পিঠা উৎসব ভ্রমণের অভিজ্ঞতা (শেষ পর্ব)।
প্রথম ছবিতে যে খাবারটা দেখতে পাচ্ছেন এটা আমাদের সবারই পরিচিত এবং প্রিয় খাবার ফুচকা। আমার মেয়ে মেলায় গিয়ে ফুচকা দেখে আর লোভ সামলাতে পারেনি। সে বায়না ধরল ফুচকা খাওয়ার জন্য। যদিও ফুচকা গুলোর সাইজ ছিল একেবারেই ছোটো। তারপরও মেয়ের জন্য এক প্লেট ফুচকার অর্ডার করলাম। খাওয়ার পর যখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম কেমন লেগেছে খেতে? সে জানালো খেতে বেশ ভালো ছিলো।
এখন আপনারা ছবিতে যে খাবারটি দেখতে পাচ্ছেন এটার নাম সুজির মালাইচপ। এটা এক ধরনের পিঠা। এই পিঠাটা ভালোমতো বানাতে পারলে দারুন লাগে খেতে। কিন্তু এই পিঠাটা খেতে খুব একটা ভালো ছিলো না। কারণ তারা ভালোমতো বানাতে পারেনি। আমি অনেক আগে একবার এই পিঠা খেয়েছিলাম। সেটার সাদ ছিলো মুখে লেগে থাকার মতো। এখনো সেই পিঠার স্বাদ আমি ভুলতে পারিনি।
উপরের ছবিতে আপনারা যে খাবারটি দেখতে পাচ্ছেন সেটা হচ্ছে স্যান্ডউইচ। স্যান্ডউইচ টা দেখে অবশ্য বেশ ভালোই মনে হচ্ছিলো। আমার মেয়ে মেলার শেষ পর্যায়ে স্যান্ডউইউচ খেতে চেয়েছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে আর আমরা সেটা পাইনি।
উপরের ছবিতে আপনারা দুই ধরনের চপ দেখতে পাচ্ছেন। অবশ্য কোনটা কিসের তৈরি সেটা সেখানে লেখা ছিলো না। আমারও আর খুব একটা জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা হয়নি। তবে চপগুলো দেখে মনে হচ্ছিলো খেতে ভালোই হবে।
এখন আপনারা যে খাবারের ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এটা ডিম দিয়ে তৈরি কোনো একটি রেসিপি। তবে খাবারটা কেমন সে সম্বন্ধে আমার কোন ধারণা নেই। খুব ইচ্ছা ছিলো মেলা থেকে ফেরার সময় ডিমের তৈরি এই রেসিপিটা খেয়ে আসবো। তবে ফেরার সময় তাড়াহুড়ো করে ফেরার ফলে আর এটা খাওয়ার কথা মনে ছিলো না।
এখন আপনারা ছবিতে যে খাবারটা দেখতে পাচ্ছেন সেটা চিকেন দিয়ে তৈরি কোনো একটা খাবার। খাবারটা দেখে মনে হচ্ছিলো খেতে দারুন সুস্বাদু হবে। তবে খাবারের ছবি যখন তুলেছিলাম তখন সেখানে কোন লোক ছিলো না। যার ফলে আমরা রেসিপিটার নামও শুনতে পারিনি। পরবর্তীতে আর খাওয়ার খুব একটা আগ্রহ না থাকায় এই খাবারটা টেস্ট করা হয়নি।
এখন আপনারা যে খাবারের ছবিটা দেখছেন সেটা আমাদের সবার কাছেই কমবেশি পরিচিত। পুডিং আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি খাবার। পুডিং টা দেখেই আমার খেতে ইচ্ছা করছিলো। কিন্তু যখন মেলায় পৌঁছেছিলাম তখন পেট ভরা ছিলো সে কারণে আর খাওয়া হয়নি।
উপরের ছবিগুলো তুলেছিলাম সন্ধ্যার পরে মেলা থেকে ফেরার একটু আগে সন্ধ্যার পরে যখন দিনের আলো নিভে গিয়েছিল তখন মেলা প্রাঙ্গণের সমস্ত আলো জ্বলে উঠেছিল চারপাশে এক আলো ঝলমলে রঙিন পরিবেশে সৃষ্টি হয়েছিল দৃশ্যটা দেখতে ছিল বেশ মনোমুগ্ধকর সে কারণে আর ছবি তোলার লোক সামলাতে পারেনি আর এই ছবিগুলোর মাধ্যমে পিঠা উৎসবে ভ্রমনের অভিজ্ঞতা পর্ব শেষ করছি।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
পিঠা উৎসবের আগের পর্ব টি আমার পড়া হয়েছিল ভাইয়া। যদিও সবগুলো পর্ব পড়া হয়নি।আপনার মেয়ে ফুসকা খেয়ে বলেছিল খেতে ভালো ছিল ।তারমানে ফুসকার সাইজ ছোট হলেও টেস্ট ছিল বলা হয়।সুজির মালাই চপ পিঠা বেশি ভালো করে বানাতে পারেনি এজন্য খুব একটা টেস্ট লাগেনি আপনার কাছে।যেহেতু আপনি আগে এই পিঠা খেয়েছিলেন তাই এর টেস্ট আপনার এখনো মনে আছে।মেলার মাঠের আলোকসজ্জা দারুন লাগছে দেখতে ভাইয়া।ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্তের পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
অবশেষে পিঠা উৎসবের ভ্রমণের পর্বগুলোর সমাপ্তি হলো। সর্বপ্রথম আমি এটা বলতে চাই ভাইয়া যে পুডিং আমারও প্রিয় খাবার। চিকেন দিয়ে তৈরি রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। স্যান্ডউইচ গুলির কালার দেখে মনে হচ্ছে এগুলো অনেক সুস্বাদু ছিল। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে আপনি পরিবারের সাথে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছেন পিঠা উৎসবে। আর সেগুলো আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন আমাদের মাঝে শেয়ার করে,তার জন্যে ধন্যবাদ ভাইয়া।
পিঠা উৎসবের ভ্রমণের কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পিঠাগুলো দেখতে আসলে অনেক লোভনীয় ভাইয়া ।সুজির মালাই চপটা দেখতে অনেক চমৎকার লাগছে । আপনি বলছেন তেমন একটা খেতে ভালো হয়নি। ফুচকাটাও দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে ।দেখতে অনেকলোভনীয় লাগছে কিন্তু ফুচকার সাইজ গুলো অনেক ছোট। ফুচকাটা অনেক লোভনীয় হয়েছে তাই আপনার মেয়ে দেখে লোভ সামলাতে পারেনি। আমারও দেখে ফুচকা খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ফুচকা এমন লোভনীয় একটি খাবার যে দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে। পিঠা উৎসবের আগের পাঁচটি পর্বের মতো এই পর্বটিও বেশ উপভোগ করেছি। চেনা অচেনা বিভিন্ন ধরনের পিঠার ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়েছি। পুডিং বরাবরই আমার ভীষণ পছন্দ। আপনারা এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন সেখানে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আগের পর্ব গুলোতেও দারুন কিছু পিঠার ফটোগ্রাফি দেখেছিলাম ৷ তবে আজকের গুলো রেসেপি সহ জাষ্ট ওয়াও ৷ আসলে কোনটা বেখে কোনটার কথা বলবো ভাবছি ৷
স্যান্ডউইচ, সুজির মালাইচপ এছাড়া ডিম চপ ,দুই ধরনের রেসেপি চপ ৷ সত্যি এতো এতো আইটেম দেখে মন ভরে গেলো ৷ সেই সাথে মেলা থেকে ফেরার পথে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি ৷ সবমিলে পিঠে উৎসবের শেষ পর্ব গুলোতে ফটোগ্রাফি দারুন ছিল ৷
পিঠা উৎসব ভ্রমণের সুন্দর অভিজ্ঞতা পড়ে বেশ ভালোই লাগলো ৷ দারুণ কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন ৷ সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করার পাশাপাশি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ খাবার গুলো কিন্তু দেখতে প্রত্যেকটা অসম্ভব সুন্দর এবং বেশ লোভনীয় ৷ মেলার উৎসবমূখর দৃশ্যে গুলোও কিন্তু অসাধারণ ৷ সব মিলিয়ে ভীষণ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে ৷ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ৷