বনশ্রীর ফুডজোন এর পরিচয় (শেষ পর্ব)। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
গত পর্বে আমি আপনাদের সাথে বনশ্রীর বিভিন্ন খাবারের দোকানে সম্বন্ধে আলোচনা করেছিলাম। বনশ্রী প্রজেক্ট আসলে অনেক বড়। এখানে প্রচুর খাবারের দোকান আছে। সেগুলি বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রি করে। দেশি খাবার থেকে শুরু করে বিদেশী সব ধরনের খাবারের আপনি বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে পাবেন। বাঙালি মাত্রই ভোজন রসিক। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের ভেতর বিদেশি খাবারের প্রতি আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। সে জন্য প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন রেস্টুরেন্ট হাজির হচ্ছে বিদেশি খাবারের পসরা নিয়ে। তো চলুন আজ আপনাদের সাথে আরও কিছু খাবারের দোকান এর পরিচয় করিয়ে দিই।
এই রেস্টুরেন্টটি হচ্ছে বনশ্রীর ভেতর সবচাইতে জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট। আগে এই রেস্টুরেন্টটা খুবই ছোট ছিল। তাদের জনপ্রিয়তা এবং ব্যবসা বাড়ার কারণে এখন তাদের রেস্টুরেন্টটা অনেক বড় করেছে। এখানে বিভিন্ন রকমের খাবার পাওয়া যায়। যেমন গ্রিল চিকেন,কাবাব,চিকেন চাপ,শর্মা, বিরিয়ানি খিচুড়ি ভাত মাছ-মাংস আরও বিভিন্ন ধরনের খাবার। এদের চিকেন চাপ এবং গ্রিল চিকেন এর অনেক সুনাম। বনশ্রীর মনে হয় প্রত্যেকটা বাড়িতেই এই রেস্টুরেন্টের খাবার যায়। সন্ধ্যার সময় গেলে এখানে প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়। এখানের প্রত্যেকটা খাবারের দাম সাধ্যের ভিতরে।
এটি মূলত একটি ফাস্ট ফুড শপ। তবে এই দোকানে চটপটি ফুচকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম ফলের জুস সবই পাওয়া যায়। এই দোকানের খাবারের দাম তুলনামূলক কিছুটা কম। সেজন্য তাদের বেচাকেনাও যথেষ্ট ভালো। এই রেস্টুরেন্ট থেকে আমার কখনো কিছু খাওয়া হয়নি। এই রেস্টুরেন্ট আমার কাছে তেমন বিশেষ কিছু মনে হয়নি। সেজন্যই হয়তো এখান থেকে আমার কিছু খাওয়া হয়নি।
এটি আরও একটি ফাস্ট ফুড শপ। এদের ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় আরও বেশ কয়েকটি আউটলেট আছে। এদের খাবারের মান যথেষ্ট ভালো। এদের প্রধান আইটেম হচ্ছে ফাস্টফুড। সাথে বিভিন্ন রকমের বেকারি আইটেম ও আছে। এদের খাবারের দাম মোটামুটি সাধ্যের ভিতরে। এই ফাস্টফুড শপটি খুবই ভাল ব্যবসা। করছে কারণ গত কয়েক বছরের ভেতরে এদের অনেকগুলি শাখা হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। এদের খাবার ব্যক্তিগতভাবে আমার বেশ পছন্দের।
এটি একটি পিজ্জা শপ এখানে বিভিন্ন ধরনের পিঠা পাওয়া যায় সাথে অন্যান্য ফাস্টফুড আইটেম পাওয়া যায় এখানকার গ্রিল চিকেন এর মান বেশ ভালো। যদিও অন্যান্য খাবার সম্বন্ধে আমার খুব একটা ধারনা নেই। এদের খাবারের দাম মোটামুটি রিজনেবল।
এটি একটি বিরিয়ানির দোকান। এখানে আপনি শুধু বিরিয়ানির তেহারি আর খিচুড়ি পাবেন। এদের খাবারের মান যথেষ্ট ভালো। দামও তুলনামূলক অনেক কম। এদের অনেকগুলি শাখা পুরো বনশ্রী জুড়ে ছড়িয়ে আছে। এদের বিরিয়ানি খুবই জনপ্রিয় বনশ্রীবাসীর কাছে। এদের ব্যবসা খুব ভালো চলছে। তার প্রমাণ হচ্ছে খুব অল্প সময়ে এতগুলি আউটলেট ওপেন করা। আমি এখানকার তেহারি খেয়ে দেখেছি। সাদ যথেষ্ট ভালো।
এটি হচ্ছে মূলত বিভিন্ন রকম চিকেন আইটেম বিক্রির আউটলেট। এরা পুরো ঢাকা শহর জুড়ে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে আছে। অলিতে-গলিতে সব জায়গায় আপনি এই সিপি এর আউটলেট পাবেন। এদের চিকেন ফ্রাই খুবই জনপ্রিয়। যখন এর যাত্রা শুরু হয়েছিল তখন এদের খাবারের দাম খুবই কম ছিল। এখন বিভিন্ন কারণে সিপির চিকেন ফ্রাই এর দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে। এদের খাবারের স্বাদ যথেষ্ট ভালো। অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের কাছে সিপির বেশ কদর। পুরো বনশ্রী জুড়ে এদের অনেকগুলি আউটলেট আছে।
এটি মূলত একটি ফাস্ট ফুড শপ। যদিও এদের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে এদের বার্গার। আপনি এখানে বিভিন্ন রকমের বার্গার পাবেন। খাবারের দাম মোটামুটি এখানে। আপনি তাছাড়াও আরো বিভিন্ন রকমের ফাস্টফুড পাবেন এখানে। তাদের খাবারের স্বাদ যথেষ্ট ভালো।
একটি ছোট্ট একটি রেস্টুরেন্ট। এই রেস্টুরেন্টে সর্বসাকুল্যে একসাথে ১২ থেকে ১৪ জন বসতে পারে। এখানে আপনি বিভিন্ন রকম ফাস্টফুড আইটেম থেকে শুরু করে চাইনিজ আইটেম পাবেন। এই রেষ্টুরেন্টের যে ব্যাপারটা আমার কাছে সবচাইতে ভাললাগে তাহলো এদের খাবারের স্বাদ এবং ওনার এর ব্যবহার। রেস্টুরেন্টের মালিক রেস্টুরেন্টে নিজে উপস্থিত থাকে এবং খুবই আন্তরিক ভাবে কাস্টমারদের সাথে কথা বলে। এদের খাবারের স্বাদ আমার কাছে অত্যন্ত ভালো লাগে। যদিও এদের ব্যবসা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। এদের খাবারের দাম তুলনামূলক বেশ খানিকটা কম। খাবারের মান ভালো এবং দাম কম হওয়ার পরও কোনো এক অদ্ভুত কারণে এদের ব্যবসা খুব একটা ভালো না।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আশা করছি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
আমাদের চট্টগ্রামের এও একদম সেইম।সিপির আউলেট একেবারে প্রত্যেক জায়গায়। তবে আগের তুলনায় খাবারের মান কমিয়েছে ওরা আর দাম কয়েম গুণ বাড়িয়েছে আমাদের এখানে।যা খুবই বিরক্ত লাগে আমার কাছে।
মোটামোটি অনেকগুলো রেস্তোরা সম্পর্কেই ধারণা পেলাম আজকে ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনার পোস্ট দেখে অনেক ধারণা পেলাম ভাইয়া , আমি মুটামুটি শহরের আশপাশ জায়গা গুলোতে এই ধরণের দোকান দেখতে পাই , যেখানে আমরা হালকা আর ভারী দুটো খাবার ই পেয়ে থাকি , তবে এই ধরণের দোকান গুলো অনেক ভালো মানের হয় , সব জায়গাতেই যেটা সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
ঠিক এরকম একটি চাপ ঘর ছিল বগুড়াতে তবে এখন সেটা বগুড়া শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি চাপ ঘর। বিভিন্ন এলাকা থেকেও মানুষ চাপ খেতে আসে এখানে। আপনার রিভিউটি আজকে খুবই ভালো লেগেছে। অনেকটা কাল্পনিক স্বাদ উপভোগ করলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
নাম কি সেই চাপ ঘরের? শুনেছি চুন্নুর চাপ খুবই বিখ্যাত।
ভাইয়া আপনার এই রেস্তোরা পরিচয় পর্ব টা অনেক সুন্দর হয়েছে। কোট একটি রেস্তোরাঁর সম্পর্কে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। কোন রেস্তোরা কোনটির জন্য বেশি খ্যাতি অর্জন করেছে, তাদের পরিবেশ, খাওয়া-দাওয়ার মান, দাম সব মিলে বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর সুন্দর রেস্তোরাঁর রিভিউ দেয়ার জন্য। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই।