প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট ভ্রমণ (একাদশ পর্ব)। ১০% সাইফক্স।
পরদিন আমরা ঘুম থেকে একটু দেরিতেই উঠলাম। কারণ আজ আর তেমন ব্যস্ততা নেই। আজ আমাদের উদ্দেশ্য শুধু একটি স্পট ঘুরে দেখা। তারপর সন্ধ্যার দিকে ঢাকায় ফেরার বাসে ওঠা। যদিও আমাদের আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল ট্রেনে যাওয়ার। কিন্তু ট্রেনের টিকিট না পাওয়ায় আমাদের পরিকল্পনা বদলাতে হল। যাই হোক আমরা সকাল আটটার দিকে ঘুম থেকে উঠলাম। তারপর ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে আমরা রওনা দিলাম ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর এর উদ্দেশ্য।
এই জায়গা সম্বন্ধে বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে অনেক সুনাম শুনেছিলাম। জায়গাটিতে যারা ঘুরতে গিয়েছে তারা সবাই খুব প্রশংসা করেছে। আসলে এই জায়গাটা নিয়ে আমাদের সবার ভেতরে এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করছিল। আমরা যেখানে ছিলাম সেখানে থেকে ভোলাগঞ্জ জায়গাটি ৪০ কিঃমিঃ দূরে। আমাদের ঘন্টাখানেক লাগলো সেখানে পৌছতে।
প্রথমে আমরা একটি ঘাটে পৌঁছলাম। এই ঘাটটির নাম সাদা পাথর ঘাট। সেখান থেকে আমরা একটি মাঝারি আকারের ট্রলার ভাড়া করলাম মূল স্পটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। তবে এখানকার একটি ব্যাপার আমার কাছে ভালো লেগেছে। এখানে দামাদামির কোন সুযোগ নাই। যার ফলে আপনার কাছ থেকে বেশি টাকা নেয়ার ও কোনো সুযোগ নেই। প্রত্যেকটা ট্রলারের ভাড়া ৮০০ টাকা। এই ট্রলারগুলোতে ১০ থেকে ১৫ জন যাওয়া যায়। এই ট্রলার আপনাকে দিয়ে আসবে এবং ফেরার পথে নিয়ে আসবে। আপনি যতক্ষণ ইচ্ছা সেখানে সময় কাটাতে পারবেন।
আমরা একটি ট্রলার এর টিকিট কেটে উঠে বসলাম। কিছুক্ষণ পর ট্রলার চলতে শুরু করল। সেই ট্রলারে শুধু আমরা পরিবারের লোকজন ছিলাম। আর কোন লোক ছিল না।স্বচ্ছ পানির ভেতর দিয়ে আমাদের ট্রলার এগিয়ে চলছিল আর আমরা দু পাশের সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম। এমনিভাবে কিছুক্ষণ চলার পর হঠাৎ করে ট্রলারের গতিতে ছন্দ পতন হলো।
প্রথমে আমরা ব্যাপারটি বুঝতে পারিনি। পরে খেয়াল করে দেখলাম সামনে আরো অনেকগুলি ট্রলার। সেগুলিকে তাদের চালকেরা ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। কারণ ট্রলার এখন একটি খালের ভেতর দিয়ে যাবে। সেখানে পানির গভীরতা খুবই কম। যার ফলে তাদের খুবই সমস্যা হয় এখানে। এজন্য প্রত্যেক চালক তার ট্রলারটি ঠেলে নিয়ে খালটি পার হচ্ছিল। একদম স্বচ্ছ পানি দেখে আমার মনে হচ্ছিল নেমে একটু পা ভিজিয়ে নিই। কিন্তু শীতকাল হওয়ায় আমি আর সে সাহস দেখালাম না। কারণ এখানকার পানি খুব ঠান্ডা হবে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
বেশ কিছুক্ষন এভাবে চলার পর ট্রলার আবার কিছুটা গভীর পানিতে এল। তখন ট্রলার তার স্বাভাবিক গতিতে আমাদেরকে নিয়ে ছুটে চলল। এভাবে অল্প কিছুক্ষণ চলার পর আমরা আমাদের কাঙ্খিত স্থানে এসে পৌঁছলাম। তারপর সেখানে ট্রলার থেকে নামলাম। নামার সময় ট্রলারের চালক তার মোবাইল নাম্বার আমাদেরকে দিল। আমাদেরকে বলে দিলো সেখান থেকে যখন আমরা ফিরতে চাই তার অন্তত ২০ মিনিট আগে তাকে ফোনে জানাতে। যাতে সে ট্রলার নিয়ে এখানে চলে আসতে পারে।
আমরা তার ফোন নাম্বার নিয়ে সামনে এগিয়ে চললাম। কিছুদূর আমরা শুধু বালির ভেতর দিয়ে হাঁটছিলাম। কিছুটা সামনে আগানোর পর আমরা সেই কাঙ্খিত দৃশ্যটি দেখতে পেলাম। সামনে দেখতে পেলাম ছোট্ট একটি নদী। সেখানে নানা রকম ছোট বড় পাথর তার উপর দিয়ে তীব্র গতিতে ছুটে চলেছে একদম স্বচ্ছ হিম শীতল পানি। এই দৃশ্য দেখে কারো পক্ষেই সম্ভব হবে না সেখান থেকে পা না ভিজিয়ে ফিরে আসা। আমরা প্রথমে কিছুক্ষণ এই নদীর পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম।
কিছুদুর পর দেখতে পেলাম সারিসারি চেয়ার রয়েছে। যেখানে আপনি বসে বিশ্রাম নিতে পারবেন। সাথে এখানে লকারের ব্যবস্থাও আছে। যেখানে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে পারবেন। আবার যারা হঠাৎ করে চলে এসেছে কিন্তু সাথে করে কাপড়-চোপড় আনতে পারেনি। তাদের জন্য কাপড় চোপড় কেনা এবং ভাড়া নেয়ার ব্যবস্থা আছে। আবার কাপড় চোপড় পাল্টানোর জায়গা ও তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে পর্যটকদের সমস্ত সুযোগ সুবিধার দিকে সেখানকার লোকজন খেয়াল রেখেছে। যদিও এই প্রতিটা সুবিধার জন্যই আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে।
আমি এর আগে জাফলং গিয়েছিলাম। সেখানেও এ ধরনের সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পেয়েছিলাম। কিন্তু এখানকার দৃশ্য আমার কাছে জাফলং এর চাইতেও অনেক ভাল লেগেছে। যদিও আমি শীতকালে পানি ভয় পাই। তার পরেও এই চমৎকার স্বচ্ছ পানি দেখে আর নিজেকে সংবরণ করতে পারলাম না। জুতা মোজা খুলে কাপড় পাল্টে পানিতে নেমে গেলাম। কিন্তু পানিতে পা দেয়ার সাথে সাথেই বুঝতে পারলাম এই পানিতে আমার পক্ষে গোসল করা সম্ভব না। কারণ সেখানকার পানি বড়ই ঠান্ডা। সাথে আর একটা সমস্যা আছে। পানির গভীরতা সেখানে খুবই কম। কোথাও গোড়ালি সমান পানি কোথাও হাঁটু সমান পানি।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে নিচে পাথর বিছানো। সেই পাথরগুলো আবার খুবই পিচ্ছিল। আমি একবার পরতে পডরতে কোনরকমে সামলে নিয়েছি। তারপর আবার পকেটে মোবাইল থাকায় আরো বেশি দুশ্চিন্তা হচ্ছিল। কারণ মোবাইল পানির ভেতর পড়লে নষ্ট হয়ে যাবে। পানি প্রচন্ড ঠান্ডা থাকার কারণে আমি কিছুক্ষণ পানিতে নামছিলাম আবার উঠে আসছিলাম। এভাবে আমি চারপাশটা ঘুরে দেখতে লাগলাম।
আরেকটু সামনে আগানোর পর একটা জায়গা দেখতে পেলাম। সেখানে পানির গভীরতা একটু বেশি। সেখানে দেখলাম প্যাডেল বোট নিয়ে ঘোরার ব্যবস্থা আছে। আমরাও একটি প্যাডেল বোট ভাড়া করে কিছুক্ষণ ঘুরলাম। সেখানে পর্যটকদের জন্য টিউব এর ব্যবস্থা আছে। এই টিউব আপনি ভাড়া নিয়ে পানিতে ভেসে থাকতে পারবেন। অনেক পর্যটক দেখলাম টিউব নিয়ে পানির ভিতর ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখানে সবাই যার যার মতো মজা করতে ব্যস্ত।
আমরা এখানে অনেকটা সময় কাটালাম।শেষ পর্যন্ত দুপুরের দিকে আমরা সেখান থেকে ফিরতি পথ ধরলাম। একটা কথা আমি আপনাদেরকে নিশ্চিত করে বলতে পারি। আপনারা যদি কেউ এখানে ঘুরতে আসেন। তবে সময়টা আপনাদের খারাপ যাবে না। আর আমার মতে এই জায়গাটা ঘোরার জন্য বর্ষাকাল হচ্ছে সেরা সময়। কারণ আমরা যখন এখানে এসেছি তখন এখানকার পানির পরিমাণ খুবই কম। কিন্তু বর্ষাকালে এখানে পানি থাকে আরও অনেক বেশি। সেই সময় আপনি ইচ্ছা করলেই গোসল করতে পারবেন।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে এই ভ্রমণের শেষ পর্ব নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনার সিলেট ভ্রমনের পর্ব গুলো দেখে আমার সিলেট যাওয়ার ইচ্ছা অনেকটা বেড়ে গেছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ইচ্ছে করছে এখনি চলে যাই। এত সুন্দর এবং মনমুগ্ধকর জায়গা। এত স্বচ্ছ পানি এবং পাথর গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। দারুন সময় পার করছেন সিলেটে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো এবং এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলেই আপু সিলেট জায়গাটি অত্যন্ত সুন্দর। যদি সময় নিয়ে সেখানে যেতে পারেন তাহলে অনেক মজা পাবেন সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে।
ওয়াও!! ভাইয়া আমি আপনার এই পোস্টটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর এই জায়গাটির কথা আমি অনেক শুনেছি। দেখার ইচ্ছা ছিল কিন্তু আজকে আপনার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে যাওয়ার লোভ আর সামলাতে পারছি না। আপনার ফটোগ্রাফি বরাবরের মতো খুব সুন্দর হয়েছে আর ট্রলার ভাড়ার সিস্টেমটা জেনে খুব ভালো লাগলো। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ইশ,ভাইয়া যতই ছবিগুলা দেখছি ততোই ভালো লাগছে। লেখাগুলো পড়ে ও ভালো লাগছে। পানির নিচে পাথর পিছলা থাকে।একবার মানবকুণ্ডে যেয়ে আমি ক্যামেরা নিয়ে পিছলে পড়ে গিয়েছিলাম। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
মাধবকুণ্ড ঝর্ণাটিও আমার খুব পছন্দের। তবে এবার সেখানে যাওয়া হয়নি। সময় করতে পারলে একবার এখান থেকে ঘুরে আসুন।
সত্যি ভাইয়া ভোলাগঞ্জ জায়গাটি অনেক সুন্দর আর আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। পানি গুলো এত স্বচ্ছ ও পরিষ্কার পানির নিচের সবকিছু দেখা যাচ্ছে। ভাইয়া আপনি অসম্ভব সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন। কি সুন্দর অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখে মন জুড়িয়ে যায়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো এত সুন্দর হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে জায়গাটি আমি সরাসরি দেখছি।
দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এইরকম সুন্দর জায়গার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আশা করি দাদা ভাল আছেন? আসলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বৈচিত্র্যময় রুপ দেখলে মন জুড়ায় যায়।সিলেট ভ্রমণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই অসাধারণ হয়েছে। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির মাঝে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়া যায়। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করায় আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। ভালো থাকবেন দাদা।
যতই দেখছি আপনার সিলেট ভ্রমনের পর্ব গুলো ততোই ভালো লাগছে সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা ছায়ায় ঘেরা পাখির আঁকা আমাদের এই বাংলাদেশ যেদিকে তাকাই রূপবৈচিত্র্য মধ্য দিয়ে ভরা আজকের পোষ্টে দারুন সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনার ফটোগ্রাফি গুলা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম হারিয়ে গেলাম কল্পনার জগতে ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কথাটি সিলেটের জন্য একদম যথোপযুক্ত। একবার বাস্তবে গিয়ে ঘুরে আসুন। দেখবেন অনেক ভালো লাগবে।
ইশ! দেখে খুব যেতে ইচ্ছা করছে। কি মনমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য! এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য নিজেকে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে তার মাঝে । কত স্বচ্ছ পানি দেখে ভালো লাগছে। আসে পাশের পাহাড় আরো সৌন্দর্যবর্ধন করেছে। ভোলাগঞ্জ এর এই জায়গাটি সত্যি অসাধারণ আমি অনেক দেখেছি ইউটিউবে। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি মন ছুঁয়ে গেল । আপনি ভ্রমণ কাহিনী গুলো খুব সুন্দর গোছালোভাবে উপস্থাপন করেন ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। জায়গাটির সৌন্দর্য আসলেই হৃদয় ছোঁয়া।
অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া।ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের নাম অনেক শুনেছি। ছবিতে অনেক দেখেছি কিন্তু এখনো যাওয়া হয়নি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে যেতে ইচ্ছে করছিল। পানিগুলো একদম পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে পানির মধ্যে হাঁটলে একদম পরিষ্কার পা দেখা যাবে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
চেষ্টা করবেন বর্ষাকালে সেখানে যেতে। তাহলে চারপাশের পরিবেশ আরো সুন্দর পাবেন।
আমি প্রথমে ভেবেছিলাম এটা জাফলং, তবে পরে পোস্ট পড়ে বুঝতে পারি যে আসলে এটি জাফলং নয়। তবে জাফলং এর চাইতে সুন্দর এই জায়গাটি আগে কখনো ভিজিট করা হয়নি। আমি এই জায়গাটি নোট করে রাখলাম। যখনই যাব এ জায়গা গুলোতে ঘুরে আসব। অনেক ধন্যবাদ নতুন কিছু জায়গার সন্ধান দেওয়ার জন্য।
জাফলং তো অনেক পুরনো পর্যটন স্পট। কিন্তু এখন সিলেটে নতুন কয়েকটি স্পট আবিষ্কার করেছে পর্যটকেরা। সে জায়গা গুলো অনেক সুন্দর। সময় পেলে অবশ্যই একবার এখান থেকে ঘুরে আসবেন।
জি ভাই অবশ্যই যাবো, আপনার পোস্টগুলোর যে জায়গাগুলো সেগুলো নোট করতেছি। এ জায়গাগুলো অবশ্য ভিজিট করবো।