অশুভ ছায়া (তৃতীয় পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


পূর্ববর্তী পর্বের লিংক

Polish_20230126_003243767.jpg

আমার সাথে কিছু হালকা খাবার আছে। ওগুলো দিয়ে আজ রাতটা চালিয়ে নিতে পারতাম। কালকে বাজার সদাই করে রান্না শুরু করবো। তুমি কালকে আমাকে নিয়ে আশেপাশের কোন একটি বাজারে যাবে। যেখান থেকে রান্নাবান্না করার জিনিসপত্র কিনতে পারি। আর আমার আরও একটি জিনিস প্রয়োজন হবে। সেটি হচ্ছে আমাকে কালকে অবশ্যই একটি টর্চ কিনতে হবে। রিপন তখন সাব্বিরকে বলল। ঠিক আছে স্যার কোন সমস্যা নেই। আপনার কালকে রোগী দেখা হলে তারপর আমরা দুজন বাজারে যাব। এই কথা বলে রিপন বিদায় নিয়ে চলে গেলো। রিপন যাওয়ার পর সাব্বির গিয়ে বিল্ডিং এর মেইন দরজাটা আটকে দিল।

তারপর সাব্বির কিছুক্ষণ মেডিকেল সাইন্সের একটি বই নিয়ে সময় কাটানোর চেষ্টা করল। কারণ তার আর করার মতো কোনো কাজ নেই এখন। বেশ কিছুক্ষণ এভাবে সময় কাটিয়ে তারপর সে খাওয়া দাওয়া করে নিল। ভরপেট খাওয়ার পর সাব্বিরের আবার ঘুম চলে এলো। কারণ সারাদিনের জার্নির ধকল সাথে আবার নতুন জায়গায় আসার কারণে মানসিক চাপ। দুটো মিলিয়ে তার বেশ ক্লান্ত লাগছিল। যার ফলে সে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ল। মাঝরাতে হঠাৎ করে তার ঘুম ভেঙে গেল। তার মনে হচ্ছিল ঘরের ভেতরে কেউ পা টেনে টেনে হেটে বেড়াচ্ছে।

সাব্বির ঘুমানোর আগে হারিকেনের আলো একেবারে কমিয়ে দিয়েছিলো। যার ফলে ঘরটা প্রায় পুরো অন্ধকার হয়ে রয়েছে। সেজন্য সে প্রায় কিছু দেখতে পারছিল না। তবে সামান্য যতটুকু আলো ছিল সেই আলোতে সে দেখার চেষ্টা করল যে ঘরে চোর এসেছে কিনা। পরক্ষণে তার মনে হল সে দরজাটা ভেতর থেকে বন্ধ করে রেখেছে। যার ফলে চোরের ঘরের ভেতর ঢোকার কোন সুযোগ নেই। সাব্বির যে ঘরটিতে রয়েছে ঘরটি আকারে অনেক বড়। আর সে হারিকেনটি রেখেছে ঘরের একদম কোনার দিকে। তার খাটের থেকে হারিকেনের দূরত্ব অনেকটা। সে চিন্তা করল খাট থেকে নেমে হারিকেনের আলো বাড়িয়ে দেখবে যে ঘরে কেউ ঢুকেছে কিনা।

সাব্বির যেই খাট থেকে নেমে উঠে দাঁড়িয়েছে। হঠাৎ করে সে আবার খাটের উপর পড়ে গেল। তার মনে হল কেউ যেন তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। সেই একই সাথে আবার জানালার নিজের কপাট সশব্দে খুলে গেল। সাব্বির তখন মোটেও ঘাবড়ে না গিয়ে খাট থেকে উঠে দ্রুত হারিকেন এর কাছে গিয়ে আলো বাড়িয়ে দিল। তারপর সে হারিকেন উঁচু করে ধরে দেখতে লাগলো ঘটনাটা কি। কারণ সে ঘুমানোর আগে নিজে জানালাটা আবার বন্ধ করে দিয়েছিল। কারণ রিপন তাকে বলেছিল নিচের জানালা খোলা থাকলে জানালা দিয়ে সাপ ঘরে ঢুকতে পারে। তাই সে জানালাটা আটকে দিয়েছিল ঘুমানোর আগে।

তারপর সাব্বির হারিকেন নিয়ে জানালার কাছে গিয়ে জানালাটা পরীক্ষা করতে লাগলো। যে এর ফাঁক দিয়ে কোন মানুষের বের হয়ে যাওয়া সম্ভব কিনা। কিন্তু জানালার রডের ফাঁকা গুলি এতটা বড় নয় যে তার ভেতর দিয়ে কোন মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারবে। সাব্বির কিছুটা চিন্তিত বোধ করতে লাগলো। এই বিরান নির্জন এলাকায় মধ্যরাতে এমন একটি ভুতুড়ে বাড়িতে নিজের অবস্থান। সাথে এমন অদ্ভুত রহস্যজনক ঘটনা। চিন্তা করতেই তার মেরুদন্ড বেয়ে একটা ভয়ের শীতল স্রোত বয়ে গেলো। (চলবে)

ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  
 last year 

রাতে এরম ঘটনা হলে তো জীবন শেষ 🥲। সাব্বির এ যাত্রায় বাঁচবে তো?

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 67975.29
ETH 3240.67
USDT 1.00
SBD 2.66