স্রোতের বিপরীতে চলা মানুষেরা (তৃতীয় পর্ব)। ১০%সাইফক্স।
সবুজ তখন সবাইকে বলল আমাদের সবাইকে ঠাণ্ডা মাথায় একটা প্ল্যান তৈরী করতে হবে। আজকালকার দিনে এই ধরনের প্রভাবশালী লোকজনের সাথে পেরে ওঠা খুব মুশকিল। তবে এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে একটা সুবিধা ও আছে। যদি এই প্রভাবশালীদের মুখোশ আমরা দেশের লোকজনের সামনে উন্মোচন করতে পারি। তাহলে এদের পেছনে যারা মদদ দাতা আছেন। তারা আর এদেরকে সাহায্য করতে আসবে না।
সারাদেশব্যাপী এদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করে হলে তখন প্রশাসন ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তারেক জিজ্ঞেস করল কিন্তু আমরা এদের আসল চেহারা জনগণের সামনে কিভাবে তুলে ধরবো? যদিও আমার কাছে এদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু প্রমাণ আছে। কিন্তু এই প্রমাণগুলি তদন্তের স্বার্থে এখন আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করতে পারবোনা। আর যদি আমি সেটা করি তাহলে আমার ডিপার্টমেন্ট আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
সবুজ তখন বলল আপনার অফিশিয়াল ডকুমেন্ট এখন প্রয়োজন হবে না। আমরা অন্যভাবে এদের মুখোশ উন্মোচন করব। এজন্য আমাদেরকে একটু কৌশলী হতে হবে। সবুজ তখন তাকে জিজ্ঞেস করল তারেক ভাই আপনার অফিসের কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কি এই ঘটনা জানে? বা সে এই ব্যাপারে আপনাকে কিছু বলেছে? তারেক বলল আমার বস সবই জানেন। আকারে-ইঙ্গিতে আমাকে এ ব্যাপারটা চেপে যেতে বলেছেন।
সবুজ তখন তাকে পরামর্শ দিল আপনি আপনার বসের সাথে আলাপ করেন। যে আপনাকে এমন হুমকি দেয়ায় আপনি খুব ভীত হয়ে পড়েছেন। যার ফলে আপনি হুমকিদাতাদের সাথে সরাসরি কথা বলতে চান। এই প্রস্তাব আপনি আপনার বসকে দিয়ে দেখেন তিনি কি বলেন। তিনি যদি সেই প্রভাবশালী লোকদের সাথে আপনার আলাপের ব্যবস্থা করে দেন। তারপর আমরা প্ল্যানের পরবর্তী ধাপ নিয়ে আলোচনা করবো।
কিন্তু তারেক অধৈর্য হয়ে বলল প্ল্যানটা কি সেটা তো আমাকে জানতে হবে। সবুজ বলল আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু আছে। তার টেকনোলজি সম্বন্ধে খুব ভালো ধারনা আছে এবং তার কাছে কিছু স্পাইং গ্যাজেটও আছে। যেমন ধরেন ছোট সাইজের ক্যামেরা মাইক্রোফোন এইগুলি। যার ফলে যদি আপনি সেই প্রভাবশালী লোকদের সাথে সরাসরি আলাপ করার সুযোগ পান। তখন আপনি তাদের সাথে এমন ভাবে কথা বলবেন যাতে তারা তাদের কুকর্মের কথা প্রকাশ করে। আপনি টেকনিক্যালি তাদের কাছ থেকে এক ধরনের জবানবন্দি নেবেন।
যেটা আমরা ক্যামেরায় রেকর্ড করবো। তারপর সেই রেকর্ডিং আমরা বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ছড়িয়ে দেব এবং সেই ভিডিওর একটি ক্লিপ নিয়ে আমরা প্রেস কনফারেন্স করব। যদি ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায় তাহলে এই দুর্নীতিবাজদের মুখোশ সারাদেশের মানুষের কাছে উন্মোচন হয়ে যাবে। তখন আর এরা আপনাকে চাপ দিতে পারবে না।
তখন আপনি আপনার তদন্তের রিপোর্ট ভালোভাবে জমা দিতে পারবেন। এটা ছাড়া আমি আপাতত আর কোনো পথ দেখছি না। তারেক চিন্তা করছে এই জাতীয় ঘটনা নাটক সিনেমায় দেখেছি। কিন্তু বাস্তবে আসলে কতটা সফলভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে সেটা চিন্তার বিষয়।
তারপরেও যেহেতু হাতে আর কোন অপশন নেই তাই তারেক চিন্তা করল চেষ্টা করি কি হয়? পরদিন তারেক অফিসে গিয়ে তার বসের সাথে পরমর্শ করলো। তার বসকে বলল যে তাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হচ্ছে। তার বস তাকে বলল আমি তো তোমাকে আগেই বলেছিলাম। এরা অনেক প্রভাবশালী লোক। এদের সাথে তুমি পারবেনা। তখন তারেক তার বসকে বলল বস আমি এই লোকগুলোর সাথে সরাসরি আলাপ করতে চাই। তাদের সাথে কথা বলে আপোষ করতে চাই।
তার বস তখন খুশি হয়ে বলল খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছো। আমি আজ রাতে তাদের সাথে তোমার একটি আলাপের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। কথাবার্তা বলে সবকিছু মিটিয়ে নাও। আর সাথে তুমি যাতে ভালো অংকের টাকাও পাও সে ব্যাপারটা আমি দেখবো। তারেক তার এই কথা থেকে পরিস্কার বুঝতে পারল এই লোক ও দুর্নীতিবাজদের সাথে জড়িত। (চলবে)
ঝুলিয়ে রাখলে আবারো। যখনি একটু জন্য উঠে তখনই শেষ করে দাও। যাইহোক দেখা যাক শেষটা কিভাবে করো।
গল্পটা আজকেও শেষ করলেন না ভাইয়া আমাদের অপেক্ষায় রাখলেন আরও একটা দিনের। গল্পের বাকি অংশের অপেক্ষায় রইলাম তাড়াতাড়ি দিয়ে দিন।
অনেক সুন্দর একটা গল্প লিখেছেন ভাইয়া। যা অনেকটাই বাস্তবধর্মী। গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। পরবর্তী পার্টের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এ ধরনের ঘটনা হরহামেশাই আমাদের আশেপাশে ঘটছে।
প্রতি পর্বেই আপনি আকর্ষণ টা রেখেই চলেছেন। একদম বাস্তবতা গল্পটি। প্রতিটি পর্বই অনেক ভালো করে উপস্থাপনা করেন এই জন্য আর দেরি করতে পারছি নাহ কবে গল্পটি শেষ করবো। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অধির আগ্রহে রইলাম।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। পরবর্তী পর্ব খুব শিগ্রই পেয়ে যাবেন।
আমি অনেক আগ্রহ নিয়ে পরছি,আর ভাবছি পরবর্তী ধাপে কি হয়।ভালো ছিলো।পরবতী পর্বের অপেক্ষায়।
রহস্য শীঘ্রই উন্মোচন হবে। গল্পটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আকর্ষণটা বাড়িয়ে দিয়ে আবার মাজপথে থেমে যান। আসুন এই অপেক্ষার প্রহর পুরোটা খুব কষ্টকর। দারুন লাগছিল গল্পটা, যাই হোক শেষ থাকে অপেক্ষায় থাকলাম।
এটাই তো লেখার মজা। আগামী পর্বে সবকিছু জানতে পারবেন।