আমার সাজেক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা (তৃতীয় পর্ব)। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
এটা হচ্ছে সাজেক জিরো পয়েন্ট। এখানে এসে দেখি সবাই এসে ছবি তুলছে। আমিও সুযোগ বুঝে একটি ছবি তুলে নিলাম।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে আমাদের সহযাত্রী ছেলেগুলো মুগ্ধ বিস্ময়ে দূরের পাহাড় গুলো দেখছে। এ দৃশ্যটি দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। সাজেকের সৌন্দর্য আসলেই বিস্ময় জাগানিয়া। এমন চমৎকার জায়গা থেকে ফিরে আসতে চায় না মন।
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে সাজেকের ঢালু রাস্তা। ওখানে সমতল রাস্তা নেই বললেই চলে। প্রতিটি রাস্তায় চড়াই-উৎরাই ভরা।
এই ছেলেটি আমাদের সহযাত্রীদের একজন। পেছনে যে কাঠের তৈরি কটেজটি দেখা যাচ্ছে সেটাই তাদের আবাসস্থল। তাদের কটেজটি আমাদের খুবই পছন্দ হয়েছিল।একদমই নিরিবিলি একটি জায়গায় তাদের অবস্থান ছিল। তারা আমাদেরকে তাদের ওখানে থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কিন্তু আমরা আগেই টাকা দিয়ে অন্য কটেজ বুক করে নেয়ার ফলে তাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিতে পারিনি।
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়সমূহ। কুয়াশার কারণে দূরের কোনো কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। এতে আমাদের মন কিছুটা খারাপ হয়েছিল। কারণ আমরা শুনেছিলাম সাজেকে গেলে রুমের ভেতর থেকেই মেঘ দেখা যায়। কখনো-সখনো রুমের ভিতরেও মেঘের আনাগোনা দেখা যায়।
একজন পাহাড়ি মহিলা কাঁধে ঝুড়ি নিয়ে সাজেকের রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে। তাকে দেখেই আমরা বুঝতে পারলাম এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা কতটা কঠিন।
এখানকার সবগুলি পাহাড় সবুজে ঘেরা। এই ছবিতে দেখতে পাচ্ছি একটি পাহাড়ের ঢাল বিভিন্ন রকম গাছগাছালিতে ভর্তি।
সাজেকে একটি টিলার উপর নির্মিত সুদৃশ্য মসজিদ। মসজিদটি নির্মাণাধীন অবস্থায় থাকায় আমরা কাছে যেতে পারিনি। কিন্তু দূর থেকে মসজিদটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগে।
সাজেকে কাঠের তৈরি একটি রেস্টুরেন্ট। ছবিতে যে অংশটি দেখা যাচ্ছে এটি রেস্টুরেন্ট এর পেছনের অংশ। এখানে বসে আপনি খেতে খেতে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। সাজেকে এই ধরনের আরো অনেকগুলি রেস্টুরেন্ট আছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
ভাইয়া অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপনি। সাজেকে আমি কখনো যায়নি তবে আপনার পোস্টটি পড়ে সাজাকে পৌঁছানোর পর মনের ভিতর কেমন আনন্দের অনুভূতি হয় সেটা বুঝতে পারলাম। আর মনে হচ্ছিল আমি যেন পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে মেঘের সাথে বন্ধুত্ব করছি। আপনি সাজেকে সুন্দর এবং সুস্থভাবে পৌঁছেছেন এটা জানতে পেরে আমার অনেক ভালো লাগলো। ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ভ্রমণ আমাদের জানার আগ্রহকে অনেকাংশে বারিয়ে তোলে মনকে করে সতেজ। হাজার দুঃখ কষ্টকে সৌন্দর্যের অবতলে হারিয়ে যায়। ভালো কাটুক আপনার প্রতিটি দিন এবং মূহুর্ত।
ভাইয়া সুস্থ সফলভাবে সাজেক পৌঁছে গেছেন জেনে খুবই খুশি হলাম। সাজেক খুব সুন্দর একটি জায়গা। আর এমন শীতের দিনে মেঘের খেলা দেখে মন এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।
আপনার সাজেক জার্নি শুভ হোক এই কামনা রইল।
অনেক ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য ভাইয়া।
সুস্থ ও সুন্দরভাবে আপনি সাজেকে পৌঁছে গেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। আর সাজেক সুন্দর একটি জায়গা। আপনার সাজেক জার্নি অনেক শুভ হোক। আর আপনাকে দেখে বোঝাই যাচ্ছে আপনি খুব আনন্দ উৎসব মেতে আছে। আপনার জন্য অনেক ভালোবাসা রইলো ভাইয়া
আমি আপনার সাজেক ভ্রমণের গত দুইটি পর্ব দেখেছি। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এই পর্বে সাজেকের কিছু ছবি ও আপনার অনুভূতি জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
সাজেকে পৌঁছে যাওয়ার পর ভেতরে কেমন অনুভূতি হতে পারে সেটা আমি অনুভব করার চেষ্টা করছিলাম। আর ঠিক তখন মনে হচ্ছিল আমি বুঝি পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে মেঘের সাথে আলিঙ্গন করছি। পরবর্তী পোস্টে আশা করি আরো চমক অপেক্ষা করে আছে আমার জন্য।
বাহ পোস্টগান আপনি খুব আকর্ষণীয়, এবং ছবি খুব সুন্দর হয়
আজকে আবারো পেয়ে গেলাম ভ্রমণের তৃতীয় অংশ। সত্যিই ভাইয়া আপনার ভ্রমণটি অনেক সুন্দর হয়েছিলো। আমার খুব এ ইচ্ছা ভ্রমণ করতে কিন্তু সমস্যার কারণে সেটা করতে পারি না। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভাইয়া ❤️❤️
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।