দীর্ঘদিন পর কলেজ ক্যাম্পাসে কিছুক্ষণ সময় কাটানো।
১৬ ডিসেম্বর সকালে আমি সপরিবারে স্টেডিয়াম গিয়েছিলাম ঘোরাফেরার উদ্দেশ্যে। স্টেডিয়ামে ঘোরাফেরা শেষ হলে আমরা ঠিক করলাম আমাদের কলেজ থেকে একটু ঘুরে যায়। অনেকদিন হলো কলেজ ক্যাম্পাসে যাওয়া হয় না। আমরা দুজনই এই কলেজ থেকে পড়ালেখা করেছি। আমাদের এই কলেজটির দুটি শাখা। একটি শহর ক্যাম্পাস আরেকটি হচ্ছে অনার্স শাখা। তো আমরা শহর ক্যাম্পাসেই গিয়েছিলাম। যেহেতু সেটি স্টেডিয়ামের পাশেই অবস্থিত। তাই চিন্তা করলাম সেখান থেকেই ঘুরে যায়।
তাছাড়া ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে সেখানে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করার কথা ছিল। আমরা যখন স্টেডিয়াম থেকে বের হয়ে কলেজে প্রবেশ করলাম। তখনই দেখতে পেলাম অনেক ছেলে-মেয়ে এসেছে সেজেগুজে। সকলে ১৬ই ডিসেম্বর উদযাপনের জন্য চমৎকারভাবে সেজেছে। দীর্ঘদিন পর নিজেদের কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে বেশ ভালোই লাগছিল। কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে প্রথমে কলেজের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে লাগলাম। বিভিন্ন জিনিস দেখছিলাম আর পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করছিলাম।
তবে কলেজে প্রবেশ করে একটি জিনিস আমাদের কাছে বেশ খারাপ লাগলো। সেটা হচ্ছে এখানে সব জায়গায় যত্নের অভাব দেখতে পাচ্ছি। কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে একটি বিশাল মাঠ রয়েছে। কিন্তু সেই মাঠটি দেখতে পেলাম একেবারে নোংরা হয়ে আছে। এখানে যত্নের প্রচন্ড অভাব দেখা যাচ্ছে। অথচ আমরা যখন কলেজে পড়তাম। তখন এই মাঠটি ছিল শহরবাসীর সময় কাটানোর একটি অন্যতম জায়গা। বিকাল হলেই এই মাঠে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন বাড়ছে। তাছাড়া বিভিন্ন রকম খেলাধুলা তো লেগেই থাকতো। এই মাঠে একসময় ফরিদপুরের সেকেন্ড ডিভিশন ক্রিকেট লিগ অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় আজ মাঠটি তার সমস্ত জৌলুস হারিয়ে বসেছে।
যাই হোক আমরা ঘোরাফেরা করতে করতে একসময় কলেজের শহীদ মিনারে পৌছালাম। সেখানে পৌঁছে দেখতে পেলাম একটি আলোচনা অনুষ্ঠান হচ্ছে। আমরা কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান উপভোগ করলাম। শহীদ মিনারের এই জায়গাটি বেশ চমৎকার। কলেজের ছেলে মেয়েদের সময় কাটানোর জন্য জায়গাটি বেশ ভালো। আমাদের এই কলেজে একসময় শত বছরের পুরাতন কিছু ভবন ছিল। কিন্তু এবার গিয়ে দেখতে পেলাম একটি ভবন বাদে আর সবগুলো ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে।
সেখানে নতুন নতুন ভবন গড়ে উঠছে। তাছাড়া কলেজের পেছনের দিকে দেখতে পেলাম সেখানে ছেলেদের জন্য সুবিশাল হোস্টেল বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে। কারণ আমাদের এই রাজেন্দ্র কলেজে আশেপাশের জেলা থেকে প্রচুর ছেলেমেয়েরা পড়তে আসে। তাদের আবাসনের জন্যই এই হোস্টেল তৈরি করা। আরো কিছুক্ষণ কলেজের ভেতর ঘোরাফেরা করে তারপর আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
দীর্ঘদিন পর সপরিবারে ১৬ ই ডিসেম্বরে আপনি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন এবং তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনারা দুজনেই এই কলেজে পড়েছেন।এ কলেজের দুটি শাখা ছিল।আপনারা কলেজে ঢুকে দেখলেন সব ছেলে-মেয়েরা খুব সেজেগুজে এসেছে। কারন ১৬ ই ডিসেম্বর উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আপনার পুরোনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করছিলেন।আপনারা কিছু সময় আলোচনা শুনে শহীদ মিনারের কাছে গেলেন।শহীদ মিনারের জায়গাটি বেশ চমৎকার। ছেলেমেয়েদের জন্য সময় কাটানোর জন্য খুব ভাল জায়গা। আপনাদের কলেজে কিছু পুরাতন ভবন ছিল, একটি ছাড়া বাকি গুলো নেই, ভেংগে ফেলেছে।আপনি খুব সুন্দর ভাবে কলেজে কাটানো সময়টুকু তুলে ধরেছেন। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি তো দেখছি প্রায় হুবহু আমার পোষ্টের কথাগুলোই কমেন্টে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ,জেনে ভালো লাগলো যে আপনারা দুজনেই একই কলেজে পড়াশুনা করতেন।আসলে কলেজের সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে থাকে।শহর ক্যাম্পাসটি সত্যিই ভীষণ সুন্দর।আসলে পুরোনো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু বদলে যায়, ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন। এই কলেজের সাথে আমাদের দুজনেরই অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।
বাহ এটা জেনে ভালো লাগলো যে আপনারা দুজনে কিন্তু একই কলেজে পড়েছিলেন। আর অনেকদিন পরে কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল দেখলাম।আর খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদেরকে উপলব্ধি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
আসলে পুরনো যেকোনো জায়গায় গেলেই সেখানকার পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায়।
হাজার হলেও নিজের কলেজ ক্যাম্পাস বলে কথা। মায়া মমতা ভালবাসা সবটুকুই কলেজ ক্যাম্পাস কে ঘিরে। আপনাদের দুজনের একই জায়গা থেকে পড়াশোনা শুনে আরো বেশি ভালো লাগছে। কলেজ ক্যাম্পাসের মাঠের পরিবেশের অবস্থা খারাপ শুনে সত্যি খারাপ লাগছে। আসলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। যদি সেখানে উপরস্থ কর্মকর্তা যদি কোন পদক্ষে না নেয় আরো বেশি নষ্ট হয়ে যাবে। দিন যাচ্ছে পরিবর্তন হচ্ছে সবকিছু, সেই সাথে কলেজ ক্যাম্পাসের ছেলেদের হোস্টল জেনে খুবই ভালো লাগলো। আমাদের সাথে ১৬ ডিসেম্বরের আপনার অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
উপরস্থ কর্মকর্তারা ব্যস্ত আছে শুধু পকেট ভারি করার কাজে। কলেজের দিকে তাদের কোন নজর নেই।
ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের নাম অনেক শুনেছি। আমাদের দেশের অধিকাংশ স্কুল কলেজের মাঠগুলো নোংরা থাকে। এগুলো নোংরা করে শিক্ষার্থীরা কিন্তু পরিষ্কার করার কেউ থাকে না। অনেকদিন পর আপনার কলেজে ভ্রমণ টা বেশ দারুণ ছিল ভাই। যদিও কিছু অনাকাঙ্খিত কারণে মন খারাপ হয়ে গেছে কিন্তু সেটা ব্যাপার না।
আমাদের এই কলেজের মাঠটা আগে এতটা নোংরা ছিল না। কিন্তু এখন যত্নের অভাবে অনেক নোংরা হয়ে গিয়েছে।
বিজয়ে উদযাপনে দুজনে মিলে তো অনেক ঘোরাঘুরি করছেন ভাই ৷ বেশ ভালোই লাগলো যে আপন অনেক দিন পর কলেজ ক্যাম্পাসে গেছেন ৷ আসলে মাঝে মাঝে পুরনো জায়গা গুলোতে গেলে অনেক ভালো লাগে ৷ আর মনে পড়ে সেই পুরনো সৃতি গুলো ৷
যা হোক অনেক ভালো লাগলো ব্লগটি পড়ে ৷
ধন্যবাদ
১৬ ডিসেম্বরে বাইরে ঘোরাফেরা করতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। কারণ চারপাশে একটি উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।