কন্যাকে নিয়ে চিড়িয়াখানা ভ্রমণ পর্ব-৩।১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
আজ আমি আপনাদের সাথে আমার চিড়িয়াখানা ভ্রমণ এর আরো কিছু ছবি শেয়ার করবো। গত দুই পর্বে চিড়িয়াখানা ভ্রমণ এর এবং কিছু পশু পাখির ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করেছি। আজ আরো কিছু প্রাণীর ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। চিড়িয়াখানাটা বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে হওয়ায় একদিনে ভালভাবে ঘুরে দেখা সম্ভব নয়। তারপর প্রচন্ড গরম থাকায় আমাদের চলাফেরার গতিও ছিল সীমিত। তাছাড়া আমরা যখন চিড়িয়াখানায় পৌঁছেছি তখন অনেকটা বেলা হয়ে গিয়েছিলো। এক পর্যায়ে আমার আর হাঁটার মত শক্তি ছিল না। এদিকে প্রচন্ড ক্ষুধা ও লেগেছিল। কিন্তু আমার মেয়ে জিদ ধরেছে সে সব প্রাণী না দেখে যাবে না। অগত্যা কি আর করা। তার জেদের কাছে হার মেনে ঘুরতেই থাকলাম।
চিড়িয়াখানায় যে সমস্ত প্রাণী আছে তার ভেতর জেব্রা অন্যতম সুন্দর একটি প্রাণী। আমার কাছে জেব্রা খুবই ভালো লাগে। আমার মেয়েও অনেক পছন্দ করেছে জেব্রা দেখে।
এটা হচ্ছে জলহস্তী। এই প্রাণীটির যেমন বিশাল আকার তেমনি শক্তিশালী। তবে আমি যতবারই চিড়িয়াখানায় এসেছি। জলহস্তীকে সব সময় জলের ভেতরেই দেখেছি। যার ফলে এটার ভালো কোন ছবি তোলা সম্ভব হয়নি।
আরো একটি অত্যন্ত চমৎকার প্রাণী। সমস্ত দর্শনার্থীরা খুবই আগ্রহ নিয়ে জিরাফকে দেখছিল। এই প্রাণীটি হচ্ছে চিড়িয়াখানার অন্যতম আকর্ষণীয় প্রাণী। আমার মেয়ে জিরাফ দেখে খুবই খুশি হয়েছে।
এই প্রাণীটির নাম আমার মনে নেই। তবে দেখতে কিছুটা হনুমানের মত হলেও এটি অন্য প্রাণী।
এটি সম্ভবত মায়া হরিণ। হরিণটি দেখতে খুবই সুন্দর। যদিও আমরা অনেক দূর থেকে দেখেছি। প্রথমে মনে করেছিলাম এটা অন্য কোন প্রাণী হবে।
এখানে আরো দু রকমের পাখি। চিড়িয়াখানায় প্রচুর পরিমাণ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে। অনেকগুলোর নাম দেখেছিলাম। কিন্তু পরে সে নামগুলি ভুলে গিয়েছি।
আশা করি পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে আরও কিছু প্রাণীর ছবি শেয়ার করতে পারব।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোনো লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
চিড়িয়াখানার এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। মনে হচ্ছে নিজেই চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করছি। আপনার উদ্যোগ দেখে আমার অনেক ভালো লাগছে যে আপনি এখন থেকে বাচ্চাদের কিছু শিখাতে পারছেন বড় হলে ও খুব সহজেই পশু পাখি গুলো চিনতে পারবে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
অনেক বছর হয় আমার চিড়িয়াখানা যাওয়াই হয়না একদম।কিন্তু আপনার কারণে আমার চিড়িয়াখানা ভ্রমণটা বোধহয় একদম হয়েই যাচ্ছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, ছবিগুলো খুব ভালো হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ভাইয়া প্রায় দুই বছর যাবত কোন চিড়িয়াখানায় যাওয়া হয়নি। শুধু মাঝখানে জাদুঘরে গিয়েছিলাম পুরনো পুরনো কিছু জিনিস দেখতে। অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল অবিরাম।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
ভাইয়া, বাবারা এরকমই হয় মেয়েদের বায়না শখ পূরণ করতে সবসময় চেষ্টা করে। এমনিতেই মেয়েরা একটু বেশি জিদ দেখাই বাবা সাথে।আমাদের ছোট সোনা মনিরা যদি না থাকতো তাহলে চিড়িয়াখানায় এত আনন্দ পাওয়ার যেতনা ঠিক বলেছেন ভাইয়া?
ভাইয়া আপনার প্রথম পর্বে অনেক রকমের প্রাণী দেখেছি। দ্বিতীয় পর্বে আমার জিরাফ দেখে অনেক ভাল লেগেছে। কারণ আমাদের চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় সব প্রাণী আছে তবে জিরাফ নেই। প্রাণীদের মধ্যে জিরাফ আমার খুবই পছন্দের। সত্যি ভাইয়া ঠিক বলেছেন জিরাফ আকর্ষণীয় একটি প্রাণী এটা মানতে হবে
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
চিড়িয়াখানা ভ্রমণ তৃতীয় পর্বটাও অনেক সুন্দর লিখেছেন। জেব্রা সৌখিন একটি প্রাণী।দেখতে খুব সুন্দর। জলহস্তীর কথা লিখছে না।একে ইংরেজিতে বা বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলা হয়-"হিপোপটেমাস"।
খুব ভালো লাগলো আজকের আর্টিকেলটি।ধন্যবাদ ও শুভকামণা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
বাহ,খুব সুন্দর ফোটোগ্রাফি।দেখে ভালো লাগলো।বাচ্চারা খুবই আনন্দ পাই পশু-পাখি দেখলে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া। ছোটদের কে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরলে তারা অনেক কিছু শিখতে এবং জানতে পারে। দোয়া করি সামনে এ রকম ভ্রমণ আরো করেন আপনার রাজ কন্যাকে সাথে নিয়ে। শুভেচ্ছা রইল
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
অনেকদিন হল কোন চিড়িয়াখানায় যাওয়া হয়নি আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে চিড়িয়াখানা পশু পাখি এবং সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
চিড়িয়াখানায় যাওয়া হয়না অনেক বছর হয়ে গেছে। আপনার তোলা ছবিগুলো দেখে অনেক কিছু মনে পড়ে গেল। জানিনা এখন চিড়িয়াখানার পরিবেশ আগের মত আছে কিনা।
কিন্তু ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে,, হা, সেখানের এরিয়া অনেক বড় হাঁটতে হাঁটতে পা ব্যথা হয়ে যাওয়াটা সাভাবিক।
হাহা, আপনার মেয়ের কথা শুনে আমার হাসি পেয়েছ। বাচ্চাদের কাছে এই জিনিস গুলো বেশি আকর্ষণীয় । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া,
আপনার মাধ্যমে চিড়িয়াখানার প্রতিটি জাইগা আবার দেখতে পারলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ছোট বেলায় যখন চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম তখন সবকিছু দেখে আব্বুকে জিজ্ঞেস করেছি এটা কি?ওটা কি? অনেক মজার দিন ছিল সেটি। এখন ছবিগুলো দেখে সেই স্মৃতি মনে এলো। খুব সুন্দর হয়েছে সবগুলো ছবি। ধন্যবাদ এমন একটি দিন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।