ভাগ্নেকে সাথে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার অভিজ্ঞতা। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
কিছুদিন আগে আমি ঢাকায় এসেছিলাম। তখন ছিল ডিসেম্বর মাস। আমার ভাগ্নের নাম লুব্ধক। সে অনেকদিন যাবত নানাবাড়িতে যায় না। তাই আমার ইচ্ছা ছিল তাকে সাথে নিয়ে যাওয়ার। যেহেতু তার নানী দীর্ঘদিন পর বিদেশ থেকে ফিরে এসেছে দেশে। তাই ভাগ্নেকে বললাম তোমার পরীক্ষা শেষ হলে তোমাকে নানাবাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাবো। ভাগ্নে খুবই খুশি ছিলো।
পরীক্ষা শেষ হলে ভাগ্নেকে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। অনেকদিন পর কোথাও বেড়াতে এসে সে খুবই খুশি ছিলো। নানাবাড়িতে বেড়াতে এসেছে। এখানে কোন পড়ালেখার চাপ নেই কোন কিছুতে নিষেধ নেই। সময়টা খুবই ভাল উপভোগ করছিল সে। যদিও তখন প্রচন্ড ঠান্ডা থাকায় সে বাড়ি থেকে খুব একটা বাইরে যেতে পারেনি। আমার ভাগ্নে খেতে খুবই ভালোবাসে। বিশেষ করে বাইরের খাবার তার খুবই পছন্দের।
ভাগ্নেকে সাথে করে নিয়ে যাওয়ার পরের দিন তাকে জিজ্ঞেস করলাম বাইরে খেতে যাবে কিনা। বলার সাথে সাথেই সে রাজি হয়ে গেল। তখন ছিল দুপুর। আমি তাকে বললাম এখন বাসায় খেয়ে নাও। বিকালে তোমাকে বাইরে খেতে নিয়ে যাব। কিন্তু তার ইচ্ছা ছিল তখনই বাইরে যাওয়ার। যেহেতু বাসায় রান্না হয়ে গিয়েছে তাই আর তাকে নিয়ে বাইরে যাওয়া হয়নি তখন। বিকাল হলে ভাগ্নে আমাকে বললো মামা চলো বাইরে যাই। আমার মনে পড়ে গেলো তাকে বাইরে খেতে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
দুজন তৈরি হয়ে বাসার কাছেই একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম। আমার ভাগ্নে চাইনিজ এবং থাই কুইজিন খুবই পছন্দ করে। যার ফলে তাঁকে সেই ধরণের খাবার খাওয়াতে নিয়ে গেলাম। গিয়ে আমরা দুজন দুটো সেট মেনু অর্ডার করলাম। সেট মেনুতে অনেকগুলো আইটেম ছিলো। আবার প্রত্যেকটা সেট মেনুর সাথে একটি করে চিকেন বার্গার ও ছিল। প্রথমে আমার একটু সন্দেহ হয়েছিল খাবারগুলি খেতে কেমন হবে। কারণ এই রেস্টুরেন্টে আমার দীর্ঘদিন আসা হয়নি।
কিন্তু খাবার মুখে দিয়েই বুঝতে পারলাম এদের খাবারের স্বাদ আগের থেকে ভালো হয়েছে। সেট মেনুর প্রতিটি খাবারই অনেক মজার ছিল। মামা ভাগ্নে দুজনে মিলে বেশ মজা করে খেলাম। যদিও আমি আমার বার্গারটি ভাগ্নেকে দিয়ে দিয়েছিলাম। কারন ও বার্গার খেতে খুব পছন্দ করে। ভাগ্নে বার্গার পেয়ে খুবই খুশি হলো। খাওয়ার সময় আমি ভাগ্নেকে জিজ্ঞাস করলাম খাবার কেমন লাগছে। সে বললো খুবই মজা হয়েছে রান্নাটা। আমার কাছেও তেমনটাই মনে হয়েছে। এর ভেতর ওয়েটার এসে জিজ্ঞেস করল খাবারটা কেমন ছিলো। আমি তাকে বললাম আপনাদের খাবারটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে আমরা বিল মিটিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি
আপনার ভাগ্নেকে নিয়ে খুবই সুন্দর সময় পার করছেন দেখে খুবিই ভালো লাগলো,আধুনিক যুগের ছেলেপান বলে কথা তারা আজকাল ঘুরতে বেশী পছন্দ করে এবং বাহিরের খাবার ও খেতে ভালোবাসে। ভালোবাসা রইল মামা ভাগ্নের জন্য।
আপনার ভাগ্নিকে নিয়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দের ছিল। রেস্টুরেন্টে পছন্দের খাবার গ্রহণ করেছেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ সময় কেটেছে আপনাদের। আনন্দর মুহূর্ত সময়গুলো স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে জীবনের পাতায়। ভালো থাকবেন ভাইয়া।
আপনার ভাগনাকে নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। সত্যি কথা বলতে কি ভাগনা ভাস্তা এদের সাথে সময় কাটাতে পারলে অনেক ভালো লাগে। এদের সঙ্গে যত সময় কাটাই না কেন মনে হয় তার জন্য কম হয়ে গেল। এদের প্রতি অন্যরকম একটি মায়া কাজ করে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোষ্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
পোস্টটি পড়ে আমার ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল । ছোট বেলায় আমিও নানা বাড়িতে যাওয়ার জন্য খুব বায়না করতাম । মামা সাথে নিয়ে ঘুরতো আমাকে । খুব ভালো লাগতো সময় গুলো । আপনার আর ভাগ্নের কাটানো সময় গুলো খুবই ভালো কেটেছে তা ভাগ্নের খাওয়া দাওয়ার ছবি দেখেই বুঝা যাচ্ছে 😍 । খুব ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে । আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো
খুব চমৎকার একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনার ভাগ্নে সাথে , ঘোরাঘুরি খাওয়া-দাওয়া বেশ ভালোই কেটেছে দিনটি, আপনার পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে রেস্টুরেন্টের খাবারের মান বেশ ভালো। সবমিলিয়ে চমৎকার একটি দিন ছিল আপনার।
খাবারগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে বেশ মজার হবে।
পরিমাণ ও অনেক দিয়েছে মনে হচ্ছে দেখে।
আপনার ভাগ্নেকে নিয়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আপন জনকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়া রেস্টুরেন্টে যাওয়া সবারই ভালো লাগে আমারও খুব ভালো লাগে । বিশেষ করে খাবার গুলো খুব মজাদার ছিল হয়তো , দেখে আমারও লোভ লেগে গেলো। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।