উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাফেরা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন। ১০% সাইফক্স।
আমি আমার বন্ধুর সঙ্গে সময় পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়ি। এটা আপনারা ইতিমধ্যে জানেন। যেহেতু রোজা প্রায় চলে এসেছে তাই চিন্তা করছিলাম রোজার দিনে তো আর খুব একটা ঘোরাফেরা করা সম্ভব না। তার আগের দিন আমরা কোথা থেকে ঘুরে আসি। বন্ধুকে ফোন করতেই সে রাজি হয়ে গেলো। যদিও নির্ধারিত সময় থেকে বেশ খানিকটা পরে আমরা ঘুরতে বের হয়েছিলাম।
আমাদের প্রথমে পরিকল্পনা ছিল আমরা একটু বেশি সময় নিয়ে ঘুরতে যাব। কিন্তু পরবর্তীতে বন্ধুর একটি ব্যক্তিগত কাজ থাকায় আমাদের ঘুরতে বের হওয়ার সময় কিছুটা পিছিয়ে যায়। যাইহোক নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে আমি আমাদের পূর্বপরিকল্পিত জায়গাতে উপস্থিত হলাম। জায়গাটি ছিল আমাদের একসময়ের আড্ডাস্থল ইউসুফ ভাইয়ের চায়ের দোকান। সেখানে গিয়ে দেখি বন্ধু ক্যারাম খেলায় ব্যস্ত। অবশ্য আমাকে দেখে সে সাথে সাথে চলে এলো। আমি ক্যারাম খেলা খুব একটা পছন্দ করি না।
বন্ধু এলে আমরা দুজন ঘুরতে বের হলাম। বেশ কিছুদূর আসার পর আমার বন্ধু জিজ্ঞেস করল কোন দিকে যাবো। আপনার হয়তো অবাক হচ্ছেন শুনে। কিন্তু আমাদের এই ঘোরাফেরা গুলি নির্দিষ্ট কোন গন্তব্য ছাড়াই আমরা শুরু করি। এই উদ্দেশ্যহীন ঘোরাফেরা আমাদের কাছে ভালই লাগে। যাই হোক দুজন মিলে তারপর একটি দিক ঠিক করলাম। যে আমরা এদিকটাতে যেতে থাকবো। আমরা যেদিকে যাওয়ার জন্য মনস্থির করলাম সেদিকে বড় একটি গ্রামীণ হাট হয়।
কিন্তু কি বারে হয় সেটা আমাদের জানা ছিল না। তাই আমরা চিন্তা করছিলাম যদি আজকে সেখানে গিয়ে হাট পাই তাহলে আমরা সেই হাট ঘুরেফিরে দেখব আর ছবি তুলবো। তারপর আমরা সেদিকে আগাতে থাকলাম। যখন আমরা সেই হাটের কাছে পৌঁছেছি। সেই এলাকায় খেয়াল করে দেখলাম প্রচুর বাঙ্গি চাষ হয়েছে। বাঙ্গি যদিও এখনও পাকেনি। তারপরও দেখলাম অনেক বাড়ির সামনেই ক্ষেত থেকে বাঙ্গি এনে ঢিবি করে রাখা হয়েছে। আমরা বুঝতে পারলাম যেহেতু রোজা চলে এসেছে তাই চাষিরা অগ্রিম ক্ষেত থেকে তুলে ফেলেছে।
খেয়াল করে দেখলাম এই এলাকার বেশিরভাগ বাড়ির সামনেই একই চিত্র। আবার বেশ কিছু ছোট ছোট ট্রাক দেখলাম বিভিন্ন জায়গায়। বড় ব্যবসায়ীরা ট্রাক নিয়ে এসেছে বাঙ্গি কেনার জন্য। এভাবে আমরা বিভিন্ন রকম জিনিস দেখছিলাম আর এগিয়ে যাচ্ছিলাম। এভাবে সামনে চলতে চলতে একসময় আমরা সদরপুর পৌঁছে গেলাম। পরে সেখান থেকে অন্য একটি রাস্তা ধরে ফিরতে লাগলাম।
ফেরার পথে হঠাৎ করে দেখলাম একটি পুরনো জমিদার বাড়ি। বাড়িটির চেহারা দেখে মনে হল বাড়িটি ন্যূনতম ২০০ বছরের পুরনো হবে। সদরপুর এলাকায় অবশ্য এই ধরনের বেশ কিছু পুরনো জমিদার বাড়ি দেখা যায়। আমরা দুই বন্ধু সেখানে থেমে এই জমিদার বাড়ির কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম। বয়সের ভারে আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জমিদারবাড়িটির ভগ্নদশা। পুরো বিল্ডিং জুড়ে প্রচুর পরগাছা হয়েছে। বিল্ডিং এর ছাদের একপাশে দেখলাম বড় একটি গাছ হয়েছে। সেই গাছে আবার কয়েকটি মৌচাক রয়েছে। বাড়ির পাশেই রাস্তা। রাস্তার অপর পাশে একটি ঘাট বাঁধানো পুকুর রয়েছে। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে তারপর আমরা আবার ফিরতি পথ ধরলাম।
আমরা যে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম সেই রাস্তার বেশিরভাগ জায়গায় রাস্তার দু'পাশ দিয়ে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। সেই মাঠ চিরে চলে গিয়েছে এই রাস্তাগুলি। আর এই রাস্তাগুলি সম্পূর্ণ গাছ দিয়ে ঘেরা। দেখে মনে হচ্ছে পথচারীদের জন্য এই গাছগুলো ছাতার কাজ করছে। এই ধরনের রাস্তা দিয়ে ঘোরাফেরা করতে সব সময় ভালো লাগে। গত কিছুদিন যাবত এই ব্যাপারটা খুব উপভোগ করছি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক লিংক |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে একটু ঘুরাফেরা করলে মন টা ফ্রেশ হয়ে যায়। ভাইয়া আপনি সুন্দর একটি সময় কাঠিয়েছেন। আপনার পোস্ট টি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। অনেক সুন্দর করে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। সত্যি অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
একদম ঠিক বলেছেন। ঘোরাফেরা করলে মনটা আসলেই ফ্রেশ হয়ে যায়।
আসলে গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য দেখে মনটা ভরে যায়। আসলে আমাদের যদি টাকা দিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে হতো আমরা কিন্তু ঠিকই দেখতাম। আসলে আমাদের চোখের সামনেই এত সুন্দর মুহূর্ত সৌন্দর্য আমরা দেখতে চাই না। আপনি জমিদারবাড়ির কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন। বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া।
ভাইয়া,আমারোও ভালো লাগে এই রকম উদ্দেশ্য হীন ঘুড়তে।তবে এমন মানুষ পাওয়া খুব দুষ্কর।যাই হোক ছবিগুলো বেশ সুন্দর ছিলো।ধন্যবাদ
এদিক থেকে আমাকে ভাগ্যবান বলতে পারেন। আমার জীবনে এমন কয়েকজন বন্ধু পেয়েছি যারা সবাই ঘুরতে পছন্দ করে।
মহান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির জগৎ অনেক সুন্দর। এ জগতের চারিপাশ অনেক সুন্দরভাবে প্রাকৃতিক দৃশ্য ফুলে-ফলে গাছ দ্বারা সাজিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা। যে সৃষ্টিজগতকে দেখতে অপরূপ রূপে সাজানো। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে পারে প্রকৃতি প্রেমিকরায়। আপনার এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে আমার মনে হয়েছে যথেষ্ট প্রাকৃতিক প্রেম ধারণা আপনার মধ্যে বিদ্যালয়।
গ্রাম বাংলার প্রকৃতি আমাকে বরাবরই টানে। তাই তো মাঝে মাঝেই সেই প্রকৃতির সান্নিধ্যে ছুটে যাই।
আসলে ঘুরতে কার না ভাল লাগে একটু ফ্রি সময় থাকলে মনটা চায় একটু উড়াল দিতে আর যদি থাকে বন্ধুবান্ধব তাহলে তো কোন কথায় নাই, পুরোই চিল। যাইহোক ভাই আপনার ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে আর পুরনো জমিদার বাড়ির ছবিটি আমার বেশ ভাল লেগেছে। আর সুন্দর একটি মুহূর্তের কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে শুভকামনা রইল।
আসলে ভ্রমন প্রিয় একজন বন্ধু থাকা খুবই জরুরী। না হলে এই ভাবে ঘুরে বেড়ানো যায় না।
এরকম প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ও অনেক বেশি ভালো লাগে। আসলে সবুজ প্রকৃতি দেখতে অনেক বেশি ভালোবাসি। আপনি উদ্দেশ্যহীন ঘোরাফেরা করার সাথে সাথে আমাদের সাথে কিছু সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফের শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো ছিল ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
গত কিছুদিন প্রকৃতির সান্নিধ্যে চমৎকার কিছু সময় কাটিয়েছি। এইভাবে ঘুরতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
দাদা এভাবে প্রকৃতির মাঝে ঘুড়ে বেড়ানোর মজাই আলাদা ৷আপনি ঘুড়তে ঘুড়তে প্রকৃতির খুব চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন ৷
ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর পোষ্ট শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। সময় পেলে চেষ্টা করবেন যেখানেই হোক ঘুরতে যেতে। তাহলে দেখবেন মনটা ভালো থাকে।
রমজান মাসে ঘোরাফেরার জন্য সময় বের করা আসলেই অনেক কষ্টের। চলতি পথে বেশ ভালই ছবি তুলেছো। আশা করিনি ছবিগুলো এতটা ভালো হবে।
ছবিগুলো নিয়ে আমিও টেনশনে ছিলাম। পরে দেখলাম কয়েকটা ছবি মোটামুটি ভালো হয়েছে।
ভাইয়া ঘোরাফেরা করতে আমিও খুব পছন্দ করি। আপনার ঘোরাফেরার ছবিগুলো দেখে ইচ্ছে করছে এখনই বেরিয়ে পড়ে এবং এর সৌন্দর্য সবুজ প্রকৃতি নিজেকে হারিয়ে ফেলে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ঘোরাফেরার ছবিগুলো মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এখনই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ুন। দেখুন বাইরে সবুজ প্রকৃতি আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
শেষ বেলায় একটি আকর্ষণীয় ভূতুড়ে পুরাতন বাড়ি। বাড়িটা দেখে অনেক পুরাতন মনে হচ্ছে। উদ্দেশ্যহীন ঘোরাঘুরির এই একটা সুবিধা কখন কী আশ্চর্য জিনিস চোখের সামনে বেঁধে যায় সেটা বলা যায় না। বিকেলে আপনার বন্ধুর সঙ্গে ঘোরাঘুরি করে সময়টা বেশ কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।।