আমার বায়তুল মোকাররম মার্কেট ঘোরার অভিজ্ঞতা এবং হকারদের জীবন। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
গত পর্বে আপনাদের সাথে আমার বায়তুল মোকাররম মার্কেট এলাকায় ঘোরাফেরার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। আজ সেই অভিজ্ঞতার দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের সাথে ভাগ করে নেব। গত পর্বে আপনাদের কে জানিয়েছি যে বায়তুল মোকাররম মার্কেট এলাকার সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে এখানে প্রায় সব ধরনের পণ্য আপনি পাবেন। আমি যখন এলাকাটি ঘুরে দেখছিলাম তখন বেশ কিছু ছবি তুলেছি।
সেই সময় একটি ব্যাপার খেয়াল করেছি। কিছু কিছু হকার ছবি তুলতে রাজি নয়। কেউ কেউ ছবি তোলার সময় মাস্ক দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলছে। প্রথমে আমি বিষয়টি বুঝতে পারিনি। একটু চিন্তা করার পর বিষয়টি আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেলো। এই ঢাকা শহরে যারা হকার হিসেবে কাজ করে তারা সবাই যে দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছে তেমনটা নয়। এখানে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আছেন। অনেকেই আছেন যারা একসময় ভালো চাকরি বা ব্যবসা করতো। কিন্তু বিভিন্ন রকম সমস্যার কারণে সেই চাকরি বা ব্যবসা করতে পারেনি। এই সমস্ত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকজন হকার হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ করে। আসলে আমাদের দেশের সামাজিক অবস্থাটাই এমন। এখানে শ্রম এর মর্যাদা খুবই কম। যার ফলে আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশীর কথা চিন্তা করে। অনেকেই আছে তারা যে হকার হিসেবে কাজ করে সে কথা পরিবারকে জানায় না।
এখানে যত ব্যবসায়ী আছে প্রত্যেকটা লোকের জীবনে একটি আলাদা গল্প আছে। আমরা যারা কেনাকাটা করতে যাই বা দর্শনার্থী তারা ক'জনইবা সেটা চিন্তা করি। তাদের সমস্যার কথাটা আমরা কখনোই গভীরভাবে চিন্তা করিনা। তার পরেও তারা দিনের পর দিন হাসিমুখে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে হকার হিসেবে ব্যবসা করে যাচ্ছে।
আমি যখন বায়তুল মোকাররম মসজিদের গেটের কাছে পৌঁছলাম। তখন হঠাৎ করে খেয়াল করে দেখি অনেক হকার তাদের জিনিসপত্র নিয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছে। ব্যাপারটা বুঝতে আমার একটু সময় লাগলো। পরে জানতে পারলাম এখানে কোন এক ভিআইপি আসবে। সে জন্য পুলিশ রাস্তার পাশের অবৈধ এসব হকারদের কে উচ্ছেদ করার জন্য এসেছে।
এই ধরনের নানা রকম সমস্যা মোকাবেলা করে তারা ব্যবসা করে যাচ্ছে। তাদের এই ব্যবসা থেকে শুধু তারাই না। বরং নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণী ও অনেক উপকৃত হচ্ছে। কারণ তাদের কাছ থেকে তুলনামূলক অনেক কম দামে তারা জিনিসপত্র কিনতে পারে এই ধরনের রানা থাকলে নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে অনেক সমস্যায় পড়তে হতো তখন তাদেরকে বেশি দাম দিয়ে সুপারশপ থেকে সমস্ত জিনিসপত্র কিনতে হতো।
হাসি কান্না আনন্দ বেদনা নিয়েই এই হকারদের জীবন। এখানে ছবির প্রত্যেকটা লোকের জীবনের গল্প আলাদা। আমরা যারা ছবি তুলি তারা কি কখনো সেই গল্পগুলিকে দেখার চেষ্টা করি। একটু অনুসন্ধানী দৃষ্টি নিয়ে তাকালেই সেই গল্পগুলো আমাদের চোখে ধরা পড়বে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি
আসলেই।আমরা যখন ওদের কাছ থেকে কিছু কিনে খাই তখন ভাবি কত কম দামে ভালো কিছু পাচ্ছি।
তবে ওদের জীবনে যে কত উত্থান পতন থাকে তা আমরা কেও খেয়াল করিনা।
রুপক ভাই আপনি আপনার লেখার মাধ্যমে হকার দের জীবন সম্পর্কে যেভাবে বর্ণনা করেছেন তা সত্যিই প্রসংশনীয় । এভাবে কোনদিন ভেবে দেখিনি । তারা আসলেই অনেক কষ্ট করে তাদের সংসার চালায়। করোনার এই মহামারীর কারণে অনেকে বাধ্য হয়েছে এই পেশা বেছে নিতে কারন তাদের সংসার চালাতে হবে। আর এ জন্যই তারা ক্যামেরার সামনে ছবি তুলতে আন-ইজি ফিল করছে । ধন্যবাদ আপনাকে ভাই সুন্দর একটি লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য । আপনার প্রতি শ্রদ্ধা আরো বেড়ে গেলো ভাই। ভালো থাকবেন সব সময় । দোয়া রইলো 💕
হাসি-কান্না নিয়েই হলো
হকারদের জীবন
কষ্ট করে দিন কেটে যায়
কষ্টে আসে মরন
জীবিকার জন্য তাড়া
করছে ছুটি ছুটি
ভিআইপির কারণে তাদের
ব্যবসা কুটি কুটি
উপলব্ধিটা দারুন তোমার
ভাবছি বসে আমি
মানবিকতার চাদরে ঢাকা
তোমার মন ভূমি♥♥
আপনি আপনার অনুসন্ধানী চোখে সব সময় নতুন কিছু আবিষ্কার করে থাকেন। বাইতুল মোকাররম মার্কেট ঘোরার অভিজ্ঞতা এবং হকারদের জীবন নিয়ে গল্প
তার ব্যতিক্রম নয়। আপনি খুব সুন্দর করে হকারদের জীবনের টানাপোড়নের কথা তুলে ধরেছেন। তুলে ধরেছেন তাদের জীবনে প্রতিদিন বয়ে যাওয়া ঝড়তুফান আর বাস্তবতাকে। পরিশেষে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি খেটে খাওয়া সকল সাধারণ মানুষকে। ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয়, আপনার হাতের লেখনীতে উঠে আসুক আরো কিছু বাস্তববাদী মানুষের গল্প। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।