আমার আজকের ভ্রমন অভিজ্ঞতা। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
ঢাকা শহরে যেতে আমার খুব একটা ভালো লাগে না। আমি দীর্ঘদিন পর এবার আমি ঢাকা যাচ্ছি অনেকটা খুশি মনে। কারণ আমার আম্মা দু'বছর পর আমেরিকা থেকে দেশে ফিরছে। এই কারনে আমার খুবই ভালো লাগছে এবার ঢাকা যেতে।
স্থান- লিংক
ঢাকার সবকিছুই যে আমার কাছে খারাপ লাগে ব্যাপারটা তা নয়। কিছু ব্যাপার আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। ঢাকার যে ব্যাপারটা আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ সেটা হচ্ছে বৈচিত্র্যময় খাবার। আমি খেতে ভালোবাসি। বাংলাদেশের যে জায়গাটাতে আপনি সবচাইতে বেশি বৈচিত্র্যময় খাবার পাবেন সেটা হচ্ছে আমাদের রাজধানী ঢাকা।
স্থান- লিংক
তাছাড়া এখানে বিনোদনের ও চমৎকার সব আয়োজন আছে। আমাদের শহর থেকে ঢাকার দূরত্ব খুব বেশি না। কিন্তু মধ্যে নদীপথ থাকায় ঢাকা পৌঁছতে অনেকটা সময় লেগে যায়। তারপর আবার গাবতলী থেকে ঢাকা শহরের অন্য যেকোন জায়গায় যেতে অনেক সময় লাগে। এই সময়টাতে জার্নি সবচাইতে খারাপ লাগে। আর বিশেষ করে যদি তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে তাহলে জার্নিটা খুবই কষ্টদায়ক হয়ে যায়।
স্থান- লিংক
বেশ কিছুদিন আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম যে ১ তারিখে ঢাকায় যাবো। হঠাৎ করে একটি কারণে ঢাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা একদিন এগিয়ে আনলাম। আগের দিন আমি গিয়ে টিকিট কেটে নিয়ে এসেছিলাম। টিকিট কেটে ছিলাম ৭ঃ৫০ এর বাসে। এত সকালে টিকিট কাটার কারন বেলা বাড়লে তখন প্রচন্ড গরম লাগবে। সেজন্য একটু আগে যাওয়ার চেষ্টা আরকি। তাছাড়া বেলা বাড়লে ফেরি ঘাটে জ্যাম লেগে যায়। তখন দীর্ঘসময় ফেরি ঘাটে আটকা থাকতে হয়।
স্থান- লিংক
ঢাকা যাওয়ার জার্নিতে আমার সবচাইতে ভাল লাগে যখন বাস ফেরিতে থাকে। ফেরির উপরের দিকে উঠে চারপাশের খুব সুন্দর একটা ভিউ পাওয়া যায়। এই সময়টা আমি খুবই উপভোগ করি। ফেরির উপরের দিকে বেশ জোরে বাতাস থাকে। সেজন্য ফেরি গাড়িতে ফেরিতে ওঠার পর আমি গাড়ি থেকে নেমে সোজা ফেরির উপরের ডেকে চলে যায়। এই সময় আমি চেষ্টা করলাম কিছু ছবি তোলার।
স্থান- লিংক
আজকে ফেরি পার হতে খুবই কম সময় লেগেছে। নদীভরা থাকায় ফেরি অনেক দ্রুত এপারে চলে এসেছে। উপরের দিক থেকে ভরা পদ্মার সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। এপারে আসার পর আমাদের গাড়ি তিন ঘন্টার ভিতরে গাবতলী পৌঁছে গেলো। তারপর সেখান থেকে উবার নিয়ে সরাসরি আমাদের গন্তব্যে চলে আসলাম। পুরো পথে শুধু একটি সমস্যা হয়েছে। আমার মেয়ে বেশ কয়েক বার বমি করেছে। ওর আসলে বড় হওয়ার পর এত বড় জার্নির অভিজ্ঞতা হয়নি। যাইহোক মোটামুটি নির্বিঘ্নে ঢাকা পৌঁছাতে পেরেছি এতেই আমি খুশি। আরো খুশী অনেকদিন পরে আমার মাকে কাছে পাবো সেইজন্য।
স্থান- লিংক
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আশা করি আমার জার্নিটি আপনাদের ভাল লেগেছে। পরবর্তীতে আপনার সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে সে। পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
Support @amarbanglablog by delegating STEEM POWER.
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
ভাই আপনার যতগুলি পোস্ট দেখেছি তার মধ্যে এটা আমার কাছে মনে হয়েছে বেস্ট। ঢাকায় আসলে অনেক জ্যাম থাকার কারণে আমার নিজেরও বিরক্ত লাগে তবে এটা সত্যি ঢাকায় অনেক ধরনের খাবার পাওয়া যায়। আপনার ছবিগুলি সত্যি অসাধারণ হয়েছে বিশেষ করে আকাশের যেই মেঘের লাভা গুলি দেখা যাচ্ছে সেগুলো সত্যি অসাধারণ এক কথায়। ভাইয়া আন্টি কে আমার সালাম জানাবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
নদী ও আকাশ একে অপরের বন্ধুর মতো। তার বুকটা বিলাশ। আমার আকাশ ও নদী দুইটি ভালো। আপনার ছবি গুলো অনেক সুন্দর হইছে।
আপনার আজকের ভ্রমন অভিজ্ঞতা বেশ দারুন ছিল।আর প্রতিটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে।আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
সত্যিই ভ্রমণ করার মত মজার আর কিছু হয় না। আমার ভ্রমণ করতে অনেক ভালো লাগে।
আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতাটি ছিল অসাধারণ।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে কোথাও কোথাও সব কিছু থমকে দাঁড়িয়ে আছে। ব্যস্ত শহরের নিস্তব্ধতা আপনার ছবির মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা অবিরাম ভাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
ভাইয়া আপনি আপনার ভ্রমণের পাশাপাশি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। আপনার জন্য রইলো শুভকামনা।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ঠিক বলেছেন ভাই ঢাকা বৈচিত্র্যময় খাবারের জন্য বিখ্যাত। বিশেষ করে পুরান ঢাকার খাবারের তো কোনো তুলনায় হয় না। নদী এবং ফেরীর ছবিগুলো খুব সুন্দর তুলেছেন ভাই। এবং উপস্থাপনা টাও খুব ভালো হয়েছে।।
অনেক সুন্দর পোস্ট আপলোড করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামণা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ঢাকায় কখনও যাওয়া হয়নি। কিন্তু ঢাকায় যারা থাকে ওরা সবাই বলে যে খুব জ্যাম ওখানে।
মানে সবাই খুব বিরক্ত বোধ করে এই ব্যাপারটা নিয়ে।
তবে আপনার এই পোস্টটি দেখে ভালই লাগলো।
হ্যাঁ এটা ঠিক যে ঢাকার খাবারের অনেক বেশি সুনাম। আমার নিজেরও অনেক খাওয়ার ইচ্ছা আছে।
বলেন কি বাংলাদেশে এমন মানুষও আছে যে কখনো ঢাকা আসেনি? ঢাকায় ঘোরার জন্য শীতের দিন সেরা সময়।
ছবি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে ভাই ।সুন্দর ভাবে কেপচা করেছেন ।আর ভ্রমনটাও বেশ আনন্দের হয়েছে ।খুব উপভোগ করেছেন জার্নিটা ।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ভ্রমন মুহূর্তটি।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।