রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


কয়েকদিন আগে ঢাকা থেকে ফরিদপুর এসেছি। বাসায় ফিরে প্রথম কয়েকদিন ঘরেই ছিলাম। শুধু জরুরী কিছু প্রয়োজনে বাইরে যাওয়া ছাড়া তেমন একটা কোথাও যাওয়া হয়নি। তবে এরপর আস্তে আস্তে ঘোরাফেরা শুরু করেছি। তবে ঘোরাফেরা করে খুব একটা মজা পাচ্ছিলাম না। কারণ আমার ঘোরাফেরার সঙ্গী ফেরদৌস ঢাকা গিয়েছিল একটি জরুরী কাজে। আমি সাধারণত ফেরদৌসের সঙ্গেই ঘোরাফেরা করি। ফেরদৌস না থাকাই ঘোরাফেরা করে খুব একটা ভালো লাগছিল না। তবে এই কয়দিন যে ঘোরাফেরা করেছি তখন বেশ কিছু ছবি তুলেছি। সেই ছবিগুলোর ভেতর থেকে কিছু ছবি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

IMG_20221115_123452.jpg

এই ছবিটা আজ সকালেই তোলা। ছবিটিতে যে নৌকা গুলি দেখতে পাচ্ছেন এগুলি বেদে সম্প্রদায়ের নৌকা। সকালে আমি, ফেরদৌস এবং আমাদের আরেক বন্ধু প্রদীপ তিনজন মিলে গিয়েছিলাম পদ্মার পাড়ে। উদ্দেশ্য ছিল পদ্মার কোন একটি চরে আমরা ঘুরতে যাব। তবে আমরা যখন পদ্মার পাড়ে পৌঁছলাম তখন দেখি রোদের বেশ ভালই তেজ। এত রোদে ঘোরাফেরা করে খুব একটা ভালো লাগবে না। সেজন্য আজকের মতো পরিকল্পনা স্থগিত করলাম। তবে চরে ঘুরতে না গেলেও আমরা পদ্মার পাড়ে বসে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়েছিলাম। তখনই ছবিটি তুলি।

IMG_20221115_123514.jpg

IMG_20221115_123506.jpg

কিছুদিন আগে যখন পদ্মার পাড়ে এসেছিলাম তখনও দেখেছিলাম প্রচুর পানি ছিল। কিন্তু আজ সকালে পদ্মার পাড়ে গিয়ে দেখতে পেলাম নদী একদম শুকিয়ে গিয়েছে। এই অল্প ক'দিনের ভিতরেই নদীর চেহারা পুরোপুরি পাল্টে গিয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে দুটি নৌকা ঘাটে বাঁধা রয়েছে। অবশ্য এটি কিন্তু মূল নদী নয়। নদীর ভেতরে চর পড়ে যাওয়ার ফলে একটি খালের মতো তৈরি হয়েছে। সেখানেই নৌকাটি বাধা রয়েছে।

IMG_20221115_125637.jpg

পদ্মার পাড়েই এই জায়গায় বাঁশের আড়ত রয়েছে। এখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে নদীপথে বাঁশ আসে। এই বাঁশ শহরে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে কনস্ট্রাকশন সাইটগুলিতে এই বাঁশের খুবই প্রয়োজন হয়। তাছাড়া আরো নানারকম কাজে এই বাঁশের ব্যবহার হয়। শহরের সমস্ত জায়গায় এখান থেকেই বাঁশ সরবরাহ করা হয়।

IMG_20221114_094526.jpg

কয়েকদিন আগে বাজারে গিয়েছিলাম মাছ কিনতে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাসায় আপাতত কাজের বুয়া নেই। তাই শুধু মাছ কিনলেই হবে না বাজার থেকে মাছ কাটিয়ে নিতে হবে। অবশ্য বাসায় কাজের বুয়া যখন থাকে তখন মাছ সেই কাটে। মাছ কাটাও যে একটা পেশা হতে পারে সেটা বাজারে গেলে বেশ ভালোই বোঝা যায়। আমি অবশ্য এই ব্যক্তির কাছ থেকে মাছ কাটাতে গিয়ে বেশ বিপদেই পড়েছিলাম। লোকটি আনারি হাতে দীর্ঘ সময় ধরে মাছগুলো কেটেছিলো। যার ফলে আমাকে দীর্ঘ সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিলো। মনে মনে এবার তওবা করেছি এরপর থেকে আর কখনো এই লোকের কাছে মাছ কাটাতে যাবো না।

IMG_20221111_071103.jpg

কয়েকদিন আগে সকালে গ্রামের দিকে হাঁটতে গিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল শীতের সকালে গ্রামীণ প্রকৃতি দর্শন। হাঁটতে হাঁটতে একটা সময় গ্রামের ভিতর এই ছোট্ট মসজিদটি দেখতে পাই। তখনই ঝটপট ছবি তুলে নেই।

IMG_20221111_071118.jpg

ছবিতে যে বিল্ডিংটি দেখতে পাচ্ছেন এটি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। একটা সময় আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলি খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। তবে এখন সেগুলির অবস্থা অনেক ভালো হয়েছে। সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো প্রায় একই ডিজাইনে নির্মাণ করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই বিল্ডিং গুলি দেখতে বেশ ভালই লাগে।

IMG_20221112_072444.jpg

এই বাড়িটি আমাদের জেলার প্রাক্তন এক মন্ত্রীর বাড়ি। যদিও এই বাড়িটি প্রথমে ছিল অন্য এক লোকের বাড়ি। তখন অবশ্য এত চমৎকার ভবন ছিল না এখানে আগে শুধু একটি একতলা বিল্ডিং ছিল। শুনেছি সেই লোকের কাছ থেকে জোর করে এই বাড়িটি দখল করে নিয়েছিল মন্ত্রী এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা। কিন্তু কথায় আছে না ক্ষমতা কারো চিরকাল থাকে না। আজকে সেই মন্ত্রী বিভিন্ন সমস্যার কারণে আর এলাকায় আসতে পারে না। দখল করার পর বাড়িটি এখন পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

IMG_20221112_073830.jpg

কয়েকদিন আগে সকালে যখন হাঁটতে বেরিয়েছিলাম তখন এই ছবিটি তুলেছিলাম। এটি একটি নবনির্বিত রেস্টুরেন্ট। আমার কাছে এই রেস্টুরেন্টের স্থাপত্য শৈলী বেশ চমৎকার লেগেছে। সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ধর্মীভাবে এ রেস্টুরেন্টটি তৈরি করা হয়েছে। ছবিতে দেখে যদিও খুব একটা বোঝা যাচ্ছে না। তবে পুরো কাঠামোটা দাঁড়িয়ে আছে স্টিল স্ট্রাকচারের উপর সাথে ব্যবহৃত হয়েছে কাঠ। রেস্টুরেন্টে চালু হলে এখান থেকে খাওয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছি। তখন হয়তো আপনাদের সাথে আরো কিছু ছবি শেয়ার করতে পারবো।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  
 2 years ago 

ভাই তো গ্রামে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছে ৷ আর এটা ঠিক যে বেড়ানোর সময় যদি কেউ না থাকে তাহলে কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না ৷
যা হোক আপনি অনেক দিন পর গ্রামে আশে পাশে ঘুরে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ৷ প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিল ৷
ধন্যবাদ ভাই

 2 years ago 

পদ্মা নদীর পাড়ে অপরূপ সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। এর আগেও আপনি পদ্মানদী পাগে এসে ছিলেন। তখন অনেক পানি ছিলো। পদ্মা নদীতে আজকে আপনি এসে দেখলাম নদীতে পানি অনেক শুকিয়ে গেছে। সত্যি যমুনা নদীর মতো চর পড়ে গেছে। ফটোগ্রাফি খুব ভালো লাগলো।

 2 years ago 

আপনার সব ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। তবে আমার কাছে এর মধ্যে প্রথম যে নদীর পাড়ে নৌকাগুলোর ছবি ওটা আমার কাছে বেশি দারুন লেগেছে। আর মসজিদের ছবিটা বেশ দারুন লেগেছে। অনেক রোদ থাকলে আসলেই ঘুরতে ভালো লাগে না। আর আপনি ঠিক বলেছেন লোকের টাকা মেরে কেউ কোনদিন ভালো থাকতে পারে না। আপনার বর্ণনা ওই মন্ত্রীর মত কত লোক যে আছে যারা অন্যের টাকা বা জিনিস দখল করে নিজেকে বড় মনে করে। আর হ্যাঁ আমাদের এখানেও প্রাথমিক স্কুলগুলো অনেক সুন্দর করে নতুন রূপে ডিজাইন করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার অনুভূতি ও ফটোগ্রাফি গুলা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আমিও গত কালকে পদ্মা নদীর ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। সেখানে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম সেই সাথে খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছিলাম যেগুলা আমিও আজকে আমার ফটোগ্রাফি পোস্টে শেয়ার করেছি।।

নদীকেন্দ্রিক আপনার ফটোগ্রাফি গুলা খুবই ভালো হয়েছে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এখন নদীর পানি কম দেখেই বোঝা যাচ্ছে।।

তবে মন্ত্রীর বাড়ি দেখে অনেক কথাই মনের মধ্যে আনাগোনা করছে ক্ষমতার দাপট চিরদিনই থাকেনা এটা বুঝতে হবে আমাদের এলাকাতেও এমন কিছু লোক আছে যাদের পরিস্থিতি এই মন্ত্রী চেয়েও খারাপ।।।

 2 years ago 

আশা করি ভাইয়া ভালো আছেন? আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুব দুর্দান্ত ছিলো। নদীর পারে প্রাকৃতিক পরিবেশে নিশ্চই খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ফটোগ্রাফি পাশাপাশি সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করলেন পড়ে খুব ভালো লাগলো। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন ভাইয়া।

 2 years ago 

আসলে যার সাথে প্রতিনিয়ত ঘুরাঘুরি করে সময় অতিবাহিত করেন সে যখন সাথে থাকে না সত্যিই অনেক খারাপ লাগে। পদ্মা নদীর পাড়ে ধারণ করা ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে দারুন লেগেছে। আর রেস্টুরেন্টের ছবিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে এটা খুবই ভালো মানের একটা রেস্টুরেন্ট।

 2 years ago 

পদ্মা নদীর পাড়ে অপরূপ সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আমি পদ্মা নদীতে অনেকবারই বেড়াতে গিয়েছি।পাড়ে হাটতে অনেক ভালো লাগে।একটা কথা অনেক ভালো লেগেছে লোকের টাকা মেরে কেউ কখনো বড় হতে পারেনি। পৃথিবীতে ক্ষমতার দাপট চিরস্থায়ী নয়,তাই সময় থাকতে মানুষের সাবধান হওয়া উচিত।

 2 years ago 

রেনডম ফটোগ্রাফিতে বিভিন্ন ছবিতে বিভিন্ন ক্যাপশন পড়ালাম। ভালো লাগলো ভাইয়া।মাছকাটা লোকের কাছে তাহলে ধরা খেয়েই গেলেন, বেশী সময় নিয়েছে। তবে বিশেষ করে বাজারে যারা মাছ কাটে তারা খুব দ্রুতই মাছ কেটে দেয়। যাই হোক সবগুলো ফটো খুব ভালো লেগেছে। নদীর পাড়ে ছবিগুলো বেশি দারুণ হয়েছে।

 2 years ago 

নদীতে নৌকো দাঁড়ানো দেখলেই সেই ছোটবেলায় ড্রয়িং ক্লাসের কথা মনে পড়ে যেখানে সেই সিনারি তে একটা নৌকো থাকবেই। ঠিক যেন জল ছবি মনে হচ্ছে। আর বাঁশ দেখে একটা কথা মনে পড়ে গেলো। বন্ধু বান্ধবরা মাঝে মাঝেই বলে বাঙালীর কাজ বাঁশ দেওয়া। 🤣 আর স্টিল রেস্টুরেন্টটা আমারও বেশ আলাদা লাগলো। আমি প্রথমে ভাবলাম গেস্ট হাউস হয়তো বা।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনি ঢাকা থেকে বাসায় ফিরেছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার ভ্রমণ সঙ্গী আপনার বন্ধু যেহেতু নেই তাই একা একাই ভ্রমণ করতে হয়েছে। পদ্মার পাড়ের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। যারা বাজারে মাছ কাটে তারা তো খুবই তাড়াতাড়ি মাছ কাটে। কিন্তু এই লোকটি এতটা সময় নিল কেন বুঝতে পারলাম না। হয়তো তিনি এই পেশায় নতুন। আর জোর করে কেউ কখনো কোন কিছু দখল করলে সেটাও সে ভোগ করতে পারে না। মন্ত্রীর হয়েছে সেই অবস্থা। ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 64041.25
ETH 2762.17
USDT 1.00
SBD 2.66