পরিবার নিয়ে কাবাব খাওয়ার অভিজ্ঞতা।

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


মেয়ের ক্ষুধা লাগার জন্য আমরা সুইস গেটে ঘোরাফেরা সংক্ষিপ্ত করে রওনা দিলাম কাবাব খেতে। কাবাব খাওয়ার জন্য আমি আগে থেকেই একটি রেস্টুরেন্ট ঠিক করে রেখেছিলাম। এই রেস্টুরেন্টটি আকারে খুবই ছোট। অল্প কিছুদিন হোলো সেটা চালু হয়েছে। আমি কিছুদিন আগে সেখান থেকে একবার কাবাব খেয়েছিলাম। তাদের কাবাবের স্বাদ আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিলো। বিশেষ করে তাদের চিকেন চাপের স্বাদ ছিলো অনেকটা পুরান ঢাকার কাবাবের মতো। যাইহোক জায়গাটা সুইচগেট থেকে খুব কাছাকাছি হওয়ায় আমরা রিকশা করে অল্প খনেই সেখানে পৌছে গেলাম। তবে সেখানে পৌঁছে দেখি তাদের সেই ছোট্ট রেস্টুরেন্টের ভেতরে প্রচুর ছোট ছোট পোকামাকড় উড়ছে।

1000009804.jpg

এই পরিবেশে সেখানে বসে খেতে ইচ্ছা করছিলো না। আবার এদিকে কাবাব আর লুচি এমন একটা খাবার যেটা গরম গরম খেতে না পারলে ভালো লাগে না। যাইহোক আমরা কিছুক্ষণ চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিলাম সেখানে বসেই খাওয়া-দাওয়া করবো। রেস্টুরেন্টটা নতুন হওয়াতে সেখানে এখনো এসি লাগানো হয়নি। তাই গ্লাস দিয়ে আটকে দেয়ার ফলে ভেতরটা বেশ গরম লাগছিলো। আমরা সেখানে বসে চিকেন চাপ আর লুচি অর্ডার করলাম। খাবার অর্ডার করে আমরা হালকা গল্প গুজব করতে লাগলাম। তবে আমাদেরকে খাবারের জন্য খুব একটা বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। অল্প সময়ের ভেতরেই আমাদের সামনে কাবাব আর লুচি পরিবেশন করেছিলো।


1000009810.jpg

যদিও তখন কেবল সন্ধ্যা হয়েছে। তবুও কিছুটা ক্ষুধার অস্তিত্ব টের পাচ্ছিলাম। তাই খাবার সামনে আসতেই আমরা খেতে শুরু করলাম। চিকেন চাপের সাথে আমরা অন্য একটা কাবাব ও নিয়েছিলাম। সেটা খেতে খুব একটা ভালো লাগেনি। তবে তাদের চিকেন চাপ আর লুচির স্বাদ ছিল বেশ ভালো। চাপের সাথে তারা আবার দুই রকমের সস দিয়েছিল। সেই সস দিয়ে কাবাব খেতে বেশ মজাই লাগছিলো। আমরা ধীরেস্থে খাওয়া-দাওয়া করতে লাগলাম। এদিকে খেয়াল করে দেখি আমার মেয়ে খুব মজা করে কাবাব খাচ্ছে। বুঝতে পারলাম কাবাব টা তার বেশ পছন্দ হয়েছে। খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে আমরা বিল দিয়ে সেখান থেকে তাড়াতাড়ি বের হয়ে গেলাম।

আসলে খাওয়ার জায়গাটা একটু আরামদায়ক না হলে খাওয়া দাওয়া করে মজা পাওয়া যায় না। তাছাড়া আজকালকার বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টে এসি লাগানোর ফলে সেখানে বেশ আরাম করে খাওয়া দাওয়া করা যায়। এসি রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া দাওয়া করতে করতে। এখন আর নন এসি রেস্টুরেন্টে এই গরমের ভেতরে খেতে কিছুটা অস্বস্তি বোধ হয়। যাই হোক পরিবেশটা খুব একটা ভালো না থাকলেও খাবারের টেস্টের জন্য আমাদের কাছে সবকিছু মিলিয়ে ভালোই লেগেছিলো। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হতেই আমরা একটি অটো রিক্সা নিয়ে বাসার দিকে ফিরে চললাম। আর এভাবেই ঘোরাফেরা আর খাওয়া-দাওয়ার পর্ব শেষ হোলো।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসHONOR 90
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থান

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  
 2 months ago 

যেহেতু রেস্টুরেন্টটি নতুন হয়েছে তাই হয়তো তারা এখনো এসির ব্যবস্থা করে উঠতে পারেনি। আশা করছি ধীরে ধীরে সবকিছুই হবে। চিকেন চাপ এবং লুচি খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর কাবাব আপনার কাছে ভালো না লাগলেও মামনির কাছে মনে হয় অনেক ভালো লেগেছে। ভাইয়া আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো।

 2 months ago 

পরিবার নিয়ে বাহিরে যেতে খুবই ভালো লাগে। আর সবাই মিলে পছন্দের খাবারগুলো খেতে ভালো লাগে। যেহেতু রেস্টুরেন্টটি গ্লাস দিয়ে লক করা ছিল সেজন্য গরম একটু বেশি ছিল ভাইয়া। ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

পরিবার নিয়ে সুইস গেটে ভ্রমণের পোস্টটা দেখেছিলাম। সেখানে শেষে বলেছিলাম সবাই মিলে কাবাব খেতে গিয়েছেন। আজকে কাবাব খেতে যাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। চিকেন চাপ এবং লুচি অর্ডার দিয়েছেন আপনারা। পরিবেশনটা খুব সুন্দরভাবে করেছে তারা। চমৎকার কিছু মুহূর্ত কাটালেন সবাই মিলে সেই সাথে খাওয়া দাওয়া করলেন। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 67368.20
ETH 2618.26
USDT 1.00
SBD 2.68