স্ট্রীট ফুড রিভিউ। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
ঢাকা শহরের বেশিরভাগ জিনিসই আমার অপছন্দ। তাই বলে সব কিছু নয়। কিছু জিনিস আছে যেটা আমার খুবই পছন্দ। ঢাকাতে যে জিনিস গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে সেটা হচ্ছে প্রচুর বিনোদনের ব্যবস্থা আর হরেক রকমের বৈচিত্র্যময় খাবার। আমার ব্লগ যারা পড়েন তারা জানেন আমি একজন ভোজন রসিক মানুষ। আমি খেতে ভালবাসি। সে যে পরিস্থিতিই হোক। পছন্দসই খাবার দেখলে আমি লোভ সামলাতে পারিনা।
আমি যখনই ঢাকায় আসি আসার আগে পরিকল্পনা করে আসি যে এবার ঢাকায় গিয়ে কি কি খাবো। আমি ইউটিউবে ফুড রিভিউ দেখি। এই রিভিউ গুলো থেকে যে সমস্ত খাবার আমার পছন্দ হয় সেই খাবারগুলো সাধারণত আমি টার্গেট করে। যদিও এবার ঢাকায় এসেছি ভিন্ন কারণে। মনটা খুবই খারাপ ছিলো। আমার দুলাভাই প্রচন্ড অসুস্থ ছিলো। কিন্তু আজ তার শরীরটা অনেকটাই ভালো। এজন্য আমার মনটাও আজকে ভালো।
আমি ঢাকায় এসে সাধারণত বনশ্রীকে থাকি। এবারও সেখানেই উঠেছি। আমি যখনই বনশ্রীতে আসি তখন সেখানের কিছু খাবার আমি খাই।বনশ্রীর কিছু খাবার আমার খুব পছন্দ। সেই পছন্দের খাবারের ভেতর আছে একটি ফুড কার্টের কাবাব। ফুড কার্টের নাম বিসমিল্লাহ কাবাব ঘর। এই ফুড কার্টের খাবার খুবই মজা এবং দামও নাগালের ভিতরে। ফুড কার্টটি আমার বাসার খুব কাছেই। সেজন্য যখন ইচ্ছা হয় এখান থেকে কাবাব খেতে পারি। পছন্দের খাবার খাওয়ার জন্য আমাকে খুব একটা দূরে যেতে হয় না।
আজ বিকালে একটি কাজে আমি একটু বাইরে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পথে ফুড কার্টটি দেখে মনে হলো আজ এখান থেকে একটু কাবাব খাবো। পরে যখন আমি আমার কাজ শেষ করে ফিরে আসছি তখন সেই ফুডকার্ট এর কাছে গেলাম। গিয়ে প্রথমে দেখলাম কি খাবার আছে। সব দেখে আমি চিকেন চাপ এবং পরোটা অর্ডার করলাম। রাস্তার পাশের ফুডকার্ট হলেও এখানের পরিবেশ মোটামুটি পরিষ্কার।
খাবার অর্ডার করে আমি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলাম। কারণ সেখানে বসার কোন ব্যবস্থা নেই। এই ফাঁকে আমি দোকানটির কয়েকটি ছবি তুললাম। দোকানদার হেসে আমাকে বলছে। মামা ছবি তুললে কিন্তু টাকা দিতে হবে। আমি তাকে উল্টো বললাম আমি কষ্ট করে তোমার ছবি তুলে দিচ্ছি। তুমি আমাকে টাকা দিও। অল্প কয়েক মিনিট পর আমাকে খাবার সার্ভ করলো। প্রথমে একটু চিকেন চাপ ভেঙে মুখে দিলাম। চমৎকার একটি স্বাদে আমার মুখ ভরে গেলো। তারপর চোখের নিমিষে কাবাব শেষ করে ফেললাম।
আমার আরো কাবাব খাওয়ার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু সময়ের অভাবে আর খেতে পারলাম না। আমাকে আবার দ্রুত হসপিটালে যেতে হবে। সেজন্য অন্য কোনো আইটেম আর আজকে খেতে পারিনি। খাবার শেষ করে বিল মিটিয়ে আমি বাড়ির দিকে পা বাড়ালাম।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আমার স্ট্রীট ফুড রিভিউ।
আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা দুই আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
স্ট্রীটফুড খেতে কার না ভালো লাগে বলেন...? আমার তো খুবই ভালো লাগে। রাস্তার পাশের খাবার গুলো মাঝে মাঝে বড় বড় রেস্টুরেন্টে-কে ও হার মানায়। আপনার ফটো-তে খাবার গুলো খুবই লোভনীয় ছিল ভাই।
আমি একটি সত্যি কথা বলব ভাই। আমি বড়োসড়ো কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া থেকে এইসব স্ট্রিটফুড খেতে পছন্দ করি। রাস্তার ধারের দোকানগুলোতে যত ধরনের ভ্যারাইটি যত ধরনের খাবার পাওয়া যায় সবগুলো সাদী যেন ভিন্নতর। রবি সবচেয়ে বেশি ইনজয় করি খোলামেলা পরিবেশে বসে খেতে।
ঢাকার বাহারি খাবার আমাকেও আকৃষ্ট করে। এবং আমিও ফুড ব্লগ গুলো নিয়মিত দেখি। এবং এই দোকানের খাবারের দামটা মোটামুটি ঠিকই আছে। এবং খাবার টা দেখে বেশ ভালো মনে হচ্ছে। ফুড রিভিউ টা খুবই ভালো ছিল ভাাই।
আপনার ফডকার্টের কাবাব খাওয়ার অভিজ্ঞতা গল্প আমার কাছে ভালোই লেগেছে। কোন দিন খাওয়া হয়নি এই ধরনের খাবার। তবে খাবারের সাথে পরিচয় হতে পেরে খুবই খুশি হলাম। আজকে ঢাকার পথে রওনা দিবো সময় পেলে অবশ্যই খাবারটির স্বাদ নিয়ে দেখবোনে।
আসলেই স্ট্রিট ফুড খুবই সুস্বাদু হয়।আর বাংলাদেশের খাবার খুবই চমৎকার।ধন্যবাদ একটি সুন্দর পোস্টের জন্য।
দাদা আপনার কমেন্ট দেখেই আমি খুবই খুশি হয়েছি। শুধু বাংলাদেশের না ইন্ডিয়ার স্ট্রীট ফুড গুলো ও অনেক মজার। তবে একটা জিনিস স্ট্রিটফুড আসলেই একটা মজার জিনিস। স্ট্রীট ফুডে এমন এক ধরনের স্বাদ পাওয়া যায় যেটা সাধারণত রেস্টুরেন্টের খাবার পাওয়া যায় না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আমি যখন আগে ঢাকায় চাকুরি করতাম তখন দুপুরের লাঞ্চ এর ব্যবস্থা অফিসে থাকলেও আমি সেটা খেতাম না বরং অফিসের নীচে ঠিক এই ধরনের রাস্তার পাশে ভ্যান নিয়ে এই রকম খাবার বিক্রি করতো। আমি সাধারনত নুডুলস্ আর চিকেন খেতাম । তখন যদিও দাম কম ছিল। একেবারে পেট ভরে যেত। আপনার স্ট্রিট ফুড খুবি লোভনীয় ছিল। আর আপনি খুবি মজা করে খেয়েছেন তা আপনার লিখনীতে প্রকাশ পাচ্ছে। ভাল থাকবেন। আর বাহিরের খাবার কম খাবেন। হা হা হা। শুভ কামনা রইল।
স্ট্রিট ফুড এর এক বিশেষ ক্ষমতা মেবি আছে। এর যে স্বাদ এটা বড় বড় রেস্টুরেন্ট ঘুরেও পাওয়া যাবে না।আর এই খাবার গুলো মানুষ বেশি পছন্দ করে থাকে।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রিভিউ করেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনি আপনি যে খাওন রসিক সেটা তো আমি জানতাম না। আর তাও আবার আগে থেকেই ডিসিশন করে নেন টার্গেট করে নেন যে কোন খাবারটি খাবেন। সত্যি এটা একটা মজার বিষয় চিন্তা ধারা হিসেব করে চলাফেরা এটি খুবই ভালো দিক। আর আপনি স্টিট ফুডের প্রতি আকর্ষিত বেশি পছন্দ করেন। এ ধরনের মুখরোচক খাবার সবাই পছন্দ করে। আর এগুলো এমনিতেই লোভনীয় খাবার। আপনি মন-মানসিকতা খারাপ ছিল আপনার ভাইয়ের অসুস্থতার কারণে। আপনার মন ফ্রেশ হলো আপনি খেতে বেরিয়েছেন বিষয়টি খুবই আনন্দে। আমাদের সাথে এত সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাই আপনার মতো আমিও ভোজন রসিক। বিশেষ করে স্ট্রীট ফুড গুলো আমাকে মনে হয় চুম্বকের মত আকর্ষণ করে। যদিও জানি এসব স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়, তার পরেও স্ট্রিটফুড গুলোর স্বাদ এতটাই আকৃষ্ট করে যে না খেয়ে পারা যায় না।
আল্লাহতালার কাছে দোয়া করি, আপনার দুলাভাই যেন তাড়াতাড়ি পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়ে যান। ভাই অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ভাইয়া,বাইরে স্ট্রীট ফুড গুলো সত্যি অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে।আমি কখনো ঢাকায় যায়নি ঢাকার খাবার সম্বন্ধে বলতে পারিনা।তবে আপনার খাবার গুলো দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে।সত্যি কথা কি ভাইয়া, জানেন? যখন মন ভালো থাকে কোনো চিন্তা মনের ভিতর থাকে না। তখন সবকিছুই ভালো লাগে যেমনটি আপনার ভালো লাগছে।
ভাইয়া,আপনার এই লেখাটি আমার খুবই ভালো লেগেছে।
"পছন্দসই খাবার দেখলে আমি লোভ সামলাতে পারিনা"
আমারও একই কথা ভাইয়া পছন্দের খাবার যদি সামনে থাকে তাহলে লোভ সামলাতে পারিনা 😊😊
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার আনন্দ মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।