বৃক্ষ রোপনের উদ্দেশ্যে আম গাছের চারা কেনার অভিজ্ঞতা।

in আমার বাংলা ব্লগ6 days ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


দীর্ঘদিন থেকে চিন্তা করছিলাম বাসার পাশের ফাঁকা জায়গায় কয়েকটা গাছ লাগাবো। পৃথিবীর আর দশজন মানুষের মতো আমিও পরিবেশ নিয়ে খুব চিন্তিত। সেই কারণে চিন্তা করেছিলাম যে আমার পক্ষ থেকে ক্ষুদ্র কিছু হলেও করার চেষ্টা করি। সেই চেষ্টার অংশ হিসেবেই গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমি এর আগে কখনো নিজ হাতে গাছ লাগাইনি। যার ফলে গাছ লাগানোর নিয়ম কানুন আমার জানা ছিলো না। তবে গাছ লাগাতে হলে গাছের চারা কেনা জরুরি। সেই কারণেই অনেকদিন ধরেই পরিকল্পনা করছিলাম ফরিদপুরের হর্টিকালচার সেন্টারে যাওয়ার। কিন্তু পরিকল্পনা করা হলেও বিভিন্ন সমস্যার কারণে আর সেখানে যাওয়া হয়ে উঠছিলো না। তাই আজকে সকালে উঠে সমস্ত দ্বিধা দ্বন্দ্ব দুরে সরিয়ে রেখে চলে গেলাম ফরিদপুর হর্টিকালচার সেন্টারে। আমাকে সেখানে যাওয়া দেখে আম্মা ও আমার সাথে সেখানে গিয়েছিলো।

IMG_20240821_102449.jpg

আমি আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলাম চারটা আম গাছের চারা কিনবো। তবে কোন জাতের চারা কিনবো সে ব্যাপারে আগে থেকে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া ছিলো না। বাসা থেকে বের হয়ে একটা রিক্সা নিয়ে আমি আর আম্মা চলে গেলাম সরাসরি হর্টিকালচার সেন্টারে। সেখানে পৌঁছে আম্মাকে বললাম প্রথমে আমরা ঘুরে ফিরে হর্টিকালচার সেন্টারটা দেখি। তারপর পছন্দমত গাছের চারা কেনা যাবে। আমি আর আমার আম্মা দুজনে ঘুরে ফিরে হর্টিকালচার সেন্টার টা দেখতে লাগলাম। তবে সেখানে গিয়ে আমি কিছুটা হতাশ হয়েছি। কারণ এর আগে যখন এসেছিলাম তখন সেখানে সবকিছু বেশ গোছানো দেখতে পেয়েছিলাম। তবে এবার গিয়ে আমার কাছে কিছুটা অগোছালো মনে হয়েছে। সেই সাথে আমি বেশ কিছু গাছের কথা জিজ্ঞেস করলে তারা জানালো। কয়েকটি জাতের গাছ তাদের কাছে নেই ফুরিয়ে গিয়েছে।


IMG_20240821_104935.jpg

এখানকার যে কর্মচারীর সাথে কথা বললাম। খেয়াল করে দেখলাম তাদের কাজে কর্মে খুব একটা মন নেই। যাইহোক ঘুরেফিরে হর্টিকালচার সেন্টার দেখা শেষ হলে আমি সেখানকার এক লোককে আমের চারা দিতে বললাম। সে যখন জিজ্ঞেস করলো কোন জাতের চারা দেবো। তখন আমি তাকে বললাম হিমসাগর আর আম্রপালি আমের চারা দিন। তারপর লোকটা আমাকে সাথে নিয়ে একটা জায়গায় গেলো। যেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম প্রচুর আম গাছের চারা রয়েছে। সেখান থেকে লোকটি আমাকে চারটি চারা দিলো দুটি জাতের। আমার আম্মা লোকটার কাছে পেঁপে গাছের চারা আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে সে জানালো এখন নেই ফুরিয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে আমি যখন লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনাদের কাছে কম্পোস্ট সার আছে কিনা? তখন লোকটা জানালো সেটাও ফুরিয়ে গিয়েছে। বুঝতে পারলাম হর্টিকালচার সেন্টারটি তে নানারকম অব্যবস্থাপনা চলছে।


IMG_20240821_103733.jpg

পরবর্তীতে আম্মা ড্রাগন ফলের কয়েকটি ডাল দিতে বললো তাকে। যাই হোক কেনাকাটা শেষ হলে আমরা আম গাছ আর ড্রাগন গাছের চারা নিয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম। তবে হর্টিকালচার সেন্টারে কর্মচারী আমাকে বলে দিয়েছে গাছের চারা গুলো আর দশ দিন পরে লাগাতে। কারণ এখন যদি গাছে চারাগুলো রোপন করি। তাহলে নাকি সেগুলো মরে যাওয়ার চান্স বেশি থাকে। তবে এবার হর্টিকালচার সেন্টারে গিয়ে সত্যিই বেশ হতাশ হয়েছি। কারণ সেখানকার লোকজন যে ভালোভাবে কাজ করছে না সেটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। আসলে আমাদের দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই সমস্যাটা সব জায়গায় দেখা যায়। সবার ভেতরে কেমন যেন একটা গাছাড়া ভাব। কোন কাজেই তাদের মনোযোগ নেই। যাই হোক হর্টিকালচার সেন্টার থেকে বের হয়ে একটা অটো রিক্সা নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আর এভাবেই আমার বৃক্ষ রোপনের ইচ্ছার প্রথম ধাপ পূর্ণ হোলো।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  
 6 days ago 

বেশ ভালো করলেন ভাইয়া আপনি আন্টিকে নিয়ে গাছের চারা কিনতে গেলেন। বয়স্ক মানুষ একটু ঘুরতে পারলো ওনার পছন্দ মত কিছু ক্রয় করতে পারলো। এখন যেহেতু চারদিকে পরিবেশের অবস্থা খারাপ বেশি বেশি গাছ লাগানো উচিত। তবে আপনি আপনার পছন্দমত আম গাছের চারা গুলো পেয়ে গেলেন ভালো লাগলো। আর এখন তো দেখি প্রায় ছাদ বাগানে ড্রাগন ফলের চাষ করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী আপনারা ও ড্রাগন ফলের চাষ করার জন্য ডাল নিলেন বেশ ভালো লাগলো শুনে।

 5 days ago 

হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মচারী গুলোর কাজে মন নেই এটা শুনে খারাপ লাগলো। এরকম অনেক জায়গা আছে যেগুলোতে গেলেই বোঝা যায় ভেতরের সবকিছু ঠিকঠাক নেই। গাছ লাগানোর উদ্যোগটি সত্যি ভালো ছিল ভাইয়া। আপনি আপনার মাকে নিয়ে গাছ কিনতে গিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আশা করছি এই গাছগুলো একদিন বড় হয়ে ভালো ফল দিবে।

 5 days ago 

বৃক্ষরোপনের উদ্যোগ নিয়ে ভালোই করেছেন ভাইয়া। বৃক্ষ রোপন করা সত্যিই অনেক ভালো। তাই আপনার মাকে নিয়ে গাছ কিনতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। তবে সেখানকার লোক গুলোর ব্যবহার কেমন জানি। আন্তরিকতার অভাব আছে। সেই সাথে তাদের কাজের মনোযোগ কম আছে।

 5 days ago 

আসলে আমাদের দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই সমস্যাটা সব জায়গায় দেখা যায়। সবার ভেতরে কেমন যেন একটা গাছাড়া ভাব।

একেবারে যথার্থ বলেছেন ভাই, এটা আমিও অনেক জায়গায় লক্ষ্য করেছি। যাইহোক আপনার আম্মার সাথে হর্টিকালচার সেন্টারে গিয়ে আম গাছ আর ড্রাগন গাছের চারা কিনেছেন, জেনে খুব ভালো লাগলো। আমিও ছাঁদ বাগানে আম এবং ড্রাগন গাছ লাগিয়েছি। আমাদের সবার উচিত যথাসম্ভব বৃক্ষরোপণ করা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 5 days ago 

আমিও এই ব্যাপারটা খেয়াল করেছি দাদা, নার্সারি থেকে গাছ আনলে ওরা বেশ কিছুদিন পর লাগাতে বলে। সেটা না হলে নাকি গাছ মরে যায়। তবে সরকারি জায়গায় গাছ কিনতে গেলে কিন্তু অরজিনাল জিনিস পাওয়া যায়। কিন্তু সেখানকার কর্মচারীদের ব্যবহার সবসময় ভালো হয় না, এটাই স্বাভাবিক। যাইহোক, আপনারা মোটামুটি যে গাছ কেনার উদ্দেশ্য নিয়ে গিয়েছিলেন, সেগুলোর কিছু কিছু পেয়েছেন এটাই বড় কথা। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট টি পড়ে দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 63122.96
ETH 2686.06
USDT 1.00
SBD 2.57