কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।
আবহাওয়ার সাথে মানুষের খাদ্যাভ্যাসের একটি চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। এক এক ধরনের আবহাওয়ায় আপনার এক এক রকমের খাবার খেতে ইচ্ছা করবে। যেমন যখন প্রচন্ড শীত পড়বে তখন আপনার এক ধরনের খাবার খেতে ইচ্ছে হবে। আবার যখন পুরো গ্রীষ্মকাল তখন অন্য ধরনের খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হবে। পৃথিবীর মানুষের খাদ্যাভ্যাসের উপরে আবহাওয়ার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। চারিদিকে যেমন প্রচন্ড গরম পড়েছে এই ধরনের আবহাওয়ায় প্রচুর তেল মশলাযুক্ত খাবারের থেকে হালকা ঝোল টাইপের খাবার বেশি পছন্দ আমার। কারণ এটা সহজ পাচ্য এবং শরীরের জন্য বেশ ভালো। গরমের দিনে দুপুরবেলায় আমার পছন্দ হালকা কোন মাছের ঝোল সাথে গরম ভাত এবং লেবু। এই তিনটি হলে আমার আর অন্য কিছু চাই না।
আজ আপনাদের সাথে তেমনি একটি মাছের রেসিপি শেয়ার করবো। এই মাছটি আমাদের দেশের সকলের পছন্দের একটি মাছ। সেটি হচ্ছে টেংরা মাছ। এক সময় বাজারে প্রচুর দেশি টেংরা মাছ পাওয়া যেতো। কিন্তু আজকাল সেটা দুষ্প্রাপ্য পণ্যের তালিকায় ঢুকে গিয়েছে। এখন বাজারে টেংরা মাছ পাওয়া যায় তবে সেটা চাষের টেংরা। সেই টেংরা মাছে দেশি টেংরা মাছের যে স্বাদ সেটা পাওয়া সম্ভব নয়। তার পরেও যেহেতু বেশি টেংরা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো আমাদের ভরসা চাষের টেংরা। তবে আমি চেষ্টা করি সবসময় বড় সাইজের টেংরা মাছ কিনতে। কারণ বড় সাইজের মাছগুলো খেতে বেশ ভালো হয়। কয়েকদিন আগে বাসায় কিছু টেংরা মাছ কেনা হয়েছিলো। যার ভেতর কয়েকটি ছিল বেশ বড় সাইজের। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল এই মাছ খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। আজকে আপনাদের সাথে সেই মাছের রেসিপি শেয়ার করবো। টেংরা মাছ রান্না করা হয়েছিল ঝিঙ্গা এবং আলু সহযোগে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক টেংরা মাছের রেসিপি।
ঝিঙ্গা এবং আলু সহযোগে টেংরা মাছের রেসিপি

উপকরণসমূহ

উপকরণ | পরিমাণ |
টেংরা মাছ | ৮টা |
ঝিঙ্গা | ২ টা |
আলু | ২ টা |
পেয়াজকাটা | ১/২ কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৭টা |
পেয়াজবাটা | ১ টেবিল চামচ |
রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
আদা বাটা | ১ চা চামচ |
হলুদ গুড়া | ১ চা চামচ |
মরিচ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
জিরাগুঁড়া | ১ চা চামচ |
লবণ | পরিমাণ মতো |
ধনিয়া গুড়া | ১ চা চামচ |
রন্ধন প্রণালী
প্রথম ধাপ
প্রথমে একটি কড়াইতে তেল ঢেলে। তার ভেতর কেটে রাখা পেঁয়াজগুলো দিয়ে অল্প আচে হালকা করে ভেঁজে নেই।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন সমস্ত বাটা মসলা এবং গুড়া মসলা কড়াইয়ের ভেতর দিয়ে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে ভালোমতো কষিয়ে নিই। যত ভালোভাবে কষাবেন আপনার তরকারির স্বাদ তত ভালো হবে।
তৃতীয় ধাপ
মসলা কষানো হয়ে গেলে এখন তার ভেতরে মাছগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ আবার কষিয়ে নিই। মাছ কষানো হয়ে গেলে একটি পাত্রে উঠিয়ে রাখি।
চতুর্থ ধাপ
এখন কেটে রাখা সবজিগুলো বসানো মসলার ভিতর দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে নেই।
পঞ্চম ধাপ
তারপর কড়াইয়ের ভেতর কিছুটা পানি দিয়ে মিনিট দশেক রান্না করি।
কড়াইয়ের ভেতর পানি শুকিয়ে এলে আবার কিছুটা পানি যোগ করি। তার ভেতরে কাঁচা মরিচ দিয়ে দিই। তারপর কষিয়ে রাখা মাছগুলো দিয়ে মিনিট পাঁচেক রান্না করি।
ষষ্ঠ ধাপ

ব্যাস হয়ে গেল মজাদার ঝিঙ্গা আলু দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল। এটি গরম গরম ভাতের সাথে অত্যন্ত উপাদেয় একটি খাবার। এই খাবারটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যকরও বটে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
ফটোগ্রাফার | @rupok |
Support
@heroism Initiative by Delegating your Steem Power
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
@rupok
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া আগের মত আর নদীর টাটকা টেংরা মাছ খুব একটা পাওয়া যায় না এখন বাজারে যে টেংরা মাছ পাওয়া যায় তার বেশিরভাগই চাষের টেংরা। তবে আলু আর ঝিঙা দিয়ে তৈরি টেংরা মাছের রেসিপি অনেক লোভনীয় লাগছে। লোভনীয় মাছের রেসিপি গুলো দেখলেই বোঝা যায় যে এই রেসিপিটা খেতে অনেক সুস্বাদু হবে।
খুব সুন্দর করে চিংড়া মাছের রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই। টেংরা মাছ খেতে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। তবে ঝিঙে দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নাই। দেখে বোঝা যাচ্ছে যে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
জি ভাই আপনার ঠিক হয়ে বলেছেন গরমের দিনে দুপুর বেলা মাছের ঝোল এবং লেবু দিয়ে ভাত খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে ঝিংগে আলু দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল রেসিপি করেছেন। দেখেইতো খেতে ইচ্ছে করছে।
ঝিঙ্গে আলু দিয়ে আপনি অনেক সুস্বাদু টেংরা মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া । টেংরা মাছ আমার কাছে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন আবহাওয়ার সাথে সাথে খাবারের চাহিদার ও স্বাদের পরিবর্তন হয়। বর্তমানে বাজারে সব ধরনের মাছ পাওয়া গেলেও নদীর মাছ পাওয়া অনেক কঠিন। কারণ চাষ করা মাছে বাজার ছেয়ে গেছে। তবে কি আর করার বাধ্য হয়ে আমাদেরকে সেই মাছগুলোই কিনতে হয়। ঝিঙে, আলু দিয়ে টেংরা মাছের এই রেসিপি আমার কাছে দারুন লেগেছে। লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। ❤️❤️
কি বলবো দুঃখের কথা ভাইয়া, এখন কেনো জানি কোনো মাছেই আগের মত স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে না, একমাত্র গ্রাম অনচলে খাল খালবিল এর মাছ ছাড়া কোনো মাছেই স্বাদ নাই, তারপরেও খেতে হয়।
যাই হোক আপনার সবজি দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি অনেক সুন্দর হয়েছে, আসলেই বড় টেংরা মাছে একটু বেশিই স্বাদ থাকে, ভাইয়া এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ভাইয়া।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের খাদ্যাভ্যাসেরও পরিবর্তন হচ্ছে । বিশেষ করে এই সময় টেংরা মাছ প্রচুর পাওয়া যায় বাজারে । তবে একটা সময় বাজারে গেলেই টেংরা পাওয়া যেত কিন্তু এটা আসলে এখন দুষ্প্রাপ্যের তালিকায় ঢুকে পড়েছে । যাইহোক , আপনি খুব সুন্দর করে টেংরা মাছের রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি এখন বাজারে টেংরা মাছ পাওয়া যায় তবে সেটা পুকুরে চাষ করা টেংরা। আসলে আমার বাবা আমাদের পুকুরে এই টেংরা মাছ চাষ করেছিল কিছুদিন আগে আমরা এই টেংরা মাছ পুকুর থেকে বিক্রি করেছি। আসলে ভাইয়া ঝিঙে আলু দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি রান্না করলে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এখানে পদ্মার পাড়ে সকালবেলায় এ ধরনের বড় বড় টেংরা মাছ পাওয়া যায়। এ ধরনের মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু আমারও খুব ফেভারিট। আপনার প্রস্তুত করার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হয়েছিল।
টেংরা মাছ আমার অনেক প্রিয় একটি মাছ। আপনি ঝিঙ্গে আলু দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপির কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক মজার একটি রেসিপি হয়েছে। আপনার সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।