ছবিতে চরের মানুষের জীবন ও প্রকৃতি।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন পদ্মার বুকে জেগে ওঠা চরে একজন বৃদ্ধ কাজ করছে। সেই সাথে তার স্ত্রীও তাকে সহযোগিতা করছে। আসলে শহরের মানুষ যতটা আরাম আয়েশ জীবন কাটায়। চরের মানুষের জীবন এতোটা আরামের না। তাদেরকে বেঁচে থাকার জন্য প্রচুর সংগ্রাম করতে হয়। অবশ্য সেখানকার অবস্থাপন্ন লোকদের কথা কিছুটা আলাদা। কিন্তু চরের যে সমস্ত দরিদ্র লোকজন রয়েছে তাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়।
শহর থেকে আমরা যখন চরের দিকে যাচ্ছিলাম তখন উপরে ছবিতে যে দৃশ্যটা দেখতে পাচ্ছেন সেভাবেই আমাদেরকে ট্রলারে উঠতে হয়েছিলো। ওঠার জন্য আমাদেরকে জুতা খুলে আগে হাতে নিতে হয়েছিলো। কারণ বেশ খানিকটা পথ পানির ভিতর দিয়েই যেতে হয়েছিলো। যদিও সেখানে পানি ছিল খুবই কম। চরের মানুষ কে প্রতিনিয়ত এভাবেই শহরে যাতায়াত করতে হয়।
উপরের এই দৃশ্যটা চরের প্রত্যেকটা অধিবাসীর জন্য ভীতি জাগানিয়া। খেয়াল করলে দেখতে পাবেন নদীর পাড়ে আপনারা কিছু বালুর বস্তা দেখতে পাচ্ছেন। এই বস্তা গুলো দেয়া হয়েছে চরের ভাঙ্গন ঠেকাতে। চরের অধিবাসীরা সবচাইতে বেশি ভয় পায় নদী ভাঙ্গন। কারণ এই নদী ভাঙ্গনে তারা মাঝে মাঝে সর্বস্বান্ত হয়ে যায়। এইজন্য নদী ভাঙ্গন শুরু হলে চরের মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দেয়।
উপরের ছবিটাতে আপনারা যে দৃশ্যটি দেখতে পাচ্ছেন এটা আসলে একটা রেস্টুরেন্ট। এই রেস্টুরেন্টটা শহরের মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে ভরা বর্ষার সময় সেখানে মানুষজনের ভিড় লেগেই থাকে। কারণ তখন রেস্টুরেন্টের নিচ পর্যন্ত পানি চলে আসে। আপনি এই রেস্টুরেন্টের সামনের অংশে বসলে সামনে বিশাল পদ্মা নদীর একটা চমৎকার ভিউ দেখতে পাবেন। মূলত এই ভিউ দেখার জন্য সবাই সেখানে ভিড় জমায়।
উপরের ছবিতে আপনারা যে দুটো নৌকা দেখতে পাচ্ছেন নৌকা গুলি রয়েছে মূলত পদ্মার চরের ভেতরে পানি জমে কিছু খালের মত তৈরি হয়েছে সেখানে। সেই খালেই ভাসমান অবস্থায় নৌকাগুলো রয়েছে। এই নৌকাগুলো চরের মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বাহন। কারণ শহরের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য তারা সাধারণত নৌকার উপরে নির্ভর করে থাকে।
উপরের ছবিতে আপনারা একজন ব্যক্তিকে দেখতে পাচ্ছেন ঘোড়া নিয়ে নিচের দিকে নামছে। আসলে সে ঘোড়াকে গোসল করাতে যাচ্ছে। সেদিন চরে যাওয়ার পথে এই দৃশ্যটা ক্যামেরাবন্দি করেছিলাম। চরের মানুষের মালামাল পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এই ঘোড়ার গাড়ি। এই জন্য শহরে গেলে প্রচুর ঘোড়ার গাড়ি দেখতে পাওয়া যায়।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
আসলেই ভাই চরের মানুষদের বাড়তি চাহিদা নেই, এটা আমি অনেকের মুখ থেকেই শুনেছি। তাদের জীবনটা একেবারে সাদামাটা হলেও, আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন ভাই। বিশেষ করে নৌকা দুটির ফটোগ্রাফি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই প্রতিটি ফটোগ্রাফি যেনো আলাদা আলাদা কথা বলছে। বন্ধুদের সাথে পদ্মা নদীর চরে প্রতি সপ্তাহে একবার করে ঘুরতে যান এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। আমিও যখন বাড়িতে যাই তখন বন্ধু আর বড় ভাইদের কে নিয়ে পদ্মা নদীর চরে ঘুরতে যায় এবং সেখানে মাঝেমধ্যে পিকনিকও করে থাকি। পদ্মা নদীর চরের ভেতরের মানুষের জীবনযাত্রার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনি সত্যি বলেছেন ভাই বাইরের মানুষের জীবন চরের মানুষের জীবনের ভেতরে অনেক পার্থক্য রয়েছে। অনেক সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
চরাঞ্চলের মানুষদের জীবন সত্যি অনেক কষ্টের। তারা সংগ্রাম করে বেঁচে থাকে। একটু ভালো থাকার জন্য প্রতিনিয়তই চেষ্টা করে যায়। শহরের জীবন এবং গ্রামীণ জীবনের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। গ্রামীণ জীবনে সুযোগ সুবিধা কম থাকলেও অনেকটা শান্তি আছে। ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
চরের দৃশ্যগুলো যেমন সুন্দর হয়ে থাকে তেমনি এদিকের জীবিকা নির্বাহ করাটা ততটাই কঠিন আমার মনে হয়। কারণ এদিকে সব সময় প্রচুর পরিমাণে রোদ থাকে বিশেষ করে গরম এর সময় অতিরিক্ত বালুর মধ্যে টিকে থাকাটাই মুশকিল। বৃদ্ধের কাজ করার মুহূর্তটা দেখে খুব কষ্ট লাগছিল। যাই হোক, খুব সুন্দর ট্রাভেল এবং ফটোগ্রাফি দুই জিনিসই আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ।
জীবনের তাগিদে চরের মানুষদেরকে অনেক পরিশ্রম ও সংগ্রাম করে বাঁচতে হয়।শহরের কোন সুবিধা ই তারা পায় না।তবে তারা সুখী মানুষ। তাদের অনেক বেশী চাওয়া নেই।তাই তারা সুখী।সেই চরের মানুষদের কিছু ফটোগ্রাফি চমৎকার বর্ননার মাধ্যমে শেয়ার করেছেন ভাইয়া।আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে।ধন্যবাদ জানাই আপনাকে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
চর অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের জীবন আসলেই অনেক বেশি সংগ্রামের। তবে শহরের মতো কোলাহল না থাকায় ওইখানে শান্তিটাও বেশি, এটা ঠিক কথা দাদা। আপনি আপনার আজকের ফটোগ্রাফির মাধ্যমে চর অঞ্চলের মানুষের জীবন ও প্রকৃতি যত সুন্দর করে তুলে ধরেছেন, সেটা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। সত্যিই খুব সুন্দর হয়েছে দাদা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি।
চরাঞ্চলের মানুষটা খুবই সাধারণ জীবন যাপন করে। তাদের হয়তো খুব একটা চাহিদা নেই। শহরের মানুষরা আরাম আয়েশ খুঁজলেও তারা কিন্তু আরাম আয়েশে জীবন কাটায় না। তারা শুধু পরিশ্রম করতেই জানে। ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে।