বিকালের ঘোরাঘুরি আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা।
আমার বন্ধুর ফেরদৌস যখন ফরিদপুর থাকে তখন আমরা সপ্তাহে অন্তত তিন চার দিন বাইরে ঘুরতে বের হই। গতকালকেও দুই বন্ধুর বাইরে বের হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে দুজনের ভেতর যোগাযোগ না হওয়ায় আর ঘুরতে বের হওয়া হয়নি। তবে আজকে দুজন আগে থেকেই যোগাযোগ করে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। কয়েকদিন আগে দুজন ঘোরার সময় চিন্তা করছিলাম আমরা প্রতিদিন প্রায় একই রাস্তায় যাওয়া আসা করি। এখন থেকে আমাদের নতুন কোন দিকে যাওয়া উচিত। যে দিকটাতে আমাদের যাতায়াত হয় খুবই কম সেরকম কোন দিকে।
আজকে দুজন এক জায়গায় মিলিত হওয়ার পর আমরা এমন একটি রাস্তার দিকে যেতে লাগলাম। যেদিকে আমাদের খুব একটা যাওয়া হয়নি। আমার কাছে তো বলতে গেলে একেবারেই অচেনা এলাকা ছিল সেগুলি। তবে ফেরদৌসের মোটরসাইকেল চালানো দেখে বুঝতে পারলাম সে মোটামুটি এই এলাকাগুলো ভালোই চেনে। যেদিকে গিয়েছিলাম সে দিকটা ছিল একেবারে নিরিবিলি গ্রামীন পরিবেশ। রাস্তাঘাটে মানুষজন গাড়ি ঘোড়া সবই ছিল একেবারে কম। যার ফলে দুজনে ঘুরেফিরে বেশ মজা পাচ্ছিলাম। আর বর্তমানের আবহাওয়া এতটাই চমৎকার যে আপনি ঘর থেকে বের হলেই আপনার ভালো লাগবে। মোটরসাইকেলে ঘোরার জন্য এখনকার আবহাওয়া একেবারে পারফেক্ট।
বেশ কিছুক্ষণ ঘোরা ফেরার পর আমি ফেরদৌসকে বললাম চলো রাফসানের শোরুমে যায়। কারণ বেশ কিছুদিন থেকেই আমাদের কয়েক বন্ধুর ভিতরে আলাপ আলোচনা চলছে বাইরে কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার। সেই আলোচনার প্রেক্ষিতে রাফসান প্রস্তাব দিয়েছিল কক্সবাজার যাওয়ার। প্রস্তাবটি আমার কাছে পছন্দ হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ফেরদৌস একটি প্রজেক্ট এর কাজে ফরিদপুরের বাইরে চলে যাবে। যার ফলে এখন ঘুরতে গেলে ফেরদৌসকে পাওয়া যাবে না। সেজন্যই আজকে আলোচনা করতে রাফসানের শোরুমে গিয়েছিলাম।
আমাদের পরিকল্পনা ছিলো একুশে ফেব্রুয়ারি আমরা কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেবো। তবে ফেরদৌসের প্রজেক্ট এর কাজ শুরু হওয়ার ডেট পড়েছে বাইশে ফেব্রুয়ারি। যার ফলে আমাদের পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে হয়েছে। ফেরদৌসের এর প্রজেক্ট এর কাজ চলবে প্রায় ২০-২৫ দিন। এর ভেতর সামনের মাসে আবার রোজা শুরু হয়ে যাবে। যার ফলে এখন মনে হচ্ছে এবারের মতো আর টুরটা হচ্ছে না। গত কয়েকদিন থেকে আমি এই ট্যুর নিয়ে বেশ এক্সাইটেড ছিলাম। কারণ অনেকদিন হলো বন্ধুবান্ধব মিলে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না। সেই ২০১০ সালের শেষের দিকে আমরা ছয় বন্ধু মিলে কক্সবাজার ট্যুরে গিয়েছিলাম। তারপর থেকে আর আমাদের আর কোন গ্রুপ ট্যুর হয়নি। তবে এর ভেতরে অবশ্য আমি আর ফেরদৌস সাজেক এবং রাঙ্গামাটি থেকে একবার ঘুরে এসেছি। তবে সত্যি কথা বলতে কি দুজনে কোথাও ঘুরতে গিয়ে খুব একটা মজা নেই। অন্তত চারজন বন্ধু একসাথে হলে ঘোরাঘুরি করে মজা পাওয়া যায়। তাই এবারে পরিকল্পনা করেছিলাম চার-পাঁচজন বন্ধু জোগাড় করে তারপর ঘুরতে যাব।
কিন্তু ফেরদৌসের প্রোজেক্টের কাজের কারণে এ যাত্রায় আর সে টুরটা হচ্ছে না। যদিও আমার এবার ইচ্ছা আছে টাঙ্গুয়ার হাওর এবং সিলেট ট্যুর দেয়ার। জানিনা শেষ পর্যন্ত ইচ্ছা পূরণ হবে কিনা। বন্ধুবান্ধবের গ্রুপ মিলে ঘুরতে গেলে সেখানে এক অন্য রকমের মজা হয়। সেই মজার সাথে আর কোন কিছুরই তুলনা চলে না। সেটা ২০১০ সালের কক্সবাজার ট্যুর থেকে বুঝতে পেরেছি। এতদিন আগেকার সেই ট্যুরের স্মৃতি এখনো মনে তরতাজা রয়েছে। কয় বন্ধু মিলে ওই কটা দিন আমরা অসম্ভব সুন্দরভাবে সময় কাটিয়েছিলাম। যদিও জানি এখন আর ওই ধরনের ট্যুর হয়তো সম্ভব না। কারণ জীবন জীবিকার যুদ্ধে সকলেই ব্যতিব্যস্ত। এখন আর বন্ধুদের জন্য সময় বের করা সবার পক্ষে সম্ভব না। তারপরেও আমরা আশা করে বসে থাকি।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
| ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @rupok |
| স্থান | গেরদা |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলে ভাইয়া ঘোরাঘুরি করতে আমি মনে করি সবাই পছন্দ করে। একটা কথা ঠিকই বলেছেন দুইজন কিন্তু ঘোরাঘুরি করতে গেলে বেশি মজা লাগে না। কয়েকজন মিলে যদি ঘুরতে যাওয়া হয় তখন সেখানে অনেক বেশি আনন্দ হয়। ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করলেন। আপনার সিলেট ভ্রমণের আশাটা যেন পূরণ হয় এটাই কামনা। বিশেষ করে ঘোরাঘুরি করলে আলাদা একটা অনুভূতি হয়।
ছেলেদের কি সুবিধা যখন যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে বাহিরে ঘুরতে যেতে পারে।ভাইয়া আপনার ঘোরাঘুরি র পোস্ট দেখে আমার ঘুরতে যেতে মন চায়।ফেরদৌস ভাই এর সাথে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করা হয় আপনার।ফেরদৌস ভাইয়ার ব্যস্ততার কারনে ২১ তারিখে কক্সবাজার যাওয়া হলো না।
ঘোরাঘুরি করতে সবাই ভালবাসি। বিশেষ করে আমারও ঘুরতে অনেকটাই ভালো লাগে আগে। প্রায়ই ঘুরতে যাওয়া হতো কিন্তু ইদানিং খুব একটা যাওয়া হয় না। আর সাথে যদি ভালো বন্ধু থাকে তাহলে তো কোন কথাই না। আপনি আপনার বন্ধুর সাথে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন সেটা বোঝাই যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঘুরতে গেলে সবারই বেশ ভাল লাগে। আপনি আর ফেরদৌস ভাইয়া খুব ঘুরতে পছন্দ করেন।আর এদিক সেদিক ঘুরেন ও।তবে কোথাও গেলে দুজন গিয়ে মজা নেই একদম ঠিক বলেছেন। ৪/৫ জন হলে বেশ ভাল হয়। ফেরদৌস ভাইয়ার প্রজেক্টের কাজের কারনে ২১ শে ফেব্রুয়ারি আপনাদের কক্সবাজার যাওয়া হচ্ছে না।যাক সময় করে ঘুরে আসবেন।ব্লগটি পড়ে খুব ভাল লাগলো। আসলে বন্ধুরা মিলে ঘোরার মজাই অন্য রকম। ভাল থাকবেন ভাইয়া।ধন্যবাদ।
বন্ধুরা সবাই মিলে একসাথে ঘোরার মজাই অন্যরকম। যত বেশি বন্ধু হবে ,ঘোরার জন্য তত বেশি মজা।ফেরদৌস ভাই এর প্রজেক্ট রিলেটেড কারনে আপনাদের আর ২১ তারিখে ঘুরতে কক্সবাজার যাওয়া হলো না এটা জানতে পেরে একটু খারাপ লাগলো। এই জীবন জীবিকার যুদ্ধে সকলেই ব্যস্ত থাকতে হয় , এইখান থেকে পালানোর কোন উপায় নাই । দাদা পরে আবার নতুন করে প্লান করে সবাই একসাথে ঘুরে আসবেন।
১৩ বছরের আগে তাহলে ঘুরতে গিয়েছিলেন! বন্ধুদের সাথে ঘুরার ফিলিংসটাই অন্যরকম! ট্যুরে যাওয়ার একটা ফিলিংসই আসে না যদিনা বন্ধুরা না থাকে। ফৈরদৌস ভাইয়ের কাজ না থাকলে ২১ তারিখের আগেই তাহলে একটা ট্যুর দিতে পারতেন কক্সবাজারে। কিন্তু ছয় বন্ধু যখন একসাথে হতে পারলেন না, ট্যুরের প্লেনটাও বাদ হলো। আশা করি সামনের বার টাঙ্গুয়ার হাওড়ে যেতে পারবেন।