কিছু পাওয়া যায়। যেটা সহজে অন্য জায়গায় খুঁজে পাওয়া যায় না।
বায়তুল মোকাররম এর আশেপাশের এলাকার দোকান গুলো রয়েছে এখান থেকে মাঝেমধ্যে শপিং করতাম। তবে এসব জিনিসের যে মান ভালো থাকতো তা কিন্তু নয়। এখানে অনেক ঠকবাজ রয়েছে, অনেকবার কেনাকাটা করে ও ঠকেছি তবে মাঝেমাঝে ভালো জিনিস পাওয়া যায়। চমৎকার একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন রূপক ভাই।
এখান থেকে কিনলে ঠকার সম্ভাবনা রয়েছে এটা আপনি ঠিকই বলেছেন। তবে একটু বুঝে শুনে কেনাকাটা করতে হবে এ সমস্ত জায়গা থেকে। তাহলে আর সমস্যা হবে না।
এখানে অনেক জিনিসপত্র রিজনেবল দামে পাওয়া যায়। তবে অনেক সময় এখানকার জিনিসপত্রের মান সবসময় ভালো হয় না এটাও মাথায় রাখতে হয়।
পদ্মা সেতু হওয়ার জন্য দক্ষিণবঙ্গের সাথে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা টা আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আমার পরিচিত অনেকেই দিন এসে দিনে কাজ করেই ফিরে যায় ঢাকা থেকে। যাই হোক ঢাকাতে ফুটপাতের পাশের এরকম দোকান গুলোতে একবার চোখ পরলে সেখান থেকে ফিরে আসা যায় না সহজে। খুব ইচ্ছে করে একটা কিছু নিয়েই ফিরি। আমার কাছে তো মনে হয় নিউমার্কেট থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভালো শোরুমেও একই ধরনের প্রোডাক্ট থাকে, কিন্তু দামের আকাশ পাতাল পার্থক্য। একটু সময় নিয়ে দেখেশুনে খুঁজে যদি জিনিস কেনা যায় তবে এই জায়গাগুলো থেকেও খুব চমৎকার কিছু জিনিস পাওয়া যায়।
একদম ঠিক বলেছেন। একটু দেখেশুনে এই সমস্ত জায়গা থেকে জিনিসপত্র কিনতে পারলে বেশ কম দামেই পাওয়া যায়।
ভাইয়া বুড়িগঙা ব্রিজ হওয়াতে আমার দাদা বাড়ি যেতে অনেক সুবিধা হয়েছিল। আগে ফেরির জন্য বসে থাকতে হত।আর এখন পদ্মার ব্রিজ হওয়াতে দক্ষিন অঞ্চলের মানুষ যারা আছেন, তাদের অনেক সুবিধা হল।আপনি খুব সুন্দর ভাবে এসে বায়তুল মোকাররমের হকার মার্কেটের ঘেরাঘুরির অভিজ্ঞতা আমাদের কাছে শেয়ার করেছেন। যদিও ঢাকা আছি, তবে এই মার্কেটের পাশ দিয়ে গেলেও কখনও এখানে আসা হয়নি। আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম এখানকার সব জিনিস খুব ভালো।এটাও জানতে পারলাম, ছোট - বড় সবকিছুই এখানে পাওয়া যায়। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক অভিনন্দন আপনাকে।
এখানকার সব জিনিস কিন্তু ভালো না। যদি কখনো এখান থেকে কেনাকাটা করেন। তাহলে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নেবেন।
মন্দির বা মসজিদের পাশে এমন অনেক হকাররা বসেন যাতে তাদের রুজিরুটি আসে। এটা হয়তো ঈশ্বরেরই দান। অনেক ভালো জিনিসপত্র পাওয়া যায় দেখছি। বিশেষ করে আমি একটু সৌখিন মানুষ হওয়ায় কার্পেটের কারুকার্যটা বেশ চোখে পড়ছে। আপনার কেনা ছুড়িটা দেখালেন না যে দাদা!
ছুরিটা বেশ কিছুদিন আগে কিনেছি। যার ফলে আর এখানে ছবি দেইনি।
আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দুটো বানান ভুল হয়েছে ভাই।