রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট। ১০% সাই-ফক্স।
উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি মালবাহী ছোট কার্গো জাহাজ। যার বেশির ভাগ অংশ পানির নিচে ডুবে রয়েছে। কিন্তু এই জাহাজগুলি দেখে বোঝার উপায় নেই এগুলো কতটা বড়ো। কয়েকদিন আগেও নদীর এই অংশ দিয়ে এই জাহাজগুলি চলতে পারত না। এখন নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় জাহাজগুলোর নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে।
আমাদের এলাকার কাছেই এটি একটি শাখা নদী। সেখানে দেখা যাচ্ছে বাঁধাই করা ঘাট রয়েছে। যদিও এইখানে আগে কোন ঘাট ছিল না। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের সুবিধার জন্য পৌরসভা কর্তৃক এই ঘাটটি করে দেয়া হয়েছে। যদিও নদীতে এখনও খুব একটা পানি আসেনি। তবে যখন নদী পানিতে ভরে উঠবে তখন এলাকার মানুষজন এই ঘাটের সুবিধা পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করতে পারবে।
সূর্য প্রায় অস্তমিত। সূর্যের এই ডুবে যাওয়া সবাইকে মনে করিয়ে দিচ্ছে বাড়ি ফেরার সময় হয়েছে। দিনের এই সময়টাতে সবাইকে জানি কেমন উদাস মনে হয়।
নদীতে আবার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এখানে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু মানুষ খেয়া নৌকার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। চরের মানুষের জীবনে যাতায়াত একটি বড় সমস্যা। নৌকা হচ্ছে তাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম।
সবুজ ফসলের মাঠ। সবুজ রঙের ফসলে মাঠ ভরে রয়েছে। কিছুদিন আগেও এই জায়গা গুলো সব পানির নীচে ছিলো। এখন সেখানে মানুষ বসতি স্থাপন করেছে। চাষাবাদও শুরু করেছে। সবকিছু কতো দ্রুত বদলে যায়।
চরের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে ইট বিছানো রাস্তা তৈরি হয়েছে। এই রাস্তা গুলো দিয়েই চরের মানুষজন শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে। এখন সেখানে মোটরসাইকেলই হচ্ছে একমাত্র নির্ভরযোগ্য বাহন।
একটি মাঠে দেখা যাচ্ছে অনেকগুলো ভেড়া চড়ে বেড়াচ্ছে। চরের মানুষের এদিক থেকে অনেক বড় একটা সুবিধা আছে। চারপাশে প্রচুর ফাঁকা জায়গা থাকার ফলে তাদেরকে পশু খাদ্যের জন্য খুব একটা চিন্তা করতে হয় না।
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে চরের ভিতর একটি খালে কেবল পানি আসছে। সেখানে আগে থেকেই দুটি ডিঙ্গি নৌকা রয়েছে। ডিঙ্গি নৌকা দুটি অবহেলিতভাবে পড়ে রয়েছে।
এখানে দেখা যাচ্ছে দুটি খড়ের গাদা। আগেকার দিনে গ্রামের প্রতিটা বাড়িতে এমন ঘরের গাদা থাকতো। কিন্তু এখন আর সেটা খুব একটা দেখা যায়না। এখন এই খরের অনেক দাম হয়েছে। কারণ এগুলো পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
আরো একটি গোধূলি বেলার ছবি। সূর্যের লাল আভায় পশ্চিম আকাশটা রাঙিয়ে গিয়েছে। দেখতে ভালই লাগছিলো।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনার সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | পদ্মার চর, ফরিদপুর |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
বর্ষাকালে নদী যাত্রা আমারও অনেক প্রিয় ভাইয়া, সত্যি বর্ষাকালে নদী-নালা খাল-বিল তার যৌবন ফিরে পায়, আর আমার প্রায় বিকেল বেলা একা একা নদীর পারে কেটে যায়, যাইহোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনি অনেক সুন্দর করে দৃশ্য গুলো ক্যামেরাবন্দি করেছেন, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
আমি পদ্মা পাড়ের মানুষ তো । এজন্য বর্ষা আমার কাছে আমার কাছে অত্যন্ত পছন্দের ঋতু ।
ভাইয়া আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। নিখুঁত ভাবে সব গুলো ফটোগ্রাফি করেছেন। সাথে চমৎকার উপস্থাপনা করেছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো 🥀
প্রশংসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফির সাথে আজ অনেক তথ্য পেলাম। আসলে বর্ষাঋতু আমারও প্রিয় ঋতু। যা আপনার সাথে মিলে গেছে। তাইতো রবীন্দ্রনাথের বর্ষার গানগুলো আমি বেশ উপভোগ করি। বর্ষায় নদীর যে রূপ ধারণ করে দেখিয়েছেন আমাদের মাঝে আসলেই অনেক সুন্দর। নদীতে যখন টইটুম্বুর পানি টলমল করে তখন প্রকৃতি যেন নিজেই তার সৌন্দর্য আমাদের মাঝে বিলিয়ে দেয়। তবে চর এলাকার মানুষের জন্য দুর্ভোগে এই সময়। নদী ভাঙ্গনের কারণে তাদেরকে হারাতে হয় বসতভিটে। তবে এখন মানুষ অনেকটাই সচেতন ও সতর্ক হয়েছে এসব ব্যাপারে। যাই হোক প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। নদী এবং পানি বলে কথা।
বৃষ্টির সাথে রবীন্দ্র সংগীত আর কি চাই?
আর এক কাপ চা☕
আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে সবুজ-শ্যামল প্রাকৃতিক দৃশ্যটা সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে। সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলে চারপাশের প্রকৃতি এত সুন্দর ছিলো যে সব কিছুই দেখতে অনেক ভালো লাগছিলো।
অসাধারন কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ভাই এরকম দৃশ্য দেখলে আসলে মনটাও ভালো হয়ে যায়। খুব সুন্দর কিছু দৃশ্যের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আমার কাছে কিন্তু আপনার প্রথম ফটোগ্রাফি টা অসাধারন লেগেছে।
পরিবেশের কারণেই হয়তো ছবিগুলো ভালো দেখা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনি বৃষ্টি বিলাসী,আমার কাছেও বৃষ্টি অনেক ভালো লাগে।আমার কাছে শীতকালের চেয়ে বর্ষাকালেই ভালো লাগে।যাই হোক ছবিগুলো বেশ চমৎকার। কোনটা রেখে কোনটা ভালো বলবো ভেবে পাচ্ছি না।ধন্যবাদ
একটা সময় ছিল যখন বৃষ্টি হলেই আমি ভিজতাম। কিন্তু এখন বজ্রপাত বেড়ে যাওয়ায় বৃষ্টিতে নামতে ভয় করে। তবে বৃষ্টি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
আসলেই এক একটা ঋতু এক এক রুপ নিয়ে আসে তবে আমার কাছে শীতকাল খুবিই ভালো লাগে,এরপর বর্ষাকাল।আপনি খুবিই সুন্দর করে এই দুই ঋতুর বর্ননা দিছেন। আমার কাছে খুবিই ভালো লাগল আপনার ব্লগটি।ধন্যবাদ ভাইয়া
এই দুটো সময়ের ভেতর অবশ্য বর্ষাকাল বেশি সুন্দর।
আমারও বর্ষাকাল ভালো লাগে, যদি সেদিন আমার কোন কাজ না থাকে তাহলে আমি বৃষ্টি উপভোগ করতে পারি, যদি সেদিন কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকে তাহলে বৃষ্টি আমার অসহ্য লাগে 😂। আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে বেশ চমৎকার নদীর বেশ কিছু দৃশ্য দেখতে পেলাম খুব ভালো লাগলো।
বৃষ্টি আমিও খুব উপভোগ করি। যখন টানা দুই তিন দিন ধরে বৃষ্টি হয় অনেকেই বিরক্ত হয়। কিন্তু আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
ফটোগ্রাফি গুলোর প্রেমে পরে গেলাম অসম্ভব সুন্দর হয়েছে একদম নিখুত ভাবে করেছেন প্রতিটা ফটোগ্রাফি ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে সুন্দর গুছিয়ে লিখে উপস্থাপনা করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার কমপ্লিমেন্টের জন্য । ছবিগুলো আপনাদের উদ্দেশ্যেই তোলা । আপনাদের ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম ।
সবকিছুরই একটা ভালো আর একটা খারাপ দিক আছে। তোমার যেমন বর্ষাঋতু পছন্দের আমার তেমনি অপছন্দের। তবে রাতের বেলা বর্ষার ঝুম বৃষ্টি আর বারান্দায় বসে ঝড়-বৃষ্টি দেখার আনন্দ সত্যিই অসাধারণ। ফটোগ্রাফি গুলো আসলেই ভাল ছিল। ধন্যবাদ
টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ, সাথে রবীন্দ্রসঙ্গীত, আর হাতে এক কাপ চা। কেমন লাগবে এখন বলোতো?