ক্যামেরার চোখে দেখা প্রকৃতি।
উপরে যে ছবিটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এই ছবিটি তুলেছিলাম কয়েকদিন আগে সকালে হাঁটতে বের হয়ে। আসলে হাঁটাহাঁটির সময় আমি ছবি তুলতে খুব একটা পছন্দ করি না। কারণ হাঁটার সময় ছবি তুলতে গেলে তখন হাঁটা থামাতে হয়। আমাকে যে ডাক্তার হাঁটার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন না থেমে একটানা ন্যূনতম ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট দ্রুত হাঁটতে। যার ফলে আমি হাঁটার সময় থামতে চাই না। তবে উপরে ছবিটি তোলার সময় কিছুক্ষণের জন্য থামতে হয়েছিলো। আমাদের শহরে এক সময় রাস্তার পাশ দিয়ে এরকম অনেক গাছ ছিলো। কিন্তু এখন এই রাস্তাটা বাদে আর তেমন কোন রাস্তার পাশে এরকম গাছ নেই। এই ধরনের গাছের ছায়া ঘেরা রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে আমার খুবই ভালো লাগে।
আমি এখন প্রতিদিন সকালে হাঁটার চেষ্টা করি। তবে বেশিরভাগ দিন একই রাস্তা দিয়ে হাটাহাটি করি। কয়েকদিন আগে চিন্তা করলাম আজকে একটু অন্যদিকে যাই হাটাহাটি করার জন্য। সেই কারণে আমি বাসা থেকে বের হয়ে চলে গিয়েছিলাম গ্রামের দিকে। সেখান থেকে উপরের এই ছবিটি তুলেছিলাম। ছবিটিতে আপনারা একটি গ্রামীণ মাটির রাস্তা দেখতে পাচ্ছেন। বর্তমানে গ্রামের বেশিরভাগ রাস্তা ও পাকা হয়ে গিয়েছে। যার ফলে এই ধরনের মাটির রাস্তা গ্রামেও খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না।
এই দৃশ্যটা আমাদের সকলের কাছেই খুবই পরিচিত। যদিও গ্রামের দিকে না গেলে এই ধরনের দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায় না। উপরের ছবিতে আপনারা একটি ফসলের মাঠ দেখতে পাচ্ছেন। আদিগন্ত বিস্তৃত সবুজ ফসলের মাঠ মনে এক অনাবিল প্রশান্তি এনে দেয়। মনে হয় এ সৌন্দর্য দীর্ঘক্ষণ ধরে উপভোগ করতে থাকি। শহরে ব্যস্ত জীবনে অভ্যস্ত হওয়ার ফলে আমাদের এখন সবুজ প্রকৃতির কাছে খুব একটা যাওয়া হয় না। তবে গ্রামীন প্রকৃতির কাছে গেলে তখন কিছুটা সবুজের ছোঁয়া দেখতে পাওয়া যায়।
উপরের ছবিতে আপনারা একটি সরু নদী দেখতে পাচ্ছেন। এই নদীটা আসলে পদ্মা নদীর শাখা। পদ্মা নদী থেকে বেশ কয়েকটি শাখা আমাদের শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে গিয়েছে। এই নদীতে এখনো অনেক পানি দেখা যাচ্ছে। আসলে বছরের এই সময়টাতে নদীতে পানি কমে যেতো। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের ঋতুচক্রেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। যার ফলে গত দুই তিন বছর ধরে দেখছি বছরের এই সময়টাতে এসেও নদী নালা খাল বিলে প্রচুর পানি থাকছে।
শহরের ছেলেমেয়েরা সুযোগ পেলে অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকে। তবে এদিক থেকে গ্রামের ছেলে মেয়েরা অনেক ভালো। তাদের রাত্রে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া এবং সকালবেলায় ঘুম থেকে ওঠার এ অভ্যাসটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। সেদিন সকালে হাঁটতে বের হয়ে যখন গ্রামের দিকে গিয়েছিলাম। তখন রাস্তায় তিনটি বাচ্চাকে দেখতে পেলাম। যারা নিজেরা রাস্তা দিয়ে ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছিলো আর নিজেদের ভেতর গল্প গুজব করছিলো। দৃশ্যটা দেখে খুব ভালো লাগলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | Samsung S24 ultra |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ২৪ আলট্রা দিয়ে নিঃসন্দেহে খুব ভালো ছবি তোলা যায়। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। বিশেষ করে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ফটোগ্রাফি দুটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। গ্রামীণ পরিবেশ দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যত দামি ফোন হবে সেই ফোনের ক্যামেরায় প্রকৃতি টা ঠিক ততটা সুন্দর ভাবে উঠে আসবে। চমৎকার ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ভাই। গ্রামের সাধারণ দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ভাবে তুলেছেন। সকালে হাঁটতে যাওয়া বেশ ভালো একটা ব্যাপার। অন্তত অনিন্দ্য সুন্দর প্রকৃতি তো দেখা যায়।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাই। বেশ দারুন ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো ক্যাপচার করেছেন। দ্বিতীয় তৃতীয় ও চতুর্থ ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আসলেই আমাদেরকে মুগ্ধ করে। ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।