রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট।
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন নিঃসঙ্গ মাঝিকে হাতে বৈঠা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে। তিনি বৈঠা দিয়ে কি করছেন সেটা বুঝতে না পারলেও দৃশ্যটা দেখতে খুব সুন্দর লাগছিলো। এজন্যই ছবিটি তুলেছিলাম।
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন নৌকার একদম সামনে বসে ছবি তোলায় মগ্ন হয়ে আছে। এই ধরনের দৃশ্য এখন খুবই কমন। অবশ্য সেদিন প্রাকৃতিক পরিবেশ এতটাই সুন্দর ছিলো যে সবাই ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়েছিলো।
এটি কয়েক বছর আগে জেগে ওঠা চরের একটি রাস্তা। রাস্তার পাশে বিদ্যুতের খুঁটি দেখে আমি খুবই অবাক হয়েছি। অল্প কয়েক বছর হল এই চরটি জেগে উঠেছে। সেখানে ইতিমধ্যে মানুষ বসবাস শুরু করেছে। তাদের জন্য আবার বিদ্যুৎএ পৌঁছে গিয়েছে। এই ব্যাপারটি দেখে বেশ ভালই লাগলো। যদিও চরের মানুষ বিদ্যুৎ কতটুকু সময় পায় সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
চরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম তখন এই দৃশ্যটি দেখতে পেলাম। একটি বাড়ির সামনে তিনটি ছাগল খাবার খাওয়ায় ব্যস্ত। চরের মানুষজন খেয়াল করে দেখলাম হাঁসমুরগি গরু-ছাগল পালন শুরু করেছে। এই বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। কারণ এই কাজের মাধ্যমে তারা স্বাবলম্বী হতে পারবে। আবার দেশের পুষ্টি চাহিদারও একটি বাড়তি জোগাড় হবে।
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে পূর্ণ যৌবনা পদ্মা নদী। নদীটি এখন প্রায় কানায় কানায় ভরে উঠেছে। পূর্ণ যৌবন বতি পদ্মার সৌন্দর্যের সাথে কোন কিছুর তুলনা চলে না। এই কারণেই আমার কাছেই বর্ষা মৌসুমে নদী সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।
আমার প্রিয় গোধূলি বেলার ছবি। এই ধরনের ছবি তুলতে আমার বরাবরই ভালো লাগে। যদিও অনেকে মনে করতে পারেন সব সময় এই ধরনের ছবি তোলার অর্থ কি? কিন্তু এই দৃশ্যটি দেখলে আমি আর লোভ সামলাতে পারিনা।
এই জায়গাটি হচ্ছে চরে ঢোকার আমাদের রাস্তা। শহর থেকে মানুষজন এসে এই জায়গা দিয়েই চরে প্রবেশ করে। যদিও জায়গাটি দেখে বোঝা যাচ্ছে সেটি আবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে।
প্রচন্ড গরমের ভেতর এই ধরনের জায়গা দেখলেই শান্তি লাগে। এই ধরনের জায়গা আড্ডা দেয়ার জন্য খুবই চমৎকার জায়গা। একটা সময় ছিল যখন আমি প্রায় প্রতি সপ্তাহে আমার এক বন্ধুর বাড়িতে যেতাম আড্ডা দিতে। সেই বন্ধুর বাড়ির সামনে এরকম একটি বাগান ছিলো। যেখানে আমরা বসে দীর্ঘক্ষণ আড্ডা দিতাম। এই বাগানটি দেখে সেই জায়গাটির কথা মনে পড়ে গেলো।
সেদিন যখন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম আর রাস্তায় হাটছিলাম তখন ওই দৃশ্যটি দেখতে পেলাম। এই দৃশ্যটি দেখে মনে খুব আফসোস। একটা সময় ছিলো যখন আমরা বন্ধু-বান্ধবরা মিলে প্রচুর খেলাধুলা করেছি। এই দৃশ্যটি দেখে নিজের শৈশবের কথা মনে পড়ে গেলো।
এই ছবিটি আমি ঢাকা থেকে তুলেছিলাম। এই ছবিটা আমার নিজের কাছেও খুব ভালো লেগেছিলো। যে জায়গায় দাঁড়িয়েছিলাম সেখান থেকে চমৎকার একটি ভিউ দেখা যাচ্ছিল। যার ফলে আর দেরি না করে ঝটপট ছবি তুলে নিয়েছিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | পদ্মারচর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
যদিও আমার বয়স খুব একটা বেশি না তারপরও আমি ছোটবেলায় দেখেছি ক্যামেরায় ছবি তোলার জন্য রিল কিনতে হত। আমার মনে আছে ছোটবেলায় যখন আমরা পিকনিকে যেতাম তখন ছবি তোলার জন্য রিল কিনতাম।
চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে আমার কাছে সূর্য অস্ত যাবার ফটোগ্রাফি এবং শেষের আকাশের ফটোগ্রাফিটি অনেক ভালো লেগেছে।
সেই সময় ছবি তোলার চেয়ে মজা ছিল এখন আর সে মজা পাওয়া যায় না।
আমদের বাড়িতে এই রকম একটি ক্যামেরা ছিল । তবে আমি বড় হওয়ার পরে কয়েকবার চেষ্টা করেও ওই ক্যামেরার রিল পার্শবর্তী বাজারে খুজে পায়নি । তাই আর চালনা করার সুযোগ হয়নি ।
চরাঞ্চলের জীবন বড়ই অদ্ভুত কখন না জানি সাজানো গোছানো সংসার নদীর বূকে বিলিন হয়ে যায় । আবার সব কিছু নতুন করে শুরু । তবে নদীর সৌন্দর্য আমাকেও আকৃষ্ট করে ভীষণ ভাবে ।
তখনকার ক্যামেরা থাকার সাথে এখনকার ক্যামেরা থাকার অনেক পার্থক্য রয়েছে।
ঠিকই বলেছেন চরাঞ্চলের জীবন খুবই অদ্ভুত।
ভাই আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন। বিশেষ করে সূর্য অস্ত যাওয়ার ফটোগ্রাফিটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। অসাধারণ ফটোগ্রাফি। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক ভাল ছিল।
ওই ছবিটি আমার নিজের কাছেও অনেক ভালো লেগেছে।
সবগুলো ছবি ফটোগ্রাফি চমৎকার হয়েছে। আমার কাছে বেশি ভালো লাগছে এই ছবিটি আকাশ আর পানির কত অসীম দুরত্ব, মনে হচ্ছে নীল আকাশ আর নীল পানির রঙের খেলা তার উপর ভেসে আছে নৌকা। সবকিছু মিলে খুব সুন্দর। প্রকৃতি যেন আরেক রুপ।
আকাশের রংটাই নদীর পানিতে প্রতিফলিত হয়েছে। এজন্য সবকিছুই নীল দেখাচ্ছে।
কি বলবো ভাই আপনার ফটোগ্রাফির হাত অনেক পাকা, কেননা এর আগেও আপনার ভ্রমনের যতগুলো ফটোগ্রাফি দেখেছি এবং এ পর্যন্ত সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার খুব ভালো লেগেছে। কেননা আপনি খুব সুন্দর ক্যাপচার করেন, বিশেষ করে আজকের সিএসকেপ ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি আসলে খুব একটা ভালো ছবি তুলতে পারি না। তারপরও প্রতিনিয়ত শেখার চেষ্টা করছি।
কি যে বলেন ভাই অবশ্যই আপনি অনেক ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারেন। আমি আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেছি। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
চমৎকার কয়েকটি ফটোর প্রদর্শনী দেখলাম আপনার পোস্টে। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে গোধূলি বেলার ফটোটি। আপনার মত আমিও গোধূলি বেলা খুবই ভালোবাসি। আসলে অনেকে আছে যারা ফটোগ্রাফির মর্ম বোঝেনা, এ সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞানই নেই। তারা একটু আধটু বলবেই ফটো সম্পর্কে। তাই তাদের কথায় কান না দিয়ে নিজের মতো কাজ করে যাওয়া উচিত। আপনার আগামী ফটোগ্রাফির পোস্টটি দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
খুবই চমৎকার একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ভাইয়া ।আপনি বরাবরই আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করে থাকেন। প্রতিটি ফটোর নিচে অনেক সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে এখনকার প্রকৃতি এবং আকাশ এতটা সুন্দর যে ছবি তুললেই সেগুলো ভালো লাগে।
প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। তবে আমার কাছে সবচাইতে বেশি সুন্দর লেগেছে গোধূলি বেলার ফটোগ্রাফিটি। সুন্দর একটি রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।