বাসার সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার অভিজ্ঞতা।১০% প্রিয় সাই-ফক্স এর জন্য।
শারীরিক সমস্যার কারণে গত কয়েকদিন খাওয়া-দাওয়া করছি খুবই মেনে বেছে। আজ একটা পারিবারিক উপলক্ষে পরিবারের সবাই মিলে গিয়েছিলাম একটি রেস্টুরেন্টে খেতে। আপনারা জানেন আমি খুবই ভোজন রসিক একজন মানুষ। যার ফলে আমার জন্য খাওয়া-দাওয়া কন্ট্রোল করা খুবই মুশকিল। যাইহোক সবাই মিলে খেতে যাওয়ার সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে আজ ভাগ করে নেব।
গতকাল রাতেই পরিকল্পনা হয়েছিল আজ আমরা বাইরে খেতে যাব। যদিও আমি যেতে খুব একটা রাজি ছিলাম না। কারণ আমি চাচ্ছি বাইরের খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে। কিন্তু তারপরও আমার বড় বোনের জোরাজুরিতে রাজি হলাম। রেস্টুরেন্টের খাবার আমার খুবই পছন্দের। আমি সুযোগ পেলেই বাইরে খেতে যাই। কিন্তু আজকে খেতে যাওয়ার খুব একটা ইচ্ছা আমার ছিল না।
আমাদের পরিকল্পনা ছিল বেলা দুটোর দিকে রেস্টুরেন্টে খেতে যাবো। রেস্টুরেন্টটা বাসা থেকে খুব বেশি দূরে নয়। যার ফলে চিন্তা করেছিলাম দেড়টার দিকে বাসা থেকে বের হলেই হবে। কিন্তু সবার তৈরি হতে হতে বাসাতেই দুটো বেজে গেল। তারপর যথারীতি আমরা রওনা দিলাম রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে। যেহেতু রেস্টুরেন্টটা বাসার কাছেই ছিল তাই আমরা রিক্সা করে গেলাম সেখানে।
রেস্টুরেন্টের ভিতরে প্রবেশ করার পর আমি কিছুটা অবাক হলাম এখানকার একটা আয়োজন দেখে। এই রেষ্টুরেন্টে দেখি কয়েকটা দোলনা আছে যেখানে বসে আপনি খেতে পারবেন। আবার সেই দোলনায় বসলে আপনাকে পা রাখতে হবে পানির ভেতরে। এই পানিতে আবার মাছ ঘোরাফেরা করছে। এটা আমার জন্য একদম ইউনিক একটা অভিজ্ঞতা ছিল। এই ধরনের রেস্টুরেন্টে আমি এর আগে আসিনি।
যদিও আমি সাধারণভাবেই খাওয়া দাওয়া করেছি। কিন্তু আমার ভাগ্নে সেখানে কিছু সময় কাটালো পা ভিজিয়ে। আমি এর ভিতরে তার কয়েকটা ছবি তুললাম। রেস্টুরেন্টটাতে ঢোকার পর বুঝতে পারলাম এই রেস্টুরেন্টটা আমার বোনের পরিচিত। তারা মাঝে মাঝেই এখানে খেতে আসে।
আমরা বসার কিছুক্ষণ পর খাবার অর্ডার করলাম। মেনু ছিল থাই সুপ, অনথন, ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই, চাইনিজ ভেজিটেবল এবং সিজলিং। এই প্রত্যেকটা খাবারই আমার খুবই পছন্দের। কিন্তু শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে কিছুটা কম খাওয়ার পরিকল্পনা করলাম। অর্ডার করার কিছুক্ষণ পর খাবার পরিবেশন করলো। প্রথমে সুপা আর অন্থন দিয়েছিল। সুপে প্রথম চুমু দিয়েই তাদের রান্নার তারিফ করলাম। খেতে খুবই সুস্বাদু ছিলো। সুপের সাথে অন্থন হলে আমার ভালো লাগে। অন্থন টাও মোটামুটি মজার ছিল। কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারও আমার একই সমস্যা দেখা দিলো। ছবি তোলার আগেই সুপ শেষ করে ফেলেছিলাম। যার ফলে সুপের আর ছবি তোলা হয়নি।
সুপ শেষ করার পর আমাদেরকে পরিবেশন করলো ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই এবং চাইনিজ ভেজিটেবল। আর সাথে ধোঁয়া উঠা সিজলিং। সিজলিং আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। খাবো না খাবো না করেও আমি বেশ খানিকটা খেয়ে ফেললাম। সবাই খুব তৃপ্তি সহকারে খেলাম। খাওয়া শেষ করে যখন কোল্ড্রিংসে চুমুক দিচ্ছিলাম তখন মনে হচ্ছিল খাওয়াটা একটু বেশি হয়ে গেল। একবার খেতে শুরু করলে আমি আবার সহজে থামতে পারিনা। যদিও জানি এই অভ্যাসের কারণে আমার শারীরিক সমস্যা হচ্ছে।
তবে এখন থেকে মনে মনে কঠিন প্রতিজ্ঞা করেছি আগামী অন্তত দু মাস আর বাইরের খাবার খাব না। এই রেষ্টুরেন্টের রান্না আসলেই অনেক ভালো ছিল। আমরা ছাড়া কাস্টমার তেমন একটা ছিল না। তাদের সার্ভিসও খুবই ভালো ছিল। রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়ারটাও মোটামুটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। খাবারের দামটা ও সাধ্যের ভিতরে ছিলো।সবকিছু মিলিয়ে এই ছিল আমার আজকের লেখা।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আশা করছি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ছবি তোলার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
খুবই আকর্ষণীয় একটা দিন পার করেছেন। যদিও আপনার অনীহা ছিল। আপনি খাওয়া-দাওয়ার কন্ট্রোল করার জন্য অনেকটা অনিহা প্রকাশ করেছেন। তারপরও বোনের কথা রক্ষার্থে গিয়েছিলেন। কিন্তু যাওয়ার পরে আপনি রীতিমত অবাক হয়ে গেলেন। সত্যি অবাক হওয়ার বিষয়ে একটা রেস্টুরেন্টে ব্যতিক্রমধর্মী কিছু আয়োজন থাকলে যেটা সচরাচর সব জায়গায় দেখা যায় না। খুবই সুন্দর ছিল এবং অনেক মজা করেছেন এবং ফ্রাইড রাইস চিকেন চাইনিজ ভেজিটেবল সাথে ধোঁয়া ওঠা সিজলিং সত্যিই অসাধারণ একটা খাবার পরিবেশন করেছে এবং আপনারা সেটা উপভোগ করেছেন খেয়েছেন। সত্যিই খুবই সুন্দর একটা সময় পার করেছেন। এবং আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। এত সুন্দর একটা লাঞ্চ টাইম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রইলো ভাইয়া।
দাদা দেখছি মাঝেমাঝেই রেস্টুরেন্টে বেশ খাওয়া-দাওয়া করেন। আমি নিজেও কিন্তু বাইরে এরকম খাওয়া-দাওয়া করতে খুব পছন্দ করি। রেস্তোরাঁর ভেতরে পরিবেশটা খুব শান্ত নিরিবিলি ছিল। বেশ ভালো লাগলো। আর খাবার দেখেও লোভনীয় লাগলো। আমি শুনেছি বাংলাদেশের খাবার গুলো খুব মজার হয়। আমিও স্বাদ টা নেব একবার। শুভেচ্ছা রইলো দাদা।
আপনি যে ছবিগুলি দেখান তা দেখে আমার খুব ভাল লাগে, এটি ছোট মাছের সাথে জলে পা রেখে বসে থাকার মতো।
এটা চমৎকার.
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পুরো ভ্রমণকাহিনী টি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন অনেক সুন্দর ছিল। দোলনায় বসে পা পানিতে ভিজিয়ে রেখে খাওয়া আমার কাছে একদম নতুন অভিজ্ঞতা মনে হল। ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
অসাধারণ রিভিউ দিয়েছেন ভাইয়া। আসলেই রেষ্টুরেন্টটির ইন্টেরিয়র ডিজাইন খুব সুন্দর ছিল। বাচ্চাদের জন্য একটা খেলার স্পেস করে দিয়েছে সেটা প্রশংসনীয়। খাবারের মান দেখতে ভালোই হয়েছে, খেতেও খুব টেস্টি হয়েছে। আর হ্যাঁ, বাহিরের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
সত্যি ভাইয়া রেস্টুরেন্টের পরিবেশ দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুন্দর। একসাথে অনেকগুলো খাবার অর্ডার করেছেন। খাওয়া-দাওয়া নিয়ে আমারও কোনো অনীহা নেই। সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে ছোটদের বিনোদনের জন্য। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা পোস্ট কর আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আশা করছি এখন আপনার শরীর ভালো আছে৷ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো এর চেয়ে মুল্যবান কিছু নেই আমার কাছে। আপনি যেভাবে রেস্টুরেন্টের সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছেন আমি মুগ্ধ হলাম। দোলনায় বসে পানির মাঝে পা রেখে খাওয়া যেখানে মাছ রয়েছে এতো সুন্দর! আমার কাছে বেশ লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
দেখেই বুঝা যাচ্ছে রেস্টুরেন্টের রান্না খুব ভালো ছিল যেমনটি আপনি বললেন। দুই মাস যদি রেস্টুরেন্টে না খান তাহলে রেস্টুরেন্টের লোকজন ব্যবসা করবে কিভাবে। আপনার এই বয়সে যে রকম প্রেসারের সমস্যা হচ্ছে সে দিক থেকে সিদ্ধান্তটা ঠিকই আছে।
ভাই খুব সমস্যায় আছি।
সিজলিং টা দেখে আসলেই খুব মজার মনে হচ্ছে। আর ফ্রাইড রাইস টা দেখে মনে হচ্ছে ভালই মজার আর ইন্টেরিয়রের কথা কি আর বলব!! এতো দারুন ইন্টেরিয়র আমাদের এখানে নেই বললেই চলে। সবমিলিয়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া।
আসলেই খুব ভালো ছিলো খাবারগুলো।
হুন রুপক ভাই আমি জানি ভাই আপনি ভ্রমণপিপাসু এবং একটা ভোজন রসিক মানুষ। রেস্টুরেন্টের ভিতরের পরিবেশ এবং খাবারের মান খুবই ভালো ভাইয়া দেখে বোঝা যাচ্ছে।
অনেক সুন্দর একটা মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।