ঘোরাফেরা এবং বর্ষার সৌন্দর্য উপভোগ করা।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


বছরের এই সময়টাতে ঘুরেফিরে বেড়াতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কিন্তু গত কয়েকটা দিন বৃষ্টির কারণে ঘর বন্দি হয়ে ছিলাম। যদিও টানা বৃষ্টি আমার কাছে খুব একটা খারাপ লাগেনি। বরং বলা চলে বেশ উপভোগ করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঘরে থাকতে থাকতে কিছুটা হাঁপিয়ে উঠেছি।

IMG_20220620_211923.jpg

IMG_20220620_211907.jpg

দেশের নদ-নদীগুলো এখন বলতে গেলে প্রায় পূর্ণ যৌবন ফিরে পেয়েছে। যদিও দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। যখন নদ নদী গুলো যখন পানিতে ভরে ওঠে তখন আমার মনের ভেতরে এক ধরনের আনন্দ কাজ করে। তাছাড়া এই সময়ে প্রকৃতি সবুজ-শ্যামল হয়ে ওঠে। বছরের যে দুটো সময় আমার কাছে ঘুরেফিরে বেড়াতে সবচাইতে বেশি ভালো লাগে। তার একটি হচ্ছে এই বর্ষাকাল।

IMG_20220620_211846.jpg

IMG_20220620_181414.jpg

যার ফলে আজ আবহাওয়া কিছুটা ভালো হওয়ায় বন্ধু ফেরদৌস কে ফোন দিয়ে বললাম চলো আজকে বাইরে থেকে ঘুরে আসি। সেও সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলো। বিকালে আমরা সাধারণত যেখানে দুইজন মিলিত হই সেখানে আমি সময়মতো উপস্থিত হলাম। কিন্তু ফেরদৌসকে ফোন দিয়ে জানতে পারলাম ওর আসতে কিছুক্ষণ দেরি হবে। মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলো। যদিও জানি এটি ফেরদৌসের পুরনো অভ্যাস। যদিও ওর সবকিছুই ভালো শুধু এই সময় না মানতে পারাটা বাদে। সে বেশিরভাগ সময়ই যথাসময়ে কোথাও উপস্থিত হতে পারেনা।

IMG_20220620_181331.jpg

IMG_20220620_172642.jpg

যাই হোক ফেরদৌস এর সাথে ফোনে কথা হলে ও আমাকে বললো তুমি পদ্মার পাড়ে গিয়ে বসো। আমি সেখানে আসছি। আমিও চিন্তা করলাম বুদ্ধিটা খারাপ না। শুধু শুধু এখানে বসে থাকার থেকে পদ্মার পাড়ে গিয়ে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যাক। আমি সেখান থেকে সরাসরি চলে গেলাম পদ্মার পাড়ে। বছরের এই সময়টাতে শহরের মানুষের সবচাইতে প্রিয় জায়গা হয়ে ওঠে পদ্মার পাড়। সেখানে গিয়ে দেখি বেশ মানুষের আনাগোনা। যদিও শুক্রবারে এর থেকে অনেক মানুষ সেখানে আসে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।

IMG_20220620_180050.jpg

আমি সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ফেরদৌস ফোন দিয়ে বললো আমি চলে এসেছি। তারপর আমরা দুই বন্ধু একসাথে আজকের ভ্রমণ শুরু করলাম। আমরা আজকে ঠিক করলাম গ্রামের দিকে যাবো। আমাদের শহর থেকে কিছুটা দূরে একটি এলাকা আছে। সেই জায়গাটি আমাদের খুবই পছন্দের। এই বর্ষা মৌসুমে সেখানকার ফসলের মাঠগুলো পানিতে ভরে ওঠে। দেখে মনে হয় একটা বিশাল আকৃতির বিল। একটি রাস্তা চলে গিয়েছে সেই মাঠের পাশ দিয়ে। এইরকম জলাভূমি দেখতে খুবই ভালো লাগে। বিকালে সেই জায়গাটির সৌন্দর্য হয়ে ওঠে সম্পূর্ণ অন্যরকম।

IMG_20220620_165326.jpg

বেশ কিছুক্ষন চলার পর আমরা সেই জায়গাটিকে উপস্থিত হলাম। কিন্তু খেয়াল করে দেখলাম সেখানের মাঠে এখনো পানি আসেনি। যার ফলে আমরা অন্য আরেকটি জায়গার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সেখানে দেখলাম কিছু কিছু জায়গায় ইতিমধ্যে পানি আসা শুরু করেছে। যদিও আমরা পদ্মার পাড় থেকে দেখে এসেছি নদী পুরো কানায় কানায় ভরে উঠেছে। আর দু এক দিন যদি পানি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে হয়তো শহরের আশেপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে।

IMG_20220620_195029.jpg

কিন্তু খেয়াল করে দেখলাম চরের এদিকটাতে এখনও খুব একটা পানি আসেনি। হয়তো দু এক দিনের ভিতরেই এই অঞ্চলের মাঠগুলো পানিতে তলিয়ে যাবে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছিলাম আর ছবি তুলেছিলাম। ছবি তুলতে তুলতে পরিকল্পনা করলাম কয়েক দিন পরে আবার এদিকটাতে ঘুরতে আসতে হবে। কারণ এখন এই জায়গা গুলোতে সময় কাটাতে খুবই ভাল লাগবে। কারণ আর কয়েকদিন পরে এই এলাকার মাঠগুলো সব পানির নীচে তলিয়ে যাবে। রাস্তার দুইপাশে ফসলের মাঠ থাকায় দেখে মনে হবে কোন বিলের ভিতর দিয়ে রাস্তা চলে গিয়েছে। যে রাস্তার দু'পাশ পানিতে থৈথৈ করছে।

IMG_20220620_165934.jpg

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থাননর্থ চ্যানেল

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  
 2 years ago 

বর্ষাকালের প্রকৃতিতে যে স্নিগ্ধতা ও সজীবতা লক্ষ্য করা যায় কোন ঋতুতে পাওয়া যায় না। এ সময় চারদিক সবুজে সবুজে ভরে যায়। আর এই পরিবেশে বন্ধুর সাথে বসে আড্ডা দেয়ার মজাই অন্যরকম। দুই বন্ধু মিলে বর্ষার প্রকৃতি ভালোই উপভোগ করলেন।
ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া।
শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

আসলেই ঠিক বলেছেন। এই সময়ে বন্ধুবান্ধবের সাথে ঘুরে বেড়াতে সবচাইতে বেশি মজা লাগে।

ভ্রমণ মানুষ এর মন কে সতেজ রাখে। হুটহাট বন্ধুদের সাথে ঘুরাগেরা আর সাথে বর্ষার মনোরম দৃশ্য হলে তো কথাই নেই। আপনার ঘুরাফেরার কথা শুনে আমারও মন চাচ্ছে এখনই প্রেকৃতিতে যাওয়ার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে গল্পটি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

মনের ছোটখাটো ইচ্ছা কখনো অপূর্ণ রাখবেন না। সময় সুযোগ পেলেই বন্ধু-বান্ধবের সাথে ঘুরতে বেরিয়ে পড়বেন। তাতে মনটা ফ্রেশ থাকে।

 2 years ago 

ভ্রমণ করলে মানুষের মন মাইন্ড ফ্রেশ থাকে। আর সেটা যদি হয় শহরের বাইরে কোলাহল মুক্ত কোন এক পরিবেশ তাহলে তো কথাই নেই। আপনি গ্রামীন একটা পরিবেশে খুব সুন্দর হবে বর্ষা উপভোগ করেছেন তা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে বোঝা যায়। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

 2 years ago 

আসলেই শহরের ভেতর আপনি কোন ঋতুই ভালোভাবে বুঝতে পারবেন না। গ্রামের দিকে গেলে ঋতু পরিবর্তনটা ভালো বোঝা যায়।

 2 years ago 

ঘুরাঘুরি শেষ হওয়া মাত্রই পোস্ট, দারুন তো! আপনাদের এই ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে বর্ষার সিজনে গ্রাম অঞ্চলের পরিবেশ থাকে একেবারে নির্মল। বিশুদ্ধ বাতাস আর ধুলাবালিমুক্ত রাস্তাঘাটে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেয়ে যায়।

 2 years ago 

ঘোরাফেরা করার কারণে মনটা ফ্রেশ ছিলো। তাই বাড়ি ফিরেই পোস্টটি করে ফেললাম।

 2 years ago 

বর্ষাকালে কিন্তু প্রকৃতির সৌন্দর্য আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়ে যায় যা দেখে সত্যিই চোখ জুড়িয়ে যায়। আপনি ঘুরে ঘুরে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন খুব ভালো লাগছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। আর অপেক্ষা করা আসলেই খুবই বিরক্ত কর।

 2 years ago 

এই কারণেই এই সময়টি আমার কাছে ঘোরাফেরার জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময় মনে হয়।

 2 years ago 

আসলে কয়েকদিন হলো বেশ বৃষ্টি হচ্ছিল। কোথাও বের হওয়া যায় না।আর বর্ষা কালের সৌন্দর্য আরো সুন্দর হয়ে যায়।আপনার ভ্রমণ এর ফটোগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন বৃষ্টির পরে প্রকৃতি আরও গাঢ় সবুজ রঙে সেজে ওঠে। দেখতে চমৎকার লাগে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 60202.34
ETH 2423.33
USDT 1.00
SBD 2.43