পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা( প্রথম পর্ব)। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
অনেক দিন থেকেই ভাবছিলাম পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি থেকে ঘুরে আসবো। কিন্তু যাই যাই করে যাওয়া হচ্ছিল না। আজ সকালে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম একটি ব্যক্তিগত কাজে। বাইরে যাওয়ার পর আমার এক বড় ভাইয়ের সাথে দেখা করেছিলাম। তাকে নিয়ে একটি জিনিস দেখতে যাওয়ার কথা ছিল। সেই জিনিসটা দেখার পর আমি পল্লীকবির বাড়িতে যেতে চাচ্ছিলাম। আমার সেই বড় ভাই যখন শুনলো যে আমি পল্লীকবির বাড়িতে ঘুরতে যাব। তখন সে বলল চলুন আমিও যাই। তার সাথে তার এক আত্মীয় ও ছিল। তারপর আমরা তিনজন মিলে রওনা দিলাম পল্লীকবির বাড়ির উদ্দেশ্যে। শহরের খুব কাছেই বাড়িটি। যার ফলে অল্প কিছুক্ষনের ভিতরেই আমরা সেখানে পৌঁছে গেলাম। সেখানে পৌঁছে অটোর ভাড়া মিটিয়ে যখন নামলাম তখন দেখি সেখানে অল্প কিছু লোকজন ঘুরতে এসেছে। নেমেই প্রথমে যে জিনিসটি দেখা যায় সেটি হচ্ছে পল্লীকবির পারিবারিক গোরস্থান। কিন্তু গোরস্থানের অবস্থা দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল। এই গোরস্থানটা সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতো। কিন্তু এখন পুরোপুরি জংলা হয়ে গিয়েছে। যদিও দেখলাম কয়েকজন লোক এটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজে ব্যস্ত।
এখানে পৌঁছে বহু স্মৃতি মনে পড়ে গেল। একটা সময় ফরিদপুর শহরের লোকজনের ঘুরতে যাওয়ার জন্য প্রথম পছন্দ ছিল এই পল্লীকবির বাড়ি। আমি যখন প্রথম পল্লীকবির বাড়িতে বেড়াতে আসি। তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম। কিন্তু আমার এখনো পরিষ্কার সে অভিজ্ঞতা মনে আছে। আমি এসেছিলাম আমার আম্মার সঙ্গে এখানে পিকনিকে। সেটা আমার জীবনের প্রথম আনুষ্ঠানিক পিকনিক ছিল। তখন এখানকার পরিবেশ ছিল সম্পূর্ণ অন্যরকম। এখন অনেক কিছুই পাল্টে গিয়েছে। পল্লীকবির বাড়ির ভেতরে ছায়াসুনিবিড় একটি পরিবেশ। সেখানে সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে।
যাই হোক সেখানে পৌঁছে ২০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে পল্লীকবির বাড়িতে প্রবেশ করলাম। যদিও আমি জানি ভেতরে দেখার মত খুব বেশি কিছু নেই। ঢোকার মুখেই গেটের পাশে একটি দোকান। সেই দোকানে দেখলাম গ্রামীণ হস্তশিল্পজাত কিছু পণ্য বিক্রি হচ্ছে। আমি সেগুলোর দুটো ছবি তুলে নিলাম।
তারপর দোকানটির পাশেই আছে পল্লীকবির ব্যবহার্য কিছু জিনিস পত্রের একটি ছোট্ট সংগ্রহশালা। সেই সংগ্রহশালায় কবি এবং তার পরিবারের ব্যবহারের অল্প কিছু জিনিসপত্র রাখা আছে। আমি সেই জিনিসপত্রগুলোর কিছু ছবি তুললাম।
পল্লীকবির বাড়ির ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় তার লেখার অংশবিশেষ এইভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এগুলি পড়তে বেশ ভালই লাগে। দেখলাম দর্শনার্থীরা যারা পল্লীকবির বাড়িতে ঘুরতে এসেছে তারা অনেকেই ঘুরে ঘুরে তার এই লেখাগুলি পড়ছে।
পল্লীকবির বাড়ির ভেতরের কিছু ছবি। একটা সমস্যা হচ্ছে এখানে সব জায়গার ছবি তোলা যায় না। বেশিরভাগ জায়গায় লেখা আছে ছবি তোলা নিষেধ। তার পরেও দেখলাম অনেকেই ছবি তুলছে। এগুলো দেখার মত তেমন কেউ নেই। এখনো দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকেই পল্লীকবির বাড়ি এবং তার সমাধি দেখতে এখানে ছুটে আসে। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের পল্লীকবির বাড়ি নিয়ে আগ্রহ খুবই কম। পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে পল্লীকবির বাড়ি ভ্রমণের আরো কিছু ছবি নিয়ে হাজির হব।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে এই ভ্রমণ অভিজ্ঞতার দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে সে। পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
| ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @rupok |
| স্থান | লিংক |

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।

















ভাই, আপনার পোস্টের মাধ্যমে পল্লী কবি জসিমউদদীনের বাড়ির অনেক কিছু দেখার সৌভাগ্য হলো। ভিতরের পরিবেশ সবুজে ঘেরা। আপনার তুলা ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়ছে। তার লেখা গুলো পড়লাম অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে এই ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করার জন্য।
আসলে আমার কখন যাই নাই,জসিম উদ্দিনের বাড়ইতে।তবে আপনার পোস্ট টা দেখে আমি অনেক কিছু জানতে পারলাম,জসিম উদ্দিন এর বাড়ি সম্পরকে।যা আমার জন্য অনেক উপকারি। ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর পোস্ট করার জন্য। আর অনেক গুলো ছবি শেয়ার করেছেন যা দেখে ভাল লাগলো। বিশেষ করে জসিম উদ্দিনের ব্যবহার্য কিছু জিনিস এর ছবি গুলো দেখে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।
পল্লী বাংলার কবি জসীমউদ্দীন তার ছড়া কবিতা উপন্যাস সব কিছুই আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ।এখন আপনার মাধ্যমে পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি চিত্র গুলো দেখে আমার মন জুড়িয়ে গেলো।এটা আশা করিনি যে আমি পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি ঘর দেখতে পারব ।আপনার মাধ্যমে দেখৈ ফেললাম সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার ।ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর বিষয় শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
অসাধারণ ছিল ভাইয়া আপনার কবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি ভ্রমণ। তিনি ছিলেন আমাদের পল্লীকবি। অনেক ভালো ভাবে উপস্থাপন করেছেন তাঁর বাড়ির। তবে আপনার ফটো গুলো বেশ ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপনার কাটানো একটি সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা এবং ভালোবাসা অবিরাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা প্রথম পর্বের পোস্টটি পড়ে আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে। পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের বাড়ির বিভিন্ন ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে দেখতে অতি চমৎকার লেগেছে। সত্যি ভাইয়া দারুন কালেকশন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া খুবই সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের উপহার দিয়েছেন।