পাওয়ার ব্যাংক এর সন্ধানে যমুনা ফিউচার পার্কে অভিযান। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
কয়েকদিন ধরে খেয়াল করছি মোবাইলের ব্যাটারিটা ভালো ভাবে সাপোর্ট দিচ্ছে না। অল্প সময়ে চার্জ শেষ হয়ে যাচ্ছে। বুঝতে পারছি মোবাইলের সময় প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। নতুন মোবাইল নিতে হবে। কিন্তু চাইলেই তো হুট করে একটা নতুন ফোন কেনা সম্ভব না। একটি মোটামুটি মানের স্মার্টফোন কিনতে গেলেও ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাগবে।
তাই চিন্তা করলাম আপাতত একটি পাওয়ার ব্যাংকে কিনে পাওয়ারের সমস্যাটার সমাধান করি। তারপর ধীরে সুস্থে একটি পছন্দমত ফোন কেনা যাবে। সেজন্যই চিন্তা করলাম যমুনা ফিউচার পার্কে যাব। এমনিতে কয়েকদিন থেকে যমুনা ফিউচার পার্কে যাওয়ার একটি পরিকল্পনা মাথার ভেতর ছিলো। কারণ সেখান থেকে একটি শীতের জ্যাকেট কেনার ইচ্ছা ছিল। অবশ্য যদি পছন্দমত পাই তাহলে। সাথে সেখান থেকে একটি পাওয়ার ব্যাংকও কিনে নেয়া যাবে।
কিন্তু কিছু ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে সেখানে যাওয়া হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত সবকিছু ম্যানেজ করে কয়দিন আগে যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে ঘুরে এসেছি। এই শপিং কমপ্লেক্সটা আমার এমনিতেই অনেক পছন্দের একটি জায়গা। কারণ এত বিশাল জায়গা জুড়ে শপিং কমপ্লেক্সটা নির্মিত যে সেটা আপনি একদিনে ঘুরে শেষ করতে পারবেন না। আর এখানে দেশের নামিদামি সমস্ত পণ্যের শোরুম আছে। সাথে আছে আপনার বিনোদনের জন্য নানা রকম আয়োজন।
এবার যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়ে নতুন একটি জায়গা দেখে এসেছি। সেটি হচ্ছে এটির বেজমেন্টে প্রতিষ্ঠিত দেশের সবচাইতে বড় হোলসেল মার্কেট। সেখানে দেশী বিদেশী হরেক পণ্যের সমারোহ। সেখানে এমন কোন জিনিস নাই যা আপনি পাবেন না। ফিউচার পার্কে গিয়ে প্রথমে আমি কিছুক্ষণ কাপড়-চোপড় দেখতে থাকলাম। অনেক খোঁজার পর পছন্দ মত তেমন কোনো জ্যাকেট না পেয়ে আমি চিন্তা করলাম এখন আগে আমার প্রয়োজনীয় জিনিসটি কিনে নিই। তারপর সময় থাকলে আরো ঘোরাফেরা করা যাবে।
তাই পাওয়ার ব্যাংক কেনার জন্য আমার এক কাজিনের পরিচিত একটি দোকান আছে সেখানে গিয়েছিলাম। তাদের সাথে আগে থেকেই আমার কাজিনের কথা বলা ছিল আমার ব্যাপারে। সেখানে গিয়ে আমার পছন্দ মত পাওয়ার ব্যাংকটি খুজতে লাগলাম। কিন্তু তাদের কাছে সেই মুহুর্তে সেটি স্টকে ছিলনা। আবার তারা যে এনে দেবে তাতে দামও কিছুটা বেশি চাচ্ছিলো।
যার ফলে আমি আমি চিন্তা করলাম যে কোম্পানির পাওয়ার ব্যাংক কিনবো তাদের অফিসিয়াল স্টোর থেকে কিনি। তাতে যে সুবিধা পাওয়া যাবে সেটা হচ্ছে ওয়ারেন্টির নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে। কারণ বাজারের দোকান থেকে কিনলে অনেক সময় আনঅফিসিয়াল প্রোডাক্ট দিয়ে দেয়। যেটাতে ওয়ারেন্টি থাকে না। শেষ পর্যন্ত আমি পছন্দ করে একটি শাওমির ২০ হাজার এম্পিয়ার এর পাওয়ার ব্যাংক কিনে ফেললাম। পাওয়ার ব্যাংক এর দাম পড়লো ২২০০ টাকা।
পাওয়ার ব্যাংক কেনার পর আমি আরো কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করলাম। অনেকক্ষণ ঘোরাফেরার কারণে পেটের তাগিদ কিছুটা টের পাচ্ছিলাম। যার ফলে চলে গেলাম যমুনা ফিউচার পার্কের ফুডকোর্টে। আমার পছন্দের খাবারের আউটলেট কেএফসি থেকে অনেকদিন কিছু খাওয়া হয়না। কেএফসি আমার পছন্দের একটি ফুড আউটলেট।
সেখানে গিয়ে আমি চিকেন স্ট্রিপস, ফ্রাইস এবং ড্রিংকস অর্ডার করলাম। অর্ডার করে কিছুক্ষণ খাবার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তারপর খাবার চলে এলে খাওয়া শুরু করলাম। এই খাবারটি আমি এর আগে খাইনি। সেজন্যই যখন খাবার অর্ডার করতে গেলাম তখন চিন্তা করলাম যে নতুন কিছু অর্ডার করি। তাই এই খাবারটি অর্ডার করেছি।
কিন্তু খাবারটি খেয়ে আমার কাছে মোটেও ভালো লাগেনি। আমি চিন্তা করতে থাকলাম যে কেএফসির খাবারের এই অবস্থা হল কবে থেকে? পরে শুনতে পেলাম কেএফসি এখন আর বাংলাদেশে নেই। কেএফসির লোগো ব্যবহার করে লোকাল ব্যবসায়ীরা ব্যবসা চালাচ্ছে। যাই হোক খাওয়া শেষ হলে আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনার সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
চট্টগ্রামের কেএফসির অবস্থাও একেবারে শোচনীয়।দেখতে মনে হয় অনেক মজা হবে।তবে খেতে একেবারেই জঘন্য।
কারন হচ্ছে গোড়ায় গলদ।
বাহ বেশ ভালই ব্রান্ডের পাওয়ারফুল একটি পাওয়ার ব্যাংক আপনি ক্রয় করেছেন। আশাকরি আপনার মোবাইল এর চার্জ এর সমস্যা মিটে যাবে। আজ খুব সুন্দর করে খাওয়া-দাওয়া সব কিছু গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন অনেক ভালো লাগলো ব্লগটি পড়ে। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।