রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট। ১০% সাই-ফক্স।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


একেক জন মানুষ একেক ধরনের আবহাওয়া পছন্দ করে, একেক ধরনের ঋতু পছন্দ করে। অনেকে আছে যারা শীতকাল পছন্দ করেনা। আবার অনেকে আছে যারা বর্ষাকাল পছন্দ করে না। কিন্তু আমি এই দুটো ঋতু সবচাইতে বেশি পছন্দ করি। বসন্তকাল তো সকলেই পছন্দ করে। কিন্তু এই দুটো ঋতুতে আমি প্রকৃতিকে ভিন্নভাবে খুঁজে পাই। শীতকালে শীতের আমেজ আমি খুব উপভোগ করি। আর বর্ষাকালে পুরো দেশের সবুজ প্রকৃতি এবং নদ-নদীগুলোর পূর্ণ যৌবন ফিরে পাওয়া আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।


বর্ষাকাল আমার কাছে ভালোলাগার অন্যতম কারণ হচ্ছে আমি বৃষ্টি পছন্দ করি। শুধু পছন্দ করি বললে ভুল হবে। আমি রীতিমত বৃষ্টি বিলাসী মানুষ। আমি নদী ও খুব পছন্দ করি। আর যারা নদী পছন্দ করেন। তাদের জন্য বর্ষাকালের চাইতে ভালো সময় আর হতে পারে না। কারণ এই বর্ষাকালে দেশের সমস্ত নদ-নদী খাল-বিল তাদের হারানো যৌবন ফিরে পায়। এই কারণে আমি বর্ষাকাল খুব পছন্দ করি। বর্ষাকাল এলেই আমার নদীতে যাতায়াত বেড়ে যায়। আমি কারনে অকারনে নদীতে ঘুরতে যাই। এই সময় একা একা নদীর পাড়ে বসে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতেও আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝে সেটা করি।


গত কয়েকদিন থেকেই নদীর আশপাশ দিয়ে ঘোরাফেরা করছি। কারণ ইতিমধ্যে নদীতে বর্ষার পানি চলে এসেছে। কিছুদিন আগেও যে নদীটা মৃতপ্রায় অবস্থায় ছিলো। সে নদীতে এখন প্রবল ঢেউ এবং স্রোত। নদীর এই রুপ আমাকে বিমোহিত করে। গত কয়েক দিন আমি বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছি। আর আপনারা তো জানেনই আমি যখনই বাইরে ঘুরতে যাই। কোন দৃশ্য পছন্দ হলে সেটা ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা করি। যাতে পরে সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি। সেই ঘোরাফেরা থেকে দশটি ছবি আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

IMG_20220529_142106.jpg

উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি মালবাহী ছোট কার্গো জাহাজ। যার বেশির ভাগ অংশ পানির নিচে ডুবে রয়েছে। কিন্তু এই জাহাজগুলি দেখে বোঝার উপায় নেই এগুলো কতটা বড়ো। কয়েকদিন আগেও নদীর এই অংশ দিয়ে এই জাহাজগুলি চলতে পারত না। এখন নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় জাহাজগুলোর নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে।

IMG_20220529_142608.jpg

আমাদের এলাকার কাছেই এটি একটি শাখা নদী। সেখানে দেখা যাচ্ছে বাঁধাই করা ঘাট রয়েছে। যদিও এইখানে আগে কোন ঘাট ছিল না। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের সুবিধার জন্য পৌরসভা কর্তৃক এই ঘাটটি করে দেয়া হয়েছে। যদিও নদীতে এখনও খুব একটা পানি আসেনি। তবে যখন নদী পানিতে ভরে উঠবে তখন এলাকার মানুষজন এই ঘাটের সুবিধা পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করতে পারবে।

IMG_20220529_142508.jpg

সূর্য প্রায় অস্তমিত। সূর্যের এই ডুবে যাওয়া সবাইকে মনে করিয়ে দিচ্ছে বাড়ি ফেরার সময় হয়েছে। দিনের এই সময়টাতে সবাইকে জানি কেমন উদাস মনে হয়।

IMG_20220529_142440.jpg

নদীতে আবার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এখানে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু মানুষ খেয়া নৌকার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। চরের মানুষের জীবনে যাতায়াত একটি বড় সমস্যা। নৌকা হচ্ছে তাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম।

IMG_20220529_142414.jpg

সবুজ ফসলের মাঠ। সবুজ রঙের ফসলে মাঠ ভরে রয়েছে। কিছুদিন আগেও এই জায়গা গুলো সব পানির নীচে ছিলো। এখন সেখানে মানুষ বসতি স্থাপন করেছে। চাষাবাদও শুরু করেছে। সবকিছু কতো দ্রুত বদলে যায়।

IMG_20220529_142347.jpg

চরের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে ইট বিছানো রাস্তা তৈরি হয়েছে। এই রাস্তা গুলো দিয়েই চরের মানুষজন শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে। এখন সেখানে মোটরসাইকেলই হচ্ছে একমাত্র নির্ভরযোগ্য বাহন।

IMG_20220529_142319.jpg

একটি মাঠে দেখা যাচ্ছে অনেকগুলো ভেড়া চড়ে বেড়াচ্ছে। চরের মানুষের এদিক থেকে অনেক বড় একটা সুবিধা আছে। চারপাশে প্রচুর ফাঁকা জায়গা থাকার ফলে তাদেরকে পশু খাদ্যের জন্য খুব একটা চিন্তা করতে হয় না।

IMG_20220529_142255.jpg

এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে চরের ভিতর একটি খালে কেবল পানি আসছে। সেখানে আগে থেকেই দুটি ডিঙ্গি নৌকা রয়েছে। ডিঙ্গি নৌকা দুটি অবহেলিতভাবে পড়ে রয়েছে।

IMG_20220529_142218.jpg

এখানে দেখা যাচ্ছে দুটি খড়ের গাদা। আগেকার দিনে গ্রামের প্রতিটা বাড়িতে এমন ঘরের গাদা থাকতো। কিন্তু এখন আর সেটা খুব একটা দেখা যায়না। এখন এই খরের অনেক দাম হয়েছে। কারণ এগুলো পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

IMG_20220529_142147.jpg

আরো একটি গোধূলি বেলার ছবি। সূর্যের লাল আভায় পশ্চিম আকাশটা রাঙিয়ে গিয়েছে। দেখতে ভালই লাগছিলো।


আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনার সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানপদ্মার চর, ফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  
 2 years ago (edited)

বর্ষাকালে নদী যাত্রা আমারও অনেক প্রিয় ভাইয়া, সত্যি বর্ষাকালে নদী-নালা খাল-বিল তার যৌবন ফিরে পায়, আর আমার প্রায় বিকেল বেলা একা একা নদীর পারে কেটে যায়, যাইহোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনি অনেক সুন্দর করে দৃশ্য গুলো ক্যামেরাবন্দি করেছেন, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।

 2 years ago 

আমি পদ্মা পাড়ের মানুষ তো । এজন্য বর্ষা আমার কাছে আমার কাছে অত্যন্ত পছন্দের ঋতু ।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। নিখুঁত ভাবে সব গুলো ফটোগ্রাফি করেছেন। সাথে চমৎকার উপস্থাপনা করেছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো 🥀

 2 years ago 

প্রশংসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফির সাথে আজ অনেক তথ্য পেলাম। আসলে বর্ষাঋতু আমারও প্রিয় ঋতু। যা আপনার সাথে মিলে গেছে। তাইতো রবীন্দ্রনাথের বর্ষার গানগুলো আমি বেশ উপভোগ করি। বর্ষায় নদীর যে রূপ ধারণ করে দেখিয়েছেন আমাদের মাঝে আসলেই অনেক সুন্দর। নদীতে যখন টইটুম্বুর পানি টলমল করে তখন প্রকৃতি যেন নিজেই তার সৌন্দর্য আমাদের মাঝে বিলিয়ে দেয়। তবে চর এলাকার মানুষের জন্য দুর্ভোগে এই সময়। নদী ভাঙ্গনের কারণে তাদেরকে হারাতে হয় বসতভিটে। তবে এখন মানুষ অনেকটাই সচেতন ও সতর্ক হয়েছে এসব ব্যাপারে। যাই হোক প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। নদী এবং পানি বলে কথা।

 2 years ago 

বৃষ্টির সাথে রবীন্দ্র সংগীত আর কি চাই?

 2 years ago 

আর এক কাপ চা☕

 2 years ago 

আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে সবুজ-শ্যামল প্রাকৃতিক দৃশ্যটা সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে। সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

আসলে চারপাশের প্রকৃতি এত সুন্দর ছিলো যে সব কিছুই দেখতে অনেক ভালো লাগছিলো।

 2 years ago 

অসাধারন কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ভাই এরকম দৃশ্য দেখলে আসলে মনটাও ভালো হয়ে যায়। খুব সুন্দর কিছু দৃশ্যের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আমার কাছে কিন্তু আপনার প্রথম ফটোগ্রাফি টা অসাধারন লেগেছে।

 2 years ago 

পরিবেশের কারণেই হয়তো ছবিগুলো ভালো দেখা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনি বৃষ্টি বিলাসী,আমার কাছেও বৃষ্টি অনেক ভালো লাগে।আমার কাছে শীতকালের চেয়ে বর্ষাকালেই ভালো লাগে।যাই হোক ছবিগুলো বেশ চমৎকার। কোনটা রেখে কোনটা ভালো বলবো ভেবে পাচ্ছি না।ধন্যবাদ

 2 years ago 

একটা সময় ছিল যখন বৃষ্টি হলেই আমি ভিজতাম। কিন্তু এখন বজ্রপাত বেড়ে যাওয়ায় বৃষ্টিতে নামতে ভয় করে। তবে বৃষ্টি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।

 2 years ago 

আসলেই এক একটা ঋতু এক এক রুপ নিয়ে আসে তবে আমার কাছে শীতকাল খুবিই ভালো লাগে,এরপর বর্ষাকাল।আপনি খুবিই সুন্দর করে এই দুই ঋতুর বর্ননা দিছেন। আমার কাছে খুবিই ভালো লাগল আপনার ব্লগটি।ধন্যবাদ ভাইয়া

 2 years ago 

এই দুটো সময়ের ভেতর অবশ্য বর্ষাকাল বেশি সুন্দর।

 2 years ago 

আমারও বর্ষাকাল ভালো লাগে, যদি সেদিন আমার কোন কাজ না থাকে তাহলে আমি বৃষ্টি উপভোগ করতে পারি, যদি সেদিন কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকে তাহলে বৃষ্টি আমার অসহ্য লাগে 😂। আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে বেশ চমৎকার নদীর বেশ কিছু দৃশ্য দেখতে পেলাম খুব ভালো লাগলো।

 2 years ago 

বৃষ্টি আমিও খুব উপভোগ করি। যখন টানা দুই তিন দিন ধরে বৃষ্টি হয় অনেকেই বিরক্ত হয়। কিন্তু আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।

 2 years ago 

ফটোগ্রাফি গুলোর প্রেমে পরে গেলাম অসম্ভব সুন্দর হয়েছে একদম নিখুত ভাবে করেছেন প্রতিটা ফটোগ্রাফি ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে সুন্দর গুছিয়ে লিখে উপস্থাপনা করার জন্য।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপনার কমপ্লিমেন্টের জন্য । ছবিগুলো আপনাদের উদ্দেশ্যেই তোলা । আপনাদের ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম ।

 2 years ago 

সবকিছুরই একটা ভালো আর একটা খারাপ দিক আছে। তোমার যেমন বর্ষাঋতু পছন্দের আমার তেমনি অপছন্দের। তবে রাতের বেলা বর্ষার ঝুম বৃষ্টি আর বারান্দায় বসে ঝড়-বৃষ্টি দেখার আনন্দ সত্যিই অসাধারণ। ফটোগ্রাফি গুলো আসলেই ভাল ছিল। ধন্যবাদ

 2 years ago 

টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ, সাথে রবীন্দ্রসঙ্গীত, আর হাতে এক কাপ চা। কেমন লাগবে এখন বলোতো?

Coin Marketplace

STEEM 0.30
TRX 0.12
JST 0.032
BTC 61662.20
ETH 3059.04
USDT 1.00
SBD 3.84